নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল হাওয়া

নদী পাড়ে স্বৃতির পাতা করে আনাগোনা ।

নদীর তীরে

নদী ও বাতাশ , মনে জাগে অপার ভালোলাগা ।

নদীর তীরে › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা এপ্রিল তথা এপ্রিল ফুলঃ মুসলমানদের একটি মর্মান্তিক ইতিহাস

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩২

"এপ্রিল ফুল" বাক্যটা মূলত ইংরেজী। অর্থ এপ্রিলের বোকা। এপ্রিল ফুল ইতিহাসের এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। প্রতি বছর পহেলা এপ্রিল এলেই একে অপরকে বোকা বানানো এবং নিজেকে চালাক প্রতিপন্ন করার জন্য এক শ্রেণীর লোকদের বিশেষভাবে তৎপর হয়ে উঠতে দেখা যায়। বলা বাহুল্য যে, তারা অপরকে বোকা বানিয়ে নিজেরা আনন্দ উপভোগ করে থাকে। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই যে, সরল প্রাণ মুসলমানগণ ধোকা-বাজির করুণ শিকারে উপনীত হয়েছিল একদিন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ মুসলিম জাতির এক শ্রেণীর লোকেরা সে ইতিহাস ভুলে গিয়ে এপ্রিলের দিনটিকে স্বাচ্ছন্দে অংশ গ্রহণ করছেন এবং প্রচুর কৌতুক ও রসিকতা উপভোগ করছেন।



৭১১ উমাইয়া শাসনামলে বীর মুজাহিদ তারিক বিন জিয়াদ মুসলিম নৌবহর ভূমধ্য সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে ঘোষণা দিয়ে ছিলেন যে, হে মুসলিম বাহিনী! আপনাদের সামনে শত্রুসেনা এবং পিছনে ভূমধ্য সাগরের উত্তাল তরঙ্গ মালা, আপনারা কি ভূমধ্য সাগরে ডুবে নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করতে চান? নাকি অত্যাচারী স্পেনীয় শাসক রডরিকের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জিহাদ করে ইসলাম উনার বিজয় নিশান স্পেনের বুকে উড়াতে চান। যদি তাই হয় তাহলে সামনে অগ্রসর হোন। এই রক্তস্তব্দ বক্তব্যের পর মুসলমানগণ মহান প্রজ্ঞাময় মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক এ রডরিকের রণসম্ভারে সুসজ্জিত বিশাল বাহিনীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন এবং স্পেন জয় করেছিলেন। গড়ে উঠেছিল গ্রানাডার কর্ডোভায় ৮০০ বছরের আলোড়ন সৃষ্টিকারী সভ্যতা।

কিন্তু মুসলিম শাসকরা যখন কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনার কথা একেবারে ভুলে গিয়ে জন-সাধারণের সুখ-শান্তির মূলে পদাঘাত করে ভোগ বিলাসে মত্ত হয় তখন তারা হারিয়ে ফেলে ইসলামী চেতনা। তাদের এই দুর্বলতার সুযোগে খৃস্টান নৃপাতরা চারিদিকে মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে সুসংগঠিত হতে থাকে এবং ঘোষণা করে যে পিরোনিজ পর্বতমালা অতিক্রমকারী দুধর্ষ মুসলিম বাহিনীকে যদি হটানো না যায়, তাহলে আগামী দিনগুলোতে ইউরোপের সকল গীর্জা থেকে মুসলমানদের আজান ধ্বনি শোনা যাবে। এই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পর্তুগীজ রাণী ইসাবেলা পার্শ্ববর্তী রাজ্যের খৃস্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ডের সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং উভয় নেতৃত্ব দেয় খৃস্টান বাহিনীর।

একের পর এক স্পেনের অধিকাংশ এলাকা খৃস্টানদের দখলে চলে যায়। মুসলিম বাহিনী তখন উপায়ন্তর না পেয়ে আশ্রয় নেয় রাজধানী গ্রানাডায়। অবশেষে ফার্ডিন্যান্ড বাহিনীও গ্রানাডার দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছে যায়। মুসলিম বাহিনী তখন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় ফার্ডিন্যান্ড ঘোষণা করে যে, "মুসলমানগণ যদি শহরের প্রবেশ দ্বার উম্মুক্ত করে দিয়ে এবং নিরস্ত্র অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করে, তবে তাদেরকে বিনা রক্তপাতে মুক্ত করা হবে"।

অসহায় মুসলমানগণ মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ভরসা করার কথা ভুলে গিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে যুদ্ধ বন্ধ করে দেয়, এবং তাদের কথা অনুযায়ী মসজিদে আশ্রয় নেয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস কুখ্যাত ফার্ডিন্যান্ড মসজিদের চারপার্শ্বে আগুন লাগিয়ে নৃশংসভাবে হাজার হাজার নিরপরাধ মুসলমানদেরকে হত্যার মাধ্যমে বিশ্বাস ঘাতকতার পরিচয় দেয় এবং রক্তে রঞ্জিত করে গ্রানাডার রাজপথ এবং তাদেরকে জোরপূর্বক খৃস্টান বানায়। যে দিন এ সব নির্মম নৃশংসতা কর্মকান্ড করে ছিল, সে দিন ছিল "১লা এপ্রিল ১৪৯২ সাল"।

ফার্ডিন্যান্ড সে দিন আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে ছিল "হায় মুসলমান! এপ্রিল ফুল, তোমরা এপ্রিলের বোকা।" স্পেনীয়দের দ্বারা মুসলমানদের বোকা বানানোর এই নিষ্ঠুর বিশ্বাসঘাতকতা বা শঠতা স্মরণীয় রাখার জন্য খৃস্টান জগৎ প্রতি বছর ১লা এপ্রিল খেলে থাকে রসিকতার খেলা, যে খেলা আমাদের কাছে বড় করুণের বড় বেদনার।



ইতিহাসের হৃদয়বিদারক ঘটনা ভুলে না গেলে এপ্রিল ফুল কোনো মুসলিমকে আনন্দ দান করতে পারে না। এখন আমরা কি পহেলা এপ্রিল হাসি-আনন্দের সাথে "এপ্রিল ফুল ডে" উদযাপন করব, নাকি ইউরোপের বুকে অসহায় মুসলিম নারী-পুরুষ, শিশুদের নৃশংস হত্যাকান্ডের স্মরণে দুঃখ অনুভব করব, মুসলিম ভাই-বোনেরা ভেবে দেখবেন কি?



প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, ইসলামী দৃষ্টিকোণে সবচেয়ে ঘৃণিত হচ্ছে হাসি-মসকরাচ্ছলে মিথ্যা বলা। অনেকে ধারণা করে যে হাসি-রসিকতায় মিথ্যা বলা বৈধ। আর এ থেকেই বিশ্ব ধোঁকা দিবস বা এপ্রিল ফুলের জন্ম। এটা ভুল ধারণা, ইসলাম ধর্মে এর কোন ভিত্তি নেই । রসিকতা কিংবা স্বাভাবিক অবস্থায় মিথ্যা সর্বাবস্থায় হারাম। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "আমি রসিকতা করি ঠিক, তবে সত্য ব্যতীত কখনো মিথ্যা বলি না"। (তাবরানী ১২/৩৯১)

আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, ছাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা একদা বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহু! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তো আমাদের সঙ্গে রসিকতা করেন। তিনি বললেন, আমি সত্য ভিন্ন কিছু বলি না। (তিরমিযী শরীফ)।

পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, ‘এপ্রিল ফুল ডে’ উদযাপন তথা একে অন্যকে বোকা বানিয়ে, মিথ্যা বলে আনন্দ লাভ করার প্রচেষ্টা ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শের পরিপন্থী। সুতরাং এ থেকে আমাদের বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক আমাদের তাওফিক দান করুন-আমীন!



মুল

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৪

মুচি বলেছেন: আমরা এপ্রিল ফুল-কে বর্জন করি, ঘৃণা করি।

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪১

নদীর তীরে বলেছেন: আমরা এপ্রিল ফুল-কে বর্জন করি, ঘৃণা করি

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৭

আমি বন্য বলেছেন: এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেন।। হতে পারে এটা মিথ্যা, তাই বলে কি মানুষ্কে বোকা বানানো ভালো ।। কক্ষনো না ।। আসুন আমরা এই মিথ্যাচার থেকে বেরিয়ে আসি , এপ্রিল ফুল পরিত্যাগ করি

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২২

অপু তানভীর বলেছেন: জনাব আপনার কথা ঠিক আছে কিন্তু সেই সাথে বলতে হচ্ছে আপনার ইতিহাস জানায় ভুল আছে । ফার্ডিন্যান্ড এর গ্রানাডার বিজয়ের সাথে এপ্রিল ফুলের কোন সম্পর্ক নাই । এপ্রিল ফুলের প্রচলন তারও আগে থেকে ।
আর একটা কথা বলি ফার্ডিন্যান্ড গ্রানাডা বিজয় করেছিল ১৪৯২ সালের দুই জানুয়ারি, পহেলা এপ্রিল না । আমার কথা বিশ্বাস না হলে Joseph F. O'Callaghan এর "A History of Medieval Spain" বইটা পড়ে দেখতে পারেন । অথবা আই. এল প্লাঙ্কেটের Isabel Of castile দেখতে পারেন । তাছাড়া এ্যানসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা তো আছেই ।
অরিজিন অব এপ্রিল ফুল লিখে নেটেও সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন । আশা করি আপনার ভুল ভাঙ্গবে ।

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৫

নদীর তীরে বলেছেন: ভাই , ওদের লিখা কি কখনো এইসকল সত্য স্বীকার করবে ? করবেনা ।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ভাই আপনার এই মর্মান্তিক কাহিনীর জবাব আছে এইখানে

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৪

নদীর তীরে বলেছেন: অদের লিখা কাহানী ঠিক আর আমরা ভুল ?
কাফিরেরা যা কয় তা আপনাদের বিশ্বাস হয় কিন্তু আফসোস আমাদের হয়না ।!!!

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৭

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: পাগল ছাগল দিয়া দেশ ভর্তি। যেইখানে যা আবর্জনা পায়, সব বিনা দ্বিধায় বিশ্বাস কইরা প্রচার করে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪২

নদীর তীরে বলেছেন: কাফিরের কথা বিশ্বাস করেন আর আমরা কেউ কইলে মিথ্যা ? আপনাদের মানষিকতা কবে পরিবর্তন হইবে ?

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৬

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: musolmani kora musolman niye kotha bola muskil.

eshar namaj kto rakat janena kintu hadis jhare seiram...

tobe april ful er itihas mormantik ble shunsi.
sotto mittha Allah jane.

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৬

মেংগো পিপোল বলেছেন: কেনো এমন একটি দিন হতে পারেনা যে দিনটিতে কেউ কাউকে ঠকাবেনা, কেউ মিথ্যা বলবেনা, ছলনা করবেনা, এরকম একটা দিন বানানো কি খুবই কষ্টের?
View this link

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৩

স্বপ্নখুঁজি বলেছেন: আপনার বক্তব্যের উৎস গুলো একটু জানান।অপু তানভীর যেমন টা দিয়েছেন।বর্তমানে উৎস ছাড়া তো চলে না।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:১৮

আসরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফালতু কথা বলার যায়গা পান না ? আপনি পালন করবেন না তো কইরেন না । কিন্তু ভুল ইতিহাস শেয়ার করেন কেন ?
এপ্রিল ফুলের সাথে মুসলমান পুড়ানোর কুনো সম্পর্ক নাই । আপনার লিখা যে সঠিক তার প্রমান কিভাবে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.