![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ কেউ উৎফুল্ল আবার হয়তো কেউবা বিষন্ন। কারন আজ এমন এক ব্যক্তির দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তাকে বাংলার মানুষ দুভাবে চিনে।
কেউ চিনেন তাকে রাজাকার হিসেবে...
আবার কেউ জানেন তাকে একজন ওয়ায়িজ হিসেবে...
দুটি চরিত্রের বৈপরীত্র সাধারন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে। আর এ থেকে ফায়দা ষোলআনা ফায়দা লুটতে চায় আমাদের রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতারা।
কিন্তু আমরা জানি, ইবলিশের কথা; যে কিনা তারেইলমি চতুরতার বলে একসময় ছিল ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের উস্তাদ। কিন্তু সময় তাকে তার অপবিত্রতা প্রকাশ করে তার কুৎসিত রূপকে প্রকাশ করেছে।
ঠিক একইভাবে বালআম বিন বাউরা নামক দরবেশের কথাও জানি। যার কথা পবিত্র কুরআন শরীফে আছে, যাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কুকুরের সাথে তুলনা করেছেন। সেও একসময় ছিলো মুস্তাজাবুদ দাওয়াত’ মাক্বামের দরবেশ। অর্থাৎ যার দোয়া অবশ্যই কবুল হতো। কিন্তু বালআমের অন্তরের অন্ত:স্থলে থাকা অপবিত্রতা লোভের বশবর্তী হয়ে প্রকাশ হয়ে গিয়েছিলো। যা তাকেও উলামায়ে ‘সু’র স্তরে নিয়ে গিয়েছে।
ঠিক একইভাবে ইবলিশের মত যুগে যুগে অনেক অনেক উলামায়ে সু’ ধর্ম ব্যবসায়ীরা এসেছে, অনেক গোমরাহীমুলক কাজ করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে; মানুষের ঈমানকে নষ্ট করেছে। মোঘল সম্রাট আকবরের আমলের মোল্লা মুবারক নাগোরী, ফৈজী তারাও একই প্রবাহে সৃষ্টি করেছে দ্বীনে ইলাহীর মত বিভ্রান্ত পথ।
আর বর্তমান সময়েও একইভাবে দুইটি বিপরীত চরিত্রের মিশ্রন দেখতে পাই আমাদের আলোচ্য কথিত মুফাসসিরে কুরআন’ উপাধি ধারনকারী সাঈদীর ক্ষেত্রেও।
যে কিনা ৭১ সালে ছিলো ৩০ বছরের নওজোয়ান। জীবনযুদ্ধে এই সময়টাই একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের চুড়ান্ত সময়।
আর এই সময়েই এই সাঈদী তার চরিত্রের সমস্ত কলুষতা, নাপাকীকে উগড়ে দিয়েছে। যার ফলে সম্ভ্রম হরণ, লুটপাট এমনকি খুন করতেও তার বাজেনি। পাকিস্তানি জুলুমবাজ বাহিনীর সহায়তা তার নাপাকীকে দিয়েছে উন্মত্ততা।
সময়ের বিবর্তনে এই সম্ভ্রমহরণকারী, খুনীই হয়ে গেলো মুফাসসিরে কুরআন!
কিন্তু আমরা যদি সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে দেখি তার মুফাসসিরে কুরআন হওয়ার যোগ্যতা কি, এবং সে কতটুকু পবিত্র কুরআন শরীফ উনার যথার্থ তাফসীর করতো?
সকলেই জানেন, এই সাইদী রাজনৈতিক দল হিসেবে জড়িত ছিলো মওদুদীবাদি জামায়াতে ইসলামী নামক আরেকটি ধর্মব্যবসায়ী দলের সাথে।
আর এই মওদুদীবাদি জামাতের ওহাবী মার্কা আকীদা যেমন- ছাহাবীগণ সত্যের মাপকাঠি নন, নবী রসুল গুনাহ করেছেন, বৃহত্তর স্বার্থে হারামকে হালাল(নাউযুবিল্লাহ)- ইত্যাদি কুফরী আকিদার দায়ভার কি সাইদি এড়াতে পারবে?
এছাড়া রাজনৈতিক কারনে হোক আর ব্যক্তিগত কারনেই হোক সে বহুবার প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে বেপর্দা মহিলাদের সাথে দেখা সাক্ষাত ও মিটিং করেছে। একজন হক্বানি আলেমের পক্ষে কি কখনো প্রকাশ্যে কুরআন শরীফ উনার পর্দার আদেশ এভাবে লঙ্ঘন করা সম্ভব?
এছাড়াও তার ওয়াজে সে যেভাবে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ, কদমবুছী, শবে বরাত ইত্যাদি সম্মানিত বিষয়ের বিষেদগার করেছে, এটা শুনলে যে কোনো ঈমানদার মুসলমানেরই গা শিউরে উঠবে।
সম্প্রতি তার চারিত্রিক বিষয় নিয়ে যে কলঙ্কিত অডিও প্রকাশ হয়েছে, যার কারনে তাকে মেশিনম্যানও বলা হচ্ছে...এই অডিও প্রকাশনা কেউ মিথ্যাও প্রমাণ করতে পারে নি। এটা কি কোন আলেমের চরিত্র হতে পারে?
এরকম আরো ভুরি ভুরি অপকর্ম প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে জনমানুষের জানা আছে.......তাহলে আমরা কি এই কথাই আজ বলবোনা- আজ কোন আলেমের নয় এক উলামায়ে ‘সু’র দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে.....ফাসির রায় দেয়া হয়েছে।
আমরা শীঘ্রই এমন এক নিকৃষ্ট কুকুরের প্রকাশ্য ফাসি কার্যকর দেখতে চাই......
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০
খইকাঁটা বলেছেন: এছাড়াও তার ওয়াজে সে যেভাবে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ, কদমবুছী, শবে বরাত ইত্যাদি সম্মানিত বিষয়ের বিষেদগার করেছে, এটা শুনলে যে কোনো ঈমানদার মুসলমানেরই গা শিউরে উঠবে
............................................................
আপনি যদি মুসলমান হতেন তাহলে নিশ্চয়ই কুরআন পড়তেন, তখন আপনিও ঐ বিষয়গুলি নিয়ে একই কথা বলতেন। মুসলমানদের নিতান্তই নিজস্ব বিষয়ে আপনাদের নাক গলানোটা উচিত হবে না। আমরা কি আপনাদের ধর্ম নিয়ে কিছু বলি, বলেন?