![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঐ সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি,আমি তারই বান্দা, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর বাসিন্দা। গাজী পরিবারে আমি জন্মগ্রহন করেছি বলে আমি শুধু গাজী পরিবারের নয়, আমার জন্ম এই পৃথিবীর সর্বময়। শুধুমাত্র সোনাখালী গ্রামে আমার জন্ম নয়, আমার জন্ম পৃথিবীর সর্বময়। এই গ্রাম এই দেশের নয় আমি শুধুমাত্র, আমি এই সারা দুনিয়ারই ছাত্র। শুধুমাত্র একটি মহল্লায় আমার আগমন নয়, আমার আগমন বিশ্বময়। হই আমি ধীর হই আমি মহাবীর, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর।
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা ও নাগরিকদের কল্যানের ক্ষেত্রে গনমাধ্যমের তথা সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরীসিম । আসলে গনমাধ্যম ছাডা কোন স্বাধীন রাষ্ট্রই কল্পনা করা যায়না । বিশ্ব বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইল গনমাধ্যম বা নাগরিক সাংবাদিকগন সমাজে উপযুক্ত সম্মান পেয়েছে কী?সাধারনত নাগরিকদের কল্যানের জন্য সাংবাদিকতা করাই নাগরিক সাংবাদিকতা । মূলত নাগরিক সাংবাদিকতার সুস্পষ্ট সঙ্গা প্রদান করা সত্যিই কষ্টসাধ্য ব্যপার । কারন এর অর্থ ও সঙ্গা ব্যপক থেকে ব্যপকতর । ব্লগারদের ও একপ্রকার সাংবাদিক বলা যায় । ব্লগে ব্লগিং করাও নাগরিক সাংবাদিকতার একটি অন্যতম দিক বলে আমি মনে করি । বষ্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে প্রকৃত ও সত্য ঘটনা সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরাই নাগরিক সাংবাদিকতা তথা গনমাধ্যমের মূলকাজ । অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু দূর্নীতির মূখোশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি উন্মোচন করতে পারেনা,অথচ এই গনমাধ্যমই সেইসব দূর্নীতির মূখোশ উন্মোচন করে দেয় । র্যাবের গুলিতে ঝালকাঠীর পঙ্গু লিমন তার স্পষ্ট প্রমান । গনমাধ্যম বা সাংবাদিক পাশে না থাকলে আজ সেই লিমনের কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যেতনা । যদিও ওখানে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির রক্ষক না হয়ে ভক্ষকের যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া গেছে । প্রথম আলোর এক সাংবাদিক না থাকলে আজ হয়তোবা লিমন থাকতো মৃত । এদ্বারা নাগরিক সাংবাদিকতার ভূমিকা ও গুরুত্ব যে কতখানি তা নির্বাচন করার জন্য বিশ্ববাসীর বিবেকের উপর বিষয়টি ছেড়ে দিলাম । আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে গনমাধ্যমের তথা নাগরিক সাংবাদিকতার এ রকম লক্ষ লক্ষ উদাহরন ও সত্যিকার নজীর রয়েছে । গনমাধ্যম না থাকলে এই বাংলার মাটিতে এতদিনে অনেকেরই গনকবর হয়ে যেত । এদ্বারা নাগরিক সাংবাদিকতার ভূমিকা ও গুরুত্ব আমাদের বুঝতে হবে । একজন অসহায় মানুষ যখন ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহীনির দ্বারে দ্বারে ঘুরে নিস্ব হয়ে শুন্য হাতে ফিরে এসে গনমাধ্যমের বা সাংবাদিকদের দারস্থ হয়,তখন ঠীক গনমাধ্যমই বা নাগরিক সাংবাদিকগনই তাকে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেয় । আর এটি নাগরিক সাংবাদিকতার অণ্যতম একটি নজির বা ভূমিকা ।তাই আবারো বিশ্ব বিবেকের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম যে,গনমাধ্যম বা নাগরিক সাংবাদিকগন সমাজে উপযুক্ত সম্মান পেয়েছে কী? সমাজে বা রাষ্ট্রে নাগরিক সাংবাদিকতার ভূমিকা বা গুরুত্ব কতখানী? দূর্নীতি নিবারনের ক্ষেত্রে গনমাধ্যমের তথা নাগরিক সাংবাদিকতার ভূমিকা ও অবদান যে কতখানি তা আর নতুন করে বলতে চাইনা,কারন পুরো দুনিয়াই তা খুব ভালোভাবেই জানে । আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা ও নাগরিকদের কল্যান করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির অবদানের পরিমান যদি পদ্মা নদীর মত বড় হয়,তাহলে গনমাধ্যমের বা নাগরিক সাংবাদিকতার অবদানের পরিমান হবে প্রশান্ত মহাসাগরের চেয়েও বিশাল । আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অস্ত্রশস্ত্র ও সাপোর্ট রয়েছে,কিণ্তু গনমাধ্যমের নিরব অস্ত্র কলম,কাগজও কন্ঠ ছাড়া আর কিছুই নেই । আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনিদের জীবন রক্ষা করার ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই যথেষ্ট,কারন তাদের নিজেদের আধুনিক অনেক অস্ত্রপাতি রয়েছে । কিণ্তু সংবাদ কর্মীদের জীবন বাঁচানোর জন্য কেউই নেই । আমাদের এই বাংলাদেশে আমি গনমাধ্যমকে বা নাগরিক সাংবাদিকতাকে সবচেয়ে বড় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি ও নাগরিকদের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে মনে করি । কারন সত্যিকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিকদের কল্যানের ক্ষেত্রে এই গনমাধ্যম তথা নাগরিক সাংবাদিকতা এক উজ্জল দৃষ্টান্ত । তাই সরকারকে আহ্ববান জানাচ্ছি সরকার যেন এই অদম্য সাহসী গনমাধ্যমকে তথা নাগরিক সাংবাদিকতাকে যথাযৎ মর্যাদা দেয় । সাংবাদিকতাকে অনেকেই পেশা হিসেবে মনে করে । আসলে এটি মোটেও পেশা নয় বরং সেবা । গনমাধ্যম যদি তার সকল কার্যক্রম মাত্র দুচারদিন বন্ধ করে দেয়,তাহলে সমগ্র দেশ দূর্নীতি ও অন্ধকারে ছেয়ে যাবে । দূর্নীতি নির্মূলের ক্ষেত্রে গনমাধ্যম তথা নাগরিক সাংবাদিকতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় হাতীয়ার । অবহেলীত ও অত্যাচারিত মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু হচ্ছে গনমাধ্যমকর্মীগন তথা নাগরিক সাংবাদিকগন । অথচ আজ এই গনমাধ্যমকর্মীরাই অবহেলীত ও অত্যাচারিত । আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলাই রক্ষা করে থাকে,অপরদিকে গনমাধ্যম তথা নাগরিক সাংবাদিকগন সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি গুরুত্বসহকারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিকদের কল্যান ও সাহায্য সহযোগীতা করে থাকে । হোক সেটা প্রতক্ষ বা পরোক্ষ । সত্যিকার ঘটনা ও রহস্য উম্মোচন করতে গিয়ে হাজার হাজার নাগরিক সাংবাদিকগন এযাবৎ তাদের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন । যার স্পষ্ট প্রমান সাগর রুনি । আমার ভাবতে বড় অবাক লাগে যে সাগর রুনি হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৪ বছর পেরিয়ে গেছে অথচ বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত কোনো রহস্যই উদঘটন করতে পারেনি । জানিনা এই হত্যাকান্ডের পিছনে কোন শক্তিশালী গ্রুপ জড়িত । এছাড়া আরো কত সাংবাদিক নাগরিকদের কল্যানের জন্য প্রান দিয়েছেন । কিন্তু রাষ্ট্র কী তাদের উপযুক্ত কোনো সম্মাননা দিতে পেরেছে? উপযুক্ত সম্মাননা তো দূরের কথা রাষ্ট্র কী এখন পর্যন্ত সকল সাংবাদিক হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার করতে পেরেছে?বালাদেশের গনমাধ্যম বেশ অবহেলীত ও অত্যাচারিত,তাই গনমাধ্যমকে তথা নাগরিক সাংবাদিকদের আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্ববান জানাচ্ছি । গনমাধ্যম বা নাগরিক সাংবাদিকগন যেন রাষ্ট্রে যথাযৎ মর্যাদা ও সম্মান পেয়ে তাদের পূর্ন অধীকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে আরো যেন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে এবং নাগরিকদের কল্যান করতে পারে সেই প্রত্যাশা করি । তাই সরকারের প্রতি অনুরোধ সরকার যদি দেশকে আরো দূর্নীতিমুক্ত করে সত্যিকার ন্যায়নীতি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়,তাহলে যেন নাগরিক সাংবাদিকতাকে তথা গনমাধ্যমকে যথাযৎ মর্যাদা ও সম্মান দেওয়া হয় । সরকারের মনে রাখতে হবে যে নাগরিক সাংবাদিকতা দেশের বড় ধরনের সম্পদ । তাই এই সম্পদকে আগলে রাখাই রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব । জয় হোক নাগরিক সাংবাদিকতার । নাগরিক সাংবাদিকতা শুধু বাংলাদেশের বুকে নয় বরং সমগ্র পৃথিবীর বুকে শক্তিশালী রুপে প্রতিষ্ঠিত হোক-সেটাই প্রত্যাশা করি ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
মো: নিজাম গাজী বলেছেন: keno somvob noy he lekhok?
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশে আপাতত সম্ভব না।