নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'ঠিক প্রায় সমান পবিত্র একটি দায়িত্ব আমার নিজের প্রতিও রয়েছে\'- জুঁই নারী দিবসের চুলের সাজ এবং কিছু কথা...

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪



“মনে আছে সেই নীল খামে চিঠি ‘তোমার ঘন কালো চুলে হারিয়ে যায় মন’। উহু ‘আমার মন এখনো হারায়’”- জুঁই তেলের বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল এটা। বিটিভি’র একটা যুগ ছিলো। সেই যুগে এই বিজ্ঞাপন ছিলো জনপ্রিয়তার তালিকায় শীর্ষে। এই বিজ্ঞাপন দেখে সুখ-স্বপ্নে যে মেয়ে বিভোর হয়নি তাকে দেখার বড় স্বাদ জাগে!

জীবনানন্দের বনলতা’র চুল ছিলো ‘কবে কার অন্ধকার’। হালের কবিরা চুলের বন্দনা করার আগেই পার্লারে গিয়ে মেয়েরা লেয়ার কাট দিয়ে আসে। চুল বাঁধার টিউটোরিয়ালে ঘন চুল কি করে বাঁধবেন সেটা দেখানো হয় না যে! বাঙ্গালী প্রেমিক তার অনাগত প্রেমিকার মুখ যখনই ভাবে অবধারিত ভাবে সেখানে একরাশ ঘন কালো চুলের উপস্থিতি অনিবার্য থাকে। তাই তো চুলের গোড়া মজবুত হলে রোমান্সও জড়ায় মজবুত বাঁধনে। সূর্য ডাকে আমার রোদে চুল শুকাতে আসো না। জুঁই নারকেল তেল রোমান্সের শুরু এখানেই (বাবলি’র জন্য)। রোদে চুল শুকাতে ছাদে কিংবা বারান্দায় দাড়ালে মাঝে মধ্যে দেখা হয়ে যেত প্রেমিক যুগলের।

সাজানো ঘরের গোছানো সুখি দম্পতি। বৃষ্টি পড়ছে বলে স্ত্রী চান স্বামী আজ বাসায় থাকুক। দরজা জুড়ে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর অনুরোধ উপরোধ উপেক্ষিত কেননা স্বামীর আজ অফিসে অনেক কাজ। তারপর একরাশ মেঘের মতো কালো সিল্কি চুল স্বামী বেচারাকে বেঁধে ফেলে ফাঁদে। মন তো বাঁধা পড়বেই, চুল যদি হয় এমন প্রেমের ফাঁদ!(বেঁধে রাখুন চুলের ফাঁদে, জুঁই নারকেল তেলের বিজ্ঞাপন)। আমি ভেবেই রেখেছি অনুরোধ ছাড়াই আমার উনি বৃষ্টি দিনের কদর বুঝে অফিস কামাই করবে!

দিনে দিনে দাম্পত্য পরিনত হলে, হিসেবের খাতা বড় হলে স্ত্রীর বেঁধে দেয়া টাই এর সময় টুকুকে কাজে লাগেতে স্বামী সেলফোনের ক্যালকুলেটরে প্রয়োজনীয় হিসেব সেরে নেন। মিথিলা তাহসানের কাজ থেকে শিখলাম। তখন কী করতে হয় সে দাওয়ায় তো সেখানে আছে। আমি তো এখন পুরনো হয়ে গেছি! কি দেখো? তোমার চুল। চুল ধরতে হবে না তুমি তোমার হিসাব নিয়েই থাকো (জুঁই নারকেল তেল)।

তারপর আমি থেমে গেছি, আমি হতভম্ব হয়েছি, এবং আমি কেঁদেছি। না কোনো বেদনাবোধ থেকে নয়, আমার সামনে তখন সেই ৭২ ভাগ নারী যারা কখনো নির্যাতনের কথা মুখে বলেন না। আচ্ছা কেন মেয়েদের লুকাতে হয়? চেপে রাখতে হয়? কোন লজ্জ্বায়, কার ভয়ে।

কত বিজ্ঞাপনের পোষ্ট মার্টেম রিপোর্টে লিখে দিয়েছি ‘মানহীন বিজ্ঞাপন’। কটাক্ষ করেছি। পরামর্শ দিয়েছি। আজ অনেক দিন বাদে একটা বিজ্ঞাপন দেখে স্যালুট নির্মাতাকে। কত সহজ ভাবে, ভনিতা ছাড়া, সরল করে সত্যিটা বলে দিয়েছেন। নির্মাতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা গল্প বলেছেন। গল্পে একজন বৌ সেজে বেরিয়ে যাচ্ছে হাসি মুখে, চোখে অচেনা জীবনের সুখ স্বপ্ন। সিরিয়াল আসে গল্পের মূল চরিত্রের। এই চরিত্রের কোন নাম নেই, যৌন আবেদন নেই, আকুতি নেই, আকাংক্ষা নেই। শুধু একটা প্রয়োজন আছে। সে তার চুল গুলো ছোট করতে চায়। যিনি চুলে কাটেন দারুন আন্তরিক মানুষ। একটু একটু করে কাটছিলেন নিজ দায়িত্বে। মেয়েটা বার বার খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে বলছে আরো আছো। শেষমেশ পার্লারের হেয়ার আর্টিষ্ট ‘ব্ল্যাংক’কাট দিয়ে ব্যাক মিরোরটা ধরলেন। বলছিলেন ম্যাডাম বোধহয় চুলের যত্ন নেয়ার সময় পাননা, তাই না?। এবার কোজ শর্ট। ‘আরো ছোট করে দিন, যাতে এভাবে আর ধরা না যায়’ কেঁদে ফেললো মেয়েটি।

কেন কেঁদেছে মেয়েটি? অপমানে, লজ্জ্বায়, বেদনায়? না ঘৃণায়? নারী নির্যাতন সারা বিশ্বে খুব কমন একটা বিষয়। একজন অথর্ব পুরুষও নিজের স্ত্রীকে অধস্তন মনে করেন। বৌ না পেটালে তাদের মধ্যে ঠিক পুরুষ মানুষ ফিলিংটা আসে না কিনা!

মেয়েটা পার্লারে না গিয়েও নিজের চুল নিজেই কেটে ফেলতে পারতো। সব চুল ফেলে দিতে পারতো। তারপরও সে পার্লারে গিয়েছে। নিজেকে আর অসম্মানিত করতে সে চাইনি। চাইনি অন্যের সহানুভূতি পেতে, অযাচিত প্রশ্নের সম্মুখিন হতে। হতো দিন শেষে তাকে তার অভিনীত চরিত্রের কাছে ফিরতে হয় বলে, সে অন্যদের সামনে খোলসটা খুলে ফেলতে চাইনি। সে তার স্বত্তাধিকারীকে উপহাসের পাত্র করেনি। পাছে লোকের কাছে সমালোচিত করেনি। ঝগড়া করেনি, অভিযোগ করেনি, মিনতি করেনি, উপেক্ষা করে প্রস্থান করেনি। সে করুণা করেছে। সে তার শারিরীক বেদনাবোধকে একটু কমাতে চেয়েছি। সমাজের মুখে এর থেকে ‘বড় থাপ্পর’ আর কিছু হতে পারে না।

হেনরিক গিবসন এর বিখ্যাত নাটক ‘ডলস হাউজ’ এর কেন্দ্রিয় চরিত্র নোরা। যিনি স্বামী-সন্তান-সংসারের জন্য সর্বোচ্চটুকু করার পরও উপহাস আর তিরস্কার পায় স্বামীর কাছ থেকে। শেষে পায় নিষেধের বেড়াজাল না ডিঙ্গানো পরামর্শ। তাকে দেখানো হয় সমাজের ভয়। মনে করিয়ে দেয়া হয় মা হিসেবে তার দায়িত্ব। অথচ ততক্ষনে নোরা জেনে গেছে ‘প্রেম নয়, ভালোবাসা নয়, অধিকার নয়, নারী শুধু প্রয়োজনের”। নোরা অপেক্ষা করে ভোরের আলো ফোটার, যে সূর্যকে আজ সে দিবে তার মুক্তির বারতা। এবং যাবার আগে বলে যায়, ঠিক প্রায় সমান পবিত্র একটি দায়িত্ব আমার নিজের প্রতিও রয়েছে।

পৃথিবীর সব নারী একটা জায়গায় গিয়ে এক, তারা নারী। নারীকে নারী বলে নয়, অন্তত একজন মানুষ হিসাবে প্রাপ্য সম্মানটুকু করবেন। “আত্মসম্মান আর সাহস-ই হোক একজন নারীর আসল পরিচয়”। ধন্যবাদ ‘সান কমিউনিকেশন’কে ২মিনিটের অসাধারণ এই বিজ্ঞাপনটির জন্য। ডিরেক্টর আশুতোষ সুজন এবং ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর তানভীর হোসাইন কে। ভবিষ্যতে আরো ভালো ভালো কাজের অপেক্ষায় রইলাম।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা ছবি :)

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। অনেক দিন পরে লিখলেন?

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল।
জ্বী অনেক দিন বাদে লিখলাম।
আপনি সেটা মনে রেখেছেন জেনে ভালো লাগলো !!

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: মনটা ভালো হয়ে গেলো :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ !!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী ,




একটি প্রত্যয়ের কথা বলেছেন বিজ্ঞাপনের কথা তুলে ধরে, আড়ালে । ভালো লাগলো বর্ণনার সাবলীলতা ।

তবে এখানে একটু খটকা থেকে গেলো ---- "একজন অথর্ব পুরুষও নিজেকে তার স্ত্রীর অধোস্তন মনে করেন।" যতোদূর জানি "অধস্তন" শব্দের অর্থ "অধীন" বা " পদমর্যাদায় ন্যুন" ।
এটা হলে অর্থ দাঁড়ায়, অথর্ব পুরুষও নিজেকে তার স্ত্রীর অধীন মনে করেন । আপনি নিশ্চয়ই এটা বলতে চান নি ?

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঠিক করে নিয়েছি আহমেদ জী এস (দ্যা জেন্টেল রিডার) !!!

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: ঠিক প্রায় সমান পবিত্র একটি দায়িত্ব আমার নিজের প্রতিও রয়েছে।
খুব সুন্দর লিখেছেন। আমার খুব পছন্দের একটি নাটক 'ডল'স হাউস', নাট্যকার হেনরিক ইবসেন।
বিজ্ঞাপনের আলোচনা ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: উম্মে সায়মা, এই প্রথম আপনার মন্তব্য পেলাম !!!
ধন্যবাদ!

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মনে আছে সেই নীল খামে চিঠি ‘তোমার ঘন কালো চুলে হারিয়ে যায় মন’। উহু ‘আমার মন এখনো হারায়’”- একটা তেলের বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল এটা। বিটিভি’র একটা যুগ ছিলো।
বিজ্ঞাপন এখনও দেখার স্বাদ জাগে, খুব সুন্দর ছিলো বিজ্ঞাপন টা আমার এখনো মনে আছে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আরে বাহ !!

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ আলো লাগলো। তবে একটা প্রশ্ন, শুধু স্বামী অত্যাচার করছে এটা বেশি তুলে ধরা হয় কেনো? আরও অনেক ভাবেই তো নারীরা অত্যাচারিত সেগুলো তুলে ধরা হয়না কেন?!!!
ভাববেন প্লিজ..."

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো!
অবশ্যই ভেবে দেখার চেষ্টা করবো :)

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১৩

রাফা বলেছেন: Where is moderator?
Could you please erase last comment. and ban that nick.

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :( :(

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কি ব্যাপার মডারেটর রা কোথায়? তারা কি দেখছেন না।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কোনো নিক, ব্লগে এমন করতে পারে দেখে খুব মন খারাপ লাগছে!!
অসুস্থ :(

১০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: ব্লগটা পুরা সিক মানুষ দিয়া ভইরা গেছে। ভাতরুমের চাবি বউয়ের কাছে এই শুকর ছানাটার যৌবন জ্বালা মডারেটর আইস্যা থামায়া দেয় না ক্যান এখনো!!

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :( :(

১১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

অগ্নি সারথি বলেছেন:


নারী দিবসটা শুরু হওয়া মাত্র ফেসবুকে আমার বন্ধু তালিকায় থাকা 'স্রাবনের মেঘ' নামক জনৈক সদ্য ছ্যাকা খাওয়া (বোধ করি) এক ব্যাক্তির একটা পোস্টে আমার দৃষ্টি আটকে যায়। তিনি অন্তরঙ্গ মুহুর্তের একটা ভিডিও শেয়ার করে জনৈক বালিকার নাম-ঠিকানা, পরিচয় উল্লেখ পূর্বক তরুন সমাজের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছেন যে মেয়েটি একটা প্রতারক এবং বাজে মেয়ে। সে ছেলেদের সাথে প্রেম করবার পর তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং পরবর্তীতে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে ছেলেদের জীবন নষ্ট করে। তরুন সমাজ যেন মেয়েটির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় সে জন্য তিনি আকুল আহ্বান জানিয়েছেন।

শুকর ছানাটা যে ভিডিওটা লিক করেছে নিঃসন্দেহে সে এটা করেছে সামাজিক এবং পারিবারিক ভাবে মেয়েটিকে স্বর্বশান্ত করবার উদ্দেশ্য নিয়ে কারন সে খুব ভাল করেই জানে, আমাদের এই তথাকথিত চরম রক্ষনশীল সমাজ ব্যবস্থাটা, ভিডিওটির পুরুষ চরিত্রে তার উপস্থিতি এবং তার ভিডিও প্রকাশ কর্মকান্ডে নীরব থাকবে এবং মেয়েটির এহেন ঔদ্ধতকে দমন করবে কঠোর হস্তে। তাকে হতে হবে চরম লাঞ্চিত, অপমানিত এবং স্বর্বশান্ত। এমনটাই হয়ে এসেছে আজ অবধি কোন প্রতিকার ছাড়াই। স্রাবনের মেঘ নামক শুওর গুলো একটার পর একটা ভিডিও লিক করে, আর আমরা সমাজ প্রথমে সেই ভিডিও দেখে গায়ের উত্তাপ বাড়াই তারপর বীর্যপাত ঘটিয়ে এসে ভিক্টিম নারীটিকে পতিতা অপবাদ দিয়ে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাই।

নারীবাদীগন যে সমধিকার টার্মটা নিয়ে সদা চিৎকার করতে থাকেন সেটা আমি এভাবেই বুঝি। তার জন্য আমার নির্দিষ্ট কোন পন্যবাদী দিবস লাগে না। প্রতিটা মুহুর্ত আমার নিকট নারীদের জন্য, মানবতার জন্য। আমার সাফ কথা, আমি পুরুষ! মানুষ হিসেবে আমি যে অধিকার গুলো যেভাবে ভোগ করি আরেকজন নারীও সেটা সেভাবে ভোগ করবে। হোক সেটা মৌলিক অধিকার কিংবা আমার গোপন যৌন জীবনটা। সমাজের পক্ষপাতি আচরনটা সেখানে দমন করা হবে কঠোর হস্তে।

সমাজের এই দৃষ্টিভঙ্গিটা বদলানো জরুরী এবং একই সাথে 'স্রাবনের মেঘ' নামক পশুগুলোকে সমাজ হতে বিতারিত করলে তবেই মিলবে নারী মুক্তি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সুদিন আসবেই, ইনশা আল্লাহ

১২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মডারেশনের উদ্যোগ জরুরী।

ফ্লাডিং পোষ্ট সামুর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ফ্লাডিং ! ভীষণ দুঃখজনক :(

১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

সালমা ইসলাম বলেছেন: অনেক ভাল

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সালমা ইসলাম :)

১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

বিজ্ঞাপনের জেন্ডার ব্যবচ্ছেদ... মজা পেলাম। লেখেছেন নিজের মতো করে।

'বিজ্ঞাপনে নারী' ইত্যাকার শিরোনামে একটি অ-তাৎপর্যপূর্ণ লেখা পড়েছিলাম, হয়তো এখানেই।
সেটির ক্ষতিপূরণ হলো আজ :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তাই নাকি? জেনে ভালো লাগলো :)
অসংখ্য ধন্যবাদ!
ভালো থাকবেন মাঈনউদ্দিন মইনুল

১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

সিএন ক্রাইম নিউজ ২৪.কম বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। BY cncrimenews24.com

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

সিএন ক্রাইম নিউজ ২৪.কম বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।cncrimenews24.com

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অস্নগখ্য ধন্যবাদ !!

১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: গতকাল আপনার এই পোষ্টটা পড়ে কিছুই বুঝি নি । আজকে বিডি নিউজের পাতায় দেখে পড়ে বুঝলাম ।


ধন্যবাদ আপনার ভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য :)

১৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

আমি ইহতিব বলেছেন: রিভিউ ভালো হয়েছে, জুই এর এই বিজ্ঞাপণটি অনেক অনেক শেয়ার হয়েছে, আমিও শেয়ার দিয়েছি আপনি যেভাবে বলেছেন যে - সমাজের মুখে এর থেকে ‘বড় থাপ্পর’ আর কিছু হতে পারে না। আমিও শেয়ারে লিখেছি যে এটা ছিলো সেসব বদমায়েশ পুরুষদের জন্য একটা কড়া থাপ্পড় যারা তাদের জীবন সঙ্গীর উপর অত্যাচার করে।

পোস্টে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ ইহতিব!!
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইলো।

১৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫১

নাজমুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন: “ঠিক প্রায় সমান পবিত্র একটি দায়িত্ব আমার নিজের প্রতিও রয়েছে”
বেশ ভাল লাগলো । এই বিজ্ঞাপণ চিত্র টি প্রথমবার চোখে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ বারের বেশি দেখেছি । নারীকে নারী বলে নয়, অন্তত একজন মানুষ হিসাবে প্রাপ্য সম্মানটুকু দেবার জন্য হয়ত বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না , সুস্থ মানসিকতা থাকলেই হয় । আমরা সেই সুদিনের অপেক্ষায় ।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নাজমুল ইসলাম সাদ্দাম।
অপেক্ষায় থাকা সুদিন খুব দ্রুত আসুক!
শুভ কামনায়, ভালো থাকবেন।

২০| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এডটা বড়ই মর্মান্তিক এবং সুক্ষ্মভাবে সেখানে কোন নির্দিষ্ট কাউকে দোষারোপ করে নি। দোষারোপ করা হয়েছে সমাজকে যেখানে নারী পুরুষ উভয়ই নারী নির্যাতনের অংশীদার । যে মেয়েটা বিয়ের পরে স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হয় সে ওই পরিবারের অন্য কোন নারী দ্বারায়ও নির্যাতিত হয় । সে হয়তো শাশুড়ী নয়তো ননদ। তাই নারীকে সবার আগে নিজেদের প্রতি নিজেদের সন্মান করা শিখতে হবে।

আর যে সব পুরুষরা দুর্বল এবং নিজেকে নিয়ে নিজেই ভীত থাকে তারাই শুধুমাত্র নারীদেরকে মানুষ মনে করে না । কারণ তাদের হৃদপিণ্ড নেই, তাদের দেখানোর কিছু নেই তাই তারা নারীদের উপর হামলে পড়ে নিজেদের বীরত্ব দেখায় ।

একটা দুঃখের বিষয় হলো, এই এডগুলো হচ্ছে আমাদের দেশের ওয়াজের মত । ওয়াজ যতক্ষণ চলে ততক্ষণ অনুশুচনায় সবার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ে । আর ওয়াজ শেষ হওয়ার ঠিক আধাঘন্টা পরে সবাই আবার তাদের পুরনো কাজে মনোযোগ দেয় ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সুদিনের অপেক্ষায় .....

২১| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



"" I'M a girl with a mind,A woman with an attitude,&A lady with class. "

-A woman with an attitude?

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.