নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বর্ণ, শ্রেণী ধর্ম নয়, মানুষকে মানুষ হিসাবেই দেখা উচিৎ।\nযারা দেখে তাদের কে স্বাগতম।

নির্বাক কয়েদী

নির্বাক কয়েদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ মানুষের জন্য (আসুন মানুষ কে ভালোবাসি, মানুষের পাশে দাড়াই)

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০১

A man can change everything,
For this reason, he will fall in the face of death.

(একজন মানুষ সব কিছুই চেঞ্জ করতে পারে,
কারণ সে মৃত্যু মুখে পতিত হবে এই জন্যে)

মানুষ মৃত্যু বরণ করবে জেনেই সে পরিবর্তন চায় আর সেই পরিবর্তনের মূলে থাকে শান্তি। সেই শান্তিতে থাকতে গিয়ে প্রতিটা মানুষেই মৃত্যু অভিমুখে চলার পথে... নানা ধরণের ন্যায় অন্যায়ের সাথে সামিল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কারো ন্যায়ের পাল্লা ভারি কারো বা হালকা। তবে ইহা সদা সত্য যে, কেউ ই আমরা হিংসা। বিদ্বেষ, এবং অন্যায় থেকে মুক্ত নই। আসলে আমরা জন্মগত ভাবে এমন, তা কিন্তু নয়; সেটা আমরা ব্যাতীত আর কে ই বা ভালো বলতে পারবে।

" যদি মানুষ জানত তার কখনও মৃত্যু হবে না। সে প্রকৃতির সাথে অমর হয়ে থাকবে অনন্ত কাল।
তাহলে হয়ত আজকে মানুষের ভিতর যে হাহাকার দেখা যায় সেটা এতটা অমানুষ্যত্বে রুপ নিত না।"

যেহেতু মানুষের গড় আয়ু ৬৫ থেকে ৭০ বছর (বাংলাদেশ), সেহেতু মানুষ তার সমস্ত ক্রিয়া কর্ম সম্পুর্ন করে শান্তিতে মরতে চাবে এটাই স্বাভাবিক। তয় এই শান্তির খোজে গিয়ে আমরা মানুষরাই এই সুন্দর পৃথিবীটাকে প্রতিনিয়ত অ-বাস যোগ্য, অ-মানবিক করে তুলছি, এবং তাতে আমরা আদৌ কতটা শান্তি পাচ্ছি এবং শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারতেছি তাহা ভাবতে বসলে আমার মনে হয় প্রতিটা মানুষেই নিজের সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে উঠবে। এই ভেবে যে, সে আদৌ যার খোজে পৃথীবিতে এসেছিলো তা সে কতটুকু পেয়েছে।

আমার একটা কথার সাথে নিঃস্বন্দেহে সবাই একমত পোষোন করবেন;
আজ যদি মানুষ হিংসা পোষন না করত, যদি বিদ্বেষ না ছড়াত, যদি অন্যায় থেকে বিরত থাকত। তাহলে অপার সৌন্দর্যমন্ডিত এই পৃথীবিটা স্বর্গের ন্যায় হত। হ্যা আমি সেই স্বর্গের কথা বলছি যে স্বর্গের কথা আমরা হরহামেশাই বলি, বিশেষ করে কোন ইহত্যাগ কবলিত মানুষের বেলায় (“মৃত্যু পরবর্তী যেন মানুষটা স্বর্গবাসী হয়, এই কথা সেই মানুষটার পরম সত্রুও একটা সময় সজ্ঞানে বলে ফেলে)। বলে তার কারণ, মানুষ ভালোবাসা বিহীন নয়, মানুষ আবেগহীন নয়, মানুষ বিবেকহীন নয়। প্রতিটা মানুষেই কারো না কারো জন্যে ভালোবাসা বিলিয়ে দেয়, কখনো কখনো কারো জন্যে আবেগি হয়ে উঠে, একমাত্র সেই মানুষ নামের প্রাণীটি সমস্ত প্রাণীকুল কে ছাপিয়ে বিবেকবান হতে পারে। তাই তো একমাত্র সেই মানুষেই স্রষ্টার আসন লাভ করতে পারে। যা সৃষ্টিকর্তার অন্য কোন সৃষ্টি পারে না।
কিন্তু আজকে আমাদের সমাজ, আমাদের পরিবেশ, আমাদের সিস্টেম একটা মানুষের জন্মের পর থেকে তাকে সমস্ত কিছুতেই যে ভাবে বিভক্তি আর হিংসাত্বক ভাবে লালিত করছে যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চলতে থাকলে একটা সময় মানুষের হাসি, আনন্দ, ভালবাসা এবং যে শান্তির খোজার মিশন নিয়ে পৃথীবিতে আগমন তা আকাশ কুসুম কল্পনারই সামিল হবে বৈকি।

যে জন্যে আমার এত কথা বলা তা আর একটু পরিস্কার করে নেই,, কোন কিছুই সমষ্টিগত ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নহে, আমরা যে সিস্টেমের যাতাকলে পরে প্রতিনিয়ত সুখ আর শান্তির খোজে তথপর সেই সুখ, শান্তি আসলে মানুষের মাঝেই নিহিত। অন্য কোথাও নহে। তবে আমারা যে ঘুনে ধরা সমাজে বাস করতেছি তা রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভভ নয় কিন্তু মানুষ চাইলে পারে না এমন কোন কাজ এই পৃথীবিতে নেই। একটা মানুষের দাঁড়ানোর জন্য পৃথীবির লক্ষ কুঠি হাজার হেক্টর জমির দরকার হয় না। একটা মানুষের দু পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য দরকার মাত্র ১৬ থেকে ২০ ইঞ্চি জমি। যদি মানুষ চায় তাহলে আগামীকাল থেকেই সেই ষোলো থেকে বিশ ইঞ্চি জমিকেই সে স্বর্গ বানিয়ে নিতে পারে, মানুষের ভালোবাসায়। মানুষের জীবন কে চার ভাগে ভাগ করলে সিংহ ভাগ মানুষ পাওয়া যাবে যারা তিন ভাগে ব্যায় করেছে সুখ এবং শান্তি আহরণে আর বাকি একভাগ সেই তিন ভাগেরই প্রতিফলন।

উক্ত একভাগ প্রতিফলন আমাদের জীবনে কতটুকু শান্তির প্রাভাব বিস্তার করতে পারে সেটার গ্যারান্টিও মানুষ দিতে পারে না। তবে মানুষ চাইলে তার নিছের স্থরের মানুষের মুখে খুব সহজেই তার অর্জিত একভাগ সুখ, শান্তির কিঞ্চিৎ পরিমাণ বিলিয়ে দিয়ে হাসি ফোটাতে পারে, তাদের দুঃখ্য, সুখের অংশীদার হতে পারে।


মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য।
একটু সহানুভতি কি মানুষ পেতে পারে না !
ও বন্ধু......
মানুষ মানুষের জন্যে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.