![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর দেয়ালের পরে আঁকাবাঁকা অসংখ্য অক্ষরে একবার লিখিয়াছি অন্তরের কথা — সে সব ব্যর্থতা আলো আর অন্ধকারে গিয়াছে মুছিয়া!
সাঁস ভি কাভি বহু থি...থি কেয়া ?!? - পর্ব - ২
কাবিনের প্রায় তিনমাস পরে আমাদের হলুদ-বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। দুটোই হয়েছিল অফিসার্স ক্লাবে। বিশাল জায়গা নিয়ে করা সত্ত্বেও আমার মা'র অভিযোগ ছিল 'জায়গা ছোট'। জয়েন্ট প্রোগ্রাম হলেও আমার শশুড় আব্বাকে সব নিজেকেই দেখভাল করতে হয়েছে, কারণ আমার আব্বা একটু ঘরকুনো প্রকৃতির - যদিও সে ক্লাবের মেম্বার এবং স্বাভাবিকভাবেই তার দায়িত্ব কিছুটা বেশী হবার কথা!
হলুদের প্রোগ্রামে ডিজে ছিল। রাত ১১:৩০ দিকে আমার আম্মা বাসায় যাবার জন্য হাউকাউ শুরু করে। আমি লেট করায় ব্যপক চিল্লাচিল্লি জুড়ে দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে আমার শশুড়ও বলেন যে তাড়াতাড়ি শেষ করতে। যদিও আমার বোনের হলুদে আম্মার ব্যপক আনন্দ দেখা গেছে।
একবার বউয়ের শরীর খারাপ, তাই অফিস যায়নি। দুপুরে ফোন করে দেখলাম সে রান্নাঘরে...বিকালেও শুনি রান্নাঘরে, রেস্ট আর হয় নাই। একবার আমার বউয়ের প্রচন্ড পেট ব্যাথা শুরু হল। আম্মাকে বললাম পাশে গিয়ে বসতে। সে বিরক্ত ভঙ্গিতে পাশে গিয়ে বলা শুরু করল "আমার কাল থেকে পা ব্যাথা...ঘুমাতে পারি না...শরীর খারাপ...খাতা দেখা বাকী...এতগুলা খাতা...এতবড় স্কুল!!!"
যদিও এই শাশুড়ীকেই সে পা ব্যাথায় পায়ে মলম মালিশ করে দেয়। আমি একবার দেখে ওকে ধমক দিয়ে উঠিয়ে দিয়েছিলাম, আর বলেও দিয়েছিলাম আর কখনও না করতে।
কাবিন আর অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তী সময়টাতে ও অফিস টাইমেই আমার বোনকে ফোন করে ১-২ ঘন্টা কথা বলতো। বোন তখন প্রেগনেন্ট ছিল। সামনে থেকে না হোক, দূরে থেকেই সে সময় দেবার চেষ্টা করতো। অফিসের ব্যস্ততার কারনে কয়েকদিন ফোন দেয়া হয় নি। অমনিই আম্মা ফোন করে ওকে তিরষ্কার করার সুযোগ পেয়েছিল "১০ দিনে একদিন ফোন দিয়ে আবার বলতে আসো"। অথচ আমার বউ অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলেও এক গ্লাস পানি কেউ এগিয়ে দেবার নেই।
আমার বোন গত মে'তে সুইডেন যায়। সেখনে তার একটি ছেলে হয়। তাকে দেখতে আমার আম্মা আবার সুইডেন যায় গত রোজার মাঝামাঝিতে। যাবার আগে আমার আম্মা তার নিজের জন্য, তার মেয়ের জন্য, জামাইয়ের জন্য, মামী শাশুড়ীর জন্য ঈদের ড্রেস কেনে। এতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমার বউয়ের শশুড়বাড়ীতে প্রথম ঈদ হওয়া সত্বেও তাকে কেউ কিছু দেয়নি (শশুড় দিয়েছিল)। উল্টো আমার বউ, আম্মা আর আমার বোন দুজনকেই শাড়ী, কামিজ কিনে দিয়েছিল। যাবার আগে এয়ারপোর্টে নতুন বউয়ের উদ্দেশ্যে কিছু বলে যাবার প্রয়োজনীয়তাও আম্মা বোধ করেনি। দীর্ঘ দেড়মাস পরে সুইডেন থেকে ফিরে ঘরে ঢুকে আমার বউয়ের উদ্দেশ্যে তার প্রথম কথাই ছিল "আমার স্যান্ডেলটা কোথায় দেখতো?"
বউ কি পারবে শাশুড়ীর মনে জায়গা করে নিতে?
শাশুড়ী কি পারবে বউকে নিজের মেয়ে মনে করে কাছে টেনে নিতে??
স্বামী-ই বা এখন কী করবে???
জানতে চোখ রাখুন আমার ব্লগে...!!!
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভুল-শুদ্ধের কোন ব্যপার না...এটা একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যপার। ধন্যবাদ!
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
জো জো বলেছেন: আমারতো এইটা হিন্দি সিরিয়াল মনে হচ্ছে। কাহিনী কি সত্যি?????????
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: খুব কি অসম্ভব কিছু মনে হচ্ছে? ধন্যবাদ!
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
শীলা শিপা বলেছেন: মাকে নিয়ে লিখছেন বলা ভাল মায়ের দোষ তুলে ধরছেন বেশ ভাল কথা... বউয়ের ব্যপারেও এভাবে আগামিতে লেখা পাব??
একটা কথা সবসময় মনে রাখা উচিৎ, মা কিন্তু মা হয়েই থাকে... কখনো পালটে যায় না... আমাদের দেশের মায়েরা একটা কথা বলে, " বিয়ের পর ছেলে পালটে গেছে।" এখন মনে হচ্ছে কথাটা এমনি এমনি বলে না...
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পাল্টানোর বিষয় এখানে বলা হয়নি...বলা হয়েছে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কথা। বিষয়টি আপনি বুঝতে পারেননি।
"আমাদের দেশের মায়েরা একটা কথা বলে, বিয়ের পর ছেলে পালটে গেছে।".... যেসব মায়েরা আপনার মত এটা ভাবে...তারাই অহেতুক সমস্যা তৈরী করে।
নিজের ছেলের সংগে ভালো হতে হলে যে অন্যের মেয়ের সাথে খারাপ হতে হবে কেন...একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
ধন্যবাদ!
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬
বোকা ছেলে ৯৮৯ বলেছেন: শেষের অপেক্ষায়
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৫
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভাই এইটা তো মেগাসিরিয়াল...!
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৪
পথহারা নাবিক বলেছেন: ওরে ভাই ক্লাইমেক্স শেষ করেন!!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ওয়েট ওয়েট...
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬
আমি ইহতিব বলেছেন: সত্য মেনে নিতে অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে দেখছি, আসলে যারা এমন পরিস্থিতীতে কখনও পড়েনি তারা বুঝবেনা এই কষ্ট কতটা মর্মান্তিক।
আপনি কতখানি কষ্ট পেয়ে শেয়ার করছেন এসব বুঝতে পারছি। আমার এমন অনেক কষ্টের স্মৃতি আছে ভাইয়া। আমার মেয়েটা হওয়ার পর আমার শাশুড়ী দেখতে পর্যন্ত আসেননি, শুধুমাত্র এই রাগে যে ওনার ছেলে ওনার কথামতো আমাকে ডেলিভারীর জন্য সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করায়নি, আমাকে যে ডঃ তার আগের নয় মাস ধরে দেখেছেন ওনার হাসপাতালে ভর্তি করেছিলো বলে। কিন্তু আমার স্বামীর সহযোগীতা ও পরামর্শে শুধু চুপচাপ থেকে সহ্য করে গিয়েছি। বর্তমানে অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আপনারাও ভালো থাকুন এই দোয়া করছি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: তাই তো আমি বলি..."সাঁস ভি কাভি বহু থি...থি কেয়া ?!?"
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
সাইফুল আজীম বলেছেন: ভাই, কিছু মনে কইরেননা একটা কথা বলি- জানিনা এগুলো আপনার জীবনের ঘটনা নাকি সিরিয়াল থেকে লিখছেন তবে মার দোষ নিয়ে এভাবে ব্লগ লেখা ঠিক না। মার কোন ভুল থাকলেও মা মাই।
লেখায় নাক গলানোর জন্য সরি।