নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সকল কোলাহলে মৌনতার গ্রহন লাগে যখন
যখন সবাই খিল আঁটে কপাটে
জ্যোত্স্না শুধু জ্যোত্স্না জেগে রয়
মস্ত চাঁদ দাঁড়িয়ে থাকে শহরের শেষ মাথায়
পেছনে রেখে তাকে ছায়া টা শুধু ছায়া টা ই এগিয়ে আসে নির্জন শহরের রাস্তায়
আর এক অদৃশ্য ভায়োলিন বেজে উঠে ইটে ইটে পাথরে আর পিচে।
এইসব রাতে শিমুলের বনে লাগে মরক
আর তার শেষ সম্পদ গুলো উড়ে যায় একে একে দুঃস্বপ্নে র ভেতর,
পালক খসানো মৃত পাখির মত পড়ে থাকি বিছানায়
শুনি সেই অদৃশ্য ভায়োলিন বেজে যাচ্ছে পৃথিবীর করুণমত সুরে।
সেই সব দেখে চলে গেছি কত দূর-কত রাত ক্লান্তির সীমান্তে,
আজ এ চৈত্রপ্রান্তে দাঁড়িয়ে
সব সুখ দুঃখ অবসাদ টুকরো টুকরো তুলো অথবা তুষার যখন এক হয়ে ভেসে গেছে উদ্ধাকাশে,
উত্সবের ক্লান্ত নগরে আমার সকল বিষাদ আজ তুষার হোক এই জ্যোত্স্নাতে!
আমার অবসাদ টুকু নাও, নাও এই বিষন্ন সময়,
অলক্ষ্যে ঝড় ভাঙে যে শিমুলের বন
চাঁদের আলো মেখে নিয়ে যাও কাঁটা ভেঙে তার আলৌকিক তুলোর মেঘ তুমুল হাওয়ায় ভাসিয়ে,
আমি ক্ষরণের চাঁদ বুকে নিয়ে কাঁটা রাত পেড়োই
আর মন খারাপের অদৃশ্য ভায়োলিন বাদক তারে ঢেলে দিক তার সকল প্রতিভা।
আজ আর তার ঠিকানা পরিচয় কোন টি ই মূখ্য নয়
প্রয়োজন নয় জানা কোথাথেকে সে আসে,
জানি বিষাদী সে ভায়োলিন একমাত্র মানুষের স্পর্শেই বাজে।
©somewhere in net ltd.