![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সভ্যতা যখন শুরু হয়েছিল তখন আমার জন্ম,যুদ্ধ তখন থেকেই...তারপর অনেক দুরের যাত্রা শেষে আমি আজ পৃথিবীর বাতাসে চোখ ফেলে দেখি হাহাকারের মিছিলে আমার দর্শক, আমার জীবন চলার পথে যে ঘাম কপাল থেকে মাটিতে পড়েছিল,সেখানে থেকে বেড়ে উঠেছিল নবপ্রজন্ম,তারাও দর্শক হয়েছি………… ………... তারপর আকাশে একদিন সাদা মেঘে উড়ে গিয়েছিল দূরে কোথাও স্বাধীন বলাকা ,হয়তো সমুদ্দুরের কাছে ,কিংবা পাহাড়ের কাছে একেবারে শীর্ষচূড়ায়-তারপর সেখান থেকে নীরব আঁধার পেরিয়ে আলোকের সহযাত্রি---সেতো আমিইইইইই....
............ওপরে আকাশ মাজখানে মেঘ আর বাতাস আমাদের কাছ থেকে দুরের অবস্থান মাটির অপরে থাকি ভেতরে কি যৌবন আর মৃত লাশের গল্প কেউ হয়ত গাইছে অদ্ভত সুরে আমরা কেউ সেটা কোনদিনও শুনতে পারব না ভেতরে কি জ্বলিয় বাষ্প নাকি মাটি আর মাটি সন্দেহ হয় কোথায় থাকি আবার ভেতরে যে বসবাস করে তাকেও জানতে ইচ্ছে করে জানতে ইচ্ছে করে যৌবনের সাথে বার্ধক্যের কি কোন পার্থক্য আছে কিনা নিষ্ঠুর সবকিছু মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক অর্থহীন কোনদিনও মিলবে না এক সাথে থাকা হাসি আর গল্প চোখের জল কিংবা ভেতরের সুড়সুড়ি আর নিঃশব্দ অথছ এরকম তো হবার কোন কথা ছিল না আমদের তো একসাথেই থাকবার কথা ছিল তবু কেন আমরা আলাদা আলাদা জীবন যাপন করি আবার ভেবে নেই এক সাথেই আছি মনের ভেতর নষ্ট অভিমান আর কষ্টের জীবন মাটি হয়ে যায় মাটি হবার আগেই বেঁচে থাকা জীবনেই অর্থহীন যোগাযোগ অভিনয় করে যাই আমৃত প্রথম কান্নার শব্দ আমার কাছে যৌবনের ভেতরের টগবগে উন্মাতাল শব্দের মত হয় সেটার সাথে আমি মৃতর কোন পার্থক্য দেখি না মানুষ গুলি ক্রমশয় মাটি হয়ে যাচ্ছে ক্রমশই কেউ বুজতে পারছে না জীবনের বেঁচে থাকার মানে যদি কেউ বুজতে পারত হয়ত মৃতর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কোন অস্থিরতা থাকত না অথছ অথছ অথছ কি হচ্ছে পোকা মাকড়ের সাথে আমাদের বসবাস তাদের জীবনের থেকেও মূল্যহীন মনে হয় মাঝে মাঝে আমরা কি কাউকে ভালবাসি অথবা আমরার ভেতর থেকে যদি আমাকে বের করে নিয়ে আসি তাহলে আমি কি কাউকে ভালবাসি উত্তর মেলে না কোনদিন ও মিলবে না আমাদের জীবন টাই এমন কি চমৎকার করে তৃতীয় ১টা জীবন যাপন করছি আমরা ক্রমশই সবাই এক দিকেই যাচ্ছি কেউ বুজতে পারছি না অথছ অথছ আলাদা আলাদা ভাবি নিজেদেরকে শক্তিশালী প্রমাণ করার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত আমরা যেটা ঘটানর চেষ্টা করছি কোনদিন ও হবে না কেউ কেউ সমুদ্রের কাছে গিয়ে পুকরের গল্প বলে যখন সমুদ্র হাসে তখন অন্যদিকে কেউ কাউকে রডদেন্দ্রন দিচ্ছে কিন্তু আসলেই সেখানে সভ্যতার থেকে নিকোটিনের গন্ধই বেশী হবে না কোনভাবেই হবে না গোলাকার এই পৃথিবীটাকে আমাদের ফুটো করে ভিতরে যেতে হবে যৌবনের গান শোনার জন্যে সে যে কোনো সময়েই হতে পারে হতে পারে জন্মলগ্নে অথবা কৈশোরে কিংবা প্রথম হস্তমৈথুন দিয়ে যদি উদ্ভাবন হত আর একটা জীবন অথবা বার্ধক্যে যখন সবগুলো দাঁত পড়ে যাবে সমস্ত কিছু থেকে যাচ্ছে গোলক ধাঁধার ভেতরে আমরা কেউ সেটা আবিষ্কার করতে পারছি না আমরা চলে যাচ্ছি আমাদের মৃততে অনেকেই হাসছে কেউবা কাঁদছে তবু কোন কিছুতেই কোন লাভ হচ্ছে না তবুও সবকিছুর পর এই অর্থহীন জীবনটাকেই আমাদের মেনে নিতে হয় জোর করে মাটির ওপরেই বসবাস আমাদের ওপরে আকাশ মাজখানে মেঘ আর বাতাস আমাদের কাছ থেকে দুরের অবস্থান ..........
©somewhere in net ltd.