নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চারদিকে এত জল্পনা কল্পনা চাপা উত্তেজনার মাঝেও যখন তুমি আস
পাড়ার বকাটেদের সিটি দলীয় নব্য সন্ত্রাসীর লোলুভ দৃষ্টি অগ্রাহ্য করে
পথের আগ্লেয়াস্ত্র মারনাস্ত্রের সংঘাতের ভয় পায়ে পিষে
তখন আমার ভিতর কিছু যেন একটা হয়
বোঝাতে পারবো না সেটা
ওটা কোন আনন্দ ধ্বনি কিংবা কবিতার ভাষা নয় |
তোমার কোমল মুখে যখন দেখি বিষন্নতা
চোখে ছাপ ফেলে পুশে রাখা অপমান ঘৃণা
বুক ধক করে ওঠে
নিজেকে বড় অযোগ্য মনে হয়
নিজেকেই ধিক্কার দেই
অন্তঃরাত্মা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় অক্ষমতা
এই ঘৃণা যেন পাওনা আমার ও কিছুটা |
হেঁটে হেঁটে নিরবতায় কাটে অনেকটা পথ
নদীর ধারে দু হাটুর মাঝে মুখ ডুবিয়ে তুমি চুপ করে যখন বসে থাকো
আমার মাঝে তখন চলে প্রচন্ড সংগ্রাম
প্রতিটা রক্ত শিরা উপশিরায় ছড়িয়ে পড়ে উন্মত্ত শ্লোগান
ছুঁচ ফোটায় প্রতিটা জীবিত লোহিত কোষ
তোমার লজ্জা অপমানের প্রতিশোধ চাই
চাই ছিঁড়তে এই নষ্ট সময়....
আমি অক্ষম স্বৈরাচারী শাষকের মত চুপ করে থাকি মনের মাঝে দেহের মাঝে সংগ্রাম পুশে
এর থেকে আর বেশি কি বা পারি.....
তারপর একসময় যেন এক যুগ পরে
তুমি নিরবতা ভেঙ্গে যখন বলো, ভাল আছো
যখন প্রতিউত্তরে অস্পষ্ট এক শব্দে বলি হুঁ
তখন কিছুই চাপা থাকে না
সে দীর্ঘঃশ্বাস শুনে তোমার চমকে উঠার কথা
তুমি চমকাও না
যেন ধরে নিয়েছো উত্তর টা হবে এটাই
জানি এটা কোন উদাসীনতা বা অবহেলা নয় এসব ই এই সময়ের নির্মম বাস্তবতা |
তারপর আমাদের মাঝে নেমে আসে আবার শুধুই শব্দহীন স্তব্ধতা
বাতাসের একটানা শোঁ শোঁ
জল থেকে উঠে আসা এক চোখ কানা কোন কাঁদা খোঁচার ডানা ঝাপটানো
দূরের হাইওয়ে থেকে লরির ঘড় ঘড় শব্দ আর কিছু না
যেন আমাদের সব ভাষা হারিয়ে গেছে ঐ লরির চাকায় পিষে
আমাদের সব চোখ অন্ধ হয়ে গেছে কাঁদা খুঁচে খুঁচে
এসব ভাবতেই অজান্তে চোখে ভিজে উঠে
ওটা লুকাতে গিয়ে ধরা পড়ে লজ্জায় ছোট হয়ে যায় আরো সঙ্কচে
বলি ওটা কিছু না হয়তো কোন পোকা
তুমি কখনো রুমাল দিয়ে ওটা সরাতে আসনা
জানি তুমি ও বোঝ কোন পোকা কুঁড়ে খায় কোন অক্ষমতা অশ্রু নামায়
আমাকে বলে দিতে হয় না সেটা
এখন শুধুই নৈঃশব্দের সময় |
©somewhere in net ltd.