নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
'আকাশটাকে ঘুম পাড়িয়ে চাঁদ জেগে থাকবে রাতভর,
আমার গল্প ফুরিয়ে যাবে...তবু..., আপনি বলবেন, তারপর?'
প্রেমের মধ্যে একটা অবাধ্য ব্যাপার আছে। আয়োজন করে অপেক্ষা করলে তার দেখা মেলা দায়। যখনই তার আগমন অপ্রত্যাশিত এবং অসুবিধাজনক, তখনই সে মহা সমারোহে পালকি চড়ে আসে। প্রেম তো আবদার করে আদায় করার মতো বিষয় নয়, প্রেমের একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। মুখের কথা সবাইকে শোনানো যায়, তবে মনের কথা; কেবল মনের মানুষকে শোনাতে হয়। প্রেমের মতো আকাংক্ষিত জিনিস চেয়ে পেতে ভালো লাগে না, কেমন লাগে তাও ভাবাই যায় না। কিছু মানুষের স্বভাবের সৌন্দর্য দেখা মাত্র চোখে পড়ে না। তবে একটু মন দিয়ে খুঁজলে সুপ্রকাশ হয়ে পড়ে। সুন্দরের সার্থকতা সৌন্দর্যে। সৌন্দর্যের একটা মোহিনী শক্তি আছে। মাসুম সাহেবের ঠোটের সাথে বোধ করি হার্টে্র একটা কানেকশন আছে। তিনি হাসলে মনে হয় অন্তর দিয়ে হাসছেন। আর আমি ভাবি ‘আপনার একটুখানি হাসি আমাকে বাঁচাতে পারে হাজার বছর’। তিনি চোখ তুলে তাকালে আমি তো ফিদা! অনেকটা এমন যে ‘সব পথও এসে মিলে গেলো শেষে তাঁর ওদু’খানি নয়নে’।
মাসুম সাহেব সেই মানুষ যার ব্যাপারে সম্ভবত আমি নিজেই নিজের কাছে নিরপেক্ষ থাকতে পারি না। তাঁকে ভয়ংকর ভাবে কাছে পেতে চাওয়ার নামই বোধহয় ভালোবাসা, কিন্তু তাঁকে চেয়ে ফেলাটাই আমার কাছে বিভ্রম মনে হয়। এই অনুভূতি বড় তরল, কিছুতেই নিখুঁত করে বলতে পারি না। ঝড়ো বেগে চলে যচ্ছে সময়। সর্বগ্রাসী বাস্তবতার অতলান্তে ডুবে গেছে সব, শুধু অহমিকার ক্ষুদ্র দ্বীপটুকু জেগে আছে অপরিসীম ভালাবাসায়। তাঁর নিরন্তর ভালোবাসা, অপার আগ্রহ, একাগ্রতা, সৌজন্যতা, আত্মসচেতনহীন মনোভাব আমাকে মুগ্ধ করে। মাসুম সাহেবের মধ্যে যে গুনটা আমার সবথেকে প্রিয় সেটা হল; তিনি দারুন লিখেন। তাঁর সাথে যে কোনো মূল্যে চিঠি লেখালিখিটা ধরে রাখতে হবে। দিনের পর দিন উত্তরবিহীন আত্ম-জিজ্ঞাসার পর জেনেছি নারীদের জন্য তাঁর পছন্দের পোশাক শাড়ি। মাসুম সাহেব বলেন, একই শাড়ি; মা পরলে তিনি তার আঁচল দিয়ে মুখ মোছেন। আর প্রেমিকা পরলে তিনি মনে মনে সেই আঁচলে চুমু খান। তারপর থেকে কল্পনায় আমি সব শাড়ির আঁচল জুড়ে তাঁর চুমু কুড়োই।
গণমাধ্যমে রোজ কত খবর বেরয় কিন্তু ঐ খবর তো কোথাও নেই যে আমি মাসুম সাহেবকে ভালোবাসি। প্রায়শ তাকে লিখে পাঠাতে ইচ্ছে করে 'যৌথ ডানা মেলে আকাশটা দখলে নেব। আপনি আমার হলে, আমিও আপনার হবো'। হঠাৎ একদিন মনে মনে একটা বেহিসেবী কাজ করে ফেললাম। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করে ফেললাম ‘এতদিন কোথায় ছিলেন'। মাসুম সাহেবের অবাক চোখের নীরব ভাষার প্রতিউত্তরে ভেবেছি বলবো 'বুকের পাজর খুলে দেখুন সত্যি আমি হৃদয় দিয়ে চাই’। আমার আকাংক্ষার আশকারায় উনার উত্তর হতে পারে, ‘রোজ সকালে ঘুমের ঘোরে থাকবে যখন একা; খুব আদরের ছোঁয়া পাবে তোমার সিথীর রেখা’… হা মুঝে মঞ্জুর হে আপকি যো ফায়সালা
এমন করে ডাকবো না আর বাইরে থেকে, পারি যদি ডাক পাঠাবো অন্তরে তাঁর, আনবো ডেকে... । সত্যি বলতে কি, যেখানে কোনো দাবি নেই সেখানে নৈরাশ্যের জ্বালা সব থেকে তীব্র, কারণ তার কোনও প্রতিকার হয় না।
'একদা এমনই বাদলশেষের রাতে---
মনে হয় যেন শত জনমের আগে
সে এসে সহসা হাত রেখেছিলো হাতে
চেয়েছিলো মুখে সহজিয়া অনুরাগে।
সে-দিনও এমনই ফসলবিলাসী হাওয়া
মেতেছিল তার চিকুরের পাকা ধানে ;
অনাদি যুগের যত চাওয়া, যত পাওয়া
খুঁজেছিল তার আনত দিঠির মানে
একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে...
ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী'
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা...
চিন্তায় পড়ে গেলাম!
ধন্যবাদ নূরু ভাই, ভাল থাকবেন।
২| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার বন্ধু মাসুমের স্ত্রী করোনায় মারা গিয়েছে। তাই মাসুম নামটায় মন খারাপ হলো
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার বন্ধু মাসুমের জন্য সমবেদনা থাকলো।
৩| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১:০০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনেকদিন বাদে আপনি মনিরা আপা!
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ...
৪| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ২:১৪
সোহানী বলেছেন: প্রেম কাব্যে ভালোলাগা।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ২:১৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: What a pleasant surprise!
Thank you, thank you very much.
৫| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৩:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: দারুন আবেগময়।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৩:১১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই
৬| ১৪ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বড়ই রোমান্টিক ঘটনা।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৪৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ হোসেন। ভাল থাকবেন।
৭| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী,
আপনার লেখার গাঁথুনীতেও একটা মোহিনী কিছু থাকে। কি শব্দে বা শব্দ সাজানোর খেলাতে! এই শব্দ সাজানোতে বাক্যের সরাসরি অর্থটাকে অন্য মাত্রা দিয়ে একটু যেন দোলা দিয়ে যায় । এটা আমার একান্তই নিজস্ব পর্যবেক্ষন।
এ গল্পটাতেও তেমন সৌন্দর্য্যের দেখা মিললো। মনে মনে যে অবাধ্য আয়োজন, তা-ও যেন পালকি চড়ে দুলকি তালে এসেছে। শুধু প্রতীক্ষা, পেতে রাখা আঁচল চুমুতে চুমুতে ভরে ওঠে কিনা! শুরুর কবিতার লাইন দু'টোর মতোই তাই উল্টোপাতে বলতে ইচ্ছে করছে ----
বড়া শওক ছে শুন্ রহা থা জমানা
কহ্ ই শো গ্যায়ে হম্ দাস্তা কহ্তে কহ্তে ।
খুব মন দিয়ে পৃথিবী আমার কাহিনী শুনছিলো
কিন্তু আমিই যে ঘুমিয়ে পড়লুম কাহিনী বলতে বলতে .....
১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১২:০৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আহমেদ জী এস, এটা গল্প নয় ভাই, ইহা একপ্রস্থ নিজস্ব জীবনী।
দুই লাইন গানের কথা বলি-
'এক দরখাস্ত এ--- যো আয়ি রাত হে এ
তু মেরে বাহমে দুনিয়া ভুলা দে
যো লামহাত হে এ-- বড়েই খাস হে এ
তু মেরে বাহমে দুনিয়া ভূলা দে'
লিংক: https://youtu.be/qC_UM1HqvC8
৮| ১৭ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী,
জীবনতো গল্পের চেয়েও জটিল, কূহকময়! এই একপ্রস্থ জীবনে কেউ বাহুডোরে বাঁধা পরে , কেউ পড়ে শূন্যতায়। তারপরেও জীবনের নাও বয়ে চলে একঘাট থেকে অজানা আর এক ঘাটে- অনিশ্চিত এক আশ্রয়ের খোঁজে, কোথাও নোঙর ফেলে বসে থাকেনা!
১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১২:০৬টার আগে আমাকে একটা মন্তব্য করেছিলেন সেখানা তুলে নিয়ে মূল লেখাতে জুড়ে দেয়াতে আর একটু খোলতাই হয়েছে আঁচলের কারুকাজ। আগে যেটুকু ছিলো তাতে অপূর্ণতার যে সুর ছিলো এটুকু যোগ হওয়াতে যেন শেষের রাগিনী বেজে উঠলো।
অবাক হয়েছিলুম, আমার মন্তব্যে অমন কবিতার ঠাঁই হোল কি করে, তা ভেবে!
আপনার প্রতিমন্তব্যের কবিতার রেশ ধরে যেতে যেতে বলি -
"বনের পাতার মতো কুয়াশায় হলুদ না হ'তে,
হেমন্ত আসার আগে হিম হ'য়ে প'ড়ে গেছি ঝ'রে !
তোমার বুকের 'পরে মুখ আমি চেয়েছি লুকোতে;
তোমার দুইটি চোখ প্রিয়ার চোখের মতো করে
দেখতে চেয়েছি ....
২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: '...শর্তবিহীন হাত
গচ্ছিত রেখে লাজুক দু’হাতে আমি
কাটাবো উজাড় যুগলবন্দী হাত
অযুত স্বপ্নে। শুনেছি জীবন দামী,
একবার আসে, তাকে ভালোবেসে যদি
অমার্জনীয় অপরাধ হয় হোক,
ইতিহাস দেবে অমরতা নিরবধি...'
আহমেদ, আপনার প্রথম মন্তব্য পড়ে নিজের লেখাতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছি। আগের লেখাটা হুট করে শেষ হয়ে গিয়েছিলো। পরে ভেবেচিন্তে কয়েকটা কবিতার লাইনও যুক্ত করেছি। কবিতার লাইন গুলো প্রথমে ওয়ার্ড ফাইলে লিখে পেষ্ট করতে গিয়ে ভুলে প্রতি মন্তব্যে পেষ্ট হয়ে গিয়েছিলো।
কথা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আপনার উর্দু দারুন। দ্বিতীয় মন্তব্যের কবিতার লাইনগুলোও ভীষণ সুন্দর!
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৯| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ২:৫৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রেমের একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে প্রেম কি তাহা ১০ লাইনে বলেন।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কোন কোর্সের পরীক্ষা এটা? হা হা হা
১০| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:২৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনার লেখার পরিপ্রেক্ষিতে।
কারণ আমার গবেষণায় ৯৫%-৯৯% ক্ষেত্রে প্রেমের পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ ভয়াবহ।
নারী-পুরুষ দুইক্ষেত্রেই বহুবছর প্রেম করে বিয়ে করার পরও শুধু একটা ব্যাপারে ব্যার্থ হওয়ার কারণে কতো সহজে একে অন্যের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে,সেটা নিয়ে একটা লেখা দেয়া দরকার।
কিন্ত সেখানে এমন কিছু ঘটনা এসে যাবে যা অত্যন্ত রুচিহীন,তাই লিখতে ইচ্ছা করছে না।
২০ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:০০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জীবনে আগন্তুক সম্পর্ককের রয়েছে তিনটি ভাগ ক)ইরোস, খ)ফিলোপ, এবং গ)এগুইস।
ইরোস হলো প্রেমের সম্পর্ক যেখানে অন্যজনের এক্সপেকটেশন ফুলফিল হলে ঠিক আছে। না হলেই কদর্য রূপ বেরিয়ে পড়ে। সাধারণত প্রেমের বিয়েতে এটা খুব হয়।
ফিলোপ হচ্ছে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। যে সম্পর্কে চাওয়া-পাওয়ার হিসেবের খাতাটা গৌন। যাকে হিন্দি কিংবা উর্দুতে মোহব্বত বলে।
আর এগুইস হলো ঈশ্বরের প্রতি আমাদের যে আনকন্ডিশনাল লাভ সেটা; সমস্ত কিছুর শেষে একটা আশ্রয়ের মতো।
১১| ২০ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:০৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রেম অবশ্যই অছে সেটা হচ্ছে মানুষের প্রতি মানুষের,দেশের এবং প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি প্রেম।
এই যে কতো সামরিক কর্মকর্তা পাকিস্তান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেন,দেশে থাকা কতো ব্যাক্তি রাজাকার না হয়ে নিজের জীবনের ভয় তুচ্ছ করে যুদ্ধ করলেন-এটাই হচ্ছে প্রকৃত প্রেম।
কিন্ত নারী পুরুষের প্রেমটাই বেশীরভাগে ক্ষেত্রেই চরম স্বার্থপরতা।
২০ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:২৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সাহিত্যের প্রণয়োপাখ্যানগুলো কিন্তু মোটেও সে কথা বলে না ভাই।
এবং---- মে পেয়ার কি তারাপরে হ্যুঁ ( আমি ভালোবাসার পক্ষের মানুষ)
হা হা হা... বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর!
১২| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: সাহিত্য বেশীরভাগে ক্ষেত্রেই আবেগ সর্বস্ব,যুক্তিহীন।
যে জাহাঙ্গীর,আকবর আর শাহজাহানের হেরেমে ৪/৫ হাজারের এর বেশী উপপত্নী ছিলো,সাহিত্য তাদেরও যোধা বাঈ,আনার কলি আর মমতাজের মহান প্রেমিক বানিয়ে দিয়েছে !!!!!
তবে ইউরোপ এ্যামেরিকায় এখনো অনেক দম্পত্তি আছে,যারা নিজের ইচ্ছায় বিয়ের ৫০-৬০ বছর পরও একসাথে আছে।
এটাই প্রকৃত প্রেম,কিন্ত এসবের দৃষ্টান্ত খুবই কম।
২২ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: প্রেমিক মহান হন না, বরং তারা আরামদায়ক!
প্রকৃত প্রেম বলে কিছু না ভাই, সব মিডিয়ার সৃষ্টি।
আমার বাবা-মা এর বিবাহিত জীবনের ৪০তম বছর চলছে। তাদের বিয়ে হয়েছিল পারিবারিক ভাবে। তাদের মধ্যে প্রেম আছে কিনা জানিনা তবে যা আছে সেগুলো হলো- সম্মান, বিশ্বাস, নির্ভরতা এবং একসাথে আরো অনেকগুলো বাঁচার ইচ্ছা।
১৩| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ৩:১৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি এই শেষের জিনিসগুলিল কথাই বলেছি,যেসব না থাকলে একসাথে শান্তিতে বসবাস করা যায় না
২২ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৩৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা
১৪| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ৩:২০
অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রেমের মধ্যে একটা অবাধ্য ব্যাপার আছে। আয়োজন করে অপেক্ষা করলে তার দেখা মেলা দায়। যখনই তার আগমন অপ্রত্যাশিত এবং অসুবিধাজনক, তখনই সে মহা সমারোহে পালকি চড়ে আসে। প্রেম তো আবদার করে আদায় করার মতো বিষয় নয়, প্রেমের একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। মুখের কথা সবাইকে শোনানো যায়, তবে মনের কথা; কেবল মনের মানুষকে শোনাতে হয়। প্রেমের মতো আকাংক্ষিত জিনিস চেয়ে পেতে ভালো লাগে না, কেমন লাগে তাও ভাবাই যায় না- কিন্ত আমি লিখেছেন প্রেম কাহিনী। পড়ে দেখেন।
২২ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৩৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: না পড়ে তো লিখিনি ভাই।
হলেও হতে পারে প্রেমিককে নিয়ে তো প্রেমকাহিনী-ই লিখবো, নাকি বলেন?
... এবং আমি প্রেমের প্রতি আস্থাশীল মানুষ। হৃদয় জয় না করে বিয়ে করাটাকে আমার কুৎসিত লাগে।
১৫| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৫৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রেমিক মহান হন না, বরং তারা আরামদায়ক!
প্রকৃত প্রেম বলে কিছু না ভাই, সব মিডিয়ার সৃষ্টি। - যেকথা লিখেছেন সেটা যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে আর প্রেম কোথায় পাবেন?????
এখনকার দিনের সবচেয়ে বড় ফাজলামির নাম বিয়ে। কলেজে উঠার পরই গ্রাম-শহর বড় অংশের ছেলে-মেয়ে সঙ্গী জুটিয়ে বিবাহিতের মতো সম্পর্ক জড়ায়।
বিয়ে একটা খেলা ছাড়া আর কিছু না।
২২ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:০২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: রিলেশনশিপ হুট করে হয় না। কমিটমেন্ট দিয়ে দেয়া বা বিএফ/জিএফ স্ট্যাটাস দিয়ে দেয়া সবকিছু নয়।
অনুভূতির বোঝাপড়া হতে, দায়িত্ববোধ আসতে সময় লাগে।
আবেগ বুঝতে পারার জন্য সময় নিতে এবং দিতে হবে।
বাস্তবসম্মত চিন্তা এবং সিদ্ধান্ত নিতে নয়।
ঠিক মানুষ এখন প্রেম করে, অথচ আমরা প্রেমে পড়েছিলাম। কেউ কারো সাথে নয়, আমাদের ছিলো একত্রে পথ চলার আনন্দ!
১৬| ২৩ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: তারপর শেষ পর্যন্ত কি হলো???
শুভ মিলন না তিক্ত বিরহ ????
২৩ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৪৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তারপর শেষ পর্যন্ত যা হলো; চিন্তা বদলান ভাই, জীবন বদলে যাবে।
এবং
'বিমর্ষ যে মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলে সেও তো উজ্জ্বলতর হয়ে ওঠে!'
১৭| ২৩ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:১২
অনল চৌধুরী বলেছেন: একটা গেলে ১০ আসবে, এই নীতিতে যারা বিশ্বসী, জগতে তারাই মহা সুখী-সেটা নারী পুরুষ যাই হোক।
দেবদাস বা কাঙ্গালীনি সুফিয়া হলে শুধু নিজেরই ক্ষতি,কি বলেন?
আপনিও কি আমার এলাকায় থাকেন? শান্তিনগরে?
২৩ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:২৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: শান্তি নগরে থাকলে কি আমার রেসিডেন্স পার্মিট বাতিল হতে পারে? হা হা হা।
'লালন মরলো জল পিপাসায় থাকতে নদী মেঘনা' এই লাইনটার অন্তর্নিহিত অর্থ যারা জানে না তাদের প্রেমের উপযুক্ত বয়স হয়নি বলে প্রমাণিত।
বাট্রান্ড রাসেলের 'সুখ' পড়ে দেখেছি 'মহা-সুখ' তো পড়ে দেখিনি।
১৮| ২৩ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৩৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: বাতিল হবে কেনো? ব্লগার রাজীব নূরের মতো আপনিও আমার পাশের বাসায় থাকেন কিনা জানতে চাচ্ছিলাম।
আর তসলিমাও কিন্ত ভারতে পালানোর আগে পর্যন্ত শন্তিনগরের ঈষ্টার্ণ পয়েন্ট-এ থাকতো।
শান্তিগর হলো লেখক,কবি,শিল্পী সাহিত্যিকদের বসবাসের প্রাচীন অভিজাত এলাকা,যেখানে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন,কবি গোলাম মোস্তফা,সাহিত্যিক লোকসঙ্গীত, লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ও গবেষক মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন এবং যোদ্ধা ও বিপ্লবী লেখক অনল চৌধুরীর বাড়ি।
২৩ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৩৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: না ভাই এত গুনিদের সমাবেশে আমি থাকি না।
১৯| ২৩ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৪৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: বড় হয়ে অঅফনিও গূনী হবেন।এখনো তো বয়স অনেক কম।মাত্র ত্রিবিংশতি !!!!
২৩ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:০৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি গুণীজন হবো!
এ আমি কি শুনলাম, কেন শুনলাম!!
আমার তো এখনি বড় হয়ে যেতে ইচ্ছে করছে।
ঠিক কত বড় হলে, বড় হওয়া হয়?
২০| ২৩ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:০৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: ৪০ বর্ষ হইলে ।
২৩ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দুই কুড়ি বর্ষ!
২১| ২৩ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:১৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: জ্বী হ্যা।
আপনি কি রাশি? আমি সিংহ।
২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাঘ রাশি
২২| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ২:৪৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: এই রাশির আবিস্কারক কি নিজেই????
১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জ্বী
২৩| ২৫ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৩২
মিরোরডডল বলেছেন:
মুখের কথা সবাইকে শোনানো যায়, তবে মনের কথা; কেবল মনের মানুষকে শোনাতে হয়।
নন্দিনী এখন আর এমন করে লেখেনা কেনো ?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: লিখবো আপু, আমারও অনেক অনেক ইচ্ছে করে লিখতে। কিন্তু ~~~~
সময় এতটাই প্রতিকূলে বয়ে চলেছে...
তাই প্রার্থনায় নিমগ্ন থাকি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৩০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাসুম সাহেবের চাঁদ কপাল !!!
নাকি রাজ কপাল !!