নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল হাওয়া

নদী পাড়ে স্বৃতির পাতা করে আনাগোনা ।

নদীর তীরে

নদী ও বাতাশ , মনে জাগে অপার ভালোলাগা ।

নদীর তীরে › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এদেশে অতি আগ্রহী কেন?

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫০

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে ‘ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ বা বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (১৯৭১-২০১০)’ শীর্ষক রিপোর্টে দেখা যায়, বিদেশি বিনিয়োগ যা হয়েছে তার চেয়ে ১০ গুণ লাভ তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু সেই অনুপাতে বাংলাদেশে বিদেশি কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বাড়েনি।

গত ১০ বছরে চলে গেছে ৩৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ৪৮০ কোটি ডলার। এ দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুনাফার সম্পূর্ণটাই বিদেশে নিয়ে যায়। অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীর মুনাফা সম্পূর্ণ বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নজির এই উপমহাদেশে আর কোথাও নেই।

এ দেশে বিনিয়োগকারীদের ৭ ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে মুনাফার টাকা নিজ দেশে নিয়ে যাওয়া, সস্তা শ্রম, শ্রমিকের মজুরি ছাড়াও অন্যান্য সুবিধায় ছাড় দেয়া, কর অবকাশসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা। তাই গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং অবকাঠামো সমস্যার কথা জেনেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসছে। প্রতি বছর মুনাফার অঙ্ক বাড়ার পরও বাণিজ্য ও সেবা খাতের বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ দেশে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে না। উল্টো দিকে সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নানা সুবিধা দিয়েই চলেছে।

এক হিসাবে দেখা যায়, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিদেশি বেনিয়ারা তাদের বিনিয়োগের ১০ গুণ অর্থ নিয়ে চলে গেছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা বলে আমাদের হাজার শিল্প ধ্বংস করেছে। পক্ষান্তরে বিদেশি বেনিয়াদের এ দেশে এসে ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

মুনাফা অর্জনের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বিদেশি মোবাইল ফোন, ব্যাংক কোম্পানি, লিজিং, বীমা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পেট্রোলিয়াম এবং টেক্সটাইল ও বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারা। মোবাইল কোম্পানিগুলো ভিওআইপির অবৈধ ব্যবহার করে অনেকবার অর্থদ- দিয়েছে। বিদেশি ব্যাংকগুলোর অতি মুনাফা করার প্রবণতা সবার জানা। এ ছাড়াও অন্য কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আছে নানা অভিযোগ। তার পরও সরকার এদের ব্যাপারে তেমন সতর্ক নয়। এতে দেশের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না।

বিনিয়োগ বোর্ডের দেয়া তথ্যে জানা যায়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সব সময় বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্যে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা জোর গলায় প্রচার করলেও দুর্বল বিনিয়োগ নীতির কারণে তারা কোটি কোটি ডলার মুনাফা ঠিকই করতে পারছে।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ হলে মুনাফার ৫০ শতাংশ সরকার রেখে দেয় এবং বাকি ৫০ ভাগ বিনিয়োগকারী তার দেশে নিয়ে যেতে পারে। তবে মুনাফার ৫০ শতাংশ ভারত সরকার রেখে দেয় মানে ওই ৫০ ভাগ বিনিয়োগকারীকে ভারতেই পুনর্বিনিয়োগ বা খরচ করতে হয়, কোনোভাবেই ভারতের বাইরে নেয়া যায় না। কিন্তু বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের শতভাগ, এমনকি তারও বেশি পরিমাণ মুনাফা বৈধপথেই নিজ নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারে। গ্রামীণফোনের টেলিনর সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলার এনেছিল। এরপর তাদের বিদেশ থেকে আর একটি ডলারও আনতে হয়নি। অথচ এখন বাংলাদেশে তাদের সম্পদের আর্থিক মূল্য ৩৬০ কোটি ডলারকেও ছাড়িয়ে গেছে।

দুটো কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসে। প্রথম কারণ হচ্ছে, এখানকার সস্তা শ্রম। দ্বিতীয়টি কর অবকাশসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা। তাদের মুনাফার মূল উৎসও এ দুটি ইস্যু। তাই গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো সমস্যার কথা জেনেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসছে।

চীনে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি মাসিক ২০০ ইউএস ডলার। ভারতে তা প্রায় ১০০ ডলার। আর বাংলাদেশে মাত্র ৪৫ ডলার। এ সুবিধা বেশি করে কাজে লাগাচ্ছে রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) কারখানাগুলো।

কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নানা সুবিধা পেলেও দেশি বিনিয়োগকারীরা হচ্ছেন বৈষম্যের শিকার।

তারা গ্যাস-বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। জ্বালানি খরচ ঊর্ধ্বমুখী। তাদের পদে পদে কর আর ভ্যাট। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন লাভ। যা মোটা অঙ্কের ঘুষ ব্যতীত কখনও মেলেনা। এসব কারণে দেশীয় বিনিয়োগকারীরা মার খাচ্ছেন। অথচ সরকার তাদের কোনো উৎসাহ দিচ্ছেনা। কিন্তু সরকারের উচিত ছিল বিদেশী বিনিয়োগকারীদের এত অবাধ সুযোগ দানের পরিবর্তে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা প্রদানসহ উল্টো প্রণোদনা দেয়া। তাহলে দেশের টাকা দেশেই থাকতো। বিদেশীরা লুটে নিয়ে যেতে পারতো না।

আর শুধু বিদেশি বিনিয়োগ দিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। প্রবাসী বাঙালিরাও যেন বিনিয়োগে আগ্রহী হয়, সে বিষয়টিও সরকারকে নজর দিতে হবে।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৩

শামস্‌ মো: জিয়াউল হক বলেছেন: সব চেয়ে আসল কথা হলো, আমাদের দেশে লেবার এর দাম সব চাইতে কম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৪

শামস্‌ মো: জিয়াউল হক বলেছেন: সব চেয়ে আসল কথা হলো, আমাদের দেশে লেবার এর দাম সব চাইতে কম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৪

শামস্‌ মো: জিয়াউল হক বলেছেন: সব চেয়ে আসল কথা হলো, আমাদের দেশে লেবার এর দাম সব চাইতে কম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১০

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
শেয়ার সংখ্যা ৫১-৪৯ করেতে পারে সরকার

তার পরে - লাভের একটা পার্সেন্টেজ ইনভেস্টমেন্ট ও উন্নয়ন কাজে ব্যায় করতে হবে - তা ছাড়া শেয়ার ছাড়া উচিত বাজারে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.