নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুড়ির মত উড়ে শঙ্খচিল, আকাশ ভেঙে যায় আমি ভাঙিনা বালিশ ঘুমে বেসামাল পতঙ্গরা প্রশ্ন রাখেনা

আকাশের অনেক রং

ঘুড়ির মত উড়ে শঙ্খচিল, আকাশ ভেঙে যায় আমি ভাঙিনা বালিশ ঘুমে বেসামাল পতঙ্গরা প্রশ্ন রাখেনা

আকাশের অনেক রং › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুজবে কান দিবেন না, চোখ কান খোলা রাখুন, বুঝেশুনে খবর প্রকাশ করুন...

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আমি একজন স্বাস্থ্য কর্মি, আজ আমাদের

ওয়ার্ডে ভিটামিন এ ক্যাম্পাইন এর

দায়িত্ব ছিল আমার এক সহকর্মী বড়

আপার । হরতালের

কারনে তিনি চট্টগ্রাম শহর

থেকে আসতে পারবেন না তাই

আমাকে ফোন করে অনুরুধ করলেন

যাতে ক্যাম্পাইন টা আমি করি,

যদিও আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

এ কর্মরত । বাচ্চাদের এই রকম

ভিটামিন খাওয়ানোর আমার আগে থেকেই

উত্সাহ ছিল আর চিন্তা করলাম অফিসেও

যেতে হবেনা বাসার পাশেই কাজ করব ।

যথারিতী সকালে ভিটামিন এ আর

কৃমিনাশক ট্যাবলেট নিয়ে গেলাম

কর্মস্থলে । খবু ভাল লাগলো এবং সুন্দর

ভাবেই আমার কাজ করতে ছিলাম । প্রায়

আমার এলাকার সব বাচ্চাকে ভিটামিন

এ খাওয়ানো শেষ । কৃমিনাশক

ট্যাবলেটে যেহেতু একটু

পার্শপ্রতিকৃয়া ছিল তাই আমি যথেষ্ট

সর্তকতার সাথে খাওয়াই । তখন মনে হয়

১২:১০ পিএম ! হঠাত্ একজন ফোন

দিয়ে বলে নোয়াখালির

দিকে নাকি পলিও খেয়ে কয়

একটি বাচ্চা মারা গেছে, আমি মোটেও

বিচলিত না হয়ে তাকে বুঝাবার

চেষ্টা করলাম এবং বললাম এটা গুজব

ছাড়া আর কিছু নয় । এক শ্রেনির অসাদু

লোক এই সব গুজব ছড়ায় ।

কিছুদিন আগে পাকিস্তানে পোলিও

টিকা কর্মসূচি চলাকালে দেশটির

উগ্রপন্থী বন্দুকধারীদের গুলিতেপ্রাণ

হারায় ৬ টিকাদানকর্মী।

ফলশ্রুতিতে দেশটিতে টিকাদান

কর্মসূচী বন্ধ করে দেয় জাতিসংঘ।

ডব্লিওএইচও-র রিপোর্টে প্রকাশ

পাকিস্তানে ৩৫ লাখ শিশু এখন পোলিও

ঝুঁকিতে।

ঠিক একই কায়দায়

বাংলাদেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল

কর্মসূচি বন্ধ করতে ছড়ানো হচ্ছে গুজব।

ফেইসবুকের কিছু

পেইজ বিষয়টি নিয়ে এতোটাই

প্রচারণা চালাচ্ছে যাতে সহজেই

বোঝা যায় এই গুজব প্রি-প্লেনড।

বাস্তবে এ ধরনের কিছুই ঘটেনি।

আমাদের এলাকার সাধারন মানুষের

তথ্যমতে কেউইবলতে পারছে না কোথায়

শিশু অসুস্থহয়েছে, কেউ

শুনেছে নোয়াখালিতে মারেগেছে আর

নোয়াখালির মানুষ শুনেছে চট্টগ্রামে।

তবে সবাই শিশুদের

নিয়ে ভীড় করছে হাসপাতালে।

আমি যেহেতু একজন স্বাস্থ্য কর্মি তাই

ভাল করেই জানি যে, ভিটামিন এ

ক্যাপসুল এর সাথে যে কৃমিনাশক

ওষুধটি খাওয়ানো হয়েছে সেটি ভরা পেটে তা না খাওয়ালে শিশুদের

বমি বা ঘুমের ভাব আসতে পারে। যেসব

শিশুর পূর্ব থেকে পেটখারাপ

থাকে বা খালি পেটে যেসব শিশুদের

কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে তাদের

একটু বমি বা পাতলা পায়খানার

সমস্যা হতে পারে। এছাড়া কৃমির ওষুধ

খাওয়ানোর পর অতিরিক্ত গরমের

কারনে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।

তবে এসব উপসর্গ খুবই সাধারণ সমস্যা।

এতে ভীত না হয়ে শিশুটিকে শুধু মাত্র

ওরস্যালাইন অথবা ঠান্ডা পানি

খাওয়ালেই দ্রুত সেরে উঠবে শিশু।

তাই সবাইকে অনুরুধ করবো খবর

প্রকাশের আগে একটু সত্য টা জেনে করুন

না হয় আপনার একটু ভুলের জন্যই

টিকাদান কর্মসূচী বন্দ

করেদিবে জাতিসঃঘ, আর তখন পোলিও

ঝুঁকিতে থাকবে আপনার আমাদেরই

সন্তানেরা ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১১

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আিম আমার েমেয়েক খােয়িছ ও ভাল আেছ ।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৪

নাহোল বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার পোস্টটা স্টিকি পোস্টে কমেন্টাকারে দিলে ভালো হতো।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৫

আকাশের অনেক রং বলেছেন: ইনশাআল্লাহ ভাল থাকবে,
স্নেহ রইলো আপনার মেয়ের জন্য...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.