![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেটে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ীর জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের সামনে সেনাবাহিনীর অপারেশন টোয়াইলাইট চলাকালে আচমকা একবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।প্রাণঘাতী সেই বোমা হামলার ঘটনায় RABগোয়েন্দা শাখার প্রধান আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশের দুই ইন্সপেক্টরসহ সাতজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আরআহত হন প্রায় ৪৬ জন। আহতদের অনেকেই এখনো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে । নিহত এবং আহতদের স্বজনদের প্রশ্ন দীর্ঘ এক মাস অতিবাহিত হয়ে যাবার পরেও পুলিশ গোয়েন্ডা বিভাগ এখনো সেই প্রাণঘাতী বোমাটি রেখেছিল কারা তার কোন সন্ধান মেলাতে পারেনি ।
অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মৌলভীবাজারের বড়হাটে সোয়াতের অপারেশন মেক্সিমাস অভিযানে নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে একজন হলেনন শিববাড়ীর আতিয়া মহলে সামনে পাঠানপাড়ায় সংঘটিত বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত বলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারনা করছেন। এ বিষয় নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি এখনো পযন্ত সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তিনি এ বিষয়ে সিলেটের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন বড়হাটে যে জঙ্গি নিহত হয়েছে সে একাই নয় এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। আর তাদের খুঁজে বের করার কাজ এখনো চলছে।
মামলাটি খুব গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে। আরেকদিকে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো অপারেশন টোয়াইলাইট পাঁচ দিনের অভিযান শেষে চার জঙ্গি নিহত হওয়ার পর পতন হয় আস্তানাটির। বিস্ফোরক উদ্ধার এবং নিষ্ক্রিয়করণের পর গত ১১ই এপ্রিল আলোচিত আতিয়া মহল বুঝিয়ে দেয়া হয় মালিক উস্তার আলীর কাছে। বাসার ভাড়াটিয়ারা আতিয়া মহলে ফিরে যে যার মালামাল বুঝে নিয়ে অন্যত্র সরে পড়ে। আর আলোচিত এ বোমা হামলা মামলাটি সিআইডি কিংবা পিবিআইকে দিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ সদর দফতরে আবেদন করেছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে মামলাটির তদন্তভার সিআইডিকে দেয়া হচ্ছে।
অভিযানের এক মাস পার হওয়ার পর এলাকার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আতঙ্ক কাটলেও কৌতূহল কমেনি আতিয়া মহল ঘিরে। যারা এতদিন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় ভবনটির কাছে যেতে পারেনি তারা খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে সেখানে যাচ্ছে। প্রতিদিনিই আতিয়া মহল দেখতে ভিড় করছেন শত শত কৌতূহলী মানুষ। অনেকে তাদের ক্যামেরায়বন্দি করছেন আলোচিত এই ভবনটি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জেদান আল মুসা জানান গত ২৩শে মার্চ মধ্যরাতে এই আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পান পুলিশ। আর সেই রাত থেকেই ভবনটিকে ঘিরে রাখার পর ২৫শে মার্চ সকাল থেকে অপারেশন টোয়াইলাইট নাম দিয়ে অভিযানে নামেন সেনাবাহিনী প্যারা কমান্ডো। প্রথমে আতিয়া মহলের ৩০টি ফ্ল্যাটে আটকেপড়া ২৮টি পরিবারের ৭৮ জন সদস্যকে তারা নিরাপদ স্থানে স্থানতর করেন ।পরে শুরু করেন জঙ্গিবিরোধী অভিযান।
২৮শে মার্চ অভিযান শেষে চার জঙ্গি নিহতের খবর জানায় সেনাবাহিনী। এই মামলা সিআইডি কিংবা পিবিআই দিয়ে তদন্তের জন্য কয়েকদিন আগে পুলিশ সদর দফতরে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও সেই চিঠির কোনো উত্তর আসেনি। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানার ওসি এবং আতিয়া মহলের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খায়রুল ফজল জানিয়েছেন বোমা হামলাকারীরা মৌলভীবাজারে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী বোমা রেখে যাওয়া আশরাফ এবং তার সহযোগী মৌলভীবাজারে নিহত হয়েছে। তাছাড়াও এই হামলায় আহত সবারই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। অন্যদিকে বোমা হামলায় আহত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ৪৬ জন চিকিত্সা নিয়েছেন। তার মধ্যে অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২০
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: যে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না কখনো
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২১
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: এর উত্তর নাই।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২২
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাইম রাজ ভয়ংকর সে হামলার বিষয়টি পূণ্যরায় মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।