নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাইম রাজ

নাইম রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ সেই ভয়াল এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩১


অনেকেরি মনে নাও থাকতে পারে সেদিনের সেই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় এবং ভয়ানক জলোচ্ছাসের কথা ।১৯৯১ সালের এই দিনে প্রলয়ংকরী সেই ঘূর্ণিঝড় এবং সেদিনের সেই জলোচ্ছাসে বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত এবং এক কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারান। দক্ষিণপূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে সেদিন সেই ঘূর্ণিঝড় প্রায় ২৫০ কিমিঃ ঘন্টা বেগে আঘাত করে। আমাদের বাংলাদেশের স্মরনকালের সবথেকে ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে সেটি ছিল অন্যতম একটি। সেই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৬মিটার বা ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত করে যার ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেদিন দক্ষিণপূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলবাসীর ।১৯৯১ এর সেই ভয়াল ঘটনা এখনো দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূলবাসী লোকদের।

০৬:২৩ UTC, ২৯শে এপ্রিল, ১৯৯১ স্যাটেলাইট থেকে দৃশ্যমান ঘুর্নিঝড়টি

একটি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম এটা ঝড়ের প্রায় ১ সপ্তাহ পরের ছবি
সেই ঘূর্নিঝড়ে যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার উপকূল এবং উপকূলীয় দ্বীপসমূহে। সন্দ্বীপ, মহেশখালী, হাতিয়া ইত্যাদী দ্বীপে নিহতের সংখ্যা সর্বাধিক। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল শিশু আর বৃদ্ধ। ১৯৭০ এর ভোলা ঘূর্নিঝড়ের পর অনেক সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হলেও সচেতনতা এবং অজ্ঞাতার কারনে অনেকেই সাইক্লোনের মাত্র ঘন্টাখানেক আগে সেখানে আশ্রয় নেয়। অনেকেই ঝড়ের ভয়াবহতা বেশি হবে না এই ভেবে আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয় নাই। ধারণা করা হয় প্রায় ২০ লক্ষ লোক আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে বিপদজনক স্থানে অবস্থানের কারনে ঘূর্নিঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে।

ধারণা করা হয় সেই ঘূর্নিঝড়ের কারনে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। সাগর এবং নদীর উপকূল প্লাবিত হয়। কর্নফুলি নদীর তীরে কঙ্ক্রিটের বাঁধ থাকলেও সেটি জলচ্ছাসে ধ্বংস হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের ১০০টন ওজনের একটি ক্রেন ঘূর্নিঝড়ে আঘাতে স্থানচ্যুত হয় এবং আঘাতের কারনে টুকরো টুকরো অংশে বিভক্ত হয়। বন্দরে নোঙর করা বিভিন্ন ছোট বড় জাহাজ, লঞ্চ ও অন্যান্য জলযান এবং আকাশ নিখোজ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার মধ্যে নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর অনেক যানও বিদ্যমান। প্রায় ১০ লক্ষ ঘড়বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর এতে প্রায় ১ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পরে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

নিভা ইয়ামা বলেছেন: আমি না থাকলেও আমার আব্বু ছিলেন সেদিন চট্টগ্রামে। ভীষণ ভয়ানক সব গল্প। মানুষের মৃত্যু, ক্ষয়ক্ষতি!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১:১৫

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.