নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উল্কা!

নক্ষত্রচারী

আমার নক্ষত্র হচ্ছে আমার মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরন । প্রায়ই এসব নক্ষত্র জুড়ে যার অবাধ বিচরন । বিচরনকালীন এক পর্যায়ে অতীতগুলোকে মনে হয় দূরের কোনো নক্ষত্রপুঞ্জ; উল্কাবেগে ধাববান সময়ের বালুঘড়ি প্রতিনিয়ত পেছনে ঠেলে দিচ্ছে যাকে । সময়ের অতল গহ্বরে একসময় হারিয়ে যাবে সেই নক্ষত্রপুঞ্জের মিট মিটে আলো ।

নক্ষত্রচারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দক্ষিণের জানালা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৭



সুকৌশলী তীরন্দাজের মত নিজের লক্ষ্যকে ইচ্ছার দ্বারপ্রান্তে গেঁথে ফেলতে চেয়েছিলেন আদনান সাহেব । কতটুকু পেরেছেন তা বুঝা যায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, নতুন মডেলের প্রিমো এবং নিজেদের বস্ত্রকারখানা দেখলে । রোজকার মত যখন নিজের ভারী দেহটাকে টেনে ছয়তলার এক কোণে ফেলেন তখন পরিতৃপ্তির হাঁসিতে সম্প্রসারিত হয় মুখমণ্ডল । আহ কি শান্তি ! অন্তত এই জায়গাতে আমিই বস, আপন মনে ভাবেন তিনি ।

পরিশ্রান্ত দেহ যখন ক্লান্তির প্রয়াসে আশ্রয় খুঁজতে থাকে । তখন আর জায়গা না পেয়ে নিজের বিশাল সুইভেল চেয়ারে সুখনিদ্রা যান তিনি । একটু পর নাসিকা গ্রন্থ পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে না পারায় শ্বাস প্রশ্বাসের গতি প্রখর হয়ে ওঠে এবং তারা সশব্দে নিজস্ব পদ্ধতিতে যাতায়াত করতে থাকে । আদনান সাহেবের ঘুম ভাঙ্গে দিবাস্বপ্নে । টেলিফোন বাজতে থাকে । টেলিফোন তোলে নিশ্চুপ শুনে যান । তারপর ওয়াশ রুমে গিয়ে নিজেকে তরতাজা করেন । কিছু ফরেন ডেলিগেট আসার কথা আজকে । বাসায় ফোন করে জানালেন লাঞ্চে দেরি হবে ।



আদনান সাহেবের ছোট শ্যালিকা পিংকি এবার ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে । কোচিং এবং এডমিশন টেস্ট বাবদ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বোনের বাসায় টেম্পোরারি গেস্ট বনে যাওয়া । আর বোনের মেয়েটাকে একটু আধটু হেল্প করা ।



ওদের দ্বিতীয় কোন সন্তান নেই । এ নিয়ে প্রায়ই বাগবিতণ্ডা, একে অন্যের অক্ষমতা জাহির করা ; এগুলো ওরা যতই ধামাচাপা দিতে চায় লাভ হয়না । পিংকি বেচারির শ্রবণসীমার চারপাশে বীরদর্পে বিচরণ করে শব্দগুলো । যৌবনের পিচ্ছিল সিঁড়িতে পা টিপে টিপে সাবধানে চলে সে । দুয়েকবার হোঁচট যে খায়নি তা নয় তারপরও নিজেকে সামলে নিয়েছে । প্রতিরাতেই সে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হয় । দাম্পত্য জীবনের কোলাহল ওর কাছে এসে স্বেচ্ছায় কানাকানি করে । নিশিতে সে অনুধাবন করে দম্পতিদ্বয় জেগে আছে । একটু পর পর ভেসে আসা যৌনজীবনের উত্তেজিত কামুক শব্দযুগল উত্তাল যৌবনে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে । । সিমির কোণার রুম থেকে এসব শোনাই যায় না । কারণ ওর রুমের জানালা দেয়ালের অন্যদিকে আর পিংকির রুমের জানালাটা ওদের জানালার একই সারিতে । কতবার যে জানালা বন্ধ করতে গিয়ে হাত গুটিয়ে নিয়েছে সে; থাক না চলুক সেসব অনর্থক কথোপকথন । নিঃশব্দ রাত্রির একাকীত্বতা দূরীভূত করতে সেসবকে আঁকড়ে ধরে পিংকি ।



সিমি পিংকি খেতে আয়; আদনান সাহেবের স্ত্রী সেলিনা পারভিন ডিনারে এভাবেই ওদের ডাকেন সবসময় । আহারাদির পর্ব শেষ হলে আদনান সাহেব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ওদের সাম্প্রতিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হোন ।

আহারে! বোনটা আমার শরমে ঠিকমত খাইতে পারে না, সেলিনা বিলাপ করতে থাকে । এই তুমি ওর সামনে কখনো বসবা না, দেখনা ও কেমন লজ্জা পায় ।

-কইসে তোমারে ! আমি তো নতুন বেয়াই যে দেখলেই লজ্জা লাগে । জিজ্ঞ্যাস করে দেখো তোমার বোনেরে ।

আচ্ছা ঠিকাছে । জিজ্ঞাস করার দরকার নাই । আমরা খাওয়ার পর ওকে ডাকলেই চলবে, সেলিনা বলতে থাকে ।



যথাসময়ে সবাই খেতে বসেছে কিন্তু পিংকি আসে নি ।

পিংকি কই? আদনান সাহেব জিজ্ঞাস করেন ।

-খাবার সময় হয় নি এখনো । তোমাকে আগে দিয়ে দিচ্ছি ।

কি যে শুরু করছ তোমরা । ডাকো তোমার বোন আর মেয়েকে । এই পিংকি সিমি খেতে আয়, বলে নিজেই ডাকা শুরু করলেন । এরপর থেকে সেলিনা হয়ে যায় শুধু খাবারের আয়োজক, আর ডাকাডাকির দায়িত্বটা স্বেচ্ছায় নিয়ে নেন আদনান সাহেব ।



ব্যাতিক্রম কিছু একটা ঘটেছে কিন্তু ধরতে পারছে না পিংকি । শুধু জানে আদনান সাহেব ডাক দিয়েছেন । কিন্তু এর বাইরেও কিছু একটা আছে । ওর সিক্সথ সেন্স বলে দিচ্ছে সেটা ।



আদনান সাহেবের মেয়ে সিমি পড়ে স্কলাস্টিকায় । যাতায়াতের দায়িত্বে থাকে সেলিনা । সেক্ষেত্রে শনিবার আদনান সাহেব বাসাই থাকেন । পিংকি কোচিং এ যায় বারোটার পরে । শনিবার দিনটা একটু আরাম করেন তিনি । ঘুম থেকে ওঠেন দশটারও পরে । টেবিলে নাস্তা দেওয়াই থাকে । কাজের বুয়া এগারোটায় বিদায় হয় । তবে আজকে আধা ঘন্টা আগেই চলে গেছে ।

আদনান সাহেব টেবিলে বসে নাস্তা করেন আর পত্রিকায় চোখ বুলান । বিরক্ত হয়ে শব্দ করে চায়ের কাপ নামিয়ে রাখেন । কিসের এক গোপন অভিসন্ধিতে ইতিউতি তাকান আশেপাশে । তারপর চোখ পড়ে পিংকির রুমের দিকে ।

মেয়েটা নেই ! আবার তাকান সিমির রুমের দিকে, সেখানেও নেই !!

গেলো কোথায় তাহলে? বাথরুমের দরজাগুলোও খোলা । আদনান সাহেব ফোন করলেন সেলিনার কাছে, উত্তেজিত কন্ঠে জিজ্ঞ্যাস করলেন ওর কথা । লাভ হলো না কোনো । মেয়েটা পালিয়ে গেছে । কিন্তু কেন? ভাবেন তিনি । চোখমুখ লাল হয়ে ওঠে তাঁর; মাইয়া তো সেয়ানা হইয়া গেছে ।



যুবতী মেয়েদের সিক্সথ সেন্স খুবই প্রবল থাকে বলা যায় । পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে তারা নিজেকে মেটোমরফসিস করতে পারে । না পারলে স্থান বদল করে । পিংকির কথাই ধরা যাক তাহলে ...

আদনান সাহেব লক্ষ্য করতেন যখনই তিনি আড় চোখে দুয়েকবার মেয়েটার বাড়ন্ত সম্পদের দিকে দৃষ্টিলেহন করতেন, মেয়েটা ঠিকই নিজেকে প্রতিরোধ করে ফেলত । খাদ্যের বদলে তাঁর দৃষ্টি চলে যেত দৈহিক স্থানগুলোতে । নিজেকে সামলাতে তখন খুব হিমশিম খেতে হত তাঁকে । আবার না দেখতে পারলে নিজেরও খাওয়া হজম হতোনা । আড়ালে আবডালে দুয়েকবার চোখটিপ কিংবা ইশারা দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন কিন্তু মেয়েটা বুঝেও না বুঝার ভান করতো ।



পিংকির ইন্টেলেকচুয়াল ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই, সবকিছু সে লজিকের দাঁড়িপাল্লায় পরিমাপ করতে পছন্দ করত । আদনান সাহেবের অভিব্যাক্তির দরুন সে যতটুকু যা ই বুঝতে পেরেছে তার চেয়েও বেশি বুঝেছে খাবার টেবিলে সম্ভাষণের ধরন দেখে ।

মানুষের অতি সাধারণ একটি প্রবণতা হচ্ছে, প্রিয় মানুষ কিংবা পছন্দের কাউকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া । কাউকে যদি জিজ্ঞ্যাস করা হয়, মিলি লিলি দুজনের ভেতর কে বেশি সুন্দরী ; তাহলে নিশ্চয় তাকে একটু হলেও ভাবতে হবে । চিন্তাধারা হবে ব্যাক্তিক নয় বরং নামগত ।

এক্ষেত্রে পিংকি কোনো চিন্তা না করেই বলে দিতে পারবে মিলি বেশি সুন্দরী । কারণ সুন্দরীদের সবাই পছন্দ করে এবং দুজনের মধ্যে অপেক্ষাকৃত যে বেশি সুন্দরী তার নামটাই আগে জুড়ে দেয় সবাই । দেখা যায় দু জন স্টুডেন্ট রনি জনি । এখন টিচার যদি দুজন কে একসাথে এভাবে ডাকেন জনি রনি; তাহলে বুঝতে হবে যে রনির চেয়ে জনি বেশি মেধাবী কিংবা স্যার জনিকেই বেশি পছন্দ করেন ।



সেলিনা এতদিন ওদের খাবার টেবিলে ডাকতেন সিমি পিংকি বলে । এতেই পিংকি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো । কিন্তু যেদিন আদনান সাহেব ওদের ডাকলেন পিংকি সিমি বলে সেদিনই ওর মনে ব্যাপারটি খুঁত খুঁত করতে থাকে । তৎক্ষণাৎ বুঝতে না পারলেও সে পরে বুঝতে পারে । যে কোন সময়ই একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । পুরুষদের বিশ্বাস নেই, এ জাতীয় মনোভাব পোষণ করে সে সম্ভাব্য দিনটিও বের করে ফেলতে সক্ষম হয় ।



পিংকি বাসায় ফিরে দুপুরের পরে যখন সিমির স্কুল থেকে ফেরার সময় হয় । আসতে না আসতেই আদনান সাহেব আর সেলিনার কাছে ওকে জবাবদিহিতা করতে হয় ।



না বলে কোথায় গেছিলি? সেলিনা জিজ্ঞাস করে ।

-কোচিং এ । নির্লিপ্ত জবাব ওর ।

কোচিং না দুপুরে হয়? এবার আদনান সাহেব জিজ্ঞাস করেন ।

-শিফট করে নিয়েছি ।

হঠাৎ শিফট করার এত দরকার পড়ল কেন? ধমকে ওঠেন তিনি । সেলিনা কেমন একটা বুনো দৃষ্টিতে তাকায় স্বামীর দিকে ।

সেলিনা বলেন, তুমি ওকে ধমক দিচ্ছ কেন?

-কই ধমক দিলাম । জিজ্ঞ্যাস করলাম মাত্র ।

এই তুই রুমে যা । পিংকি চলে যায় ।



গভীর রাত্রে পিংকি কান না পাতলেও শুনতে পায় উত্তেজিত কথাবার্তা চলছে স্বামী স্ত্রীর মাঝে । ওকে জড়িয়ে তির্যক বাক্যগুলো কান দিয়ে প্রবেশ করে সীসা ঢেলে দেয় মগজে । অনেক দিন পর আজ সে সকল দ্বিধাগ্রস্থতা ঝেড়ে ফেলে জানালার দিকে হাত বাড়ায় । আস্তে করে দক্ষিণা জানালাটা বন্ধ করে দেয় এবং শব্দগুলো চাপা পড়ে যায় তাতে । তবুও মনের ভেতর খচখচ করে শব্দশলাকা নিঃশব্দে অনপনেয় কারুকাজ খুঁচিয়ে যায় ।



-------------





মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪২

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: সুন্দর!

নর্মাল বিষয়কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন, পড়তে বেশ লেগেছে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৭

নক্ষত্রচারী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ :)

শুভকামনা রইলো ।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৭

আরজু পনি বলেছেন:

জীবনের কি ভয়ংকর স্বাভাবিক বাস্তবতা!!!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩০

নক্ষত্রচারী বলেছেন: স্বাভাবিক বাস্তবতার অস্বাভাবিক ফলাফল ।

ভালো থাকা হোক আপু ।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১২

নোমান নমি বলেছেন: উপস্থাপনটা অনেক ভালো ছিল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৩

নক্ষত্রচারী বলেছেন: চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে । বাকিটা আপনাদের পারসেপশন ।

ধন্যবাদ অনেক নমি ভাই ।
ভালো থাকবেন আশা করি :)

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪

শহিদুল ইসলাম বলেছেন: এইভাবে অনেক মেয়ে প্রতিনিয়ত নিজেদের আত্নীয় দ্বারাই টিজ হয়ে আসছে ।

এর থেকে আমাদের সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে ।

সাবলীল গল্প , গল্পের মত গল্প । পিংকির মত এভাবে যেন আর কেউ টিজড না হয় ।

অনেক ভালো লাগল নক্ষত্রচারী ভাই !

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৯

নক্ষত্রচারী বলেছেন: সেটাই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি গল্পে ।
রিয়েলিস্টিক থিমে কমন জিনিসটাকে রিপ্রেজেন্ট করতে চেয়েছি ।

আপনার কামনাই যেন হয় সবার কাম্য B-)

ভালো থাকবেন ।।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: পিংকির চরিত্র চিত্রায়ন এবং গল্পের প্রেজেন্টেশন ভালো হয়েছে। এখন দরকার একটা রিভাইজ টাইপোগুলো ঠিক করার জন্যে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৯

নক্ষত্রচারী বলেছেন: লেখক বলেছেন: :)

আসলে গল্পটার মূল থিম হচ্ছে সমস্যাগুলো ফুটিয়ে তোলা। ব্যাখ্যাগুলো একটু লজিকাল প্যাটার্নে দাঁড়া করাবার চেষ্টা বলতে পারেন ।

সুন্দর ও সুস্থতা কামনা করি সর্বক্ষণ ।
ভালো থাকবেন ।।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৮

মুনসী১৬১২ বলেছেন: উপস্থাপনা আর শব্দ বর্ণনায় কাহিনী অন্য মাত্রা পেয়েছে

++++++++++++++++++++++++++++

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১১

নক্ষত্রচারী বলেছেন: লেখক বলেছেন: অসংখ্য প্লাসের বিপরীতে অজস্র ধন্যবাদ ।
ভালো থাকা হোক মুনসী :)

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৪

প্রিন্সর বলেছেন: রিয়েলিস্টিক ।

আসলেই এটি বাংলাদেশের একটি উচ্চবিত্ত ম্যানিয়া । ইভ টিজিং !

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১২

নক্ষত্রচারী বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইভ টিজিং না বলে Sexual harassment বলাই শ্রেয় । ইভ টিজিং কোন উচ্চবিত্ত ম্যানিয়া নয় ।

শুভকামনা প্রিন্সর ।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪

অনাহূত বলেছেন:

সবার মত করে আমিও বলব - চমৎকার উপস্থাপন। এ জন্যই গল্পটা পড়তে বেশ ভাল লেগেছে। গল্পের বিষয়টা কমন কিন্তু আপনার গল্প বলার ধরনটা ইউনিক :) অনেক ভাললাগা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৩

নক্ষত্রচারী বলেছেন: লেখক বলেছেন: এ ধরনের কমন থিম নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের । অবশেষে লিখে ফেললাম যা মনে এসেছে তা ই :)

মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন অনাহূত ।।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫০

রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প লিখেছেন। গল্প প্রকাশের ধরণটা ভাল লাগলো।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৪

নক্ষত্রচারী বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাতুল ভাই
ভালো লাগা নিয়ে ভালো থাকুন ।

শুভকামনা ।।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪০

সায়েম মুন বলেছেন: এমন একটা কমন বিষয় অথচ আপনার উপস্থাপনা গুনে লেখাটা শেষ পর্যন্ত পড়তে বাধ্য হলাম।

এইবার টাইপোগুলা ঠিকঠাক করেন। #:-S

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৯

নক্ষত্রচারী বলেছেন: লেখক বলেছেন: কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানাই

হাসান ভাইও একই কথা বলল :||
একটু হিন্টস দিয়ে দিলে ভালো হতো ।

শুভরাত্রি ।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০০

সায়েম মুন বলেছেন:
ধারপ্রান্তে >দ্বারপ্রান্তে
নসিকা>নাসিকা
শোনে যান>শুনে যান
জিজ্ঞ্যাস > জিজ্ঞাস
ব্যাতক্রম>ব্যতিক্রম
----আপাতত এই কয়টা টাইপো চোখে পড়েছে। :P

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:০৯

নক্ষত্রচারী বলেছেন: OMG কেনো যে এগুলা চোখে পড়লো না :(

এখনই ঠিক করে নিচ্ছি ।

কৃতজ্ঞ সায়েম ভাই ।
আশা করি ভবিষ্যতেও আপনার সহায়তা পাবো
ভালো থাকবেন :)

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৬

ভিয়েনাস বলেছেন: বাস্তবতাকে সুন্দর ভাবে তুলে এনেছেন......

ভালো লাগলো

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১১

নক্ষত্রচারী বলেছেন: যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি ......
ভালো থাকা হউক ভিয়েনাস
শুভকামনা সবসময় :)

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২১

নীলঞ্জন বলেছেন: দারুণ পোস্টে+++++++++++

খুব ভালো লাগলো ভাই।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১০

নক্ষত্রচারী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এত্তগুলা প্লাসের জন্য ।
ভালো থাকবেন নীলঞ্জন ।
শুভকামনা :)

১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৫

তুষার কাব্য বলেছেন: পিংকির মত এভাবে যেন আর কেউ টিজড না হয় ।

অনেক ভালো লাগল নক্ষত্রচারী ভাই !

পোস্টে++++

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১০

নক্ষত্রচারী বলেছেন: এটাই যেন বর্তমান যুবপ্রজন্মের মূলমন্ত্র হয় ।

অনেক ধন্যবাদ তুষার কাব্য
ভালো থাকার প্রত্যাশা করি :)

১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫১

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন:

পুরোটা মন দিয়ে পড়লাম , হুম বাস্তবতা --- এমনই , মেয়েদের প্রতিটা মুহূর্ত ই সতর্ক
থাকা প্রয়োজন নিজের ভালোর জন্য ------ পোষ্টে ভালো লাগা

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১৮

নক্ষত্রচারী বলেছেন: সতর্ক থাকতে হবে এবং রুখতে হবে দৃঢ়তার সহিত ।

ভালো ও সুস্থ থাকার শুভকামনা :)

১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৮

বাঘ মামা বলেছেন: বাস্তবতার নিরিখে অন্যরকম উপস্থাপনা।


পিংকিদের এমন সিক্স সেন্স চালু করণে অনেক অনাকাংক্ষিত আগ্রাসন থেকে বাঁচার উপায় আব্ষ্কার পর আদনানদের জীব ছোট করে দিতে সক্ষম হয়।

ভালোবাসা বিহীন এমন সম্পর্ক চিন্তা গুলো নারী পুরুষ মস্তিষ্কে উজ্জীবিত নাহোক।

আমরা যেন কোন কালেই এমন সুখ স্বর্গে কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে না যাই,ইহা মানুষ হত্যার চেয়েও নির্মম।

শুভ কামনা সব সময়।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৯

নক্ষত্রচারী বলেছেন: লেখক বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসলে আদনান সাহেবরা বয়সকালে তাঁদের প্রিকনশাস কনসেপ্টের ফ্যাক্ট তৈরি করেন । পরবর্তীতে তাঁরা ব্যাপারটির জন্য অনুশোচনা করেন ।

আর পিংকিদের সাবকনশাস কগনিশন ঘটনার পরম্পরায় তাদের জাগিয়ে তুলতে যথেষ্ট চেষ্টা করে । এটা এক ধরনের সিক্সথ সেন্সের মতই কাজ করে ।

হাই ফাইভ, আপনার সাথে একমত B-)
সর্বোপরি ভালো থাকাসহ শুভকামনা ।।

১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২২

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: খুব বেশী বলার কিছু নেই ।শুধু বলছি দারুন ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩২

নক্ষত্রচারী বলেছেন: লেখক বলেছেন: হে হে .......
সেটাই যথেষ্ট, ভ্রাতা ।

ধন্যবাদ অনেক
ভালো থাকাই যেন হোক কাম্য ।

১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৪

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:

ভালো লাগলো ভাই । চরিত্রগুলো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৫

নক্ষত্রচারী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলাউদ্দিন ভাই

ভালো থাকবেন :)

১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৭

কাকঁন বলেছেন: সুন্দর গল্প :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৫

নক্ষত্রচারী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক :)
ভালো থাকবেন ।

২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৬

যাযাবর৮১ বলেছেন:


আহা কি সুন্দর সহজ সরল গোপ :) +++++++++
আমার ভালা লাগছেগো :-B



পূর্ণতার মাঝে জীবন সাজুক
অপূর্ণতার মাঝে পূর্ণতা আসুক।
শুভকামনা সর্বক্ষণ
থাকুক সুস্থ দেহ মন।:)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫

নক্ষত্রচারী বলেছেন: ভাল লাগলো আমারও
ভাল থাকবেন আশা করি :)

২১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৫

সোমহেপি বলেছেন: ভাললাগা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৩

নক্ষত্রচারী বলেছেন: মাই প্লেজার :)

ভালো থাকবেন ।

২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৬

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো,সাবলীল লেখা।

গ্রাম ,মফস্বল থেকে থেকে আসা ছেলে হোক বা মেয়ে হোক যারা আত্নীয় স্বজনের বাসায় এসে উঠে তার সবসময় ই একটা মনস্তাত্বিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়।

পোস্টে ভালোলাগা,শুভকামনা রইলো।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪২

নক্ষত্রচারী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চেয়ারম্যান ভাই ।

শুভকামনা আপনাকেও
ভালো থাকবেন :)

২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৭

সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: ভালোলাগা রেখে গেলাম ভাই।+++

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৫

নক্ষত্রচারী বলেছেন: আপনার ভালো লাগা সাদরে গ্রহণ করা হলো ।

ভালো থাকবেন সবসময় :)

২৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২২

যাযাবর৮১ বলেছেন:

নাই কেনে নতুন পোস্টু :(
পাই নাতো তাই টেস্টু /:)

চাই চাই নতুন নতুন পোস্টু :-/
তবেই পাবো অনেক অনেক টেস্টু :-B

দিছি আবার পোস্টু :)
পড়লে পাবেন টেস্টু :D


পূর্ণতার মাঝে জীবন সাজুক
অপূর্ণতার মাঝে পূর্ণতা আসুক।
শুভকামনা সর্বক্ষণ
থাকুক সুস্থ দেহ মন। :)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৮

নক্ষত্রচারী বলেছেন: নতুন পোষ্ট লিখতে ইচ্ছা করে না /:)

আপনাদের গুলো পড়তে পারলেই ধন্য হই :)

২৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: শেষটা বেশ লেগেছে। মাঝে মনে হচ্ছে গল্পে কার্যকারণের বুননটা আরেকটু দীর্ঘ হলে ভাল লাগত। আর লেখকের আখ্যানেই ঘটনা গুলো এমন ভাবে ঘটছে এটা না বলে দু চারটা টুকরো দৃশ্য দিয়ে বোঝালে বেশি ভাল লাগত

যা হোক অনেক ভাল হয়েছে প্রেজেন্টেশন। শেষটা এক কথায় দূর্দান্ত

০১ লা অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:১৮

নক্ষত্রচারী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তানিম ভাই ।

গল্পটা ভাবছিলাম সংক্ষিপ্তাকারে শেষ করব আর অত চিন্তা ভাবনা করার সময়ও পাই নাই /:) । পরে অবশ্য চিন্তা ভাবনা করে প্লটগুলো আরেকটু নাড়ানো চারানো যেত ।

যাক, ভালো থাকবেন আশা করি :)

২৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩২

আবু সালেহ বলেছেন: পোস্টটা আগেই পড়া হয়েছিলো .....কিন্তু কমেন্ট করা হয়নি..............কারন কমেন্ট করতে পারছিলামনা বেশ কয়েকদিন থেকে..........

শেষটায়ও ভালো লাগা রইলো তবে আরেকটু দীর্ঘ হলে মনে হয় আরো ভালো হতো......তবে জীবনের এই কঠিন বাস্তবতা কেন যে আসে ...মেজাজ খারাপ..... X(( X(( X(( X((

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫১

নক্ষত্রচারী বলেছেন: দীর্ঘ করা যেত, করিনি ছোটোগল্পের বৈশিষ্ট্যতা বজায় রাখার জন্য । যার কারণে ওখানেই ইতি টানতে হয়েছে ।

এটাই জীবনের বাস্তবতা, মেজাজ খারাপ করলেও কারো কিছু যায় আসে না । এ যেন অবিনশ্বর । /:)

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.