নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল হাওয়া

নদী পাড়ে স্বৃতির পাতা করে আনাগোনা ।

নদীর তীরে

নদী ও বাতাশ , মনে জাগে অপার ভালোলাগা ।

নদীর তীরে › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানুন বাতিল ফিরকার বিভিন্ন দিক - ২

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

কারণ তারা কোন কোন ক্ষেত্রে কূফরীমূলক আক্বীদা পোষণ করে। নিচে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হল :

খারেজী ফিরক্বাহ আক্বীদা :

খারেজী সম্প্রদায়কে খারেজী বলার কারণ হলো তারা(খারেজীরা)হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে খলীফা বলে স্বীকার করেনা। কেননা হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম ও হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা যখন হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও আমর ইবনুল আ’স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদেরকে সালিশ মেনে নিয়েছিলেন, তখন তারা বলেছিল “আমরা মহান আল্লাহ্ পাক উনার ব্যতীত অন্য কারো নির্দেশ মান্য করতে প্রস্তুত নই।” এ কথা বলে তারা উক্ত মজলিস থেকে খারিজ বা বের হয়ে যায়, এ কারণেই তাদেরকে খারেজী বলা হয়। তাদের কুফরী আক্বীদাগুলোর মধ্যে প্রধানগুলো হল :

(১) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা কাফির ও কবীরা গুনাহে গুনাহগার

(২) যারা ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে তারা তাদের(খারেজীদের)বন্ধু।

(৩) যাকে একবার দোযখে নিক্ষেপ করা হবে সে চিরকাল দোযখেই থাকবে।

(৪) একবার মিথ্যা বলে বিনা তওবায় মারা গেলে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।

(৫) মোজা পরিধান করে নামায পড়া ও মোজার উপর মসেহ্ করা হারাম।

(৬) মুতা বা কন্ট্রাক বিবাহ করা জায়িয।

(৭) যে একবার মিথ্যা কথা বলে এবং ছগীরা গুনাহ করে ও এর উপর দৃঢ় থাকে সে মুশরিক।

(৮) পৃথিবীতে কোন ইমাম বা নেতার প্রয়োজন নেই।

(৯) প্রত্যেক কবীরা গুনাহই কুফরী।

(১০) সূরা ইউসূফ কুরআন শরীফের অংশ নয়। পরে তা সংযোজন করা হয়েছে।

শিয়া বা রাফেজী ফিরক্বাহ আক্বীদা :

তারা হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে অনুসরণ করার দাবী করে এবং সকল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের উপরে হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে তাই তাদেরকে শিয়ানে আলী বা শিয়া বলা হয়।

এদের উল্লেখযোগ্য কূফরীমূলক আক্বীদা হল :

(১) হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম, হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম ও হযরত উছমান গণী আলাইহিস সালাম উনারাসহ সকল ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের চেয়ে হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা বেশী।

(২) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর খিলাফতের অধিক হক্বদার ছিলেন হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি। উনাকে খিলাফত না দেয়ায় সকলেই মুরতাদ হয়ে গেছে, ৪ জন ব্যতীত। তারা হলেন, হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, হযরত আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা।

(৩) পৃথিবীর সকল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের চেয়ে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা বেশী।

(৪) হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনিই নবী।

(৫) হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি ভুলে হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার উপর ওহী নাযিল করেননি।

(৬) মহান আল্লাহ্ পাক উনার আকৃতি মানুষের আকৃতির ন্যায়।

মরজিয়্যাহ ফিরক্বাহ আক্বীদা :

(১) একবার কালিমা শরীফ পাঠ করে ঈমান আনার পর হাজার কুফরী-শেরেকী করলেও ঈমান নষ্ট হয়না।

(২) শুধু ঈমান আনলেই হয় আমলের কোন প্রয়োজন নেই।

(৩) ঈমান বাড়েও না কমেও না।

(৪) সাধারণ মানুষ, নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ও ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা সমান।

জাহমিয়াহ ফিরক্বার আক্বীদা :

জাহম ইবনে ছাফওয়ান এ সম্প্রদায়ের নেতা বলে এদেরকে জাহমিয়াহ বলা হয়।

জাহমিয়াহ সম্প্রদায়ের কূফরীমূলক আক্বীদা হল :

(১) মহান আল্লাহ পাক উনাকে জানা ও মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট যা রয়েছে তা সম্পর্কে জ্ঞাত থাকাই ঈমান।

(২) কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার মাখলুক বা সৃষ্টি।

(৩) মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত মূসা আলাইহিস সালাম উনার সাথে বা অন্য করো সাথে কথা বলেননি।

(৪) আরশ-কুরসী, হাশর-নাশর, মীযান-শেষ বিচার বলতে কিছু নেই।

(৫) পরকালে মহান আল্লাহ পাক তিনি কারো দিকে তাকাবেন না, কারো সাথে কথা বলবেন না, কারো সাথে দেখাও দিবেন না।

(৬) কবীরা গুনাহ করলে ফাসিক হয়না।

মু’তাজিলাহ ফিরক্বাহ আক্বীদা :

ইসলামী আক্বীদা থেকে তারা দূরে সরে গেছে বিধায় এদেরকে মু’তাজিলাহ বলা হয়। আবার কেউ কেউ বলেন, তারা একবার কোন এক বিষয়ে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়, তখন হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছিলেন, “আমার থেকে তোমার দূরে সরে যাও।” সেদিন থেকেই তারা মু’তাজিলাহ নামে পরিচিত।

মু’তাজিলাহ সম্প্রদায়ের কূফরীমূলক আক্বীদা হল :

(১) কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার মাখলুক বা সৃষ্টি।

(২) কবীরা গুনাহকারী কাফির।

(৩) মহান আল্লাহ পাক উনার ইলিম, কুদরত, দর্শন, শ্রবণ ইত্যাদি কোন ছিফত বা গুণ নেই।

(৪) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরশে স্থিতিবান।

(৫) অন্যের ভাগ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার হাত নেই।

(৬) বান্দার কাজ মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টি করেন না বরং বান্দাই তার(কাজের)সৃষ্টিকর্তা।

(৭) বান্দা মৃত্যূর নিদিষ্ট সময়ের পূর্বেও মারা যায়।

ক্বদরিয়া ফিরক্বাহ আক্বীদা :

এরা তাকদীর অস্বীকার করে বলে এদেরকে ক্বদরিয়া বলা হয়।

ক্বদরিয়া সম্প্রদায়ের কূফরীমূলক আক্বীদা হল :

(১) বান্দা যে সকল পাপ বা নেক করে তা নিজের ইচ্ছাই করে, এতে মহান আল্লাহ পাক উনার কোন হাত নেই।

(২) যাবতীয় কাজ বান্দার ইচ্ছাধীন এতে মহান আল্লাহ পাক উনার কোন দখল নেই অর্থাৎ তাকদীর বলতে কিছু নেই।

জাবারিয়া ফিরক্বাহ আক্বীদা :

ভাল-মন্দ অর্থাৎ নেক কাজ-পাপ কাজ সবই মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছায় হয় এতে বান্দার কোন ইচ্ছা বা এখতিয়ার নেই। মোট কথা হলঃ নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত, চুরি, যিনা, হত্যা ইত্যাদি সবই মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছায় হয় এতে বান্দার কোন ইচ্ছা নেই।

মুশাব্বিহা ফিরক্বাহ আক্বীদা :

(১)মহান আল্লাহ পাক তিনি জিসম বা দেহ বিশিষ্ট। কারণ কারো অস্তিত্বের জন্য দেহ বা কাঠামোর প্রয়োজন। যার দেহ নেই তার অস্তিত্ব নেই।

(২) মহান আল্লাহ পাক উনার দেহ লম্বা, চওড়া, মোটা ও নুরানী, চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল।

(৩) মহান আল্লাহ পাক তিনি চলমান আবার অনঢ়।

(৪) মহান আল্লাহ পাক উনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে কারো তুলনা হতে পারেনা।



উপরোক্ত আক্বীদাগুলোর মধ্যে মুশাব্বিহা ফিরক্বাহর আক্বীদা- “মহান আল্লাহ পাক তিনি নূর বা আলো এবং উনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিদ্যমান।” এ আক্বীদা রেযাখানী তথা আহমদ রেযা খান বেরেলীর অনুসারীরা পোষণ করায় তারা বাতিল মুশাব্বিহা ফিরক্বাহর অন্তর্ভুক্ত। আর বাকি লা-মাযহাবী, দেওবন্দী, ফারাজি,ওহাবী, সালাফি ইত্যাদি বাতিল





জানুন বাতিল ফিরকার বিভিন্ন দিক -১

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.