নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল হাওয়া

নদী পাড়ে স্বৃতির পাতা করে আনাগোনা ।

নদীর তীরে

নদী ও বাতাশ , মনে জাগে অপার ভালোলাগা ।

নদীর তীরে › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা বলে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী শব্দ কোরান শরীফ এ নাই তাদের কাছে আমার প্রশ্ন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

অনেকেই বলেন কোরান শরিফে তো এই শব্দ নাই , ওই শব্দ নাই । আমরা কেন পালন করব , মানব ?

কি আজব কথা ?

আল্লাহ পাক সরাসরি তো অনেক কথাই বলেন নাই । আল্লাহ পাক তো অল্পতে অনেক বেশী বুঝিয়ে থাকেন । আল্লাহ পাক কোরান শরিফ উনাতে কোন কিছুই বলা বাকি রাখেন নাই । আমাদের কম আকল , কম সমঝ এর কারনে আমরা বুঝিনা ।

হাদিস শরিফ , ইজমা ,ক্বিয়াসের মাধ্যমে বুঝেছি ।

যেমন নামাযের ব্যাপারে আল্লাহ পাক বলেছেন 'নামায আদায় কর' । কি নামায , কত প্রকার , কিভাবে আদায় করতে হবে তা বলা আছে কি ? এমনি ভাবে প্রত্যেকটা আমলের ব্যাপারে একই কথা ।



নামায, রোজা, খোদা , ঈদুল ফিতর , ঈকদুল আযহা , পোষাক , খাবারের নাম , দেশের নাম , মাদ্রাসা, মক্তব, কলেজ, মাহফিল , গাড়ি-বাড়ি সহ এমন হাজার হাজার ব্যাপার আছে যা কোরান শরিফে নাই ।তাই বলে কি আমরা এগুলা ছেড়ে দিব ?



আমাদের কমন সেন্স নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আমরা আমাদের আকল না খাটিয়ে ইবলিশ এর ওয়াসওয়াসায় এই কথা বলি।

আল্লাহ পাক আমাদের সমঝ দান করুন । আমিন

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

উদাসীফাহিম বলেছেন: ++++++++++

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

"আল্লাহ পাক আমাদের সমঝ দান করুন । আমিন "

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

রুম্মান৯৯ বলেছেন: আসল কথা হচ্ছে--যা নবী-সাহারারা ইসলাম ভেবে করেন নি বা করতেও বলেন নি--তা বিদাত এবং বিদাত হচ্চে শরিয়তের সাথে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু মাইকে আজান দেয়া বা মাদ্রাসা বা খেজুরের বদলে ভাত খাওয়ার সাথে ইসলামের সম্পর্ক নেই বলেই এসব বিদাত নয়। হালাল খাওয়াই হচ্ছে ইসলাম কিন্তু ভাত বা খেজুর হালাল কিনা তাই বিবেচ্য।
তেমনই নবীর জন্মের নিরদিষ্ট দিনে এভাবে জন্মদিন পালন কি সঠিক--যা নবীর নির্দেশেও নেই? আলোচনা করাই যেতে পারে কিন্তু এভাবে নয়। আর মিলাদ শব্দের অর্থ হচ্ছে--প্রসবের যন্ত্র

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১০

নদীর তীরে বলেছেন: বিদয়াত দুই প্রকার।
১)বিদয়াতে হাসানাহ

২) বিদয়াতে সাইয়্যিহাহ

১)বিদয়াতে হাসানাহঃ
বিদয়াতে হাসানাহ হচ্ছে উত্তম বিদয়াত। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদায়ের পরে উদ্ভাবিত কিন্তু দ্বীন ইসলামের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয় বরং দ্বীনের ক্ষেত্রে সহযোগী তা হচ্ছে বিদয়াতে হাসানাহ বা উত্তম বিদয়াত।
বিদয়াতে হাসানাহ সম্পর্কে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে কেউ দ্বীন ইসলামে উত্তম কোন পদ্ধতি উদ্ভাবন করবে (যা শরীয়তসম্মত), তার জন্য সে সওয়াব পাবে এবং তারপরে যারা এ পদ্ধতির অনুসরণ করবে, তার সওয়াবও সে পাবে”।(দলীলঃ মুসলিম শরীফ)
এ সম্পর্কে ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে নব উদ্ভাবিত কাজ কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, আসার (অর্থাৎ সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আমল ও ক্বওল শরীফ) অথবা ইজমার বিরুদ্ধ বলে প্রমাণিত, সেটাই গোমরাহী ও নিকৃষ্ট। আর যে নব উদ্ভাবিত কাজ উল্লেখিত কোনটির বিপরীত বা বিরুদ্ধ নয়, তা মন্দ বা নাজায়েজ নয়”। (দলীলঃ মিরকাত শরহে মিশকাত, ১ম জিঃ পৃঃ১৮৯)

উদাহরন:
ইন্টারনেট, মোবাইল, কম্পিউটার, মাইকে আযান, ইত্যাদি।
২) বিদয়াতে সাইয়্যিহাহঃ
বিদয়াতে সাইয়্যিহাহ হচ্ছে উত্তম বিদয়াত। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদায়ের পরে উদ্ভাবিত কিন্তু দ্বীন ইসলামের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক তা হচ্ছে বিদয়াতে সাইয়্যিহাহ বা মন্দ বিদয়াত।
যেমনঃ
টি.ভি চ্যানেল, ইসলামের নামে হরতাল,গনতন্ত্র, নারী নেতৃত্ব ইত্যাদি।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

ডাঃ মারুফ বলেছেন: @রুম্মান৯৯ , আপনার কথা স্ববিরোধি ।

মাইকে আজান দেয়া বা মাদ্রাসা পড়াও বিদায়াত । একে বিদায়াতে হাসানাহ বা উত্তম বিদায়াত বলে ।

বিদয়াতে হাসানাহ সম্পর্কে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে কেউ দ্বীন ইসলামে উত্তম কোন পদ্ধতি উদ্ভাবন করবে (যা শরীয়তসম্মত), তার জন্য সে সওয়াব পাবে এবং তারপরে যারা এ পদ্ধতির অনুসরণ করবে, তার সওয়াবও সে পাবে”।(দলীলঃ মুসলিম শরীফ)

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০১

পাগলাগরু বলেছেন: ওয়াশওয়াসা কি?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১১

নদীর তীরে বলেছেন: ধোকা দেওয়ার স্থান ।

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

নতুন বলেছেন: ভন্ডপীরের চেলারা কেন এতো পুস্ট করতাছ? ভন্ডরা কারন ছাড়া কিছু করবে? অবশ্যই না... এর মুল কারন ব্যবসা আর কিছু না...
রাজারবাগী দরবার এতো আয়েজন করে ঈদ - ই- মিলাদুন্নবী পালন করে.... আর মুরিদের উতসাইত করে দান করার জন্য....
রাজারবাগী্ ওয়েবসাইটে পীরের দরবারে খরচা করার জন্য আবেদন জানানোর প্রমান দেখেন . দান করলে কি কি ফজিলত হবে তাও বলা আছে...
>>> ভন্ডপীরের আবেদন .>>>
=============================================
"" মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার ক্বওল শরীফ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে তোমরা খরচ করো।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সখী‘ বা দানশীল হচ্ছে ‘হাবীবুল্লাহ’।’
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে যে ব্যক্তি এক দিরহাম খরচ করবে সে ‘হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম’ উনার সাথে জান্নাতে থাকবে, পবিত্র বদর ও পবিত্র হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার ফযীলত পাবে, উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা বা খিদমতের আঞ্জাম দেয়া।
=============================================
এখানে আল্লাহের কথা বলে>>> রিযিকের থেকে খরচা করতে বলতেছে....
রাসুলের কথা বলে>>>>>> দানশীল হচ্ছে হাবিবুল্লাহ>>

যেই ব্যাক্তি ১ দিরহাম দান করবে... সে ‘হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম’ উনার সাথে জান্নাতে থাকবে,

সে >>> পবিত্র বদর ও পবিত্র হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার ফযীলত পাবে,

সে >> উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবে

তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা বা খিদমতের আঞ্জাম দেয়া


এইটা হইলো আসল কথা.... ঈদ - ই- মিলাদুন্নবী হইলো কথার কথা মাত্র....

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

নদীর তীরে বলেছেন: আপনার কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে কি ?

আপনার আকল নষ্ট হয়ে গেছে ।
আপনার কথামতে মানুষ কে যাকাতের ফযিলতের কথাও বলা যাবেনা । এতীম, গরিব , মিসকিনদের দান করার ফযিলত বলা যাবেনা ।

তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা বা খিদমতের আঞ্জাম দেয়া ।

এখানে দান করার ফযিলত বর্ননা করা হয়েছে ।
এখানেই দিতে হবে বলা আছে কি ?
আপনার যেখানে খুশি করুন ।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

কান্টি টুটুল বলেছেন:

ডাঃ মারুফ বলেছেন: “যে কেউ দ্বীন ইসলামে উত্তম কোন পদ্ধতি উদ্ভাবন করবে (যা শরীয়তসম্মত), তার জন্য সে সওয়াব পাবে এবং তারপরে যারা এ পদ্ধতির অনুসরণ করবে, তার সওয়াবও সে পাবে”।(দলীলঃ মুসলিম শরীফ)

মুসলিম শরীফের দলীল নিয়া মনে সন্দেহ জাগে,সর্বোৎকৃষ্ট দলীল আল -কোরআন,কারন আল্লাহ বলেছেন ......

[2] এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই ...সুরা আল বাকারা

আল্লাহ তো বলেন নাই ......

"এ সেই মুসলিম শরীফ যাতে কোনই সন্দেহ নেই"
কি বলেন?

কিয়ামতের আগ পর্যন্ত এইসব গ্রন্হ বিকৃত হইতে থাকিবে,কারন এসবের রক্ষণাবেক্ষনের কোন দায়িত্ব আল্লাহতাআলা গ্রহন করেন নাই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

নদীর তীরে বলেছেন: وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

٥
রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।
আল্লাহ পাক এই কথাও বলেছেন ।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২০

রুম্মান৯৯ বলেছেন: ডাঃ মারুফ, বানোয়াট হাদিস বলে নিজেকে দোজখের খড়ি বানাবেন না--নবী বলেছে, কুল্লু বিদাতিন দালালাহ মানে সব বিদাতই গুমরাহী? এরপরো কারা বানালো ভাল বিদাত আর মন্দ বিদাতের এই বিদাতী থিউরী জানাবেন কি?

না জেনে কিছু বলা পাপ--তা জানেন কি!! একটা হাদিস দেখান যেখানে আপনার কথার সমর্থন আছে--আরে ওমর রাঃ এর তারাবিহ নামাজের কাহিনী থেকে বানানো এসব কথা দিয়ে নবীর কথা কাটানো কি যায়?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

নদীর তীরে বলেছেন: ৩ নং দেখুন ।

আমার বানানো নয় ।ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে নব উদ্ভাবিত কাজ কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, আসার (অর্থাৎ সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আমল ও ক্বওল শরীফ) অথবা ইজমার বিরুদ্ধ বলে প্রমাণিত, সেটাই গোমরাহী ও নিকৃষ্ট। আর যে নব উদ্ভাবিত কাজ উল্লেখিত কোনটির বিপরীত বা বিরুদ্ধ নয়, তা মন্দ বা নাজায়েজ নয়”। (দলীলঃ মিরকাত শরহে মিশকাত, ১ম জিঃ পৃঃ১৮৯)

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

মুহাই বলেছেন: “যে কেউ দ্বীন ইসলামে উত্তম কোন পদ্ধতি উদ্ভাবন করবে (যা শরীয়তসম্মত), তার জন্য সে সওয়াব পাবে এবং তারপরে যারা এ পদ্ধতির অনুসরণ করবে, তার সওয়াবও সে পাবে”।(দলীলঃ মুসলিমশরীফ)

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

রুম্মান৯৯ বলেছেন: ডাঃ মারু্‌ফ, আপনিতো হাদিসও বিকৃত করার উস্তাদ!! নবী বললেন--কুল্লু বিদাতিন দালালাহ আর আপনি বললেন হাদিসের নামে বিদাতের সমর্থনে নবীর বানী??

নবী ওভাবে বলেননি, তিনি বলেছেন ইজমা-কিয়াসের ক্ষেত্রে কেউ ভুল করলেও আধা সওয়াব আর সঠিক করলেও পুরো সওয়াব পাবেন মুজতাহিদরা, আর তাকে নবীর নামে বিকৃত করে ছাড়লেন--বাহ বাহ!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

নদীর তীরে বলেছেন: বিদআতে হাসানাহ তা অবশ্যই ইসলামী শরীয়তের অংশ বা অন্তর্ভুক্ত। এবং শরীয়তে এই বিদআতকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- ১. ওয়াজিব, ২. মুস্তাহাব-সুন্নত, ৩. মুবাহ।
এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء.
অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মূলত যা বিদআতে হাসানাহ প্রকৃতপক্ষে তা সুন্নতেরই অন্তর্ভুক্ত।
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এর মশহূর কিতাব ‘মিশকাত শরীফ’-এ উল্লেখ আছে, ‘আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তারাবীহ নামায নিয়মিতভাবে জামাআতে পড়ার আমল জারী বা উদ্ভাবন করার পর তিনি নিজেই বলেন-
نعمت البدعة هذه.
অর্থ: এ পদ্ধতিটি উত্তম বিদআতের অন্তর্ভুক্ত।’
অনুরূপভাবে ফিক্বাহ’র বিখ্যাত কিতাব ‘দুররুল মুখতার’-এর ১ম খন্ড ৩৬২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
كذالك نقول فى الاذان بين يدى الخطيب فيكون بدعة.
অর্থাৎ- তৃতীয় খলীফা হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উদ্ভাবিত জুমুআর দিনে মসজিদের বাইরে একটি আযান বৃদ্ধি করা ও পূর্বের আযানকে (যা বর্তমানে ছানী আযান নামে পরিচিত) মিম্বরের সম্মুখে, খতীবের সামনে নিয়ে আসার আমলকেও বিদআত তথা বিদআতে হাসানাহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
ما راه المؤمنون حسن فهة عند الله حسن.
অর্থ: ‘মু’মিনগণ যা ভাল মনে করেন তা আল্লাহ পাক- উনার কাছে ভাল বলেই বিবেচিত।’ (মিশকাত শরীফ)
এখন কথা হলো, আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম ও দুররুল মুখতার কিতাবের মুছান্নিফ কি জানতেন না যে, খুলাফায়ে রাশিদীন বা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের আমলগুলো সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত? অবশ্যই জানতেন। তাহলে উল্লেখিত আমলকে তারা বিদআত বলে উল্লেখ করলেন কেন? যেহেতু উল্লেখিত আমলগুলো আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে দ্বীনের খাতিরে বা দ্বীনের সাহায্যের জন্য নতুন উদ্ভাবিত কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ সম্মত আমল। তাই লুগাতী বা শাব্দিক অর্থে উক্ত আমলকে যদিও বিদআত তথা বিদআতে হাসানাহ বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলো ‘সুন্নত তথা সুন্নতে ছাহাবা’র অন্তর্ভুক্ত। কেননা হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
عليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين المهدين.
‘তোমাদের জন্য আমার সুন্নত ও খুলাফায়ে রাশিদীনগণের উদ্ভাবিত সুন্নতগুলো অবশ্যই পালনীয়।’ (মিশকাত শরীফ)
অতএব প্রমাণিত হলো, যেসব বিষয় বিদআতে হাসানাহ তা অবশ্যই ইসলামী শরীয়তের অংশ বা অন্তর্ভুক্ত। তা গুমরাহী বা বর্জনীয় কোনটিই নয়; বরং তা আল্লাহ পাক উনার নিকট হাসান বা উত্তম।
কাজেই, বিদআতে হাসানাহকে শরীয়তের অংশ নয় বলা এবং সেটাকে গুমরাহী বা বর্জনীয় বলার অর্থই হচ্ছে শরীয়ত ও সুন্নতকে অস্বীকার করা। আর শরীয়ত ও সুন্নতকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী।
আর বিদআতে হাসানাহ-এর বিপরীতে যে বিদআতকে শরীয়তসম্মত নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তা হচ্ছে বিদআতে সাইয়িয়াহ। এই প্রকার বিদআতই হচ্ছে গুমরাহী। এবং তা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য; যদিও মানুষ সেটা ভাল মনে করুক না কেন। যেমন- ইসলামের নামে ভোট, নির্বাচন, গণতন্ত্র করা, হরতাল করা, লংমার্চ করা, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, টিভি দেখা ও টিভিতে প্রোগ্রাম করা ইত্যাদি।
এ প্রসঙ্গেই হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة سيئة كان عليه وزرها وزر من عمل بها من بعده.
অর্থ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে কেউ দ্বীন ইসলামে শরীয়তবিরোধী কোন পদ্ধতি উদ্ভাবন করলো তার গুনাহ সেতো পাবেই এবং তার পরেও যারা সে পদ্ধতির অনুসরণ করবে, তাদের গুনাহও তার আমলনামায় বর্তাবে।’ নাঊযুবিল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

নতুন বলেছেন: ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
লেখক বলেছেন: আপনার কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে কি

আপনার পীর তো এই শীতে ৩ডিগ্রি তাপে মানুষের জন্য খরচ করতে আহবান জানান নাই?

ভন্ডপীরেরা নিজেরা এতো আরাম আয়েশে কেন থাকে? উনারা কি দামি বিছানা..দামি গাড়ী..দামী বাড়ীতে থাকেনা?

দেশে যখন মানুষ রাস্তায় ঘুমায়...এই শীতে ..তথন আপনার পীর তাদের জন্য কিছু বলেনা... বলেন শুধু মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দান করার জন্য>...

পীর ব্যবসা আপনারা দেখেনা... :(

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

নতুন বলেছেন: এখানে দান করার ফযিলত বর্ননা করা হয়েছে ।
এখানেই দিতে হবে বলা আছে কি ?
আপনার যেখানে খুশি করুন ।



আপনারা ব্লগে যা শুরু করেছেন...তাতে আমার খুশি থাকেনা... মানুষকে ভুল পথে চালানো চেস্টাকে আমরা বসে বসে দেখতে পারিনা...

আপনারা ব্লগে মানুসকে মটিভেট করছেন মিলাদুন্নবীর জন্য>..

আপনার পীর বলতেছে দান করার জন্য....

উদ্দেশ্যটা পরিস্কার... কিন্তু ধম`ভীরু মানুষ পুরাটা দেখেনা... তারা মনেকরে তারা আল্লাহর পথে দান করে...

কিন্তু ঐদান... দিয়া পীর দামী গাড়ী চড়ে.... খাদেমরা আয়েশ করে...

এই ব্যবসা বন্ধ করতে হবে..

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

নদীর তীরে বলেছেন: বোকার মত কথা কইলেন ?
আপনার আকল নষ্ট হয়ে গেছে ।
আপনার কথামতে মানুষ কে যাকাতের ফযিলতের কথাও বলা যাবেনা । এতীম, গরিব , মিসকিনদের দান করার ফযিলত বলা যাবেনা ।

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

উদাসীফাহিম বলেছেন: ei po0st dewan bagir kuno murid er hole amar +++ gulu withdraw korlam .dewean bagi vondo..............unar kothar modde shirk ar shirk......tobe miladunnobi mani.palon korar chesta kori............eta desher boro boro alem rao manen.tai mani..kuno vonder kothay noy

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

নদীর তীরে বলেছেন: জ্বি না ।
আমি তা নই ।
সঠীক বলেছেন ।

১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কালীদাস বলেছেন: তুমি একটা আবাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.