![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিরোধী দল বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনিক দ্বন্দ মীমাংশা সময়ের ব্যাপার মাত্র!!!
একটি দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি সেই দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে কয়েক যুগ ধরেই এই সংকট প্রবল। বতর্মান সরকার ও বিরোধী দলের পরস্পর বিপরীত মুখী অবস্থানের কারনে শুধু উন্নয়নও সমৃদ্ধিই নয়, রাজপথে অকাতরে প্রাণ দিতে হচ্ছে নিরিহ জনসাধারনকে। ক্ষমতাসীন দল যে কোন ছোঁতুই ক্ষমতাকে আকৃয়ে ধরতে উদ্দ্যত; আর বিরোধী দল যে কোন উপায়েই হোক ক্ষমতা দখলে মরিয়া। এই জন্য দুই দলই কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না॥
‘পূর্ববর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দেশের সর্বচ্চ আদালত কতৃর্ক অবৈধ ঘোষনা ও সমঝোতার স্বার্থে আরও দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার পক্ষে রায় দিয়ে ছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা বিশ্বের বহু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে হয়ে আসে বলে তাদের দাবি। কিন্তু ১৮দলীয় জোট নেতা বিএনপি বলছে, তারা কোন মতেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তাদের দাবি ‘র্নিদলীয় সরকার,।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের মত একটি দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নিপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। কারন এ দেশের নির্বাচন কমিশন নামে মাত্র স্বাধীন-ঠ্ট্টুু জগন্নাত যা সরকারের আজ্ঞাবহ। সরকারের কাছ থেকে ধারে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে তাদের নির্বাচন পরিচালনা করতে হয়। এই সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী আবার ক্ষমতাসীন সরকারের চামচুমিতে অবস্থ্য। তাহলে নিবার্চন কমিশনের উপর ভরসার অর্থ কি???
১৮দলীয় জোটের ‘নিদর্লীয় সরকারের দাবি এখন সার্বজনীন। ক্রমে ক্রমে তা গণদাবিতে পরিনত হচ্ছে। গত কয়েক দিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে ‘বাংলাদেশের চলমান সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। যা সরকারের জন্য শুভ সংবাদ নয়। তা‘ছাড়া সরকারের সাথে ডঃ ইউনুস সাহেবের দ্বন্দ গোটা পৃথিবীকে নাড়া দিয়েছে। ডঃ ইউনুস আর্ন্তজাতিক ভাবে সম্মানীত একজন ব্যাক্তিও প্রথম নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশী। সরকার তাে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। সরকার যষ্ঠদশ সংশোধনী এনে সংবিধানের বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ আইনের সংশোধণী এনেছেন, যাতে বিরোধী দলের কোন প্রকার সংশ্রাব নেই। বাম রাজনীতির অনেকেই এখন ক্ষমতাসীনদের ‘দলীয় সরকারের অধীনে, নির্বাচনে যেতে না‘রাজ। তাছাড়া তারা সরকারের অনভিজ্ঞ মন্তীদের কার্য়-কালাপে বিরক্তও বটে। এমতব্যস্থায় সকার যদি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করেই ফেলে তা আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে গ্রহণ যোগ্য হবে না।
একথা সত্য যে, বতর্মান সরকারের বেশ কিছু সফলতা আছে। জঙ্গীবাদ দমন, প্রযুক্তির ব্যবহার তার মধ্যে অন্যতম। তবে এই সকল উন্নয়নকে ছাপিয়ে দিয়েছে শেয়ার কেলেংকারী, হলমার্ক দুর্নীতি, বিডিআর বিদোহ, গুম আতংক, ও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যা কান্ডও ইসলাম বিরোধী অবস্থান। তা‘ছাড়া বর্তমান সরকার বহুবিদ সমস্যার সমুখীন। ক্ষমতাসীন সরকার চালাকি করতে গিয়ে নিজেই ফাদেঁ পড়েছে। আজ পযর্ন্ত বিরোধী দলীয় নেত্রীর মনোভাব কিছুটা নমনীয়, ডাক পেলে-যে কোন সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। জনমত জরিপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগৈর চেয়ে বিরোধী দলীয় জোট বিএনপি এগিয়ে। এমতব্যস্থায় সরকার দিশে হারা, কোন পথ বেছে নিবে এটাই দেখার পালা ।
©somewhere in net ltd.