![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাদ্র মাসের শেষ রাত। গাঁয়ের পাশের বিলটি তখনও হাঁটু-পানিতে ভরা। বর্ষার শেষে এখনও জলে থইথই করছে—জলজ ঘাস, শাপলা, আর শত শত ব্যাঙের ডাকে মুখরিত সেই জলাভূমি। পাশেই ছোট্ট একটি পুকুর, তার ধারে লাল ইটের পুরোনো মসজিদ। মসজিদের পাশেই এক কুঁড়েঘর, যেখানে থাকে গনি মিয়া।
গনি মিয়ার বাবা ব্রিটিশ আমলের বড় অফিসার ছিলেন। দাদা ছিলেন জমিদার। গনি মিয়ার দাদা এই গ্রাম পত্তন করেছিলেন, মসজিদ বানিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে সব হারিয়ে গেছে। এখন গ্রামের কয়েকজন পুরোনো লোক তাকে খাওয়া-পরার যোগান দেয়। সকালে মসজিদ পরিষ্কার করাই তার প্রধান কাজ। সারাদিন সে মসজিদের পাশেই বসে থাকে, কোনোদিন লটারি জিতবে, কোনোদিন গুপ্তধন পাবে—বাপ-দাদার জমিদারি আবার ফিরিয়ে আনবে—এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে।
ভোর রাত তিনটা। আকাশে তখন ঝিলিক দিয়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য তারা। গনি মিয়া পুকুরপাড়ে বসে তামাক টানছে। হঠাৎ—আকাশ যেন ফেটে গেল! আগুনের এক গোলক তীব্র বেগে নেমে এলো, আলোয় ভেসে গেল চারপাশ। গনি মিয়ার চোখ ঝলসে গেল সেই তীব্র আলোয়।
বিলের পানিতে আছড়ে পড়ল সেই আগুনের পিণ্ড। পানির নিচে যেন আগুন জ্বলছে—সবুজ জলজ ঘাস, শাপলা ফুল, ব্যাঙের দল—সব যেন একসঙ্গে উজ্জ্বল হয়ে উঠল সেই অদ্ভুত নীল-সবুজ আলোয়।
গনি মিয়া বিলের ধারে গিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। বিলের পানিতে নেমে আরও খানিকটা এগিয়ে গিয়ে অনুসন্ধান করার ইচ্ছা হল। কিন্তু ঘুমের ক্লান্তি এসে যাওয়ায় আপাতত চিন্তাটা বাদ দিয়ে তার কুঁড়েঘরে ফিরে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নিল।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------
বেড়ার ফাঁক দিয়ে সকালের রোদ চোখে পড়তেই গনি মিয়া তার কুঁড়েঘরের দরজা খুলল। গত রাতের সেই অদ্ভুত আলোর ঝলকানি এখনও তার মনে বাজছে। পুকুরের পানিতে ওজু করে ফজরের নামাজ কাজা আদায় করল। আজ তার নামাজে একটুও মনোযোগ ছিল না। বারবার চোখ যেন বিলের দিকে চলে যাচ্ছে। নামাজ শেষে সে সরাসরি চলে গেল বিলের ধারে।
বিলের পানিতে তখন সকালের রোদের আলো ঝিলিক দিচ্ছে। হাঁটুসমান জলে ভেসে আছে শাপলা আর কচুরিপানা। গনি মিয়া ধীরে ধীরে পানিতে নামল। ঠান্ডা জল তার হাঁটু ছুঁয়ে গেল।
"কুনহানে জানি পইড়ল হেইডা?" গনি মিয়া মনে মনে নিজেকে জিজ্ঞেস করল।
অনুমান করে বিলের মাঝখানে এক জায়গায় গিয়ে গনি মিয়া হাত দিয়ে পানির নিচে খুঁজতে শুরু করল। কাদা, জলজ উদ্ভিদ, পচা পাতা—সবই তার আঙুলের ডগায় আসছে। একসময় তার হাত একটা শক্ত কিছু স্পর্শ করল। হৃদয় দ্রুত স্পন্দিত হলো।
"পাইয়া গেছি!"
কিন্তু তুলে দেখল সেটা একটা সাধারণ পাথর। হতাশ হয়ে সেটা ছুড়ে ফেলে দিল।
গ্রামের লোকজন একে একে জাগতে শুরু করেছে। কৃষকরা তাদের কাজে বের হচ্ছিল। কেউ কেউ তাকে জিজ্ঞেস করল, "কি খুঁজতাছ চাচা?"
"মাছ... মাছ ধরতাছি," গনি মিয়া অস্বস্তির সঙ্গে উত্তর দিল।
দুপুরের রোদ যখন প্রখর হয়ে উঠল, গনি মিয়া একটা কচুরিপানার ঝাড়ের কাছে হাত দিল। হঠাৎ তার আঙুলে একটা তীক্ষ্ণ ব্যথা। তুলে দেখল একটা ভাঙা বোতলের টুকরো তার আঙুল কেটে ফেলেছে। রক্ত ঝরছে। গনি মিয়া গামছার ছেঁড়া টুকরো দিয়ে ক্ষতটা বেঁধে ফেলল।
সন্ধ্যা নেমে এল। সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে গনি মিয়া শুধু পেয়েছে—কয়েকটা সাধারণ পাথর, একটা মরা কাঁকড়া, আর কাটা আঙুল। ক্লান্ত হয়ে সে বিলের পাড়ে বসে পড়ল।
আকাশে একে একে তারা ফুটতে শুরু করেছে। গনি মিয়া তার ভিজে লুঙ্গি শুকাতে দিয়ে ভাবছে—"কাইলকা আবার চেষ্টা করমু। মনে লয় ভুল জায়গায় বিচরাইছি।"
----------------------------------------------------------------------------------------------------------
পরের দিন ফজরের নামাজ শেষ হতে না হতেই গনি মিয়া তার বাঁশের লাঠি কাঁধে নিয়ে বিলের দিকে হাঁটা দিল। গতকাল যেহেতু ব্যর্থ হয়েছিল, আজ সে বিলের অপর কোণ থেকে খোঁজ শুরু করবে, যেখানে জল হাটু পানির চেয়ে আরেকটু বেশি গভীর।
সকালের কুয়াশায় ভেজা ঘাসে তার পায়ের চপ্পল ভিজে যাচ্ছিল। লাঠি দিয়ে পানির তলায় খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে এগোতে লাগল। হঠাৎ লাঠির ডগায় ধাতব কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লাগল।
"এইবার তো!"
হাত দিয়ে কাদা সরাতে লাগল। একটা পুরনো তামার কুপি বেরিয়ে এল, গায়ে আরবিতে কিছু লেখা। গনি মিয়া কুপিটা ভালো করে মাজল।
"এইডা কি জিনিস?"
কাছেই কাজ করছিল রহিম মিয়া। সে এসে বলল, "মামা, এইডা তো অনেক পুরান জিনিস দেহা যায়! লেহাডা পইড়তাম পারতাছি না, মনে লয় কলেমা লেহা।"
গনি মিয়ার চোখ জ্বলজ্বল করে উঠল। তার দাদার আমলে এই এলাকায় মুসলিম সাধকদের আসা-যাওয়া ছিল। হয়তো এটা তাদের ফেলে যাওয়া কোনো পবিত্র জিনিস!
গনি মিয়া সারাদিন জলের নিচে হাতড়ে বেড়াল। দুপুর গড়াতেই চোখে পড়ল দূরে এক জায়গায় নীলচে আভা! গনি মিয়া হুশ করে দৌড় দিল। কাছাকাছি পৌঁছে দেখল, সেখানে পানির তলায় নীলচে আভা দেখা যাচ্ছে। গনি মিয়ার বুক ধকধক করতে লাগল।
"এইবার তো পাইলাম!"
কিন্তু সে যেই কাছে গেল, আলোটা মিলিয়ে গেল। দেখা গেল সূর্যের আলো জলের উপর পড়ে আর ভাসমান নীল পলিথিনে প্রতিফলিত হয়ে এমন অদ্ভুত শোভা তৈরি করছিল। গনি মিয়া হতাশ হয়ে মাথা চুলকাতে লাগল ...
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------
দুপুরের রোদে বিলের পানি পর্যন্ত যেন ফুটতে শুরু করেছিল। গনি মিয়ার গায়ের গামছা ঘামে ভিজে কাঁধে লেগে ছিল। তার ঠোঁট শুকিয়ে খসখস করছিল, তবুও সে হাল ছাড়েনি।
সকাল থেকে সে তিনবার বিলের পানিতে হাতড়ে বেড়িয়েছে। প্রথমবার ভেবেছিল পেয়ে গেছে—যখন তার হাতে লাগল ভারী একটা কালো পাথর। কিন্তু কাদা মুছেই দেখল, সেটা শুধু পোড়ামাটির টুকরো, হয়তো পুরোনো কোনো চুলার অংশ।
দ্বিতীয়বার তার চোখে পড়েছিল পানির নিচে চকচকে একটা জিনিস। হাত কাঁপতে কাঁপতে তুলে দেখে, সেটা একটা ভাঙা কাচের বোতলের তলার অংশ, যাতে সূর্যের আলো পড়ে রংধনু তৈরি করছিল।
"আর না... আইজকা শেষ চেষ্টা," গনি মিয়া ক্লান্ত হয়ে বিলের পাড়ে বসে পড়ল। তার পিঠে ব্যথা করছিল, হাতের আঙুলের কাটা জায়গাটা টনটন করছিল। চারপাশে বিলের শাপলা ফুলগুলো বিকেলের তাপে মুখ লুকিয়েছে। দূরে কাশবনে বসা একটা বক ধীরে ধীরে পানিতে মাছ খুঁজছিল।
হঠাৎ তার চোখ পড়ল পশ্চিম পাড়ের একটা অদ্ভুত জায়গায়। সেখানে পানির রং যেন একটু আলাদা, যেন নিচে কিছু আছে। শেষ শক্তি জড়ো করে গনি মিয়া আবার পানিতে নামল। পুরো বিলটা হাঁটু পানির বেশি না হলেও এই জায়গাটা অনেক গভীর, প্রায় বুকসমান পানি। আশপাশে গোলাকার অনেকখানি ফাঁকা, কোনো জলজ উদ্ভিদ নেই, শুধু বিলের পানি টলটল করছে।
কাঁদার ভেতরে পায়ের আঙুলে শক্ত কিছু একটা লাগতেই সে থমকে দাঁড়াল। পা দিয়ে খোঁচা দিতেই আঙুল জ্বলে উঠল! ডুব দিয়ে পাথরটা হাতে নিতেই মনে হল, যেন কেউ তার হাতে একটা ছোট্ট রাতের আকাশ তুলে দিয়েছে। একটা বড় ডিমের মতো কালো পাথর, কিন্তু এর গায়ে যেন কে সোনার সুতো দিয়ে জ্যোতিষ্কের ছবি এঁকেছে।
"এই... এইডাই তো হেই জিনিস!"
পাথরটা স্পর্শ করতেই গনি মিয়ার ক্লান্তি উধাও হয়ে গেল। এতদিনের স্বপ্ন সত্যি হচ্ছিল! কেউ দেখে ফেলার আগেই সে তাড়াতাড়ি পাথরটা গামছায় মুড়ে নিল। বিলের পানিতে শেষবার মুখ ধুয়ে যখন ফিরছিল, তখন সন্ধ্যার প্রথম তারা উঠছিল আকাশে। মনে হচ্ছিল, সেই তারা যেন আজ একটু বেশি উজ্জ্বল...
ঘরে ফেরার পথে তার পায়ের নিচে শুকনো পাতা খসখস করছিল। গনি মিয়া জানত না এই পাথর নিয়ে কী করবে, কিন্তু আজ রাতে তার ঘুম হবে না। কলসির নিচে পাথরটা লুকিয়ে রাখতে রাখতে তার মনে হচ্ছিল, এই বিলের পানিতেই তার পূর্বপুরুষের জমিদারি ফিরে পেয়েছে সে...
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮
নকল কাক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
গল্পটি রহস্য, লোককথা, এবং অদ্ভুতুড়ে কাহিনির এক চমৎকার মিশ্রণ। গনি মিয়ার চরিত্রের সরলতা, তার বংশগত ইতিহাস, এবং গুপ্তধনের সন্ধানে তার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা পাঠককে গল্পের গভীরে টেনে নিয়ে যায়। বর্ণনার ধরণ চিত্রময়, প্রকৃতির নিখুঁত বর্ণনা গল্পকে জীবন্ত করে তুলেছে।
শেষ দৃশ্যটি কৌতূহলোদ্দীপক, যেখানে কালো পাথরকে ঘিরে এক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়—এটি কি সত্যিকারের গুপ্তধন, নাকি শুধু এক অলীক কল্পনা? লেখার ভাষা প্রাঞ্জল ও সহজবোধ্য, যা পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখে।
গল্পের রহস্য ও রোমাঞ্চ আরও একটু বাড়ালে এটি আরও আকর্ষণীয় হতে পারে! ধন্যবাদ।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯
নকল কাক বলেছেন: এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯
নজসু বলেছেন:
আপনার গল্প বলার স্টাইলটাই অসাধারণ।
পাঠককে গল্পে আটকে রাখার মন্ত্র আপনার জানা আছে।
অসাধারণ উপস্থাপনা।
প্রাথমিক স্তরের একটা বই সবুজ সাথী নাম সম্ভবতঃ। বইটিতে গনি মিয়া নামক জনৈক এক কৃষকের গল্প বর্ণিত আছে। গল্পটির মূল বিষয়বস্তু এরকমঃ (আপনিও হয়তো পাঠ করে থাকবেন) গনি মিয়া একজন কৃষক। তার নিজের কোন জমি নেই। অন্যের জমিতে চাষ করে ফসল ফলায়। গনি মিয়ার পূর্ব পুরুষরা জমিদার ছিলো এরকম হবে গল্পটা।
আপনার গল্পটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই গল্পের নায়কের নামও গনি মিয়া তবে সে কৃষক নয়, মসজিদের একজন খাদেম এবং কখনও মাছও ধরেন। কাকতালীয়ভাবে এই গল্পের প্রধান চরিত্র গনি মিয়ার বাপ দাদারাও জমিদার ছিলেন।
আপনি কি আমার এসব কথায় বিরক্ত হচ্ছেন? আপনার গল্পে অনুকরণীয় কিছু আছে আমি এমনটা বলছিনা। আমি গল্পপাঠে শুধুমাত্র আপনার প্রশংসা করতে রাজি নই। যে অংশটুকু আমার চোখে অন্য রকম লেগেছে সেটার সমালোচনা নিশ্চয়ই করবো।
গল্পে চরিত্রের নাম মিলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। চরিত্রটির চরিত্রের সাথে যেন বড় কিছু মিলে না যায় (যেমন দুজনই গনি মিয়া। দুজনের বাপ দাদা জমিদার) সেদিকে নিশ্চয়ই খেয়াল রাখতে হবে। না হলে পাঠক আঙ্গুল তুলতে পারেন।
আপনার লেখনী অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। আপনার গল্পের হাত পাঠকের মন জয় করতে বাধ্য। গল্পে আকর্ষণ তৈরি করেন। গনি মিয়া যখন প্রদীপ পেলেন, তখন ভাবলাম হয়তো দৈত্য আসবে। (আমার মতো অন্য পাঠকের মনেও সেরকম ভাবনা আসতে পারে) কিন্তু না, পাঠকের ধারনাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়ে গল্পের মান আরও বাড়িয়ে তুলেছেন।
গল্পের গ্রামীণ পরিবেশটা যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম। অদ্ভুত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
শেষ করেছেন পাঠকের মনে একটা খুঁতখুঁতানি (কৌতুহল) রেখেই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর, রোমাঞ্চকর এবং শেষ হইয়াও হইলো না শেষ গল্পটির জন্য।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৪৪
নকল কাক বলেছেন: কৃষক গনি মিয়ার কথা শুনেছি সম্ভবত। তবে এই গনি মিয়ার নাম কৃষক গনি মিয়ার দ্বারা প্রভাবিত ছিল না। আমি আসলে একটা উল্কা পিন্ডের অবশেষ খুঁজে বের করার কথা লিখতে গিয়ে এই গল্পটা লিখে ফেলেছি।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। গল্পের শেষটা একটু আনপ্রেডিক্টেবল হয়ে গেছে। কুপি বাতি খুঁজে পাওয়াটা যে একটা প্রত্যাশা তৈরী করবে -- সেটা একদমই ধারণায় ছিল না।
ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামতি বাড়ে -- বিষয়টা কোনভাবে এরকম হয়ে গেছে।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫২
Sulaiman hossain বলেছেন: মাশাআল্লাহ। দিল ঠান্ডা হয়ে গেল।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৪৫
নকল কাক বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:০৩
সোনালি কাবিন বলেছেন: সারিয়ালিজমের হাল্কা ফিল আছে।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২২
নকল কাক বলেছেন:
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাহ দারুন
অনেক ভালো লাগলো
০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৯
নকল কাক বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫৬
অপলক বলেছেন: দারুন...