![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কাছে ভোঁদর কি সেইটা বড় কথা না ।কথা হল ছোট বেলায় ভোঁদড় নিয়ে কবিতা পড়েছিলাম কিন্ত ভোঁদড়কে দেখি নাই ।
আর আজ যখন তাকে দেখলাম তখন তাকে নিয়ে লিখতে বসলাম ।
ভোঁদড় হল একটি জলচর প্রাণীর নাম ।ভোঁদড় মূলত কয়েক ধরণের আধা জলচর এবং একটি ক্ষেত্রে জলচর প্রধাণত মৎস্যভূক স্তন্যপায়ী প্রাণী। ভোঁদড় বলতে মুস্টিলিডি গোত্রের লুট্রিনি উপগোত্রের প্রাণীগুলোকে বোঝায় যার মধ্যে আরও আছে উদবিড়াল, নেউল বা বেজি, ব্যাজার ইত্যাদি। বাংলাদেশে ভোঁদড়ের তিনটি প্রজাতি এবং ব্যাজারের একটি প্রজাতি দেখা যায়।
১। নখরযুক্ত ভোঁদড় বা সাধারণ ভাষায় ভোঁদড়
২। নখহীন ভোঁদড়
নখহীন ভোঁদড়কে নখহীন ডাকা হলেও এদের আসলে নখ আছে তবে বাইরের দিকে একটু কম বেরিয়ে থাকে। এদের দেহের রং কালচে বাদামি, দেহের নিচের অংশ ময়লা হলদে। ঠোঁট এবং গলার দিককার রং প্রায় সাদা। নখহীন ভোঁদড়ের ওজন হয় ৩ থেকে ৫ কেজি হয়ে থাকে ।
ভোঁদড় সাধারণত লিপ্তপদী মানে হাঁসের পায়ের মতো আঙ্গুলগুলো পাতলা পর্দা দিয়ে জোড়া লাগানো থাকে। এদের লেজ মোটা আকারের এবং শরীর লম্বাটে গড়নের। বেশিরভাগেরই পায়ে ধারালো নখযুক্ত থাবা আছে। সাঁতার কাটার সময়ে ভোঁদড়ের নাক এবং কানের ফুটো বন্ধ থাকে। এদের নাকের ডগায় লম্বা গোঁফের মতো খাড়া লোম থাকে। এই গোঁফ সংবেদনশীল বলে পানির নিচে শিকার ধরতে ভোঁদড়কে সহায়তা করে। এদের গোঁফ যেহেতু খাড়া তাই জলে ভিজে গায়ে লেপ্টে যায় না ঘোলা জলে এই স্পর্শকাতর গোঁফ শিকারের উপস্থিতি জানান দেয়। নোখহীন ভোঁদড়ের হাত পায়ের পাতাও খুব স্পর্শকাতর। ফলে কাদায় লুকানো ঝিনুক, শামুক, চিংড়ি, কাঁকড়া এদের হাত থেকে রক্ষা পায় না। এদের শক্তিশালী ছুঁচালো দাঁত আর মাড়ি পিচ্ছিল শিকার ধরতে বা মাছের মুড়ো চিবোতে অত্যন্ত কার্যকর।ভোঁদড়ের দেহে দুই স্তর লোম রয়েছে। প্রথম স্তর আকারে ছোট কোমল এবং তাপরোধী। এই অন্তঃলোম বাতাস ধরে রেখে পানির নিচে এদের দেহ উষ্ণ ও শুকনো রাখে। এই লোমগুলো পানিরোধী। দ্বিতীয় স্তরের লোম লম্বা। এই লোমই আমাদের চোখে পড়ে, এগুলো জলে ভিজে ওঠে। এদের লেজ চ্যাপ্টা, ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ১৮ থেকে ২২ ইঞ্চি লম্বা। নৌকার দাঁড়ের মতো হাত-পা শক্ত খাড়া গোঁফ জলে শিকার করার অত্যন্ত উপযোগী। ভোঁদড় লিপ্তপদী বলে পানির নিচে খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে এবং পানির উপরে মাথা না তুলে একবারে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতে পারে।
ভোঁদড় বা উদবড়ালের গন্ধ বিকট একপ্রকার গন্ধ রয়েছে; অভিজ্ঞজনেরাও এ গন্ধকে বাঘের গন্ধ বলে ভুল করতে পারেন। ভোঁদড়েরা দলবেঁধে থাকলে প্রচন্ড চেঁচায়। অধিকাংশ সময় এরা বাচ্চা সাথে নিয়ে শিকার খোঁজে। ভোঁদড় গোত্রের অন্যান্য প্রাণীরা নিশাচর হলেও ভোঁদড় সব সময়ই কর্মতৎপর।উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের সামুদ্রিক ভোঁদড় পাথরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এরা সামনের পা দিয়ে পাথর টেনে তুলে তার সহায়তায় শামুক, ঝিনুক ইত্যাদির খোল ভেঙ্গে থাকে। এরা ভাসমান অবস্থায় বুকের উপরে পাথর রেখে তাকে কামারের নেহাইয়ের মতো ব্যবহার করে।
অনেক ভোঁদড় শীতল পানিতে বসবাস করে এবং শরীর উষ্ণ রাখার জন্য এদেরকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। দিনে ইউরেশিয়ান ভোঁদড়কে তাদের দেহের ওজনের ১৫ শতাংশ আর সামুদ্রিক ভোঁদড়কে তাপমাত্রাভেদে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করতে হয়।যদিও ভোঁদড়ের মূল খাদ্য মাছ তবে তারা অন্যান্য জলজ অমেরুদন্ডী প্রাণী যেমনঃ কাঁকড়া, পানির ব্যাঙ ইত্যাদিও দলবেঁধে শিকার করে থাকে। কিছু ভোঁদড় শেলফিশ খুলতে দক্ষ আর অন্যরা ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী বা পাখি শিকার করে। নির্দিষ্ট শিকারের উপরে নির্ভরশীল বলে ভোঁদড় শিকারশূণ্যতার ঝুঁকিপূর্ণ।অন্যান্য ভোঁদড়ের যেমন প্রথম পছন্দ মাছ আর নোখহীন ভোঁদড়ের সবচেয়ে পছন্দের শিকার চিংড়ি, কাঁকড়া, ঝিনুক, শামুক ইত্যাদি শক্ত খোলসের প্রাণী।ভোঁদড় সমাজবদ্ধ জীব। তারা বেশ ক্রীড়াপ্রবণও। বুদ্ধিমান এই প্রাণীগুলো বেশ বন্ধুবৎসল এবং সহজেই পোষ মানে। অনেক স্থানে বিশেষত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং সুন্দরবন এলাকায় পোষা ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করতেও দেখা যায়।
বেশিরভাগ ভোঁদড় জলাশয়ের কিনারে গর্তে বাস করে। শিকার করা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছাড়া এরা পানিতে নামে না ডাঙাতেই বেশিরভাগ সময় কাটায়। তবে সামুদ্রিক ভোঁদড়রা সমুদ্রে জীবনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করে।ভোঁদড় জোয়ারপ্রবণ এলাকায় বাসা তৈরি করে জোয়ার সীমানার উঁচুতে কোনো বড় গাছের তলায় গর্ত করে। গর্তের কয়েকটি মুখ থাকে। গর্তে ঢুকতে হয় জলের তলা দিয়ে। কিন্তু বাচ্চা প্রসবের জায়গাটি থাকে শুকনো এলাকায়। মায়ের সঙ্গে দুই তিনটির বেশি বাচ্চা দেখা যায় না। সামুদ্রিক ভোঁদড় ছাড়া অন্য কোনো ভোঁদড় নোখহীন ভোঁদড়ের মতো লবণ সহ্য করতে পারে না। নোখহীন ভোঁদড়ের শত্রু হলো বাঘ কুমির, হাঙর, মেছোবিড়াল এবং মানুষ।
সাতটি বর্গে প্রায় তেরোটি প্রজাতির ভোঁদড় অস্ট্রেলিয়া ছাড়া মোটামুটি গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে আছে।বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় ভোঁদড়কে ধাইরা এবং বাদার ধাইরা নখহীন ভোঁদড় নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশের খাল বিলে চরা ভোঁদড়ের বৈজ্ঞানিক নাম Lutra perspicillata, যেগুলোর ওজন হয় প্রায় ৭ থেকে ৯ কেজির মত।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ঠিক ধরছেন ।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার শেয়ার ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১
হাকিম৩ বলেছেন: ভোঁদড় নিয়ে লেখা ভালো লাগল জানা হল ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪০
শামচুল হক বলেছেন: দারুণ পোষ্ট।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬
রুবিনা পাহলান বলেছেন: ভোদড় সত্যিই কিউট।