![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঈশ্বর কে শুদ্ধ হতে বলেছিলাম
বলেছিলাম ক্ষুধার্ত কে অন্ন দাও
অভাব মেটাও যারা পড়ে আছে তোমার মঠ মসজিদ উপাসনালয়ে,
বলেছিলাম মিনিস্টারের পালিশকরা চকবাহারি গাড়ি থেকে ফেরাও তোমার লোভাতুল দৃষ্টি
ওসব তোমার নয়, এদিকে তাকাও,
এদিকে নয়-দশমাংশ পৃথিবী।
বলেছিলাম শুদ্ধ হও, দুষ্ট অপদেবতার ছায়া গলা টিকে বার করে ফেলো মন থেকে,
গঙ্গা শীতলক্ষ্যা কত স্রোতে রেখেছো পূণ্য মিশিয়ে
জমজমের কূপ ভরে রেখেছো আরগ্যে
তবে কেন এই হাল তোমার? কেন তুমি অসুখের ঘুমে ?
একবার এদিকে তাকাও
শুদ্ধ হও পৃথিবীর কুয়াশায় ভিজে;
আমি তো কতরাত ভেজা চাদর গায়ে দেখেছি তোমায় প্রাসাদ এর দরজা থেকে ফিরছো শূণ্য হাতে,
যেখানের আলোক উজ্জ্বল মদির পেয়ালায় তোমার এক চুমুক ও অধিকার নেই,
অথচ এদিকে দেখো চালচুলোহীন মাটির পৃথিবীতে তোমাকে বসিয়ে রেখেছি বিশ্বাসের চার পায়া টুলে।
ঈশ্বর কে শুদ্ধ হতে বলেছিলাম,
বিলাসী অভাব এর বরাদ্ধ থেকে ফেরাতে বলেছিলাম আজ্ঞাবাহী ফেরেস্তা কে
বলেছিলাম একমুঠো সেদ্ধ নুন ভাত ই তুলে দাও জল ভাসা পৃথিবীতে,
সে রুষ্ট হয়েছিল কিনা জানি না,
অনাহারী একঝাঁক লোক দুহাতে ফাঁসির দড়ি নিয়ে ছুটে এলো
স্রোষ্টাকে অবমাননার অপরাধে!
ঠাকুর তুমি পলিটিক্স ও ভাল জানো !
জানবেই তো, তোমার ঠিকানা হয়েছে ঐ বাহারি মঠ গির্জা উপাসনালয়
সে তো পলিটিক্স জানা ঐ আমলার ই ডোনেশনে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
নিয়েল হিমু বলেছেন: এইটা আমি কি পড়লাম !!!!!
এভাবেও লেখা যায় !!! প্রশংসার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না । অনেক ভাল লেগেছে কবিতাটা । আমার হাতে কোন পত্রিকা থাকলে ছেপে দেয়ার অনুমতি চাইতাম এখন ।