![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্পষ্টভাষী
এই ভাইরাস টি প্রথম সনাক্ত করা হয় ১৯৯৮ সালে মালয়শিয়ার নিপাহ নামক গ্রামে। এই জন্যই এর নাম নিপা ভাইরাস। বাংলাদেশে এটি প্রথম সনাক্ত হয় ২০০১ সালে । এরপর নওগাঁ (২০০৩), রাজবাড়ী (২০০৪ ও ২০০৮), ফরিদপুর (২০০৪), টাঙ্গাইল (২০০৫), ঠাকুরগাঁও (২০০৭), কুষ্টিয়া (২০০৭), মানিকগঞ্জ (২০০৮) এবং ফরিদপুর (২০১০) জেলায় পৃথক প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৪৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১০৯ জন।
কিভাবে ছড়ায়ঃ
বাদুর তার শরীরে এই ভাইরাসটি বহন করে। রাতের বেলা খেজুর গাছে অথবা পেতে রাখা হাড়িতে বাদুর মুখ লাগিয়ে রস পান করার পর, বাদুরের মুখ থেকে ভাইরাস রসে ছড়ায়। সেই একই রস পান করার মাধ্যমে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তাছাড়া বাদুরের মুখ দেয়া ফল খেয়েও আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। সংক্রমিত মানুষের হাচি-কাশি-লালা থেকেও এ রোগ ছড়ায়
লক্ষন কি?
>মাথা ব্যথা সহ প্রচন্ড জ্বর, খিচুনি, প্রলাপ বকা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
>আলো সহ্য করতে না পারা
>কারো কারো ক্ষেত্রে শ্বাস কষ্ট
ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতাঃ
>খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়া। নিপা ভাইরাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নষ্ট হয়ে যায়। তাই সংগৃহীত রস জ্বাল দিয়ে পান করা হলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না।
>অনেক সময় গাছ থেকে পারা ফল দেখা যায় আংশিক খাওয়া। এটি পাখি বা বাদুরের খাওয়া হতে পারে। নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে তাই কোন ধরনের আংশিক খাওয়া ফল খাওয়া যাবে না।
>যে কোন ফলমূল পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।
নিপা ভাইরাসের রোগীর ক্ষেত্রে করনীয়ঃ
আক্রান্ত হলে রোগীকে যতদ্রুত সম্ভব নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে। নিপা ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদাভাবে চিকিত্সা দিতে হবে। সুস্থ ব্যক্তিদের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতে হবে। । রোগীর থু থু, কফ মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। রোগীর বিছানায় অন্যরা শয়ন করতে পারবে না। রোগীকে ছোঁয়ার পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। রোগীর সেবা যত্নের সময় সতর্ক না থাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ৭৪% এবং এই রোগের কোন ওষুধ/টীকা নেই- এই দুইটি তথ্য মাথায় রেখে নিপা ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
Photo: “নিপাহ ভাইরাস” এই ভাইরাস টি প্রথম সনাক্ত করা হয় ১৯৯৮ সালে মালয়শিয়ার নিপাহ নামক গ্রামে। এই জন্যই এর নাম নিপা ভাইরাস। বাংলাদেশে এটি প্রথম সনাক্ত হয় ২০০১ সালে । এরপর নওগাঁ (২০০৩), রাজবাড়ী (২০০৪ ও ২০০৮), ফরিদপুর (২০০৪), টাঙ্গাইল (২০০৫), ঠাকুরগাঁও (২০০৭), কুষ্টিয়া (২০০৭), মানিকগঞ্জ (২০০৮) এবং ফরিদপুর (২০১০) জেলায় পৃথক প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৪৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১০৯ জন। কিভাবে ছড়ায়ঃ বাদুর তার শরীরে এই ভাইরাসটি বহন করে। রাতের বেলা খেজুর গাছে অথবা পেতে রাখা হাড়িতে বাদুর মুখ লাগিয়ে রস পান করার পর, বাদুরের মুখ থেকে ভাইরাস রসে ছড়ায়। সেই একই রস পান করার মাধ্যমে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তাছাড়া বাদুরের মুখ দেয়া ফল খেয়েও আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। সংক্রমিত মানুষের হাচি-কাশি-লালা থেকেও এ রোগ ছড়ায় লক্ষন কি? >মাথা ব্যথা সহ প্রচন্ড জ্বর, খিচুনি, প্রলাপ বকা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া >আলো সহ্য করতে না পারা >কারো কারো ক্ষেত্রে শ্বাস কষ্ট ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতাঃ >খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়া। নিপা ভাইরাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নষ্ট হয়ে যায়। তাই সংগৃহীত রস জ্বাল দিয়ে পান করা হলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না। >অনেক সময় গাছ থেকে পারা ফল দেখা যায় আংশিক খাওয়া। এটি পাখি বা বাদুরের খাওয়া হতে পারে। নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে তাই কোন ধরনের আংশিক খাওয়া ফল খাওয়া যাবে না। >যে কোন ফলমূল পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে। নিপা ভাইরাসের রোগীর ক্ষেত্রে করনীয়ঃ আক্রান্ত হলে রোগীকে যতদ্রুত সম্ভব নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে। নিপা ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদাভাবে চিকিত্সা দিতে হবে। সুস্থ ব্যক্তিদের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতে হবে। । রোগীর থু থু, কফ মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। রোগীর বিছানায় অন্যরা শয়ন করতে পারবে না। রোগীকে ছোঁয়ার পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। রোগীর সেবা যত্নের সময় সতর্ক না থাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ৭৪% এবং এই রোগের কোন ওষুধ/টীকা নেই- এই দুইটি তথ্য মাথায় রেখে নিপা ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
©somewhere in net ltd.