নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবা-পাগলা

ভবা-পাগলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিকদলকে বিচার বিভাগও দলীয় নেতাদের সুনিদিষ্ট যোগ্যতা চাই?

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

রাজনৈতিকদলকে বিচার বিভাগও দলীয় নেতাদের সুনিদিষ্ট যোগ্যতা চাই?



গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলের প্রধান কাজ সুনিদিষ্ট নিয়মের মাধ্যমে দল ও নির্বাচত্তর রাষ্ট্র পরিচালনা করা। প্রাচীন আমলে রাজনৈতিক দল বা দলে পরিচালনার সুনিদিষ্ট কোন নিয়ম-নীতি ছিল। রাজার ইচ্ছাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হত। তাই তাদের শাসন কার্যে সর্বদা গোলযোগ লেগেই থাকত। ছেলে বাবাকে, নতুবা বাবা ছেলেকে, ভাই ভাইকে হত্যা করতেও কুন্ঠিত হত না। সভ্যতার যুগে প্রবেশের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা চেতনার বৈজ্ঞানীক বিপ্লব ঘটতে থাকে। ১৭৫৭ সালে পলাশীল যুদ্ধে ইংরেজরা বাংলা তথা ভারতীয় উপমহাদেশের ক্ষমতা দখল করে নেয়। ভারতীয় নাগরিকদের দায়িত্ব ও কতর্ব্য সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘স্যার এ্যালান অক্ট্রোভিয়াম হিউম’ এবং বৃট্রিশ-ভারতের প্রথম আইসিএস পাশকারী সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি ১৮৮৫ সালে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু দল গঠনের পরপরই দলের ক্ষমতা চলে যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের হাতে। ফলে ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠিত হয় মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে। ১৯৪৭ সালে লর্ড মাউন ব্যাট্রেনের পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ‘ভারত ও পাকিস্তান’ নামে দুটি রাষ্ট্রের অভ্যূদ্বয় ঘটে। পাকিস্তানের পরাধীনতার নাগ-পাশ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৪৯ সালে গঠিত হয় “আওয়ামী লীগ’’। দেশ স্বাধীনের পর বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বতর্মানে বাংলাদেশে প্রায় ১৪৭টি রাজনৈতিক দল আছে।

একবিংশ শতাব্দীতে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে সর্বাত্মক পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে দলীয় নীতি গঠনের কথা থাকলেও এ পযর্ন্ত দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ একটি নিয়ম-নীতি সম্বলিত আদর্শ রাজনৈতিক দল গঠন করতে পেরেছে কি? বরঞ্চ দেখা গেছে, কোন মতে একবার ক্ষমতায় আরোহন করতে পারলেই কিভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা যায় তার চেষ্ঠায় লিপ্ত থাকছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি অতিব সত্য। বিএনপি বা জাতীয় পার্টি কোনটি কারও চাইতে কম যাতে না। বতর্মান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও একই পথে হাঁটছে।এই হীনমান্যতা জাতির জন্য সত্যিই খুবই দুর্ভাগ্য জনক। এই সম্পর্কে কাজী নজরুলের একটি উক্তি মনে পড়ে—‘

‘শাস্ত্র ছেঁকিয়া নিজেদের যত সুবিধা বাছাই করে,

অপরের বেলায় গোম হয়ে রহে‘ যত গুমরাহ সব চুরে’।



দলীয় সর্মথকরাও দলের এহেন উস্কানীমূলক আচরনে রীতি মত গাদাস্কার। দলের পান থেকে চুন খসলেই মাথায় কাঁফনের কাপড় বেধেঁ রাস্তায় নেমে শুরু করে জ্বালাও-পুড়াও, লুন্ঠন ও হত্যাযজ্ঞ। এই বরবর্র দল সমর্থরা রাজনৈতিক ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে ফুলে-ফেঁপে অল্প সময়েই কলাগাছ হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থার জন্য দলও দলীয় সমর্থক উভয়েই দায়ী। অদূর ভবিষ্যতে এই হীনম্যানতা কোথায় গিয়ে দাড়াঁয় জাতি তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহেঅপেক্ষা করছে। সারা বিশ্ব যেখানে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা দলও দলীয় সমর্থকদের কারনে দিনকে দিন পিছিয়ে যাচিছ। তাই আমরা রাজনৈতিক দল ও দলীয় সর্মথকদের সুনিদিষ্ট যোগ্যতা চাই? নামে মাত্র নির্বাচন কমিশন নয়, রাজনৈতিক দলকে সারাসরি বিচার বিভাগের আওতায় আনতে হবে? শাসন বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করে, বিচার বিভাগকে নামে মাত্র নয়, সর্ম্পূন স্বাধীন করতে হবে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.