নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল হাওয়া

নদী পাড়ে স্বৃতির পাতা করে আনাগোনা ।

নদীর তীরে

নদী ও বাতাশ , মনে জাগে অপার ভালোলাগা ।

নদীর তীরে › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা জানেইনা হরতাল একটি ইসলাম বহির্ভুত কাজ তারা কখনোই ইসলামী দল হতে পারেনা ।

০২ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

আমাদের দেশে যে হরতাল করা হয়, তা শরীয়ত সম্মত নয়। এ হরতাল নাজায়েয, । ইসলামী দল বা অনৈসলামী দল অর্থাৎ যে কোন দলই হোক না কেন, তারা যদি গণতন্ত্রের নামেই হোক আর ইসলামের নামেই হোক, হরতাল আহ্বান করে, তা শরীয়ত সম্মত হবে না। হরতাল গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিক্ষোভ প্রকাশের একটি প্রক্রিয়া বিশেষ।

হরতাল শব্দের অর্থ বিশৃঙ্খলা, অত্যাচার, স্বেচ্ছাচার, অবাধ্যতা, অরাজকতা, প্রতিবন্ধকতা, প্রতিরোধ ইত্যাদি।

হরতালের ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিক্ষোভ প্রকাশের জন্য যানবাহন, হাটবাজার, দোকানপাট, আফিস-আদালত ইত্যাদি বন্ধ করা।

হরতাল গুজরাটি শব্দ। ‘হর’ অর্থ প্রত্যেক। ‘তাল’ অর্থ তালা। অর্থাৎ প্রতি দরজায় তালা।

মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রাচীনকাল হতেই দাবী আদায়ের কৌশল হিসেবে নানা প্রকার পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। যেমন- আমেরিকার ফিলাডেলফিয়াতে ১৭৮৬ সালে ছাপাখানার কর্মচারীরা, জার্মানে ১৯২০ সালে রাজনৈতিক কারণে, বৃটেনে ১৯২৬ সালে কয়লা শ্রমিকরা, এছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকার নানা স্থানে বিভিন্ন গোষ্ঠি তাদের দাবী আদায় করার জন্য যে কৌশল অবলম্বন করেছিল, তার নাম দেওয়া হয়েছে স্ট্রাইক।



ভারত উপমহাদেশে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, বৃটিশদের রাউলাট আইন বাতিল করার জন্য, তার প্রতিবাদে যে পদ্ধতি অবলম্বন করে, তার নাম দেয়া হয় হরতাল। এই হরতাল পালিত হওয়ার কথা ছিল ১৯১৮ সালের ৩০শে মার্চ। পরে এই তারিখ পিছিয়ে ৬ই এপ্রিল করা হয়। ফলে কোন স্থানে ৩০শে মার্চ আবার কোন স্থানে ৬ই এপ্রিল সর্ব প্রথম হরতাল পালিত হয়।

বলাবাহুল্য হরতাল গুজরাটি শব্দ। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী সে দাবী আদায়ের পদ্ধতির নামকরণ করে হরতাল।

মূলতঃ স্ট্রাইক শব্দের প্রবর্তক হলো- ইহুদী-নাছারা। আর হরতাল শব্দের প্রবর্তক হলো- মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।

জন-জীবনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টিঃ



হরতাল হারাম হওয়ার আর একটি কারণ হলো- এতে মানুষের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যহত করে, জনজীবনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। আল্লাহ পাক বলেন,

ولا تفسدوا فى الارض.

“তোমরা জমীনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করোনা।”

আল্লাহ পাক আরো বলেন,

الفتنة اشد من القتل.

“ফিৎনা-ফাসাদ কতলের চেয়েও খারাপ।”

হরতালের ফলে যারা দিন-মজুর, রোজ কামাই করে রোজ খায়, তাদের কষ্ট হয়। বরং কষ্টে দিনাতিপাত করে, রোগীদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে যায়। অথচ হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

ايذاء المسلم كفر

“কোন মুসলমানকে কষ্ট দেয়া কুফরী।”

হরতাল এক ধরণের জুলুম, যা শুধু ব্যক্তি পর্যায়েই নয় বরং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও হয়।

আল্লাহ পাক বলেন, “আল্লাহ্ পাক জালিমদেরকে পছন্দ করেন না।” (সূরা আল্ ইমরান/৫৭)



এ পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ পাক অন্যত্র বলেন, “তোমরা অত্যাচার করোনা এবং অত্যাচারিত হইওয়া।” (সূরা আল ইমরান্/১৪০)

যে সমস্ত জালিমরা গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ়, তাদের প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন, “আর আল্লাহ পাক জালিমদেরকে হিদায়াত দেন না।” (সূরা আল ইমরান্/৮৬)

অর্থাৎ যে সমস্ত জালিম সম্প্রদায় তাদের জুলুমের মধ্যে দৃঢ় থাকে, তারা কখনো আল্লাহ পাক-এর হিদায়েত লাভ করতে পারবে না।

মূলতঃ হরতাল আর জুলুম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কাজেই যেখানে হরতাল হবে, সেখানেই জুলুম হবে। জুলুম ব্যতীত কোন হরতাল সংঘটিত হতে পারে না। আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযুরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীস শরীফে জুলুম করতে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করেছেন। অতএব, হরতাল করা জায়েয নেই।



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

দুখ বিলাসি বলেছেন: আপনার ব্লগিং ইসলাম সম্মত!

০২ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

নদীর তীরে বলেছেন: প্রত্যেকটা বিষয়ের মাসয়ালা যে আলাদা তা কি জানেন না ? আমি দলিল দিয়ে প্রমান করছি ইহা হারাম । আপনি প্রমান করুন জায়িয ।

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২০

এ জাফর বলেছেন: ব্লগিং করতে ইসলাম লাগে না। ইসলাম লাগে অন্যদের কর্মকান্ডের বিরুদ্বে ফতোয়া দিতে। লেখকের নামটি মনে রাখতেছি। যদি কখনো ফতোয়ার দরকার পরে!

০২ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

নদীর তীরে বলেছেন: সব কিছুতেই ইসলাম উনার সমাধান রয়েছে। শরিয়ত উনার বাইরে কিছু করার কোন সু্যোগ নাই ।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: এ জাফর বলেছেন: ব্লগিং করতে ইসলাম লাগে না। ইসলাম লাগে অন্যদের কর্মকান্ডের বিরুদ্বে ফতোয়া দিতে। লেখকের নামটি মনে রাখতেছি। যদি কখনো ফতোয়ার দরকার পরে! =p~ =p~ =p~

০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

নদীর তীরে বলেছেন: সব কিছুতেই ইসলাম উনার সমাধান রয়েছে। শরিয়ত উনার বাইরে কিছু করার কোন সু্যোগ নাই ।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

এ জাফর বলেছেন: লেখকের পড়াশুনার ব্যাকগ্রাউন্ড জানলে বুঝতাম উনি কতো বড় ফতোয়াবাজ!

০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

নদীর তীরে বলেছেন: সব কিছুতেই ইসলাম উনার সমাধান রয়েছে। শরিয়ত উনার বাইরে কিছু করার কোন সু্যোগ নাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.