অতীত নিয়ে ভেবোনা সে আর আসবে না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৪

অতীত নিয়ে ভেবোনা সে আর আসবে না।
অতীত নিয়ে পড়ে থাকা বোকামী। বিগত দিনের দুঃখ-কষ্ট যাতনা ও দুর্ঘটনাকে মনে করে করে অনুশোচনার আগুনে পোড়া পাগলামি। এগুলো তোমার সংকল্প কে করবে দুর্বল। বর্তমান কে করবে হতাশ পূর্ণ। জীবনকে করবে সংকীর্ণ। এক্ষেত্রে জ্ঞানীদের বাণী হলো- ভুলে যাও অতীতকে। গুটিয়ে রাখো অতীতের ডাইরি। ভুলেও যেন খুলে দেখো না তাকে। কেননা, সেগুলো তলিয়ে গেছে বিস্মৃতির অতলে। তোমার কাছে তার আসবে না ফিরে। তোমার দুঃখ পারবে না সেগুলোর ক্ষতি পোষাতে। তোমার বিষণ্নতা পারবে না সেগুলোকে শুধরাতে। কারণ অতীত মানে বিলীন, অতীত মানেই অস্তিত্বহীন। অতীত নিয়ে বিভোর থাকা একটি রোগ। এ রোগ যেন কখনো তোমায় পেয়ে না বসে। যা হারিয়েছো তার জন্য মিছে আশা করো না। কারণ তুমি কি পারবে সমুদ্রকে তার উচ্চের কাছে, সূর্যকে তার উদয়স্থলে, শিশুকে তার মায়ের গর্ভে, দুধকে তার স্থানে এবং অশ্রুকে চোখের মাঝে ফিরিয়ে দিতে? অতিথিকে আঁকড়ে পড়ে থাকা, অতীত নিয়ে অনবরত ভেবে ভেবে নিজেকে কষ্ট দেওয়া মানে নিজের বর্তমানকে ধ্বংস করা। এটি মূল্যবান সময়ের মহা অপচয়ও বটে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা অতীতের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও তাদের কার্যকলাপের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন--

------ (تلك أمة قد خلت)
তারা ছিল এক সম্প্রদায় যারা গত হয়ে গেছে। (সূরা বাকারা:১৩৪)
অতীতের পেছনে পড়ে থেকে কি লাভ বলো? চলে যাওয়া দিনগুলোর কথা ভেবে তুমি কি পাবে শুনি? অতীত নিয়ে সারাক্ষণ যে পড়ে থাকে সে ওই ব্যক্তির ন্যায়, যে পেষাইকৃত আটাকে চায় আবার পিষতে। কিংবা চেরা লাকড়িকে যায় আবার চিরতে। অতীত নিয়ে যারা হাপিত্যেশ করছে, হারানো দিনের কথা ভেবে যারা কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে, তাদের সম্পর্কে পূর্ববর্তীগণ বলেছেন, 'মৃতদেরকে তোমরা কবর থেকে বের করে এনো না।'
দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানের সাথে আমাদের সম্পর্ক এতোটা নিবিড় নয়।
অথচ অতীতের সঙ্গে আমরা জড়িয়ে আছি আষ্টেপৃষ্ঠে। বর্তমানের সুরম্য প্রাসাদ ফেলে আমরা অতীতের ধ্বংস দালানকোঠার জন্য কেঁদে মরছি। অথচ জিন- ইনসান সবাই মিলে সর্বশক্তি ব্যয় করেও পারবে না ফিরিয়ে আনতে অতীতকে। জগতের সবকিছুই এগিয়ে চলে। বাতাস সামনের দিকে বয়ে যায়। পানি সম্মুখ পানে প্রবাহিত হয়।কাফেলা এগিয়ে চলে- এই তো জীবনের ধারা। তাহলে তুমি কেন চলবে পেছন পানে? view this link

০ টি +০/-০