নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাস্তা দিয়ে মধ্য দুপুরে যখন আমরা স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যায়
পার হয়ে পোষ্টারে ঢাকা কট কটে হলুদ দেওয়াল
মাথার উপর একটু ও ছায়া থাকে না
শ্বাপদের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে সূর্য টা পূর্ণ প্রতাপে |
প্রায় একটা শকুন কে চক্রাকারে উড়তে দেখি
আমাদের দিকে তৃক্ষ দৃষ্টি রেখে,
হয়তো অপেহ্মায় থাকে ওটা
ঠিক আমাদের ই মত |
মাঝে মাঝে গলা শুকিয়ে আসে
পা টলে যায়
শির দাড়া টন টন করে
তীব্র রোদে চোখ জ্বলে,
তার থেকেও বেশি জ্বলে মনে হয় অন্য কোথাও |
নেতা কে জিঙ্গাস করে ছিলাম
উনি কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, "ওটা কিছু নয়.... ওটাই ভেতরের সংগ্রামী চেতনা"
তার পর ও অস্থির লাগে
নিজেকে চাবি আটা খেলনা গাড়ি মনে হয় |
আমরা বলি আমাদের জয় অনিবার্য
জয়ের শেখরে আমরা পৌঁছাবই
সেটা কত দূর আমি জানি না;
ওয়াজিদ কে জিঙ্গাস করেছিলাম
ও হেসে বলেছিলো, "সামনেই বন্ধু, এত অস্থির কেন...."
কিন্তু এটা বলার সময় ওর গলায় কোন জোড় ছিলো না
আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, ভাষাহীন এক জোড়া চোখ ;
আমি অবাক হয়নি, অবাক হওয়াই ভুলে গেছি |
এখন আর আমাদের কারো চোখ দেখে জীবিত না মৃত বোঝা যায় না,
কিন্তু এই চোখেই জেগে ওঠে মাঝে মাঝে প্রতিহিংসা আর রক্তের নেশা;
আমরা কাওকে বিশ্বাস করি না,
অন্যদের আমরা শত্রু বলি
যাকে আগে কখনো দেখিনি
জানি না কি তার নাম,
কয় সন্তানের জনক,
বুক পকেটে শয্যাশায়ী অসুস্থ মায়ের প্রেসক্রিপশন না ভালোবাসার মানুষের চিঠি,
নাকি এক প্যাকেট লবন, এক আঁটি পুঁইশাক, ইলিশের কাটা নামের পাশে সঙ্কচে লেখা আধা সের পোনা অথবা এক হালি ডিম,
ঘামে ভেজা জীর্ণ কাগজে এক সংসারের প্রাগৈতিহাসিক রক্তের ঋণ
জানি না...
জানি না সে হারিয়ে যাওয়া ছোট
বেলার কোন বন্ধু কিনা
অথচ তাকেই চরম প্রতিহিংসায় আঘাত করি
নিজেদের সঙ্গীদের রক্তের শোধ নেই
তাদের আক্রমন থেকে নিজেকে বাঁচাই
তারপর.... অন্যের রক্ত মেখে ঘরে ফিরি
গ্লাস ছুঁরে ফেলে পুরো জগ উপুর করে শেষ
বিন্দু তরল পর্যন্ত চেটে নেই কুকুরের মত
তার পরও তৃষ্ণা মেটে না
গলা শুকিয়ে আসে
পা টলে যায়
শির দাড়া টন টন করে
ভাষাহীন চোখ জেগে থাকে সারা রাত,
তীব্র অন্ধকারেও ওরা জ্বলে
তার থেকেও বেশি জ্বলে মনে হয় অন্য কোথাও |
©somewhere in net ltd.