নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাইম রাজ

নাইম রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু দাসত্বের বেড়াজালে বন্দী থাকা মানুষের কথা বলছি

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩৯



প্লীজ আমাকে দিবে মুক্তি !
আমি চাইনা আর থাককতে দাসত্বের বেড়াজালে বন্দী !
চাইনা থাকতে আর ইচ্ছার পরিবর্তে হয়ে কারো গোলাম
কেন জানি ভুল পৃথিবীতে এলাম ?

ব্যাখ্যা
আমরা হয়ত অনেকেই জানি না পৃথিবীতে এখনও পযন্ত প্রায় সারা বিশ্বে ২ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ দাসত্বের বেড়াজালে বন্দী হয়ে আছেন।
নীরহ মানুষগুলোকে বাধ্য করা হচ্ছে ইচ্ছা না থাকা সত্বেও জোরপূর্বক শ্রম দিতে । আর এই দাসদের অনুমতি ব্যতিরেকে স্থান বা মালিককে ত্যাগ করা অথবা কাজ না করার বা শ্রমের মজুরি পাবার কোন অধিকারও থাকেনা।কিছু কিছু সমাজে এমনও দেখা যায় যে নিজের দাসকে হত্যা করা তাদের জন্য নাকি আইসঙ্গত । আজব পৃথিবী আর এই আজব পৃথিবীতে কত হাজার কত লক্ষ অসভ্য মানুষের বসবাস তা পরিসংখ্যান করা অসম্ভব ।এর মাঝে একবার দাসত্ববিরোধ আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যান্টি স্ল্যাভেরি ইন্টারন্যাশনালও দাসত্বের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে একে জোরপূর্বক শ্রম দেওয়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে এখনো প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ দাস রয়েছে।আরেকটি কথা হল যে এই সংখ্যা ইতিহাসের যে কোনো সময়কার দাসের সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি।অন্য আরেক গভেষনায় দেখা গেছে যে, প্রায় ৪০০ বছরের ইতিহাসে আফ্রিকা থেকে আমেরিকায় আনা আফ্রিকান দাসের মোট সংখ্যাও এর প্রায় অর্ধেক।
আর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার হিসাব অনুযায়ী এখনো বিশ্বের ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ জোরপূর্বক শ্রম, দাসত্ব, ও দাসত্ব সংশ্লিষ্ট প্রথার কাছে বন্দী।আর এই দাসের বেশির ভাগই ঋণ শোধের জন্য দাসে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী মহাজনদের কাছ থেকে অর্থ ধার নিয়ে পরবর্তী অর্থ শোধ না করতে পারায় দাসে পরিণত হয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু আছে যারা কয়েক প্রজন্মের জন্য দাস। আর এই দাসদের মধ্যে বেশির ভাগ নারী এবং শিশুদের দিয়ে যৌন ব্যবসায় খাটানো হয়ে থাকে।যা ইতিহাসের সর্ববৃহৎ দাস বাণিজ্য হিসেবে পরিচিত। অবৈধ মাদকদ্রব্য পরিবহনে ব্যবহার করার কারণে একই সাথে এটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অপরাধ ক্ষেত্র।

যেমন প্রাচীন কালে এবং মধ্যযুগে সমাজে মানুষ কেনা বেচার একটি প্রথা ছিল । যা দ্বারা বিভিন্ন মুল্যের বিনিময়ে মানুষ কেনা যেত । সেই প্রচলিত প্রথাটিকেই দাস প্রথা বলা হয়ে থাকে ।দাস অথবা দাসী বর্তমান বাজারের পণ্যর মতই বিক্রি হত । বতমার্নে যেমন পণ্য বেচা কেনার বাজার আছে অতীতেও দাসদাসী বিক্রি অথবা ক্রয় এর জন্য আলাদা বাজার ছিল । তখন দাসদাসী আমাদানী এবং রপ্তানীতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হত এবং এটা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তো । সাধারণত দাসদাসীরা আফ্রিকান হত । আফ্রিকান দাস এর মধ্যে হাবশি এবং কাফ্রি র চাহিদা ছিল বেশী । বাংলায় এসব দাসদাসী ৫ থেকে ৭ টাকায় কেনা যেত এবং স্বাস্থ্যবান দাস প্রায় ২০ থেকে ২২ টাকায় কেনা যেত ।দাসদের দিয়ে ২ ধরনের কাজ করানো হত । কৃষি কাজ এবং গার্হস্থ্য কাজ । তখন সমাজে গুটি কয়েক দাস রাখা একটি সামাজিক মযাদার্র ব্যাপার ছিল ।তাছাড়া উচ্চ বিত্তরা তাদের দাসদের দিয়ে বিভিন্ন কৃষি কাজ করাতেন ।যেমন হালচাষ ও সেচ এর পানি,মাটি উবর কারানো,গবাদী পশু পালন,তাদের রক্ষনাবেক্ষন ইত্যাদি কাজ করতো ।দাসীদের সাধারণত রাখা হতে যৌন লোভ লালসা পূরণ করার জন্য ।তাদের উপপত্নি করে রাখা হত এবং তাদের সন্তানদেরও দাস রুপে রাখা হত বা বিক্রি করা হত ।ব্রিটেনের সরকার এই দাস প্রথা নিরুৎসাহিত করে এবং ১৮৪৩ সালে আক্ট ফাইভ আইন দ্বারা দাসদাসী আমদানী এবং রপ্তানী র্সম্পূন নিষিদ্ধ করা হয় ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান লিখাটির জন্য । এ ধরনের তথ্যবহোল লিখায় তথ্য সুত্র উল্লেখ খাকলে উদ্ধৃত তথ্যের গ্রহনযোগ্যতা বেশী পায় । সুত্র ধরে ইচ্ছে করলে আমরাও আরো অনেক কিছু জানতে পারি । একটি বিষয় এখানে যুক্ত করলে এ সংখ্যাটি আরো অনেক বেশী হবে বলে ধারনা । সেটা হলো পৃথিবীর উন্নত বিশ্বের প্রি কেরিয়াস এমপ্লয়মেনট কে যদি আপনার সংখার সাথে যোগ দেয়া হয় । প্রি কেরিয়াস এমপ্লয়মেনট টাও দাসত্ব প্রথার থেকে তম নয় । একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায় যে
In 2008, about one in five workers (20.3%) held jobs characterized by none of these indicators of precariousness. The Venn diagram shown in Figure 4.1 shows the (non-proportional) overlap between different aspects of precariousness for individual jobs/workers in 2008. The darkest area in the middle of the Venn diagram shows that 8.3% of all workers are in a job with all four indicators of precariousness; that is, their job has low wages, no pension, no union, and most unsecured job in small firm (Hire and fire type job).

উৎস :http://www.lco-cdo.org/en/vulnerable-workers-call-for-papers-noack-vosko-sectionIV

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫৩

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আসলে বিষয়টি বুঝে উঠতে পারি নাই । নতুনতো সে কারনে । ইনশাল্লাহ আগামী পোস্টে তথ্য সহ শেয়ার করবো ।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের দেশেও কিছুকাল আগেও যখন জমিদারী প্রথা বলবৎ ছিল, তখন জমিদার এবং তদীয় পত্নীগণ দাস রাখাটাকে সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে গণ্য করতেন।
এখানে প্রকাশিত আপনার প্রথম লেখাটি দিয়েই আপনার ব্লগ পড়া শুরু করলাম। বাংলা ব্লগের এ আসরে আপনাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি। এখানে আপনার বিচরণ স্বচ্ছন্দ হোক, আনন্দময় হোক, দীর্ঘস্থায়ী হোক, ফলপ্রসূ হোক!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

নাইম রাজ বলেছেন: অসাধারন কিছু কথা বললেন খায়রুল ভাই ।এক কথায় লেখায় উৎসাহ ও সাহস ফিরে পেলাম ভাই । শুভেচ্ছা ও শুভকামনা থাকল।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: দাসপ্রথা এখনো আছে অন্যনামে। মহাজন, ব্যাংকের কাছে বাধা থাকাও একধরণের দাসপ্রথা। উন্নত বিশ্বে অবৈধ নাগরিকরাও একধরণের দাস। কমপয়সায়, পুলিশের ভয় দেখিয়ে তাদের দাস বানায়া রাখা হইছে। আমরা ম্যাংগো পিপলরাও রাজনীতিবিদ-সরকার-সিস্টেমের দাস।পতিতালয়গুলোতে এখনো মানুষ বেচাকেনা হয়।
দাস ব্যবসা এখনো আছে। শুধু সিস্টেম পরিবর্তন হইয়াছে !

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।শুভেচ্ছা ও শুভকামনা থাকল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.