নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমকামিতা কী জন্মগত নাকি আচরনগত?

২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৮



সমকামিতা কী সেটা জানার আগেই আ্মাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চান যে তারা সমকামিতাকে সমর্থন করেন না। এই না করার স্বাধীনতা আপনার ছিল, আছে এবং থাকবে। কেউ সেটাকে কেড়ে নিতে আসছে না। তারপরও সময় এসেছে এটা জানার যে 'সমকামিতা কী'। তাই লেখার শুরুতেই জানাতে চাই, সমকামিতা কী?

সমকামিতা- একটি যৌন প্রবৃত্তি, যা সমলিঙ্গের দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রেম কিংবা যৌন আচরন বোঝায়। প্রবৃত্তি হিসেবে, সমকামিতা (Homosextuality) বলতে বোঝায় মূলত সমলিঙ্গের কোনো ব্যক্তির প্রতি জেগে ওঠা “এক যৌন, স্নেহ বা প্রণয়-ঘটিত স্বাভাবিক প্রবনতা”, এছাড়া এই ধরনের সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ব্যক্তিগত বা সামাজিক পরিচিতি, এই ধরনের আচরন এবং সমজাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত এক সম্প্রদায়ের সদস্যতাও নির্দেশিত হয়।

গ্রীক সাংস্কৃতিতে যদিও কিশোর এবং নারীদের দেখা হত যৌনতা উপভোগের প্রতীক হিসেবে, কিন্তু তারপরও ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে বহু ব্যক্তি কেবল পুরুষের প্রতি প্রণয়াসক্ত থেকেছেন। তাদের কাছে ‘যৌনতা উপভোগ’ এবং ‘যৌনতার দায়িত্ব’ ছিল আলাদা। ‘যৌনতার দায়িত্ব’ পালন করতে তারা হয়ত একসময় বিয়ে করতেন, কিন্তু যৌনতা উপভোগের জন্য তারা অনেক সময়ই দ্বারস্থ হতেন তাঁর পছন্দের পুরুষ সঙ্গীর কাছে। জুলিয়াস সিজার কে তো বলাই হতো, তিনি প্রতিটি নারীর পুরুষ এবং প্রতিটি পুরুষের নারী।

সমকামিতার ইতিহাস আসলে অনেক পুরনো। প্রাচীন গ্রীসের পুরানে সমকামিতার স্পৃহার কথা জানা যায়। আসলে সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই সমকামিতা সবসময়ই মানব সমাজে ছিল।গ্রীক, রোমান, চৈনিক, পাপুয়া নিউ গিনি অথবা উত্তর আমেরিকার প্রাচীন সভ্যতায়, মধ্যযুগ এবং রেনেসাঁর সময় সমকামিতের অজস্র উদাহরণ আছে। সমকামিতা ছিল অ্যাজটেক ও মায়া সভ্যতায়। হিন্দু পুরাণেও উল্লেখ পাওয়া যায় তৃ্তীয় প্রকৃ্তির।

এখন কথা হচ্ছে সমকামিতা কী জন্মগত নাকি আচরনগত? এটি বুঝতে হলে আমাদের যৌন-প্রবৃ্ত্তি বুঝতে হবে।আজকের দিনের মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন যৌন-প্রবৃ্ত্তির ক্যানভাস আসলে সুবিশাল। এখানে বিসমকামিতা যেমন আছে, ঠিক তেমনভাবেই দেখা যায় সম লিঙ্গের মানুষের মধ্যে প্রেম এবং যৌনাকর্ষন। সংখ্যাগরিষ্ঠের বাইরে অথচ স্বাভাবিক এবং সমান্তরাল ধারায় অবস্থানের কারনে এ ধরনের যৌনতাকে অনেক সময় সমান্তরাল যৌনতা বা Parallel sex নামেও অভিহিত করা হয়।

আজকের দিনের বিজ্ঞানীরা বলেন, সমকামিতা নিঃসন্দেহে যেমন আচরনগত হতে পারে, তেমনি হতে পারে জন্মগত বা প্রবৃ্ত্তিগত। এতে পরস্পর বিরোধিতা নেই। যাদের সমকামী যৌন-প্রবৃ্ত্তি জন্মগত, তাদের যৌন-প্রবৃ্ত্তিকে পরিবর্তন করা যায় না, তা সে থেরাপি দিয়েই হোক, আর ঔষধ দিয়েই হোক। সিমন লিভ দেখিয়েছেন যে, মানুষের মস্তিষ্কে হাইপোথ্যালামাস নামে একটি অঙ্গ রয়েছে, যা মানুষের যৌন-প্রবৃ্ত্তিকে নিয়ন্ত্রন করে। এটি সমকামীদের ক্ষেত্রে আকারে অনেক ভিন্ন হয়। ডিন হ্যামার তাঁর গবেষণায় আমাদের ক্রোমোজোমের যে অংশটি (Xq28) সমকামিতা ত্বরান্বিত করে তা শনাক্ত করতে সমর্থ হয়েছেন। এছাড়াও আরো গবেষণায় মনস্তাত্ত্বিক নানা অবস্থার সাথে পিটুইটরি, থাইরয়েড, প্যারা- থাইওরয়েড, থাইমাস, এন্ড্রেনালসহ বিভিন্ন গ্রন্থির সম্পর্ক আবিষ্কৃত হয়।

আমাদের যৌন-প্রবৃত্তির ক্যানভাস আসলে খুবই বিস্তৃত, এবং যৌন-প্রবৃত্তি একই ভাবে সকলের মাঝে ক্রিয়াশীল হয় না। মিল্টন ডায়মন্ড কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষনার মাধ্যমে দেখালেন যে, মানুষের মধ্যকার যৌনতার পার্থক্য আসলে পরিবেশ দ্বারা সূচিত হয় না, সূচিত হয় ‘প্রিনেটাল হরমোন’ দ্বারা।

ম্যাকহটার, স্টেফানি স্যান্ডার্স এবং জুন ম্যাকহোভার (১৯৯০) এর গবেষণা থেকে জানা যায়, পৃথিবীতে শতকরা চৌদ্দ ভাগের মতো সমকামী রয়েছে। ১৯৯৩ সালের ‘জেনাস রিপোর্ট অন সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার’ থেকে জানা যায়, পুরুষদের মধ্যে শতকরা নয় ভাগ এবং নারীদের মধ্যে শতকরা চার ভাগ সমকামি রয়েছে। সায়েন্টিফিক আমেরিকান মাইন্ড-এর ২০০৬ এর একটি ইস্যুতে সমকামিদের সংখ্যা সমগ্র জনসংখ্যার ৩ থেকে ৭ ভাগ উল্লেখ করা হয়েছে।

পৃ্থিবীতে শিল্পবিপ্লব, প্রযুক্তিবিপ্লব, এনলাইটমেন্টের পাশাপাশি হাত ধরে বিংশ শতাব্দীতে প্রবেশ করল ‘যৌনতার বিপ্লব’- যা মানুষের যৌনতাসংক্রান্ত সামাজিক এবং মনস্তাত্বিক ধ্যান-ধ্যারনাকে আমূলে পালটে দিল। আর যে ব্যক্তিটির গবেষণা এই যৌনতার বিপ্লবকে ত্বরান্তিত করেছিল সবচেয়ে বেশি, তিনি হলেন আমেরিকার ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আলফ্রেড কিন্সে (১৮৯৪-১৯৫৬)। কিন্সের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি দশ জন ব্যক্তির একজন সমকামী। খুব রক্ষনশীল হিসাবও যদি ধরা হয় সেটা কোনোভাবেই পৃথিবীর সামগ্রিক জনসংখ্যার শতকরা ৫ ভাগের কম হবে না।

রক্ষনশীল সমাজে তো সমকামীদের অস্বিত্ব স্বীকার-ই করা হয় না একেবারেই। খোদ ইরানে ১৯৭৯ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪০০০ ব্যক্তিকে সমকামিতার অজুহাতে হত্যা করা হয়েছে। আমেরিকার প্রায় ৪০টি অঙ্গরাজ্যে সমকামীদের কোনো কারণ না দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সামাজিক নির্যাতন ও নিপীড়নের পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় সমকামীদের জীবনের সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত তা হলো সমাজ থেকে বিচ্ছিন্নতা, বিষণ্ণতা এবং আত্মহনন। ব্যাপারটি সব দেশের জন্যই কমবেশি প্রযোজ্য। ১৯৮৯ সালে প্রাকশিত এক রিপোর্টে দেখা যায়, প্রতিবছর আমেরিকাতে গড়ে পাঁচ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে, আর এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই সমান্তরাল যৌনতার মানুষ।

বিবর্তন তত্ত্বের প্রেক্ষাপটে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে পারে সামাজিক নির্বাচন। শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই সমকামিতা আছে এমনটা নয়, সমকামিতা ছড়িয়ে আছে প্রানিজগতের সকল প্রজাতির মধ্যেও।ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে সম্প্রতি ‘Out in Nature: Homosexual Behavior in the Animal Kingdom’ নামের একটি ডকুমেন্ট্রিতে পাণিজগতের অসংখ্য সমকামিতার উদাহরণ তুলে ধরা হয়। সমকামিতার ব্যাপারটি নিখাদ বাস্তবতা। শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই নয়, পুরো প্রাণিজগতের ক্ষেত্রেই। জীববিজ্ঞানী ব্রুস ব্যাগমিল তাঁর ‘ বায়োলজিকাল এক্সুবারেন্সঃ এনিমেল হোমোসেক্সুয়ালিটি এন্ড ন্যাচারাল ডাইভার্সিটি’ বইয়ে প্রায় পাঁচশ প্রজাতির প্রানীদের মধ্যে সমকামিতার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

আসলে প্রকৃ্তিতে সবসময়ই খুব ছোট হলেও একটা অংশ ছিল এবং থাকবে যারা যৌন-প্রবৃত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের চেয়ে ভিন্ন।কিন্তু কেন এই ভিন্নতা? এর একতি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনীয় ইকোলজিস্ট জোয়ান রাফগার্ডেন রোথসবর্গ তাঁর ‘Evolution’s Rainbow: Diversity, Gender and Sexuality in Nature and People’ বইয়ে। তিনি বলেন, যৌনতার উদ্দেশ্য সনাতন ভাবে যে কেবল ‘জিন সঞ্চালন করে বংশ টিকিয়ে রাখা’ বলে ভাবা হয়, তা ঠিক নয়। যৌনতার উদ্দেশ্য হতে পারে যোগাযোগ এবং সামাজিকীকরন।

সমকামিতার ইতিহাসে স্টোন ওয়াল রায়ট একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই রায়টের কথা না জানলে কিংবা না উল্লেখ করলে সমকামিতার আলোচনা অপূর্ণই থেকে যাবে। নিউইয়র্ক সিটির গ্রীনুইচ গ্রামের ক্রিস্টফার রোডের ৫১-৫৩ নাম্বারে “স্টোনওয়াল ইন” নামে একটা রেস্তঁরা সমকামীদের বার ও আড্ডা দেওয়ার তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত ছিল বহুদিন ধরেই। ষাট-সত্তরের দশকে এ ধরনের বার গুলো ছিলো পুলিশি হামলা এবং ধরপাকরের পয়লা নম্বর লক্ষ্যবস্তু। দিনটি ছিল ১৯৬৯ সালের ২৮ শে জুন। পুলিশ খুব স্বাভাবিক নিওয়মেই গ্রীনুউইচের গ্রামের বারটিতে হানা দেয়। সাধারণত ধরপাকরের ব্যাপারটা যেটা ঘটত- খুবই গতানুগতিক এবং নিয়ম মাফিক। বারে হানা দিয়ে বারের সবাই কে বাইরে বের করে এনে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যেত পুলিশ। ২৮ জুন দিন টি বোধহয় অন্যরকম ছিল। পুলিশ বারটিতে হানা দিলে সেদিন সেখানকার লোকেরা পিছু না হটে সরাসরি পুলিশের সাথে সম্মুখ লড়াইওয়ে লিপ্ত হয়। থালা, বাসন, গ্লাস, বোতল যার সামনে যা ছিলো তাই নিয়েই পুলিশের মোকাবেলা করে। একটা পর্যায়ে পুলিশ কে রেস্তঁরার ভিতরে আবদ্ধ করে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। দিনভর আর রাত জুড়ে রায়ট চলতে থাকে। এ ধরনের পরিস্থিতি ছিল পুলিশের চিন্তারও বাইরে। এর পরদিন সমকামীদের সমর্থনে গ্রীনউইচ গ্রামের আশপাশ থেকে আরো বহু লোক এবং সংগঠন এগিয়ে আসে। সূচনা হয় নতুন এক আন্দোলনের- জন্ম হলো সমকামিতা মুক্তির আন্দোলন।

১৯৭৩ সালের ১৫-ই ডিসেম্বর আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন বিজ্ঞানস্মমত আলোচনার মাধ্যমে একমত হন যে সমকামিতা কোনো মানসিক ব্যাধি নয়, বরং এটি যৌনতার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তারা রোগের তালিকা থেকে সমকামিতাকে বাদ দেন। এটি সমকামিতার আইনি অধিকার এবং সামাজিক স্বীকৃ্তি আদায়ের লড়াইয়ে এক বিরাট মাইল ফলক।

নিজেদের যৌনপরিচয়ের সংকট এবং তার পাশাপাশি কাছের মানুষ এবং সমাজের নেতিবাচক মনোভাব এবং অবমাননাকর পরিস্থিতি তাকে নিদারুন বিষিণ্ণতার মধ্যে ডুবিয়ে দেয়। আর বিষণ্ণতার পথ ধরে শেষ পর্যন্ত আসে আত্মহননের চিন্তা, অন্তত অনেকের মধ্যেই। এ প্রসঙ্গে ববি গ্রিফিথের আত্মহননের ঘটনাটি তুলে ধরা প্রাসঙ্গিক। কিভাবে সমাজ এবং পারিবারিক চাপে ববি আত্মহত্যার পথে পরিচালিত হয়েছিল, তা এক সন্তানহারা মা বর্ণনা করেছেন ‘Prayers for Boby: A Mother’s Coming to terms with the Suicide of Her Gay Son’ নামের বইয়ে। ববি গ্রিফিতের মা যখন কিশোর ববির মধ্যে প্রথম সমকামিতার আলামত পেয়েছিলেন, দুঃশ্চিন্তায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ববি কে তার মতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করেন। এমনকি ববিকে সাইকোথেরাপিও (কনভার্শন থেরাপি) দেয়া হতে থাকলো নিয়মিত। কিন্তু ববি সুস্থ্ হলো না মোটেও। বরং দিনে দিনে আরো বিষণ্ণ হয়ে পড়তে লাগলো। হয়ে উঠলো হতাশাগ্রস্থ। একটা সময় পর জীবন-যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ব্রিজ থেকে ব্যস্ত রাস্তার উপর লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে।

সন্তানের আকস্মিক মৃত্যু ববির মা ম্যারি গ্রিফিথের সবটুকু একেবারে নাড়িয়ে দিয়ে গেল যেন। স্তম্ভিত হয়ে গেলেন তিনি। বহুবছর ধরে ম্যারি ভাবলেন তার সন্তানের মৃত্যুর পেছনে আসলে দায়ী কে ছিল? যতই তিনি ভাবেন ততই তিনি বুঝতে পারেন- পারিবারিক আর সামাজিক চাপ ছিলো অভিমানী ববির চলে যাওয়ার কারণ। সমাজ তাকে গ্রহন করেনি, এমনকি তার পরিবারও তাকে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে মেনে নেয়নি। মা অবশেষে বুঝতে পারলেন তার ভুল। নিজেকে সংশোধনের উদ্যোগ নিলেন। সমকামীদের সামাজি অধিকার নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। পরে বইটির ঘটনার উপর ভিত্তি করে আমেরিকার লাইফলাইম নেটওয়ার্কে একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করা হয়েছিল ‘Prayers for Boby’ নামে।

কোনো কিছুর অস্তিত্ব অস্বীকার করলেই তার অবস্থান বিনাশ হয়ে যায় না। গবেষণায় উঠে আসা তথ্য বলছে, পৃথিবীর জনসংখ্যার ১০ ভাগ সমকামী। এই ১০ ভাগ কখনোই প্রজন্মের ধারা টিকিয়ে রাখতে হুমকী হবে না বলে আশা রাখি।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ১৯৭৩ সালে সমকামিতাকে মানসিক রোগের তালিকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো। একটা সময় মনে করা হতো সমকামিতা একটি অসুখ। সমকামিতা নিয়ে যুক্তিবাদি বনাম লিব্যারালদের যুদ্ধ এখন একদম সামনাসামনি।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সমকামিতা নিয়ে যুক্তিবাদি বনাম লিব্যারালদের যুদ্ধ এখন একদম সামনাসামনি... তারপর ?

২| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১১

নতুন বলেছেন: বিভিন্ন ধর্মে নিষেধ আছে বলেই মানুষ স্বীকার করতে চায় না ।

মানুষবিভিন্ন ধর্মে নিষেধ আছে বলেই মানুষ স্বীকার করতে চায় না ।

মানুষ যেমন আলাদা তেমনি মানুষের যৌন পছন্দও সব রকমের হতেই পারে। মানুষ যেমন ডান হাতে কাজ করে তেমনি বা হাতেও কিছু মানুষ কাজ করতে পছন্দ করে।

কিছু মানুষ যেমন বিপরীতকামী তারা কখনোই স্বমকামী হতে পারবেনা। তেমনি কিছু মানুষ আছে যারা স্বমকামী হতেই পারে।


২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্যাপক গবেষণালব্ধ ও তথ্যবহুল পোস্ট।

সমকামিতার অপকারিতা কী (বংশবিস্তারে অক্ষমতা ছাড়া)? এটা ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ/অগ্রহণযোগ্য হওয়ার কারণ কী?

জন্মগত ও আচরণগত কারণ ছাড়াও পরিবেশের কারণে (এটা আচরণগত বিভাগে পড়ে কিনা জানি না) মানুষ সমকামী হয়ে উঠতে পারে, যেমন বিপরীত লিংগের অনুপস্থিতিতে মানুষ সমকামী হয়ে উঠতে পারে।

এ ধরনের পরিসংখ্যান কি আছে, শতকরা কতজন সমকামী পরবর্তীতে বিয়ে করেছেন?

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বংশবিস্তার ছাড়া সমকামিতার কোনো অপকারিতা/ সীমাবদ্ধতা নাই।
এটা ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ/অগ্রহণযোগ্যতার কারণ আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।
জ্বী এটা সত্য যে, বিপরীত লিংগের অনুপস্থিতিতে মানুষ সমকামী হয়ে উঠতে পারে।

'শতকরা কতজন সমকামী পরবর্তীতে বিয়ে করেছেন' এই ধরনের পরিসংখ্যান আমার চোখে পড়ে নি।

ধন্যবাদ!

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বংশবিস্তার ছাড়া সমকামিতার কোনো অপকারিতা/ সীমাবদ্ধতা নাই।
এটা ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ/অগ্রহণযোগ্যতার কারণ আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।
জ্বী এটা সত্য যে, বিপরীত লিংগের অনুপস্থিতিতে মানুষ সমকামী হয়ে উঠতে পারে।

'শতকরা কতজন সমকামী পরবর্তীতে বিয়ে করেছেন' এই ধরনের পরিসংখ্যান আমার চোখে পড়ে নি।

ধন্যবাদ!

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মাদ্রাসার এতিম বাচ্চারা যদি স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারতো তবে দেখা যেত সমকামির সংখ্যা কত।
সমকামিকে কোন অবস্থাতেই ঘৃনা করা উচিত না।তারাতো কোন অপরাধ করেছে না।এটা তাদের একান্তই ব্যক্তি গত বিষয়।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৪০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাংলাদেশের ভিতর শহরে এবং গ্রামে সমকামিতা নিয়ে কোন গবেষণা থাকলে তাই লিখতে পারেন । এইটা আমাদের সমাজের সাথে যায় না তবে চুপি চুপি করে কিনা জানি না ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দেশের ভিতরে শহরে এবং গ্রামে সমকামিতা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে কিনা আপনি খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন নেওয়াজ আলি।

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষের আরও দশটা কুঅভ্যাসের মতো সমকামিতাও একটি কুঅভ্যাস।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে অল্প বিস্তর পড়াশোনা কইরেন ভাই

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অভ্যাসগত হলে সেটা বেশিৎদিন নাও চলতে পারে ।

প্রকৃতিগতভাবে হয় বলে সেটা সারা জীবন থেকে যায় ।

বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের কোন একটি ছেলের অভিভাবক জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার ফলে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছিল। কারণ সে ছিল প্রকৃতিগতভাবেই সমকামী।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সংবাদটা দুঃখজনক

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:০৯

মিনহাজ উল ইসলাম বলেছেন: ডারউইনের তত্ব বিশ্বাস করেন? একটা সময় টলেমির দেয়া থিওরি ফ্যাক্ট হিসাবে ধরা হতো। তার মানে কি? আজকের গবেষনালব্ধ প্রমান কাল যে ভুল প্রমানিত বা পরিবর্তিত হবেনা তাতে হলফ করে বলা নির্বোধের প্রবচন।
এখন বলবেন- সমাধান?
ইয়েস ইটস আল কুরআন। আজকের গবেষনালব্ধ প্রমানসমূহ ঘাটতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেন- 'আরে, এতো অনেক আগে থেকেই কোরআনে আছে'।
কি বুঝলেন? ফ্যাক্ট কোনটা? নতুন গবেষনায় প্রাপ্ত কোনো ফলাফল নাকি আল কোরআনে সৃষ্টিজগতের স্রস্টার প্রদত্ত বানী?
তাই সুনিশ্চিতভাবে বলা যায় আজকের বিজ্ঞানের স্টাডিতে যা পাওয়া গেছে সেটা সম্পূর্ন নয় বরং বিজ্ঞান সমকামিতা নিয়ে যে পরিক্ষালব্ধ ফলাফল পেয়েছে
তা সম্পূর্ন নয়, কারন আল কোরআন মহা চিরন্তন সত্য।
এখন বলবেন বিজ্ঞানের পরিক্ষালব্ধ ফলাফল তাহলে কি সম্পূর্ন ন্য?
উত্তরটি আপনি নিজেই দিতে পারবেন। কিভাবে?
করোনা ভাইরাসের কথা চিন্তা করুন এবং ভাইরাস নিয়ে বিজ্ঞান কিভাবে আজকের পরিজ্ঞালব্ধ সত্যকে কাল নিজেই মিথ্যা বলে দাবি করছে।

পুনশ্চঃ আপনি কি বিশ্বাস করেন আজকের প্রচলিত নিউটন বা আইনস্টাইনের সূত্রসমূহ কাল ভুল প্রমানিত হতে পারে? উত্তর যদি হয় না তবে আপনাকে বলব আপনি কিছুই বুঝেন নাই, অতএব নির্বোধের মত বিজ্ঞানের ফান্সি কিছু ডেটা দেখিয়ে দাম্ভিকতার সাথে সমকামিতাকে বৈধতা দেবার অপচেষ্টা আপনার মত আহম্মকই পারে।
#মন্তব্যটি কারো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে নয়।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: এটা খুব স্পর্শকাতর একটা ইস্যু। পক্ষে এবং বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে । তবে আমাদের সমাজের
প্রেক্ষাপটে বিষয়টি বেমানান বটে ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা

১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: আমাদের সমাজে এই ইস্যু অনেক উচুতে উড়তে থাকা ঘুড়ির মত।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জ্বী, ধন্যবাদ!

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সমকামিতা মানব-মানবী র স্বাভাবিক যৌন আচরন নয়।তা যতটা দৈহিক নয় ততোটাই মানষিক।এ এক বিকৃত মানষিকতা। আমার মনে হ্য় পৃথিবীতে প্রচলিত কোন ধর্মেই সমকামিতা সমর্থন করেনা। ইসলাম ধর্মে ত নয়ই ।

যৌন চাহিদা আছে গরু-ছাগলের, আছে কুকুর-বিড়ালেরও। তাই বলেই আপনি কি কখনো দেখেছেন এক ষাড় অন্য ষাড়ের সাথে যৌনক্ষুধা নিবারণ করছে? কুকুর-বিড়ালরাও কখনো সমান লিঙ্গের সাথে সেক্স শেয়ার করেনা। পৃথিবীতে যত জীব-জন্তু আছে তারা সবাই ‘কামত্তোজনা’ উঠলে বিপরীত লিঙ্গের দারস্থ হয়। এদিকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা শ্রেষ্টজীব মানুষ হয়ে যৌন চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে জানোয়ার থেকেও অধম হয় কী করে? সমান সমান লিঙ্গধারীরা পরষ্পর এক-অন্যের সাথে যৌন চাহিদা মেটানোর নামই হচ্ছে homosexuality বা সমাকামিতা।
ইসলামে সমকাম ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য অন্যায় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সমকামিতাকে ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম করে দিয়েছে। এবং স্বাভাবিক ব্যভিচারের চেয়েও খারাপ। লুত (আ) এর কওমকে আল্লাহ যেসব কারনে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এর মধ্যে সমকামিতা ছিল একটি।
এ প্রসংগে স্মরণ কর লূতের কথা, "তিনি তাঁর কওমকে বলেছিলেন, তোমরা কেন অশ্লীল কাজ করছ? অথচ এর পরিণতির কথা তোমরা অবগত আছ! তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়"।

শুধু ইসলাম ধর্মগ্রন্থ কুরআনই নয়, পবিত্র বাইবেলেও সমকামিতা একরকমের পাপ ।

পবিত্র বাইবেল বলেছে, "লোকেরা পাপের কারণে সমকামী হয় (রোমীয় ১:২৪-২৭) এবং এটা তাদের নিজেদের পাপপূর্ণ ইচ্ছার পরিণতি। যাইহোক, বাইবেল কিন্তু সমকামিতাকে অন্যান্য পাপের চেয়ে “বড়” বলে বর্ণনা করে নাই। করিন্থীয় ৬:৯-১০ পদে যে পাপগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সমকামিতা হচ্ছে সেগুলোর একটি, যা কিনা ঈশ্বরের রাজ্য থেকে একজনকে দূরে রাখে।"
সবশেষে ,যদি পুরুষ যদি পুরুষেই এবং নারী যদি নারীতেই যৌন চাহিদা পুরণ করতে পারে তাহলে নিশ্চয়ই নর-নারীর প্রতি তাদের টান কমে যাবে। আর এর ফল কোথায় দাঁড়াবে? পুরুষ যদি নারীর কাছে না যায় আর নারী যদি পুরুষের কাছে না যায় তাহলে মানুষের বংশবৃদ্ধির কী হবে? সমকামিতার ফলে যেমন এইডস মহামারি ছড়াবে তেমনি মানুষের স্বাভাবিক প্রজনন ব্যহত হবে নিশ্চিতভাবে। হুমকির মুখে পড়বে মানবসভ্যতা।

১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে একটাই তো মানুষের জীবন। যার যেটা ভালো লাগে সেটাই তো করা উচিত।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বিষয়টা ভালোলাগার নয়, প্রাকৃতিক।

১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

নতুন বলেছেন: মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সমকামিতা মানব-মানবী র স্বাভাবিক যৌন আচরন নয়।তা যতটা দৈহিক নয় ততোটাই মানষিক।এ এক বিকৃত মানষিকতা। আমার মনে হ্য় পৃথিবীতে প্রচলিত কোন ধর্মেই সমকামিতা সমর্থন করেনা। ইসলাম ধর্মে ত নয়ই ।

যৌন চাহিদা আছে গরু-ছাগলের, আছে কুকুর-বিড়ালেরও। তাই বলেই আপনি কি কখনো দেখেছেন এক ষাড় অন্য ষাড়ের সাথে যৌনক্ষুধা নিবারণ করছে? কুকুর-বিড়ালরাও কখনো সমান লিঙ্গের সাথে সেক্স শেয়ার করেনা। পৃথিবীতে যত জীব-জন্তু আছে তারা সবাই ‘কামত্তোজনা’ উঠলে বিপরীত লিঙ্গের দারস্থ হয়। এদিকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা শ্রেষ্টজীব মানুষ হয়ে যৌন চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে জানোয়ার থেকেও অধম হয় কী করে? সমান সমান লিঙ্গধারীরা পরষ্পর এক-অন্যের সাথে যৌন চাহিদা মেটানোর নামই হচ্ছে homosexuality বা সমাকামিতা।


প্রকৃতিতে সকল প্রজাতির প্রানীইর মাঝে সমকামিতা দেখতে পাওয়া যায়। তাই এটা প্রকৃত গত হবার সম্ভবনাই বেশি।

আপনার হাতে ইন্টারনেট আছে তাই একটু গুগুলে খুজলেই পাবেন।

https://en.wikipedia.org/wiki/Homosexual_behavior_in_animals

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই

১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০০

নীল আকাশ বলেছেন: সম্ভবত আপ্নি এই বিষয়ে পুরোপুরি না জেনেই পোস্ট লিখেছেন।
কোনটা মানসিক সমস্যা আর কোন জন্মগত সমস্যা বা জিনগত সমস্যা সেটা নিয়ে পুরোপুরি না জেনেই পোস্ট দিয়ে বসে আছেন।
এই বিষয়ের উপর একটা সিরিজ লিখছি আমি। এই পর্বগুলি আগে পড়ে আসুন। পুরো বিষয়টা আগে ভালোভাবে বুঝুন। তারপর এটা নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করবো।
১)
সমকামিতার স্বরূপ অন্বেষনঃ সূচনা
২)
[link|https://www.somewhereinblog.net/blog/nilakas39/30285899|সমকামিতার স্বরূপ অন্বেষনঃ সমকামিতা এবং মিথ্যাচার [পর্ব এক]]
৩)
[link|https://www.somewhereinblog.net/blog/nilakas39/30302978|সমকামিতার স্বরূপ অন্বেষনঃ সমকামি এজেন্ডার গোপন ব্লু-প্রিন্ট - আলফ্রেড চার্লস কিনসে [পর্ব দুই]]

কোন কিছু সর্ম্পূণ জেনেই পোস্ট লেখা ভাল।
আমি যদি এখন প্রশ্ন করা শুরু করি আপনি কোন সার্পোটিং ডকুমেন্টস দিতে পারবে না।
ধন্যবাদ।

১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০২

নীল আকাশ বলেছেন: লিংকগুলি ভালো ভাবে আসেনি। আমার ব্লগ বাড়িতে গেলেই সবগুইলি পোস্ট পেয়ে যাবেন।
কোন প্রশ্ন থাকলে সেখানে করতে পারেন। ব্লগের এইগুলি নির্বাচিত পোস্ট।

১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: যে বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেছেন, তাতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে এসে নিজের মতামত জানাতে চাইলেও, সে মতামত খুব সতর্কতা অবলম্বন করে না দিলে নানামুখী ট্যাগ খেয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। যা হোক, সমকামিতা প্রাকৃতিক না আরোপিত - এ বিতর্কের চেয়েও, ২০২০ সালের প্রেক্ষিতে সমকামিতাকে বোঝার জন্যে, স্টাডি করবার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সমকামিতার মুভমেন্টটিকে কীভাবে গ্লোবালি রাজনিতিকিকরন করা হল - তার ইতিহাসটা বোঝা। বিচ্ছিন্নভাবে এই ইতিহাস বোঝা সম্ভব নয়, বুঝতে হবে সাম্রাজ্যবাদের সম্প্রসারণের বিবিধ মাধ্যম, যেমন - লিবারেল হিউম্যানিজম, ক্যাপিটালিজমের প্রসারের সঙ্গে চর্চার কুইয়ার মুভমেন্টের ইতিহাসকে মিলিয়ে। তবে এ বিষয়গুলির সঙ্গে কুইয়ার মুভমেন্টের অ্যানালজি টানার প্রয়াস পাশ্চাত্যে এখন আর চোখে পড়বার জো নেই, কারণ, সমকামিতা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত একটি প্রাকৃতিক ব্যাপার - এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্কের অবতারণা করলে পশ্চিমে যেকোনো অ্যাকাডেমিক / সায়েন্টিস্টের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবার রিস্ক থাকে। আমার অ্যাকাডেমেশিয়ান কলিগদের অনেকেই বিপুলহারে কুইয়ার থিওরি নিয়ে দেশে বিদেশে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন, সবকিছুতেই হোমো ইরোটিক ঘ্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন - আমার, বা আমাদের মত চুনোপুঁটিদের তাতে বলার কিই বা থাকতে পারে। সমকামিতা - খুবই প্রাকৃতিক একটি বস্তু, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই এ চর্চা মানুষের মধ্যে ছিল - নিজ নিজ পশ্চাৎদেশ নিরাপদে রেখে এ ন্যারেটিভই আমাদের বেদবাক্যের মত মেনে নিতে হবে, যে পর্যন্ত না ট্রাম্পের বদলে পুতিন বা শি জিনপিং পৃথিবীর হর্তাকর্তা হয়ে ওঠেন অ/ দূর / ভবিষ্যৎ এ। শুভকামনা আপনার জন্যে। : )

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ আবির

১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪০

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: চমৎকার একটা বই পড়েছিলেন এই ব্যাপারে। নাম ও লেখক যেন কী এবং কে?

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: একাধিক বই পড়েছি রে ভাই। পাঠক সমাবেশে আছে, এরপরের বার গেলে দেখাবো নে।

১৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:৩৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: পশুদের অস্বাভাবিক বিকৃত জিনিসগুলি যদি মানুষ গ্রহণ করে,তাহলে মানুষে আর পশুতে কোনো পার্থক্য থাকে না।
এধরণের আচরণ যদি সবাই করে ,তাহলে পৃথিবীতে মানবজাতি বলে কিছু থাকবে না।

কেউ কি চাইবে তার সন্তানরা এসব অপকর্ম করুক?

বিপরীত লিঙ্গের মধ্যে সম্পর্ক প্রকৃতির নিয়ম। তৃতীয় লিঙ্গরা শুধু ব্যাতিক্রম হওয়ার কারণে তাদের মতো সঙ্গী বাছাই করতে পারে।

কেউ যদি এসবে অভ্যস্ত হয়,তাহলে সে সেটা গোপনে চালিয়ে যতে পারে।কিন্ত সবাইকে এসবে উৎসাহিত করা চরম অনৈতিক।

কিন্ত সুস্থ-স্বাভাবিক নারী-পুরুষ বিকৃত আচরণ করবে-এটা বাংলাদেশের আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ,যার শাস্তি ১০ বছরের কারাদন্ড।এবং এই আইনটা কোনো মোল্লা করেনি,করেছিলো খৃষ্টান বৃটিশ সরকার,যা ভারতসহ ভিন্নধর্মীদের দেশেও প্রচলিত ছিলো বা আছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বিজ্ঞানের আলোচনাটাকে যুক্তিহীন ভাবে নাকচ করার আগে প্রাণীজগত নিয়ে খানিকটা পড়াশোনা করতে হবে অনল চৌধুরী।

২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: গুছিয়ে লিখেছেন, পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
বিবর্তন বোঝার ক্ষেত্রে আমার নিজের একটা পয়েন্ট ক্লিয়ার হল, যৌনতা কেবল রিপ্রোডাকশনের টুলস নয়, এটা হতে পারে যোগাযোগ ও সামাজিকীকরণের মাধ্যম, বা হয়ত অন্যকিছুও।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ যৌনতা অবশ্যই কেবল রিপ্রোডাকশনের জন্য নয়। এটা নিয়ে মানুষ গভীরভাবে ভাবে না। ভাবলে নিজেকে অন্তত ঠকাতে পারতো না।

অনেক অনেক শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.