![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেদিন থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে প্রবেশের করেছেন সেদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাকি বিশ্বের সম্পর্ক অনেক কিছুই বদলে গেছে।
এশিয়ায় পারমানবিক উত্তেজনাকে উশকিয়ে দেওয়া
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসন বড় ধরনের নিরাপত্তার প্রশ্ন তৈরি করেছে এশিয়ায়।
শপথের আগেই তাইওয়ানের প্রসঙ্গে তার মন্তব্যই শুধু চীনকে হতবাক করেনিই বরং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তৈরি দ্বীপে তার প্রবেশ আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনও। অন্যদিকে এক সময় এই উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে ওবামা প্রশাসনের নীতি ছিল কৌশলগত সহনশীলতা প্রদর্শন করা।কিন্তু ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছে কৌশলগত সহনশীলতা বা ধৈর্যের যুগ শেষ।
ট্রাম্পের আগামীর যে পদক্ষেপগুলো নিতে যাচ্ছে তা সকলেরি অজানা। তবে অনিশ্চিত কর্মকাণ্ড সর্বস্ব এই মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান তার প্রাথমিক দিনগুলোতে যেসব কাজ করেছে তাতে আগামী বছরগুলোতে এশিয়ায় পারমানবিক উত্তেজনা যে বাড়বে সেটা নিশ্চিত বলা যায় ।
রাশিয়ার সাথে সম্পর্কে আরও জটিলতা বৃদ্ধি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একজন দক্ষ নেতা হিসেবে প্রশংসা করেছিলেন। তার সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চান বলেও তখন জানিয়েছিলেন।রাশিয়ার অ্যাম্বাসেডরের সাথে আলাপের সূত্র ধরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন আকস্মিক পদত্যাগ করলে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ককে ঘিরে উদ্বেগের বিষয়টি চলতে থাকে। ট্রাম্প বলেছিলেন মি. পুতিনের ওপর বিশ্বাস রাখতে চান তিনি। কিন্তু তা হয়তো দীর্ঘস্থায়ী হবে না সতর্ক করেন তিনি।তবে তা আর হয়নি। বরং সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার ঘটনাকে ঘিরে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। সেই হামলার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষ সিরিয়ার সরকারকে দোষারোপ করেন কিন্তু রাশিয়া অব্যাহত ভাবে বাশার আল আসাদের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে।ট্রাম্প বলেছেন রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের দিক থেকে সর্বকালে সবচেয়ে নিচের দিকে এখন যুক্তরাষ্ট্র। দুদেশের সম্পর্ক ভালো হলে সেটা জাতির জন্য দারুণ ব্যাপার হতো বলে উল্লেখ করলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন ঘটছে তার বিপরীত।
নেটোর দিকে অধিক মনোযোগ দেয়া
আগে নেটোর প্রতি সমালোচক মনোভাব ছিল ট্রাম্পের কিন্ত তিনিই আবার এই সংগঠনকে সেকেলে বলেও আক্রমণ করেছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস মাতিস ফেব্রুয়ারি মাসে নেটোর সদস্যদের সতর্ক করে বলেছেন সদস্য দেশগুলো যদি ট্রাম্পের চাহিদা মোতাবেক জিডিপির ২% প্রতিরক্ষা খাতে খরচ করতে না পারে তাহলে ওয়াশিংটন তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন। তবে নেটোর প্রতি মনোযোগী হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেটোর প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ। ট্রাম্পও তার মনোভাব বদলে ফেলেন এবং বলেন নেটো আর প্রাচীন বা সেকেলে প্রতিষ্ঠান নেই। সন্ত্রাসের হুমকির প্রেক্ষাপটে এই জোটের গুরুত্ব রয়েছে এবং ইরাকি ও আফগান শরিকদের আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য জোটের সদস্যদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
সামরিক শক্তির ব্যবহার
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক অভিযানের ব্যাপারে বিরোধী ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি টুইটারে লিখেছিলেন সিরিয়ার কথা ভুলে যান আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করে তুলুন।তারপর সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিয়ে তিনি এপ্রিলে সিরিয়ায় সরকারি বিমানঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দেন । আর সেটাই প্রথম সিরিয়ায় সংঘাত শুরুর পর সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিরিয়া লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা। অল্প সময়ের ব্যবধানে আফগানিস্তানে মাদার অফ অল বোম্বস নিক্ষেপ করে আবারও বিশ্বের সামনে নিজের সামরিক শক্তির পরিচয় দিলেন আমেরিকা।
বাণিজ্য যুদ্ধ এর দিকে এগিয়ে নেয়া
বেশ কয়েক দশক ধরেই যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সাথে যেভাবে বাণিজ্য পরিচালনা করছেন, তার বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্মহীনতার অজুহাতে বর্তমানে চলছে এমন অনেকগুলো বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন । বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা থেকেও আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে নেওয়ারও চিন্তাভাবনা রয়েছে তার। তিনি প্রথম কর্ম দিবসেই ১২জাতির বাণিজ্য জোট ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ টিপিপি বাতিল করেন।তিনি চীনের বিরুদ্ধে মুদ্রা কারসাজিরও অভিযোগ তুলে নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছেন। তবে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা এটা এক ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধ এর দিকে নিয়ে যেতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গ পুনর্বিবেচনা
ট্রাম্প বলেছিলেন দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম একশো দিনের মধ্যেই তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাতিল করবেন।তবে সেটা তিনি করেননি। তার সিনিয়র উপদেষ্টাদের মধ্যে এই বিষয়ে বিভক্তি রয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রণীত জলবায়ু প্রবিধান পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।মানুষের দ্বারা জলবায়ু পরিবর্তন সৃষ্টির বিজ্ঞানসম্মত বিষয়টিকে বারবার নাকচ করে আসছেন ট্রাম্প এবং একে তিনি কাল্পনিক আখ্যা দিয়ে আসছেন।অন্য অনেক বিষয়ে তিনি এক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক মতামত প্রকাশ করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনি নভেম্বরে বলেন তিনি স্বীকার করেন মানুষের কর্মকাণ্ড এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মাঝে কিছু যোগাযোগ আছে এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বদলে এই বিষয়ে নজর দেবেন।যদিও মার্কিন জলবায়ু নীতির আমল পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে মিস্টার ট্রাম্পকে আইনগত এবং পদ্ধতিগত কিছু বাধা পেরোতে হবে। তবে সমালোচকদের আশঙ্কা তার অবস্থান বিশ্বে উষ্ণায়ণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অনিচ্ছুক দেশগুলোকে আরও অপারগ করতে পারে।
ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে সংশয়
ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধের বিনিময়ে অবরোধ তুলে নেয়ার যে চুক্তি হয়েছিল তাকে বারাক ওবামার প্রশাসন ঐতিহাসিক বোঝাপড়া বলেই মূল্যায়ন করেছে। কিন্তু ট্রাম্প একে বলেছেন আমার দেখা এই যাবত কালের সবচেয়ে বাজে কোনও চুক্তি।
সূত্র বিবিসি
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
নাইম রাজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর তথ্য।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ইসলাম ভাইয়া।
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯
নাইম রাজ বলেছেন:
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৪
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বড় ভাবনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে এই ট্র্যাম্প।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
নাইম রাজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন পাগল হয়ে গেছে ।
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পাগলের পাগলামি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩
নাইম রাজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন হেনা ভাইয়া এই হারমির বাচ্চা পাগলতো হয়েছেই । সাথে সাথে সারা বিশ্বটাকে পাগল খানা বানানের ব্যবস্থা করছে ।
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভেড়ার চামড়া পড়া নেকড়ের চেয়ে, নেকড়ের চামড়া পড়া নেকড়েই ভালো , সহজেই চেনা যায়। ট্রাম্প ব্যাবসায়ী। কিভাবে মার্কেট দখল করতে হয় তার তা ভালোভাবেই জানা আছে। এখন পর্যন্ত ওবামার গেরিলা মার্কেটিং পলিসি বাদ দিয়া হেতে এগ্রেসিভ মার্কেটিং চালাইতাছে। সবাইকে চমকিত, হতচকিত করিয়া বিয়ার রাতেই বিড়াল মারার চেষ্টা তাহার মধ্যে দেখা যাইতেছে ! সমস্যা হইলো আর সবাই যদি একই পলিসি অবলম্বন করে যুদ্ধ অনিবার্য।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
নাইম রাজ বলেছেন: সমস্যা হইলো আর সবাই যদি একই পলিসি অবলম্বন করে যুদ্ধ অনিবার্য। সব থেকে বিশ্ব চিন্তার বিষয় ওখানেই ।
৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: আস্ত একটা শয়তানের বাচ্চা ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২
নাইম রাজ বলেছেন: পাগল হইয়া গেছে।
৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ট্রাম্প অতি দুষ্টলোক।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২
নাইম রাজ বলেছেন: ওরে একলা এক ঘরে বন্দি কইরা রাখা উচিত।
১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"বাকি বিশ্বের সম্পর্ক অনেক কিছুই বদলে গেছে।
"এশিয়ায় পারমানবিক উত্তেজনাকে উশকিয়ে দেওয়া
-এশিয়ায় পারমানবিক উত্তেজনাকে উশকিয়ে দেওয়া, এটুকু তো গরুর রচনা হয়ে গেলো; উত্তর কোরিয়ার কাছে এটম বোমা আছে; তারা চেস্টা করছে, বোমা-বহনকারী মিসাইলের ক্ষমতা বাড়াতে, যাতে আমেরিকা কাভার করা যায়; এটা বন্ধ করা ট্রাম্পের দায়িত্ব; উসকানোর কি আছে?
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭
নাইম রাজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাব হয়না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২১
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।