নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুড়ির মত উড়ে শঙ্খচিল, আকাশ ভেঙে যায় আমি ভাঙিনা বালিশ ঘুমে বেসামাল পতঙ্গরা প্রশ্ন রাখেনা

আকাশের অনেক রং

ঘুড়ির মত উড়ে শঙ্খচিল, আকাশ ভেঙে যায় আমি ভাঙিনা বালিশ ঘুমে বেসামাল পতঙ্গরা প্রশ্ন রাখেনা

আকাশের অনেক রং › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রজন্ম ৭১ এর কিছু গুরুত্বপুর্ন তথ্য

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিজেদের

নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ চার কৌশল

নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত-শিবির।

নিষিদ্ধ হওয়া ঠেকাতে সর্বোচ্চ

চেষ্টা চালানোর

পরিকল্পনা আছে তাদের। আবার নিষিদ্ধ

হয়ে গেলে করণীয়টাও এখনই ঠিক

করে রাখছে তারা। বিশেষ

সূত্রে জানা গেছে, দলের একটা টিম

বহির্বিশ্বের

কয়েকটি দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দল

নিষিদ্ধ হয়ে গেলে নতুন

নামে আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্র প্রস্তুতের

পরিকল্পনা করছে তারা।

সম্প্রতি মিসরে সাধারণ

নির্বাচনে ব্রাদারহুডের

বিজয়কে তারা এমন কৌশলেরই বিজয়

মনে করছে। দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকার

পর ভিন্ন নামে ব্রাদারহুডের

আত্মপ্রকাশ ও

বিজয় জামায়াত-শিবিরের মধ্যে নতুন

শক্তির সঞ্চার করেছে। তবে দল

যাতে নিষিদ্ধ না হয় তার জন্য বিশেষ

পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা।

প্রাধান্য পাচ্ছে চারটি কৌশল।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

গুজব-আতঙ্ক-রটনা

জামাতের প্রধান কৌশল এখন গুজব-আতঙ্ক

ছড়ানো, আর নানা ধরনের

রটনা চালানো।

এর মধ্য দিয়ে তারা জনগণকে সরকারের

ওপর ক্ষেপিয়ে তুলতে চায়।

আওয়ামী সরকারের ওপর জনগণের

আস্থা নষ্ট করতে চায় তারা। এই সরকার

জনগণের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম না,

এটা প্রমাণ করে তারা আবার

আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার

চিন্তা মানুষের মাথা থেকে দূর

করাতে চাচ্ছে। সরকার সমর্থক-পুলিশ

দফায় দফায় আক্রান্ত হলে মানুষ

আওয়ামী লীগকে আবার ম্যান্ডেট

দিয়ে এই

সহিংসতার মেয়াদ

বাড়াতে চাইবে না বলে মনে করে জামাতে

র কর্তাব্যক্তিরা। এছাড়া পুলিশের ওপর

হামলার আদলে আওয়ামী-বামদের ওপর

চোরাগোপ্তা ও প্রকাশ্য হামলার

পরিকল্পনাও করছে তারা।

সরকারের

পক্ষে যারা কথা বলছে তাদের

মনোবল ভেঙে দিতে গুজব রটানোর

কাজেও

লোক নিয়োগ

দিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী এই

সংগঠনটি। ধর্মীয় নানা ইস্যুতে গুজব

রটানো, এবং দেশে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য

যে কোনো সময় বড় ধরণের সহিংসতার

জন্ম

দিতে পারে তারা,

গোয়েন্দারা এমনটাই

ধারণা করছেন। পাশাপাশি এসব

প্রোপাগান্ডার মধ্য দিয়ে নিজেদের

মনোবল চাঙা রাখার কৌশলও

কাজে লাগাচ্ছে জামাত-শিবির।

ঢাকাভিত্তিক তৎপরতা

শিবিরের কেন্দ্র এখন ঢাকা।

দেশব্যাপী নিজেদের সামর্থ্যের

প্রমাণ দিতে রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র

হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা।

নানা কর্মসূচী ঘিরে ঢাকাভিত্তিক

তৎপরতা শুরু করেছে শিবির। বিভিন্ন

জেলা থেকে কর্মীদের

জড়ো করা হচ্ছে ঢাকা শহরে।

গ্রেপ্তারের ভয়ে সম্প্রতি পুলিশ

অ্যাকশনে থাকা দেশের বিভিন্ন

অঞ্চলের

শিবির কর্মীরাও ঢাকায়।

আগে থেকে অবস্থান

নেয়া নেতাকর্মীদের

তত্ত্বাবধানে তাদের শেল্টারিং হচ্ছে।

একেবারে অপরিচিত

মুখগুলোকে পাঠানো হচ্ছে শাহবাগ ও

অন্যান্য এলাকার জনসমাবেশের খোঁজ-

খবর

আনার জন্য। আগে থেকে চিহ্নিত

মুখগুলো তৎপরতা চালাচ্ছে আড়াল থেকে।

তারা নিচ্ছে মিশনের বিশেষ অংশের

দায়িত্ব। ২০১০ সালের ৮

ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছা

ত্রলীগ কর্মী ফারুককে খুন

করে ম্যানহোলের

মধ্যে ফেলে রাখে শিবিরকর্মীরা। ওই

ঘটনায় দুই সহস্রাধিক

নেতাকর্মীকে আসামি করে শিবিরের

বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দায়ের হয়।

মামলা এবং হামলার ভয়ে শিবিরের

প্রায়

চার শতাধিক নেতাকর্মী শিক্ষা জীবন

শেষ না করেই ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য

হয়

তখন। এদের অধিকাংশই তখন ঢাকায়

চলে আসে। এরাই এখন অন্য

শিবিরকর্মীদের শেল্টার দিচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশ

থেকে শিবিরের দুই হাজারেরপ

বেশি কর্মী ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছে।

এদের অনেকেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত।

আর এই প্রশিক্ষণ টিমের দেখভাল

করছে শিবিরের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের

ক্যাডারভিত্তিক নেতৃত্ব। আশির দশকের

যে সব শিবির ক্যাডার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতৃত্ব

দিয়েছে তারাই এখন ঢাকায় শিবিরের

বিশেষ টিমের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, শিবিরের

ঢাকা মহানগরে ১০টি সদস্য

শাখা রয়েছে। ঢাকাকে পূর্ব, পশ্চিম,

উত্তর, দক্ষিণ, চারটি ভাগে ভাগ

করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ

বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল

কলেজের নেতারাই এসব শাখায়

অধিকাংশ

সময় দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বিরোধীদের মনে ভয় এবং নিজেদের

মধ্যকার সাহস যোগাতে শিবির

রাজধানীতে একটা কার্যকর

তৎপরতা দেখাতে চাচ্ছে বলে ধারণা করা

হচ্ছে।

নেতৃত্ব পুনর্গঠন

নতুন করে নেতৃত্ব তৈরি করে জোশ

বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জামাত-

শিবির। পুরনো নেতারা অনেকেই

গ্রেপ্তার। পাশাপাশি দলের আভ্যন্তরীণ

নানা বিতর্কে নেতৃত্ব পর্যায়ে অনেকেই

নিষ্ক্রিয়। পাশাপাশি ভয়েও

সরে গেছেন

কেউ কেউ। এ অবস্থায় নতুন নেতৃত্ব

টেনে এনে আন্দোলন চাঙা করার

পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। নতুন

করে দলে পদ পাবে যারা,

তারা বেশি কাজ করবে ও

ঝুঁকি নিবে বলে মনে করছে হাইকমান্ড।

অধিকতর সাহসী এবং চৌকস

নেতারা যারা শিবিরের কেন্দ্রীয়

কমিটিতে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন

করেছে তারাই এখন জামায়াতের

কেন্দ্রীয়

কমিটিতে বিশেষভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে।

শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিদের

মধ্যে রফিকুল ইসলাম খান, নুরুল ইসলাম

বুলবুল, মতিউর রহমান আকন্দ, ড. শফিকুল

ইসলাম মাসুদ, সেলিম উদ্দিন, ড.

রেজাউল

করিম, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ডাঃ সৈয়দ

আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, এহসানুল হক

জুবায়ের, অধ্যাপক তাসনীম আলম,

হামিদুর রহমান আজাদসহ অনেকেই

জামায়াতের

শীর্ষ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখিত ১১ জন নেতার মধ্যে ৬ জনই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক

সভাপতি। পরবর্তীতে সবাই কেন্দ্রের

সভাপতি নির্বাচিত হন। গত দুই

দশকে শিবিরের কেন্দ্রীয়

কমিটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শাখা একছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে।

কারণ এই নেতৃত্ব একই সাথে অনেক লোক

নিয়ন্ত্রণের অভিজ্ঞতা এবং সশস্ত্র

ট্রেনিংধারী। এদের হাতে দলের

নেতৃত্ব

দিলে যে কোনো বৈরি পরিস্থিতি মোকাবে

লা করা যাবে, এই বিবেচনাই প্রাধান্য

পাচ্ছে।

বিএনপিকে ব্যবহার

জামাতের অন্যতম প্রধান কৌশল এখন

বিএনপিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা।

এর পাশাপাশি বাম-আওয়ামী ঐক্যেও

ফাটল

ধরাতে চায় তারা। অসমর্থিত

একটি সূত্রে জানা যায়, এজন্য

এনজিওদের

মাধ্যমে কিছু তৎপরতাও শুরু

করেছে দলটি।

জামাত হাইকমান্ড মনে করে, তাদের

অস্তিত্বের সঙ্কটকে যদি বিএনপির

অস্তিত্বের সঙ্কটে পরিণত করা যায়

তাহলে এই তুফান পাড়ি দিতে বেশি বেগ

পেতে হবে না। এজন্য বিএনপির

মধ্যেকার

একটা অংশকে বিপুল অর্থের

বিনিময়ে কিনে ফেলেছে তারা। আর

অন্যান্য ধর্মীয় দলগুলোকে টাকা দিয়ে,

ভুল বুঝিয়ে, নানা ধরণের লোভ

দেখিয়ে দলে টানছে তারা।

নাস্তিকতার

ইস্যুকে সামনে এনে ইতোমধ্যে এ

কাজে অনেকটা এগিয়ে গেছে তারা।

পাশাপাশি বেশ কিছু এনজিওর

মাধ্যমে বাম বলয়ের উত্থানকে বড়

করে দেখিয়ে আওয়ামী লীগকে চিন্তায়

ফেলার একটা নীল নকশা করা হয়েছে।

বামশক্তির উত্থান আওয়ামী লীগও

কোনোভাবে বরদাস্ত

করবে না বলে জামায়াত-শিবিরের

বিশ্লেষণ। এজন্য জামাতের

অর্থায়নে নাগরিক প্রতিনিধিদের

একটি টিম বাম ও আওয়ামী নেতাদের

কাউকে কাউকে অর্থের

বিনিময়ে নীতিভ্রষ্ট করা ও এ ধরণের

হঠকারি সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত

করছে। জামাত-শিবির

তথা পাকিস্তানের

প্রেতাত্মারা এখন তাদের

কৌশলগুলো নিয়ে অনেকটা আত্মতুষ্টির

মধ্যে আছে। নাস্তিকতার ইস্যু ব্যবহার

করে চিরশত্রু অনেক

ইসলামী দলকে পাশে পেয়েছে তারা।

পুলিশকে মোকাবেলা করার সামর্থ্য

নিয়েও তারা সন্তুষ্ট। শুনানি শেষ

হওয়ার

পরেও সাঈদীর রায় ঘোষণা না করার

বিষয়টিকে তারা কাদের মোল্লার

রায়ের

মতোই আপাত দৃষ্টিতে বিজয়

হিসেবে মূল্যায়ন করছে। আটক নেতাদের

মুক্তির দাবিতে বড় ধরণের

হাঙ্গামা তৈরি করতেও প্রস্তুত তারা।

মাঠে টিকে থাকতে সব ধরণের অস্ত্র

প্রয়োগ করবে তারা। এখন স্বাধীনতার

স্বপক্ষের শক্তির ভূমিকার ওপর নির্ভর

করছে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের ভবিষ্যত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

পথহারা সৈকত বলেছেন: |-)

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০

সাইফ হাসনাত বলেছেন: গান কেমন লাগলো ? জানায়েন ...

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০

সাইফ হাসনাত বলেছেন: গান কেমন লাগলো ? জানায়েন ...

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

আকাশের অনেক রং বলেছেন: বুকের ভিতর আগুন যেন আরো বেড়ে গেলো...
গানটা শুনার পর এখন আগুন যেন সত্যিই আমার শিরায় শিরায়, চোখে মুখে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.