![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি সব হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনাদেরই স্বজাতির ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি। যাতে তাদেরকে স্পষ্ট করে বোঝানো যায়।” (পবিত্র সূরা ইব্রাহীম শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-৪)। এ পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা প্রতিভাত হয়, নিজ নিজ জাতির ভাষায় কথা বলাই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাছ সুন্নত মুবারক।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মাতৃভূমিকে মুহব্বত করা পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ।” এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, মাতৃভাষাকে মুহব্বত করাও পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ।
জামাতি দেওবন্দী ওহাবী খারিজী উলামায়ে ‘সূ’ গংয়ের প্ররোচনায় যালিম সম্প্রদায় এদেশের মুসলমানদেরকে সেই পবিত্র সুন্নত মুবারক পালন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো। কাজেই যাঁরা প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন তাঁরা শহীদী দরজা অর্জন করেছেন।
এদেশবাসী মুসলমানের উচিত- ভাষার জন্য যাঁরা প্রকৃতপক্ষে প্রাণ দিয়েছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা, তাঁদের উপকার করার চেষ্টা করা।
আমরা মুসলমান। ইসলাম আমাদের পবিত্র দ্বীন। আর পবিত্র দ্বীন ইসলাম মোতাবেক মৃত্যুর পর প্রত্যেক বান্দা- ‘হয় কবরে আযাবে থাকে’ অথবা ‘সুখে থাকে।’ সেক্ষেত্রে জীবিতরা যদি মৃতের জন্য দোয়া করে ও মাগফিরাত কামনা করে তবে সে দোয়ার উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি কবরের আযাব ক্ষমা করে দেন। আর আযাব না থাকলে তার নিয়ামত আরো বাড়িয়ে দেন। সুবহানাল্লাহ!
মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত- ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে তাঁদের উপকারার্থে তাঁদের জন্য ইস্তিগফার পাঠ করে, মাগফিরাত কামনা করে, পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে তাঁদের জন্য পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে দোয়া করা অর্থাৎ তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া।
‘বায়হাক্বী শরীফ’ কিতাব মুবারক উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খীরা মৃত ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ খতম, দোয়া-ইস্তিগফার ও পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে মৃত ব্যক্তির নামে ছওয়াব রেসানী করে বা বখশায়ে দেয় তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা উক্ত নেকীগুলো মখমলের রুমালে জড়িয়ে মৃত ব্যক্তির নিকট পেশ করেন। মৃত ব্যক্তিরা তা দেখে খুশি হয়।” সুবহনাল্লাহ!
খালি পায়ে চলা, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া, গান-বাজনা করা, বেপর্দা-বেহায়াপনাজনিত অনুষ্ঠান দ্বারা যারা জীবিত তারা কঠিন গুনাহে গুনাহগার হয় । আর যাঁরা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে কবরে আছেন তাঁদের কোনই উপকার হয় না। বরং তাঁরা এসব কাজের জন্য ভীষণ লজ্জিত হন ও কষ্ট পান। কারণ, তাঁরা সবই দেখতে পান। কেবলমাত্র তাঁরা নির্বাক বলেই কিছু বলতে পারেন না।
মুসলমান হিসেবে আমাদের সবারই সেভাবে আমল করা উচিত যেভাবে আমল করলে ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের উপকার হবে। অর্থাৎ ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য দোয়া-ইস্তিগফার, পবিত্র কুরআন শরীফ খতম ও পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া। পাশাপাশি গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার ইসলামী শরীয়ত বিরোধী আমল ও বদ রসম থেকে বিরত থাকা সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫
নদীর তীরে বলেছেন: আপনার কথা ইসলাম স্বিকার করেনা ।
আর মৃত্যুর পর আপনার এসব কথা কোন কাজে আসবেনা ।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: ইসলাম কি স্বীকার করে তা একজন দেশদ্রোহী ও মানবতা বিরোধী ব্যাক্তর নিকট নিশ্চই শিখতে হবে না। নিশ্চই না।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: 'পুজা' আর 'শ্রদ্ধা' দুটি মানসিক আবেগকে এক করা বিজ্ঞান সম্মত নয়? এছাড়াও যতদুর জানি রাসুল (সাঃ) নিজে কাবা সংস্কারের সময় একটা ঐতিহ্যবাহী মুর্তিকে সংরক্ষন করে ছিলেন। মিশরের স্ফিংক্স-এর মুর্তিকেও ভেঙে ফেলা হয়নি মুসলিম সাম্রাজ্যের আমলে। এছাড়াও হাজার প্রমাণ রয়েছে যা সংরক্ষিত ছিল এবং আছে। যার প্রেক্ষিতে বাঙালির শ্রদ্ধা জানানোর ঐতিহ্যকে অনৈস্লামিক বলা যায় না।
ধার্মিক মনটাই হলো ধর্ম পালনের বড় অংশ, কিন্তু মনের মধ্যে শিরক রেখে জীবনভর ইবাদত করেও ধার্মিক হওয়া যায় না। আর রয়েছে অন্ধত্ব, বিচার বিবেচনা হীন ফতোয়াও ধার্মিকের কাজ নয়।
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত মীর মোশাররফ হোসেনের 'বিষাদ সিন্ধু'কে কারবালার ইতিহাস হিসেবে তথাকথিত আলেম সমাজ বর্ণনা করেন। করে চলছেন, বিভিন্ন ওয়াজ মহাফিলে তা সারারাত ধরে বর্ণনা করেন। সেখানে কি ইসলাম বিভ্রান্ত হচ্ছে না? না কি সে সবের বিরুদ্ধে কথা বললে ধর্ম ব্যবসা নষ্ট হবে?
আজ যারা এই দেশের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য বিরোধী কথা বলে তারা নিঃসন্ধেহে এদেশের সার্বভৌমত্বের বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত।