নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাইম রাজ

নাইম রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন শহীদ তিতুমীরের কিছু কথা

১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৩৬


তিতুমীর যার আসল নাম ছিল সৈয়দ মীর নিসার আলী ।তিনি ছিলেন একজন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী। তিতুমীরের জন্ম হয় চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের চাঁদপুর গ্রামে এটি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে হিসেবে খ্যাত। তার পিতার নাম মীর হাসান আলী এবং মাতার নাম আবিদা রোকেয়া খাতুন। তিতুমীরের প্রাথমিক শিক্ষা হয় তার গ্রামের বিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসাতেও লেখাপড়া করেছেন। ১৮ বছর বয়সে তিতুমীর কোরানে হাফেজ হন এবং হাদিস বিষয়ে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। একই সাথে তিনি বাংলা, আরবি এবং ফার্সি ভাষায়ও ব্যুৎপত্তি লাভ করেন।

তিতুমীর ওয়াহাবী আন্দোলন এর সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি জমিদার এবং ব্রিটিশদের বিরূদ্ধে সংগ্রাম এবং তার বিখ্যাত বাঁশের কেল্লার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। ব্রিটিশ সেনাদের সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় এই বাঁশের কেল্লাতেই তিনি শহীদ হয়েছিলেন।

১৮২২ সালে তিতুমীর মক্কায় হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে যান,আর তিনি মক্কায় স্বাধীনতার অন্যতম পথপ্রদর্শক সৈয়দ আহমেদ শহীদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং ওয়াহাবী মতবাদে অনুপ্রাণিত হন। সেখান থেকে এসে তিতুমীর তার গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের সাথে নিয়ে জমিদার এবং ব্রিটিশ নীলকদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তিনি এবং তার অনুসারীরা তৎকালীন হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারের প্রতিবাদে ধুতির বদলে তাহ্‌বান্দ নামে এক ধরনের বস্ত্র পরিধান শুরু করেন। তিতুমীর হিন্দু জমিদার কৃষ্ণদেব রায় কর্তৃক মুসলমানদের উপর বৈষম্যমূলকভাবে আরোপিত দাঁড়ির খাজনা এবং মসজিদের করের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিতুমীর ও তার অনুসারীদের সাথে স্থানীয় জমিদার এবং নীলকর সাহেবদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রতর হতে থাকে। আগেই তিতুমীর পালোয়ান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এবং পূর্বে জমিদারের লাঠিয়াল হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি তার অনুসারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলেন।

তিতুমীরের অনুসারীর সংখ্যা বেড়ে এক সময় ৫০০০ গিয়ে পৌঁছায়। তারা সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়। ১৮৩১ সালের ২৩শে অক্টোবর বারাসতের কাছে বাদুড়িয়ার ১০ কিলোমিটার দূরে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে তারা বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন।যা বাঁশ এবং কাদা দিয়ে তারা দ্বিস্তর বিশিষ্ট সেই কেল্লাটি নির্মাণ করেন।
তিতুমীর বর্তমান চব্বিশ পরগনা, নদীয়া এবং ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকার নিয়ে সেখানে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্থানীয় জমিদারদের নিজস্ব বাহিনী এবং ব্রিটিশ বাহিনী তিতুমীরের হাতে বেশ কয়েকবার পরাজয়ও বরন করেন। তন্মধ্যে বারাসতের বিদ্রোহ অন্যতম। উইলিয়াম হান্টার বলেন সেই বিদ্রোহে প্রায় ৮৩ হাজার কৃষকসেনা তিতুমীরের পক্ষ নিয়ে ব্রিটিশদের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছেন।

শেষে ১৮৩১ সালের ১৩ই নভেম্বর ব্রিটিশ সৈন্যরা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। তিতুমীর স্বাধীনতা ঘোষণা দেন তিনি তখন বলেন একটু পরেই ইংরেজ বাহিনী আমাদের কেল্লা আক্রমণ করবে। লড়াইতে হার জিত আছেই, এতে আমাদের ভয় পেলে চলবে না। দেশের জন্য শহীদ হওয়ার মর্যদা অনেক। তবে এই লড়াই আমাদের শেষ লড়াই নয়। আমাদের কাছ থেকে প্রেরণা পেয়েই এই দেশের মানুষ একদিন দেশ উদ্ধার করবে । আমরা যে লড়াই শুরু করলাম এই পথ ধরেই একদিন দেশ স্বাধীন হবে। ১৪ই নভেম্বর কর্নেল হার্ডিং এর নেতৃত্বে ব্রিটিশ সৈন্যরা ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তিতুমীর এবং তার অনুসারীদের আক্রমণ করেন।[তাদের সাধারন তলোয়ার এবং হালকা অস্ত্র নিয়ে তিতুমীর ও তার সৈন্যরা ব্রিটিশ সৈন্যদের আধুনিক অস্ত্রের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। ১৪ই নভেম্বর তিতুমীর এবং তার চল্লিশ জন সহচর শহীদ হন। তার বাহিনীর প্রধান মাসুম খাঁ বা গোলাম মাসুমকে ফাঁসি দেয়া হয়। বাশেঁর কেল্লা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

অনেক ঐতিহাসিক তিতুমীরের লড়াইকে সাম্প্রদায়িক এবং ধর্মীয় আখ্যা দিয়ে থাকেন কারন মূলত হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে তিতুমীর যুদ্ধঘোষণা করেছিলেন। একথা সত্য তিতুমীর প্রজাদের একজোট করেছিলেন ধর্ম এবং জেহাদের ডাক দিয়ে। ঐতিহাসিক বিহারীলাল সরকার, নদীয়া কাহিনীর রচয়িতা কুমুদ নাথ মল্লিক তিতুমীরকে ধর্মোন্মাদ এবং হিন্দু বিদ্বেষী বলেছেন। অত্যাচারী হিন্দু জমিদার কৃষ্ণদেব রায়কে আক্রমন ও দেবনাথ রায় হত্যা ইত্যাদির উদাহরণ হিসেবে টানা যায়। অপরপক্ষে অমলেন্দু দের ভাষায় তিতুমীরের লক্ষ্য এবং পথ ছিল ইসলামে পূর্ন বিশ্বাস এবং হিন্দু কৃষকদিগকে সাথে নিয়ে ইংরেজ মদতপুষ্ট জমিদার আর নীলকরদের বিরোধিতা। তিতুমীরের আক্রমের লক্ষ্যবস্তু হিন্দুদের পাশাপাশি ধনী মুসলমানও ছিল। তার বক্তৃতা শোনার জন্যে দলে দলে হিন্দু মুসলিম কৃষক জমা হতো। ঐতিহাসিক সুপ্রকাশ রায়ের ভাষায় তিতুমীরের সেই সংগ্রাম ছিল প্রকৃত কৃষক বিদ্রোহ যার অভিমুখ ছিল অত্যাচারী জমিদার আর নীলকর সাহেবরা।
সূত্রঃ
ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ
ছবিঃ গুগল সংগ্রহ

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৩৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট । তিতুমীর সম্পর্কে জানা হলো।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাইয়া।

২| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৮৩০ সালের দিকে ইংরেজদের যে ধরণের অবস্হান ছিল ভারতে, এবং তিতুমীরের যে শক্তি ছিল, সেটা নিয়ে তিনি কোন পাহাড়িয়া অন্চল দখল করে, সেখান থেকে ক্রমেই শক্তি বাড়াতে পারতেন; বাঁশের কেল্লা বানানো ছিল বুদ্ধিমত্তার অভাব, উনার স্হায়ী স্হাপনা থাকলে তা কামানের গোলায় উড়ে যাবে, সেটা উনি গণনার ভেতর নেননি।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাইয়া।

৩| ১০ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:১৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: ইতিহাসের চরিত্রগুলো এমন যে যেভাবে দেখতে চায় চরিত্রগুলো সেভাবে ধরা পড়ে।আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রেখে তিতুমীর সম্পর্কে দুই ধরণের বক্তব্যই তুলে ধরেছেন।বিষয়টা ভালো লেগেছে।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ কল্পদ্রুম ভাইয়া।

৪| ১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:২২

বিলুনী বলেছেন: লেখাটিতে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখা যায়
যেমন এক জায়গায় বলা হয়েছে
১৮ বছর বয়সে তিতুমীর কোরানে হাফেজ হন এবং হাদিস বিষয়ে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। একই সাথে তিনি বাংলা, আরবি এবং ফার্সি ভাষায়ও ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। ব্যুৎপত্তি লাভ মানে ধরে নেয়া যায় পান্ডিত্য লাভ করেন
একটু পরেই দেখা যায়
তিতুমীর পালোয়ান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এবং পূর্বে জমিদারের লাঠিয়াল হিসাবে কর্মরত ছিলেন
একটু সংসয় জাগে তিনি কেন জমিদারের লাঠিয়ালের কর্ম করলেন , জমিদারের লাঠিয়ালের কাজ হলো সাধারণ প্রজাদেরকে অত্যাচার, দমন ও নির্যাতনের কাজ , তাই প্রশ্ন জাগে তার মত ইসলামী বিষয়ে শিক্ষিত ও ব্যুৎপত্তি সমপন্ন লোক কিভাবে জমিদারের লাঠীয়ালের কাজ করলেন ?
সংসয় নিরোসনের জন্য পোষ্ট লিখকের কাছ হতে মার্জিত ভাষায় এর ব্যখ্যা প্রয়োজন ।

ইংরেজদের কামানের মোকাবেলায় বাঁশের কেল্লা যে উড়ে যাবে যে কোন মহুর্তেই, সে বিবেচনা করাটা তাঁর মত বিপ্লবীর মনে হয় উচিত ছিল, যে কোন সসস্র সংগ্রামেই নীজেদের বাহিনীর নিরাপত্তার ইস্যুটি সর্বপেক্ষা গুরুত্বের সহিত বিবেচনায় নিতে হয়, তার পরেও শক্তিশালী কামানের মোকাবেলায় কি যুক্তিতে তিনি নর বরে বাশের কেল্লায় দৃর্গ গড়ে তাতে তার বাহিনীকে রেখেছিলেন , যা অল্পতেই পতনের মুখে পরেছে এবং অগনীত বীর যোদ্ধাকে অবিবেচনামুলকভাবে মৃত্যুর মুখে ঠৈলে দেয়া হয়েছে । তার চেয়ে সসস্র যুদ্ধ করতে হলে তাকে গেরিলা কায়দা ফলো করলে মনে হয় বেশি ভাল হত । সেরকম হলে তাকে দলবল সহ এক জায়গায় খুৃজে পেতে ইংরেজদের অনেক বেশী বেগ পেতে হত । তিনি সফল হলে কোন কথা ছিলনা , কিন্তু সফলতো হন নাই ।খুব অল্পতেই এত বিশাল বাহিনী নিয়ে তাকে পরাজিত হতে হল নির্দয় ভাবে। ফল যা হবার তাই হল অকাতরে শহীদ হলেন অগনিত মুক্তি সেনানী ।

সবচেয়ে ভাল হতো সারা দেশ ব্যপী সংগ্রামী চেতনা ও দেশের সকল শ্রণী পেশা এবং বিভিন্ন ধর্মের লোকজনকে সংগঠিত করার উপযুক্ত কলা কৌশল প্রয়োগ করে দেশের ব্যপক অংশের জনগনকে বড় ধরনের আন্দোলনের জন্য তৈরী করা , সময় একটু বেশী নিলেও তাতে সফলতা বেশী আসতো । এ ধরনের অসংগঠিত বিচ্ছিন্ন সসস্র বিপ্লবী সংগ্রাম যে সফল হয়না তা প্রমান করে দিয়ে তিনি বিল্পবী আন্দোলনকে প্রকারান্তরে দুর্বলই করে দিয়েছিলেন, যার ফল ভোগ করতে হয়েছে দেশকে ১৮৩১ সনের পরে আরো শতবছর ধরে। বাঁশের কেল্লায় থেকে যুদ্ধ না করে আর একটু সময় হাতে নিয়ে সংগ্রামী চেতনা যদি কায়দা কানুন করে ছড়িয়ে দেয়া যেতো বৃটিশের সকল সেনা ছাউনিতে, তাহলে হয়তবা ১৮৫৭ সনে সারা ভারত ব্যপী সংগঠিত সীপাহী বিদ্রোহটা সফল হয়ে যেতে পারতো । দেশটাও স্বাধীন হতে পারতো আরো অনেক আগেই হয়তবা হতে পারতো তীতোমীরের হাত ধরেই ,যেমনটি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব , যিনি দেশের স্বাধিনতা আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে সমগ্র দেশ বাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধিনতার ঘোষনা দিয়ে যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে বলেছেন , ফলে মাত্র নয় মাসের যুদ্ধে দেশ হয়েছে স্বাধীন ।

ইতিহাস হয়তবা এখন সে ভাবেই এই বিপ্লবীর সংগ্রামটিকে মুল্যায়ন করবে । যাহোক, দারুন পরাক্রান্ত ইংরেজ শাসন শোষনের বিপক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য শ্রদ্ধা রইল এই মহান বিপ্লবীর প্রতি। সে সময়ে সীমিত সুযোগ ও সম্পদ নিয়ে তার পক্ষে এর চেয়ে বেশী কিছু করা হয়ত সম্ভব ছিলনা, শুধু মনোবলটুকু নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন সন্মুখ সমরে ।

৫| ১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:১১

খরতাপ বলেছেন: বাঁশ দিয়ে কেল্লা বানানোয় সবাই প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু একবারো কি কেউ ভেবে দেখেছেন যে, এছাড়া তার আর কি উপায় ছিল? একজন সাধারণ প্রজা, যার একটা পাকা স্থাপনা পর্যন্ত নেই। গাছের গুঁড়ি আর বাঁশ ছাড়া তার কাছে একটা ঘর বানানোর জন্য আর কিছু নেই। কোন সাপোরটিং দেশ থেকে কোন অস্ত্র শস্ত্র সাহায্যও পাননি। এখন এই বাস্তবতায় শত্রুর আক্রমণ ঠেকানোর জন্য তাকে কিছু একটা তো বানাতে হবে। তিনি তো আর হতাশ হয়ে বসে থাকেননি, বা সব ছেড়ে শত্রুদের অসহায় শিকার হননি। হাতের কাছে বাঁশ ছিল, তাই দিয়ে কেল্লা বানিয়েছেন।

যারা হতাশাবাদি, তারাই বাঁশের কেল্লা নিয়ে হাসাহাসি করে, আর যারা আশাবাদী, তারা এ থেকে প্রেরণা খুঁজে নেয়।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ খরতাপ ভাইয়া।

৬| ১০ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: '১৮২২ সালে তিতুমীর মক্কায় হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে যান,আর তিনি মক্কায় স্বাধীনতার অন্যতম পথপ্রদর্শক সৈয়দ আহমেদ শহীদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং ওয়াহাবী মতবাদে অনুপ্রাণিত হন।"

সৈয়দ আহমদ শহীদ (রঃ) ওয়াহাবি মতবাদী ছিলেন না। তাহার ও আব্দুল ওহাবের মতবাদের মধ্যে বিস্তর ফারাক ছিল (আল কাউসার পড়তে পারেন )। উপমহাদেশে কওমি ঘরানার ওলামা হজরতদের মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয় ওহাবী বলে যা মূলত ইংরেজদের ডিভাইড এন্ড রুলের ফসল। কওমি ঘরানার আন্দোলন ইংরেজবিরোধী আন্দোলনের সত্যিকারের প্লাটফর্ম ছিল যাহা দমনে ইংরেজ তাহাদের দোসর রেজাখানী, মাজারি , কাদিয়ানীদের মাধ্যমে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে অপপ্রচার চালায় যাহার ভাঙা রেকর্ড এখনো বাজিয়া চলিয়াছে ! এমনকি আমাদের পাঁঠা বুদ্ধুজীবীরাও জানিয়া-নাজানিয়া , উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই পবিত্র জামাতকে দোষারোপ করিয়া থাকে।
আর যেসব মুসলমান বিজেতার হাতে উপমহাদেশের অত্যাচারী শাসকরা মারা খাইছিলো তাহাদের সবাইকেই ধর্মোন্মাদ ট্যাগ দেওয়ার অভ্যাস আমাদের বুদ্ধুজীবীদের আছে !

সংশোধন করিয়া দিলে ভালো হয়।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

নাইম রাজ বলেছেন: ঠিক আছে ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


@খরতাপ ,

২০০ বছর পরে জন্মেও আপনি তিতুমীরের সৈনিক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাইয়া।

৮| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

সত্যের ছায়া বলেছেন: পাহাড়ে জংগলে লুকিয়ে মাস্টার দ্যা সূর্য সেন, প্রিতিলতা, খুদিরাম প্রমুখ যুদ্ধ করেও সফলতা দেখাতে পারেন নি। তারা কোন না কোনভাবে দখলদার ইংরেজদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তাই বলে তারা কি বিপ্লবী নন? সূর্য সেনদের আর তিতুমীরের পার্থক্য হলো সেনরা শুধু ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ছিলেন আর তিতুমীর একই সাথে ইংরেজ এবং তাদের দোষড় হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এবং এদেশীয় তত কালীন রাজাকার হিন্দু জমিদার দালালদের নাস্তানাবুদ করে দিয়েছেন। এটা অনেক কে পীড়া দেয়! যার ফলশ্রুতিলতে ভারতবর্ষ স্বাধীন তা খুব সহজে হয়েছিল। তা না হলে, একাত্তরের যুদ্ধের ন্যায় ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সময়
রাজাকার হিন্দু জমিদার কর্তৃক অনেক মা, বোন ধর্ষিত হত এবং ততকালীন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অকাল মৃত্যু ঘটত।

৯| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বড় বড় কথা বলা বুদ্ধিজীবীদের বেশিরভাগই ভারতে বা নিজের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল।
একাত্তরে জন্ম হলে চাদগাজী সে দলে থাকতো

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

নাইম রাজ বলেছেন: বলতে পারি না।

১০| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: যাক ভালো কাজ করেছেন । তিতুমীর সম্পকে কিছু জানা হল।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগ সার্চম্যান ভাইয়া।

১১| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৩৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ইতিহাস জানা হল।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.