![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা ও শিক্ষিতের সংজ্ঞা কি?
ভাই সিদ্দিক, স্বদেশী শিক্ষা আর বিদেশী শিক্ষা বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন জানি না। তবে শিক্ষার কোন শ্রেণী ভেদ নাই। সামগ্রীক অর্থে, শিক্ষা হচ্ছে অজানাকে জানা, সত্য জ্ঞান করা এবং সমাজ-সভ্যতার উৎকষর্নে তা প্রযোগে যুগযুগান্তের আরও অধিক সত্য অন্বেষনে লিপ্ত থাকার প্রয়াস। কারন জানার কোন শেষ নাই। সার্বিক সত্য আজ আবিস্কৃত হয়নি। তবে স্বদেশী কৃষ্টি-কালচার ভাষা-ব্যত্বয়তা, মানুষকে বৃহৎ পরিসরে আলাদা ভাবে পরিচয করিয়ে দেয়। এই জন্য Culture কে Way of Life বলা হয়ে থাকে। প্রত্যেক দেশের, প্রত্যেক জাতির, প্রত্যেক মানুষের এই রুপ আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট আমাদের শিক্ষার সংজ্ঞাকে আরও মধুময় ও সৌন্দর্য্য মন্ডিত করছে এবং যুগযুগ ধরে করবে। তবে শিক্ষার সংজ্ঞা ঔ একটাই। প্রাচীন যুগে সক্রেট্্িরসকে যখন বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়, তখন তিনি ইচ্ছা করলেই আধুনিক সময় উপযোগীয় ট্রেডিশনাল শিক্ষিতদের ন্যায়- শিক্ষার আর জ্ঞানের কৌশলী সংজ্ঞায় জীবন বাঁচাতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেন নাই; শিক্ষার স্বকীয়তা আর সত্যকে নিয়ে যুগযুগান্তর গবেষনার জন্য। জীবন দিয়ে প্রমান করেছে শিক্ষার সাথে সত্য, সুন্দর আর মানবতার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।
আধুনিক যুগে শিক্ষার সাথে একধরনের অ্যানন্ট্রিবাইটিক মিকচার মিশানো হয়েছে; যার ফলে ঘুমন্ত শিক্ষিতরা দিবা-রাত্রী চেতন থাকার ভাব করে থাকেন। ঠিক যেন চোখ খোলা রেখে চেয়ে চেয়ে ঘুম পাড়ার মত। সামাজিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক দৈন্যতাকে অযুহাত করে কতিপয় অ্যানন্ট্রিবাইটিক শিক্ষিত এই মিকচার তৈরী করে জ্ঞান-অন্বেষায়ীদের ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করছেন। যার ফলে, সমাজ আজ -দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাচ্ছে। অর্থের কাছে জীবন-জীবিকা, জ্ঞান-মযার্দা, প্রেম-ভালবাসা, দয়া-মায়া, ভক্তি-শ্রদ্ধা দিনকে দিন নিষ্পেষিত হচ্ছে জীবন-জীবনের কাছে হয়ে উঠছে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের বিষয় মাত্র। যেমনটি ঘটেছে কিশোরী ঐশীর বেলায়। মানলাম, জীবনের জন্য অর্থের প্রয়োজন আছে। কিন্তু তাই বলে, সত্য বা শিক্ষার সাথে অর্থের সংমিশ্রন অনুভিপ্রেত।
‘গরিবের বৌ সবাই ভাবি, কথাটার অর্থনৈতিক গুরুত্ব যতটুকু তার চাইতে শিক্ষার অমযার্দা বহুগুনে বেশী, কিম্বা অর্থ-সম্পদশালী ব্যক্তির হাতে পুড়ামাটি দেখলেই বিস্কুট বা নাজানি কি? ভাবার কারন ঔ শিক্ষার সাথে মিকচার প্রয়োগেই ফল। একথা নিঃদ্বিধায় বলা যায় আজকের সামাজে যে যত বড় পদ মযার্দার অধিকারী তার তত “শিক্ষার মিকচার, তৈরীর ক্ষমতা বেশী । এই ‘ট্রেডিশনাল শিক্ষার মিকচার, গোটা পৃথিবীকে গ্রাস করতে বসেছে। যদিও দুই/একজন এর ব্যতিক্রম আছে; তবু তারা অর্থ আর ক্ষমতার অথৈই সাগরে পড়ে জীবন নিয়ে সংকিত। রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে আরম্ভ করে ব্যক্তি ব্যবস্থার-সর্বদিক, আজ সত্যহীন অর্থশক্তির ছাতে মোড়ানো এক ট্রেডিশন মিকচার মার্কা শিক্ষা ব্যবস্থার ভারে নতজানু। এর ফল সুভ হবে না। কারন অর্থ-সম্পদ মানুষকে কোন দিনই সুখ বা শান্তি দিতে পারে নাই, পারবে না।
আপনি আশ্চার্য হবেন যে আমি বিগত ১৪ বছর ধরে এই মিকচার মেলানো শিক্ষা আর শিক্ষিতদের সাথে সংগ্রাম করে শেষ অব্দি অর্থ কষ্টে এই ইউনির্ভাসিটিতে নামেমাত্র পদবীতে জীবন বাচাঁচ্ছি এবং যে অবস্থানে থেকে এই কথাগুলো বলছি, তা অনেকের কাছেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য কিম্বা হাসিঁর গোরাক হতেও দ্বিধা করবে না। (চলবে)
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: শিক্ষার লক্ষ্য হল মানুষের চেতনাকে জাগ্রত করা আর মানুষকে মানুষের মত চিন্তা করতে শেখানো।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২০
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন: মানুষের অভ্যাস ও আচরণের সুপরিবর্তনই হলো শিক্ষা। আপন প্রয়োজনের তাগিদে ইচ্ছাকৃত জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থাই শিক্ষা। শিক্ষা জীবন থেকে উঠে আসা একটি প্রত্যয়। শিক্ষা সবসময়ই ইতিবাচক। তাই অশিক্ষা বা কুশিক্ষা নামে কোন বিষয় শিক্ষা গবেষণায নেই। শিক্ষা একটি জীবন ব্যাপী প্রক্রিয়া। শিক্ষা হচ্ছে আলোময় স্বাধীনতা। মাতৃগর্ভের অন্ধকার হতে শেষ কবরের অন্ধকার। মাঝখানে আলোর স্বাধীনতা। এই আলোতে শিক্ষা মানুষের জীবনকে পূরণতার দিকে নিয়ে যায়। দুনিয়ার প্রায় সকল শিক্ষাবিদই এ বিষয়ে একমত যে, শিক্ষার অনঃতম পঁধান বৈশিষ্টঃ চরিত্র গঠন। শিক্ষা সম্পকৌ বিভিন্ন দারশনিকগন যে মতামত দিয়েছেন তার কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হল-
মিথঃার অপনোদন ও সতেঃর আবিষ্কারই হল শিক্ষা- - সক্রেটিস
দেহমনের সুষম ও পরিপূরণ বিকাশের মাধ্ধমে বঃক্তি জীবনের প্রকৃত মাধুযৗ ও চরম সত্যে উপনীত হওয়ার কৌশলই শিক্ষা- এরিস্টটল
শিশুর নিজস্ব ক্ষমতা অনুযায়ী দেহমনের পরিপূর্ণ ও সার্বিক বিকাশ সাধনই হল শিক্ষা- প্লেটো
সুঅভঃাস গঠনের নামই হলো শিক্ষা- রুশো
সুন্দর বিশ্বস্থ এবং পবিতঁ জীবনের উপলব্দিই হলো শিক্ষা-- এফ ফঁয়েবল
জীবনের পঁস্তুতি নয়, জীবনের উপলব্দিই হলো শিক্ষা- জন ডিউই
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: শিক্ষিত সেই ব্যক্তি, যে নিজের কাজকে সম্পাদনা ও নিজের কর্তব্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যে সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম এবং যে অন্যের সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করে তাকে প্রশিক্সিত বলে।