![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যদি মুসলমান দাবি করি, তা কী রাষ্ট্রযন্ত্রের দৃষ্টিতে অপরাধ?
আমি যদি মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা বা বান্দি দাবি করে বন্দেগী করি; তবে কী তা রাষ্ট্রযন্ত্রের দৃষ্টিতে অপরাধ?
আমি যদি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত দাবি করে সুন্নত পালন করি; তবে তা কী রাষ্ট্রযন্ত্রের দৃষ্টিতে অপরাধ?
আমি কী পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আমল করতে পারবো না?
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আমল করতে গেলে কী রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাধা দিবে?
আমি কী পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার আমল করতে পারবো না?
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে যা করতে নিষেধ করা হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র কী তা পালন করতে আমাকে বাধ্য করবে?
রাষ্ট্রযন্ত্র কী তা পারে?
রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিচালনা নীতি হচ্ছে সংবিধান।
আর সংবিধানের ৪১(১)(ক) ধারায় বর্ণিত হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে।
যদি তাই হয়ে থাকে, তবে মুসলমান হিসেবে আমার পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশের এবং পালনের পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
কিন্তু আমি মুসলমান হলাম কী করে? পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের পরিপূর্ণভাবে পালন করলেই তবে আমি মুসলমান।
যদি বেপর্দা হই; তাহলে কী আমার দ্বারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন হবে?
আমি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের আমল করেছি- একথা কী বলা যাবে? আমি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে পালন করেছি- সে কথা কী বলা যাবে?
আর আমি যদি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে পালন না করি, তাহলে আমাকে কী মুসলমান বলা যাবে?
আর আমাকে যদি পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরোধী আমল করতে রাষ্ট্রযন্ত্র বাধ্য করে, তাহলে রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে মুসলমান থাকতে সহায়তা করেছে- একথা কী বলা যাবে?
রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের অধিকার দিয়েছে- একথা কী বলা যাবে?
রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে আমার ধর্ম পালনের সুযোগ দিয়েছে- একথা কী বলা যাবে?
রাষ্ট্রযন্ত্র আমার ধর্মীয় অধিকার দিয়েছে- সে কথা কী বলা যাবে?
রাষ্ট্রযন্ত্র সংবিধানের ৪১(১) ধারা পালন করেছে- সে কথা কী বলা যাবে?
©somewhere in net ltd.