নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল হাওয়া

নদী পাড়ে স্বৃতির পাতা করে আনাগোনা ।

নদীর তীরে

নদী ও বাতাশ , মনে জাগে অপার ভালোলাগা ।

নদীর তীরে › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদআত মানেই বর্জনীয় নয় ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

সব বিদআতই বর্জনীয় নয়। বরং যেসব বিষয় বিদআতে সাইয়িয়াহ অর্থাৎ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর খিলাফ, সেগুলো বর্জনীয়। যেমন ইসলামের নামে ভোট, নির্বাচন, গণতন্ত্র করা, হরতাল করা, লংমার্চ করা, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, টিভি দেখা ও টিভিতে প্রোগ্রাম করা ইত্যাদি।

আর যা বিদআতে হাসানাহ অর্থাৎ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ সম্মত তা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। এ বিদআতে হাসানাহ তিন প্রকার। ১. ওয়াজিব, ২. মুস্তাহাব-সুন্নত, ৩. মুবাহ।

এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-

عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء.

অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)

উল্লেখ্য, বিদআতে হাসানাহকে বিদআত লিদদ্বীনও বলা হয় অর্থাৎ যা দ্বীনের জন্য সাহায্যকারী। কেউ কেউ আবার এই বিদআতে হাসানাহকে বিদআতে লুগাবীও বলে থাকেন। অর্থাৎ যদিও শাব্দিক অর্থে বিদআত বলা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তা সুন্নতেরই অন্তর্ভুক্ত। কারণ উক্ত হাদীছ শরীফ-এ ‘সুন্নত’ শব্দটিই প্রকৃতপক্ষে উল্লেখ রয়েছে।

এছাড়া হাদীছ শরীফ ও ফিক্বাহ’র কিতাবসমূহে স্বয়ং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মাধ্যমে উদ্ভাবিত অনেক আমলকেও বিদআত অর্থাৎ বিদআতে হাসানাহ বা উত্তম বিদআত উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন মিশকাত শরীফ-এ উল্লেখ আছে, “আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তারাবীহ নামায নিয়মিতভাবে জামায়াতে পড়ার আমল জারী বা উদ্ভাবন করার পর তিনি নিজেই বলেন-

نعمت البدعة هذه.

এ পদ্ধতিটি উত্তম বিদআতের অন্তর্ভুক্ত।”


অনুরূপভাবে ফিক্বাহ’র বিখ্যাত কিতাব ‘দুররুল মুখতার’-এর ১ম খ- ৩৬২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-

كذالك نقول فى الاذان بين يدى الخطيب فيكون بدعة.

অর্থাৎ- তৃতীয় খলীফা হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উদ্ভাবিত জুমুআর দিনে মসজিদের বাইরে একটি আযান বৃদ্ধি করা ও পূর্বের আযানকে (যা বর্তমানে ছানী আযান নামে পরিচিত) মিম্বরের সম্মুখে, খতীবের সামনে নিয়ে আসার আমলকেও বিদআত তথা বিদআতে হাসানাহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-

ما راه المؤمنون حسن فهو عند الله حسن.

অর্থ: ‘মু’মিনগণ যা ভাল মনে করেন তা আল্লাহ পাক- উনার কাছে ভাল বলেই বিবেচিত।’ (মিশকাত শরীফ)

এখন কথা হলো, আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম ও দুররুল মুখতার কিতাবের মুছান্নিফ কি জানতেন না যে, খুলাফায়ে রাশিদীন বা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের আমলগুলো সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত? অবশ্যই জানতেন। তাহলে উল্লেখিত আমলকে উনারা বিদআত বলে উল্লেখ করলেন কেন? যেহেতু উল্লেখিত আমলগুলো আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে দ্বীনের খাতিরে বা দ্বীনের সাহায্যের জন্য নতুন উদ্ভাবিত কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ সম্মত আমল। তাই লুগাতী বা শাব্দিক অর্থে উক্ত আমলকে বিদআত বা বিদআতে হাসানাহ বলা হয়েছে। হাক্বীক্বীত এগুলোও সুন্নত তথা সুন্নতে ছাহাবা’র অন্তর্ভুক্ত। কেননা হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-

عن العرباض ين سارية رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم عليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين المهدين تمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ.

অর্থ: হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের জন্য আমার সুন্নত ও খুলাফায়ে রাশিদীনগণের উদ্ভাবিত সুন্নতগুলো অবশ্যই পালনীয়। তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আকড়ে ধরে থাক।’ (মিশকাত শরীফ)

অতএব, বিদআত মাত্রই পরিত্যাজ্য বা বর্জর্নীয় নয়। যদি বিদআত মাত্রই পরিত্যাজ্য হয় তবে তারাবীহ নামাযের জামাআত ও জুমুআর আযানকেও পরিত্যাজ্য বা বর্জনীয় বলতে হবে। আর এটা বললে কি ঈমান থাকবে? কস্মিনকালেও ঈমান থাকবে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

মুহাই বলেছেন: +++++চমৎকার ।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

মাটির কথা বলেছেন: যারা বিদআত বলে মুখে ফেনা তোলে, তারা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিদআত বলে না কেন?
মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে ৪০০ হিজরীর দিকে।
তাদের কথা মত সব মাদ্রাসাই বিদআত।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

রুম্মান৯৯ বলেছেন: যারা আল্লাহ ও নবী সাঃকে মানে তারা বিদাত মানেই না যেহেতু নবী তাকে গুমরাহী বলেছেন যে, ''কুল্লু বিদাতিন দালালহ'' অর্থাৎ সকল বিদাতই গুমরাহী।

আর যারা নবীর ওপর আলেমদেরই বেশী দাম দেয়--তারা নবীর হাদিসের বিরুদ্ধে বিদাতের মত হারামকে জায়েজ বানায় এবং নবীর হাদিসের বিরুদ্ধে মনগড়া হিসেবে ভালো বিদাত আর মন্দ বিদাত বলে ইসলামে নতুন বিধান যুক্ত করে।

এর মানে হচ্ছে--তারা আল্লাহ-রসুলের সমকক্ষ শরিয়ত প্রণেতা থচ আল্লাহ দীনকে পূর্ণতা দান করেছেন---আপনাদের জ্ঞান আর ঈমান দেখে আফসোস হয়!!!

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

সোনালীমাঠ বলেছেন: View this link

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

রুম্মান৯৯ বলেছেন: মাটির কথা, বিদাত আর শরিইয়তের ফারাক না বুঝলে আপনার মতোই হাস্যকর দশা হবে সবার-- বিদাত হচ্ছে--ইস্লামের নামে শরিয়তের অংশ বলে নতুন কিছু আল্লাহ-রসুল আর সাহাবীদের বিধানে যুক্ত করা--যেমন--চার রাকাত ফরজের স্থলে ৩/৫ রাকাত পড়া, ফরজের পর দোয়া করা, মিলাদ, মিলাদুন্নবী পালন করা যা নবীএ-সাহারা এভাবে করেন নি এবং করতেও বলেন নি।

কিন্তু নবীর মতো খাদ্য হিসেবে আরবের খেজুর খাওয়াও কি সুন্নত নাকি ফরজ? ভাত খাওয়া, লুঙ্গিপরাও বিদাত নাকি? এখানে শরিয়তের বিষয় নেই বলে এসব সুন্নতও নয় বিদআতও নয়।

বরং হালাল খাবার ফরজ বলে ভাত খেজুর যাই খান হালাল হলেই চলে। জ্ঞানার্জন ফরজ বলে তা মাদ্রাসা-স্কুল-কলেজে যেভাবেই পারেন অর্জন করাই ফরজ। এর সাথে বিদাতের কিছুই নেই---

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

নদীর তীরে বলেছেন: জ্ঞানার্জন ফরজ বলে তা মাদ্রাসা-স্কুল-কলেজে যেভাবেই পারেন অর্জন করাই ফরজ। এর সাথে বিদাতের কিছুই নেই--" ভালো কথা । ইহা হাদিস শরিফের কথা । কোরান শরিফে সরাসরি নাই ।

তাইলে তো আপনার কথামতে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী পালন করাও ফরয যেভাবেই করা হোক , যেহেতু আপনি বলেছেন মাদ্রাসা-স্কুল-কলেজে যেভাবেই পারেন অর্জন করাই ফরজ। কারন এদের কথা তো কোরান শরিফ-হাদিস শরিফে নাই ।

আসলে আপ্নারা বিরোধীতা করতে করতে অন্ধ হয়ে গেছেন তাই আপনাদের মুখ দিয়ে স্ববিরোধী কথা বের হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.