![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতি বছরের তুলনায় এবার হাওরে অকালবন্যা শুরুর সাত দিন পর পানি আসে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। তার পরেও কৃষকেরা কিছু জমির কিছু ধান পানিতে ডুব দিয়ে কাটতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে এক টানা দশ বারো দিনের বৃষ্টিতে মাঠেই পচে যায় প্রচুর ধান,আর সে ধান থেকে নতুন করে চারা গজিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মন ধান।গুরুই এবং দামপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে যে তথ্য মিলে সে তথ্য অনুযায়ী টানা বৃষ্টির কারণে পানি থেকে কেটে আনা ধান রোদের অভাবে শুকাতে না পারার কারনে মাঠেই পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক ধান সহ বিভিন্ন ফসল। আর তাতে একেকটি ধানের স্তূপে গিয়ে দেখা যাচ্ছে প্রতিটি ধানে প্রায় এক ইঞ্চি পরিমাণ লম্বা চারা গজানো। যে ধান তাদের কোনো কাজেই আর আসবে না। কৃষকেরা জানান জমির ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যেত সেটাই ভালো ছিল। কিন্তু সে ধান পানিতে ডুবিয়ে পরিশ্রমের বিনিময়ে অনেক টাকা মজুরি দিয়ে কেটে এনে আরও বিপদে পড়তে হলো। এই ধান মানুষ তো দূরের কথা এখন আর কোনো হাঁস,মুরগিরও খাওয়ার মতো নাই।নিকলী উপজেলার সদর কলেজমাঠ এবং দামপাড়া কামালপুর সেতুর গোড়ায় মাঠে গিয়ে সারি সারি ধানের স্তূপ দেখতে পাওয়া যায়। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেগুলো ধানের স্তূপ। প্রতিটা স্তূপে চারা গজিয়ে সবুজ ঘাসের স্তূপের মতো দেখা যাচ্ছে আর কাছে যেতেই কামালপুর এলাকার বাসিন্দারা এগিয়ে এসে বলেন আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে। পানি আসতে দেখে দুই একর জমির প্রায় দেড়শ মণ ধান একেকটা শ্রমিককে এক হাজার টাকা করে দিয়ে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ধান কেটে এনেছিলাম। কিন্তু গত ১৩ দিন ধরে এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা সেই ধানে চারা গজিয়ে তা নষ্ট হয়ে গেছে। দামপাড়া আরেক বাসিন্দা বলেন তার ৪০০ মণ ধান কেটে এনে ছয় জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়,আর এক টানা ১২ দিন বৃষ্টি থাকায় তার ৪০০ মণের মধ্যে মনে হয় একটা ধানও গোলায় ওঠাতে পারবে না। উল্টো শ্রমিক খরচ দিয়ে সব ধান নদীতে ফেলতে হবে।আমাদের দেশে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিবছরই হচ্ছে, যদিও তা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবেই ঘটে থাকে ।আর এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় সাধারন মানুষের আর্থ সামাজিক ক্ষতি সয় কৃষকের হাজার হাজার মণ ধান সহ বিভিন্ন কৃষি ফসল নষ্ট হয়ে থাকে।অথচ এ ব্যপারে না নেয়া হচ্ছে সরকারি সঠিক কোন পদক্ষেপ না দেয়া হচ্ছে তাদের ভোতর্কি।আর এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় সকল কৃষকেরা তাদের কৃষি কাজ থেকে যেমন উৎসাহ হারাবেন তেমন কৃষি কাজেরও পরিসমাপ্ত ঘটবে ।আর যাতে এ ধরনে ঘটনা না ঘটে তাই সরকারে কৃষিমন্ত্রালয় সহ সরকারের দৃষ্টি কৃষকদের দিকে ফেরানোর আহ্বাণ করছি ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০৫
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ বিচারকের সঠিক সিদ্ধান্তকে।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০১
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: নতুন বিচারক ভাই বলেছে কৃষিমন্ত্রালয় সহ সরকারের সুদৃষ্টি কৃষকদের দিকে দেয়ার অনুরোধ করছি । পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩১
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: এই সব ভাবার সময় নাই। গদি বাঁচলে স্বার্থ বাঁচবে। অন্য কিছু ভাবার দরকার কি???
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩১
নাইম রাজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সরকারের অবশ্যই এই বিষয়ে নজর দেয়া উচিৎ!
সুন্দর পোস্টেটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৪
নাইম রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা আর একটু সুন্দর করে গুছিয়ে কি লেখা যেত না?
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
নাইম রাজ বলেছেন: পরেরবার থেকে ।
৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভালো করেছেন কৃষকদের পক্ষে লিখেছেন ।
৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর ও ভালো একটি কাজ করেছেন।
৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
চাঁনমিয়া বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭
নতুন বিচারক বলেছেন: কৃষিমন্ত্রালয় সহ সরকারের সুদৃষ্টি কৃষকদের দিকে দেয়ার অনুরোধ করছি । পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।