নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
মানুষ তার বিপরীত মানুষের বিশ্বাসের সমান প্রতারক, সরলতার সমান সুযোগসন্ধানী, আগ্রহের সমান উদাসীন। বাতাসে ভাসমান পাতা যদি কখনো পথ পরিবর্তন করে, তাহলে সেটা আকস্মিক মানা যায়। কিন্তু কোনো উড়ন্ত পাখি যদি তার পথ পরিবর্তন করে, তবে তাকে পরিকল্পনাই বলা হয়। ফুল যদি কখনো ঈশ্বরের চরণে সমর্পিত না হয়ে নর্তকীর কবরীতে স্থান পায়, তাতে ঈশ্বরের অপমান হয় না; ফুলেরই দুর্ভাগ্য বটে। মনে পড়ে সক্রেটিসের কথা; তিনি বলেছিলেন, কোনো মানুষের যদি সাধন করার মতো মহত কার্য থাকে, তাহলে তার সম্মুখে প্রশ্ন, জীবন কিংবা মৃত্যু নয়। তার বিবেচনার একমাত্র বিষয় হওয়া আবশ্যক, আপন কার্য সাধনে সে কোথাও অন্যায় কিংবা অবিচারের আশ্রয় গ্রহন করলো কি না।
এমন অনেক দম্পতি আছেন, যারা সারাজীবন একসাথে থাকার পর বুঝতে পারেন একে অন্যের মনের মত নন। সংসার অনেক ক্ষেত্রেই অভ্যাস, কর্তব্যবোধ আর খানিকটা মায়া। সেখানে ভালোবাসা থাকতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নাই। ভালো ব্যবহার করেও একসঙ্গে সারাজীবন কাটানো যায়। একসাথে বাঁচার জন্য কতদিন পেলাম? তারচেয়েও বড় কথা যতদিন পেলাম তার মধ্যে কতটা সময় একসাথে কাটালাম! কিছু সম্পর্কে হৃদয়ের জ্যামিতি যতখানি নিখুঁত মাপের ধরা পড়ে, গভীরতা ততখানি মুখ খোলে না...। সম্পর্ক আসলে একধরনের ইনিভিজিবল টেনশন। হারানোর ভয় তখন হেরে যাওয়ার বেদনাকেও হারিয়ে দিয়ে প্রা্ইওরিটি লিষ্টে আগে চলে আসে। আমি বেনালোপ নই যে অপেক্ষাতে কাটিয়ে দিবো জীবন। নির্লজ্জ স্বার্থবুদ্ধিতে(!) নিজেকে আমার মাঝে মাঝেই মিস ‘মিসফিট’ মনে হয়।
আমরা যা চাই, খুব অদ্ভুতভাবে সেটাকে আমরা আমাদের প্রাপ্য বলে ধরে নিই। অপ্রতিরোধ্য ঐশ্বর্যময় জীবনের ইচ্ছে কার না হয়? সময় আমাদেরকে সহনশীল করে দেয়। অভিমানের দেয়াল মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে একসময় নিজেই খসে পড়ে। এখন বুঝি শুধু নিজের উপর আস্থা রেখে কোনো সম্পর্কে জড়ানো ঠিক না। যার কিংবা যাদের সাথে সম্পর্কিত হতে যাচ্ছি তাদেরকেও বোঝাটা জরুরি। ভদ্রতার শীতলতা... কি অসহ্য! পাশের মানুষটির অপূর্নতা ভালো। তাকে পূর্ণ হওয়ার পথে সঙ্গ দেয়া যায়। পূর্ণ চাঁদও খুব দ্রুত অমাবস্যার দিকে এগোয়।
সংসারে মানুষের দুটি চেহারা থাকে, অসাধু ব্যবসায়ীর যেমন থাকে দুটো খাতা, খাজনা ফাঁকি দেয়ার জন্য। তোমার মধ্যে সরলতা যতটা ছিলো, সততা ততটা ছিলো না। কেউ অনেক ভালোবাসে, আর কেউ অনেককে ভালোবাসে। দ্বিতীয়দলের তোমারকে আমার মাঝে মধ্যেই লিখতে ইচ্ছে করে, ‘তোমার সত্যিটা আমার মনোপুত হয় নাই। তুমি কি আরেকটা সত্যি বলবা প্লিজ’। মানুষের সবকিছুতে ভুল হতে পারে, তবে ভুল ভাঙ্গতে ভুল হয় না। নিরস্ত্র হলেও আমি আসলে ভালো রকমের যুদ্ধবাজ। আমরা এখন একে অন্যের সমস্যা নই, অনেক ক্ষেত্রেই স্মৃতি। কিছু সম্পর্ক আসলে নিমজ্জিত জাহাজ, স্মৃতি যাকে জলের মতো ঘিরে রাখে। ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ থাকলে মানুষ পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে। মানুষ আসলে বিশ্বস্ততা চায়।
অকাল সন্ধেতে অতীত আসে এক রেলগাড়ী ভরতি বিষাদ নিয়ে। ভাবনায় আমরা বাক্য নয় বরং পয়সা বিনিময়ের মতো করে গুনে বুঝে কথা বলি। অধিকাংশ পুরুষের মতই তুমি আমার অভিমানের রেখা ছুঁতে পারোনি। তুমি প্রায়শ অনেক কথার বাইরের অর্থটা বোঝ, ভেতরের মর্মটা বুঝতে পারো না। তুমি নিজেকে যা ভাবো, কোনো ভাবেই তার ধারপাশ দিয়ে যাও না। জগতে উচিৎ বাক্যের মতো অসহনীয় আর কী আছে? আমাদের ভালোবাসা খুব সযত্নে তোলা রইলো।
বি. দ্র. কেমন আছি আমি? বড় জটিল প্রশ্ন; বড় জরুরী প্রশ্ন।
'ব্যথার অথৈ গাঙ- চিরকাল আমি তার উজানের মাঝি’...
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাসার একজন জিজ্ঞাসা করলো আজ কয়টা রোজা । আমি বললাম কয়টা দিয়ে কী করবো ঈদ আসলে বলবা। কারণ বাসা হতেই বের হই না ।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি তো টিভিতে ঘোষণা আসলে ঈদ পালন করি।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: সংসার জীবনের শান্তির জন্য কি করতে হবে- এই প্রশ্নটা আমি হুমায়ূন আহমেদকে করেছিলাম।
তিনি বলেছিলেন, দুজনকেই 'ছাড়' দিতে হবে। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তবেই সংসার আনন্দময় হবে।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন চূড়ান্ত স্বার্থ সচেতন মানুষ। 'ছাড়' দিতে দিতে বিবাহিত জীবনের ২৮তম বছরে এসে গুলতেকিনকেই ছেড়ে দিয়েছিলেন।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার স্ত্রীর সাথে আমার ঝগড়া হয় না।
আমরা দুইজন দুইজনকে বুঝি। ভালোবাসি। সব কিছু মিলিয়ে আমরা ভালো আছি। সুন্দর আছি।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার স্ত্রী আপনাকে সহ্য করছেন এবং সাহায্য করছেন বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে।
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২২
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, সততা না থাকলে সম্পর্ক পরিপূর্ণ হয় না। অভ্যাসবশত একত্রে থাকলেও কখনো একে অন্যের কাছে আসা যায় না, একে-অপরকে পাওয়া হয় না। তাই পারস্পরিক বোঝাপড়া জরুরি। লেখার সাথে যদি লেখকের তীব্র অনুভূতির মিশেল ঘটে তাহলে লেখা হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে।এই লেখাটিও তেমন।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ তমাল ভাই।
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রতিটা মানুষই আলাদা। চলনে, বলনে, ব্যক্তিত্বে। হঠাৎ করে যদি এসবে পরিবর্তন দেখা যায়, তখন অবিশ্বাস মনে দানা বাঁধতে পারে। সেটাকে ডালপালা ছড়াতে না দিয়ে আস্থা, বিশ্বাস আর ভালোবাসা নিয়ে মুখোমুখি হোন। একসঙ্গে বেড়ানো, সিনেমা দেখা বা গান শোনার মতো ভালো লাগার কিছু করুন। ভালোবাসাময় সম্পর্ক দেখে সন্দেহ তখন জানালা দিয়ে পালাবে। সংসার 'সংসার' হয়ে উঠে দু'জনের বোঝাপড়া, পারষ্পরিক সম্মানবোধ এবং ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থেকে।
ভালো থাকুন।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার চৌধুরী।
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২০
নতুন বলেছেন: পুরুষ সম্ভবত তার নারী সঙ্গীকে বুঝতে চেস্টা করেনা আর মুনিশিরা তো বলেছেনই যে নারী চরিতম দেবানঃ নঃ জান্তি।
সম্প্রতি ১১ বছর শেষ করলাম এখনো অনেক অভিযোগ স্ত্রীকে বুঝতে পারিনা। হয়তো বুঝতে চেস্টা আমরা পুরুষেরা করিনা।
একটা জরিপ করা দরকার। কতজন স্বামী স্ত্রীকে জিঙ্গাসা করে যে তুমি কি এই সম্পকে সুখী কিনা। প্রতি বছর একটা ওয়ান টু ওয়ান মিটিং করা দরকার সেল্ফ এপ্রেজাল করে নিয়ে দুজনের বোশতে হবে ৩০ মিনিটের এই রকমের একটা আলোচনায় দুজন আরো বেশি কাছে আসতে পারে।
চাই দুই পক্ষের ভালোবাসার চেস্টা সুখী হবার চেস্টা।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৪০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সজ্ঞাত বোধ থেকেই বুঝতে পারি কোনো ভালোবাসাই মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে দিতে নেই।
ধন্যবাদ নতুন ভাই।
৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তার অবশ্যই ফিরে আসা উচিত।
কেন আসবে না।
আফসোস!
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন:
৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:১২
অপু মাইক্রো বলেছেন: পৃথিবীতে ১০০% পিউর বলে খুব কম জিনিষ ই আছে এবং তা আশা করা বোকামি। যা আছে তাতে খুশি থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। যাই হোক ভালো থাকবেন। শিরোনামটায় অদ্ভুত একটা ভালো লাগা অনুভূতি আছে........
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মুর্খের স্বর্গে বাস করতে রাজি আছি, কিন্তু মূর্খ সাজতে নই।
ধন্যবাদ!
১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৫৩
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আরকেটা অসাধারন লিখা।
কেমন আছো- এর চাইতে কঠিন প্রশ্ন আর কি হতে পারে।
শুভ কামনা।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ কবিতা কথ্য।
১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর!
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!!
১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
মা.হাসান বলেছেন: আমি তো টিভিতে ঘোষণা আসলে ঈদ পালন করি।
অসাধারণ বলেছেন।
যে উপর তলায় থাকে তার জন্য নিচে নামা সহজ? নাকি যে নিচে আছে তার জন্য উপরে যাওয়া সহজ?
কেমন আছো- একটা সরল প্রশ্নকে নারি কতটা জটিল করে উত্তর দেয়- জানতে চেয়েছো, কেমন আছি আমি? বড় জটিল প্রশ্ন; বড় জরুরী প্রশ্ন।
'ব্যথার অথৈ গাঙ- চিরকাল আমি তার উজানের মাঝি’।
ভালো আছি।
এর পরে পুরুষ যদি ভুল বোঝে, দায় কি পুরুষের একার? নারির জন্য আরেকটু নিচে নামা কি এতটাই কঠিন?
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নিচে নামা কঠিন নাকি সহজ তার আগে নিশ্চিত ভাবে জানা জরুরি যে, কেন নিচে নামতে হবে?
১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন চূড়ান্ত স্বার্থ সচেতন মানুষ। 'ছাড়' দিতে দিতে বিবাহিত জীবনের ২৮তম বছরে এসে গুলতেকিনকেই ছেড়ে দিয়েছিলেন।
আসলে সব নিয়তি। নিয়তিতে যা লেখা আছে, তারা এড়ানো যায় না। এজন্য আমরা হুমায়ূন আহমেদকে মন্দ কথা বলতে পারি না।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নিয়তির কাধে দোষ চাপিয়ে দেয়া সহজ রে ভাই
১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার স্ত্রী আপনাকে সহ্য করছেন এবং সাহায্য করছেন বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে।
হা হা হা----
হাসালেন। খুব হাসালেন।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কান্নার চেয়ে হাসিই বোধহয় ভালো
১৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৩
অপু মাইক্রো বলেছেন: লেখক বলেছেন :মুর্খের স্বর্গে বাস করতে রাজি আছি, কিন্তু মূর্খ সাজতে নই।
বুদ্ধিমান সাজতে পারেন, কিন্তু খেয়াল রাইখেন যেনো ট্রেন মিস না হয়ে যায়। সময় এবং জোয়ার কারও জন্য অপেক্ষা করে না......
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কিছু পরামর্শ এতটাই অপরিনত যে সেটা নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো।
ধন্যবাদ অপু।
১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৩
সাাজ্জাাদ বলেছেন: বাহ। কতো চমৎকার করেই না লিখলেন।
খুবই ভালো লাগলো।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এই ভালো আছি বলার মাঝে যে কত কিছু লুকিয়ে থাকে তা দেখার মত চোখ আর বুঝার মত মন কয়জনের আছে। তারপরও জীবন বহতা নদীর মত। বয়ে চলতে তথা সামনে এগুতে হয় অবিরাম। কারন, চলার অপর নামই জীবন। তবে এই চলাচলের মাঝে কতটা আনন্দের সাথে নিজের মনমতো আর কতটা বাধ্য হয়ে তথা পরিস্থিতির চাপে এ এক বিশাল প্রশ্ন? আর জীবন এর বেশির ভাগই সময় নস্ট হয় ত্যাগ ও সমঝোতায়। সুখ তাও অধরাই থেকে যায় একজীবনে।
১৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জীবন আসলে নানাবিধ পরিস্থিতি, অনুভূতি এবং সম্পর্কের সমম্বয়। তাই কোনো কিছুকেই নাকচ করে দেয়াটা ঠিক হবে না।
১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: বাস্তবসম্মত মন খারাপ করা পোস্ট মন ছুঁয়ে আপু। কিন্তু এমনটা না হোক কারো সাথে৷ সবার সংসার ভালোবাসাময় হোক।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমিন।
১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
তবুও ভেবে দেখলাম একা থাকাই বরং সোজা এবং সহজ ।
একা থাকা কিন্তু মোটেও সহজ না, অনেক কঠিন ।
খুব স্ট্রং না হলে একা থাকা এবং একইসাথে জীবন উপভোগ করা সবাই পারে না ।
বাট ট্রুথ হচ্ছে দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো ।
পূর্ণ চাঁদও খুব দ্রুত অমাবস্যার দিকে এগোয় ।
খুবই সত্যি কথা কিন্তু অমাবস্যার পর কিন্তু অবধারিত আবার পূর্ণিমা আসে
কিন্তু মানুষের জীবনের অমাবস্যার পর পূর্ণিমার নিশ্চয়তা নেই ।
ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ থাকলে মানুষ পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে ।
মানুষ আসলে বিশ্বস্ততা চায় ।
দিস ইজ ইট । এরপর আসলে আর কোনও কিছু নেই ।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ থাকলে আর কিছুর দরকার হয় না ।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মিরোরডডল।
২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭
অক্পটে বলেছেন: "হাজার বছর পাশে থাকলেও কেউ কেউ আপন হয়না,
ভালবাসলেও সবার সাথে ঘর বাধা যায়না।"
লেখাটি পড়ার সময় আমার উপরোক্ত গানটিই বার বার মনের মধ্যে বাজছিল। আপনার লেখার বৈশিষ্ঠ সবার থেকে আলাদা। সুন্দর। কিছু কিছু বোধ আছে যা মানুষের অন্তরে শুপ্ত থাকে। কেউ এসে একটু ধরিয়ে দিলে অন্তরের সেই বোধগুলো আর বাধ মানে না। আপনার লেখা গুলো আমার কাছে তেমনই মনে হয়। কতো বেদনাবোধ আবেগ আর রুদ্ধশ্বাসকে আমরা বুকে ধারণ করে তালা মেরে রাখি তার খবর কে রাখে। কিছু কিছু লেখা ওসবকে এসে নারা দিয়ে যায় দারুণভাবে। 'কড়ি দিয়ে কিনলাম' পড়ে দীপঙ্করের চরিত্র আমার সত্বাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে আলোড়িত করেছে, এক নিঃশব্দ আত্মোপলব্ধির ভেতর দিয়ে নিয়ে গেছে আমাকে। যাক আর বাড়াবার দরকার নেই। ভুলে যাবার আগেই যেনে নিতে চাই আপনার প্রকাশিত কোন বই বা এর তালিকা। ধন্যবাদ।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনুভূতির খবর তো আর গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় না, তাই আর কারো রাখাও হয় না
'কড়ি দিয়ে কিনলাম' আমারও অনেক প্রিয় একটা বই।
না রে ভাই আমার কোনো বই প্রকাশিত হয়নি, তালিকা তো বহুত দূর কি বাত!
কালি ও কলমের নিদারুণ অপচয় করার সাহস হয়নি।
২১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা দেখতে।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: শুধু দেখলেই হবে না, মুখস্তও করতে হবে। পড়া ধরি না অনেক দিন।
২২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী,
প্রতিপাদ্য ছাপিয়ে অন্য রকম শরীরের গন্ধ নিয়ে হাজির লেখাটি। এমন লেখা না চাইতেও বারেবারে ফিরে আসুক।
প্রতিপাদ্যের বিষয়ে বলতেই হয় - খুব চতুরতার সাথে নিয়ম করে সূর্য্যটা ডুবে গিয়ে চাঁদটাকে যেমন করে ডেকে আনে তেমন করেই নিজের উপর আস্থা কিছু কিছু বিমর্ষতাকেও ডেকে আনে।
তুমুল ভালোবাসা নিয়েও কারো কারো মনে হতেই পারে যেখানে সে যেতে চেয়েছিল সেখানে হয়তো যেতে পারেনি, কিন্তু যেখানে পৌঁছে গেছে মনে হয় সেখানে যাওয়াই তার প্রয়োজন ছিলো ।
অনবদ্য লেখা, ঝংকার তোলা।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।
২৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোমার লেখা সবসময় আমাকে আবেশিত করে, ভাবায় , ভালোলাগার ঘোর লাগায়।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনি চিন্তাশীল মানুষ তো তাই।
ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য!
২৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৮
সোহানী বলেছেন: সংসার জীবন যে কি জিনিস তা কোন সংজ্ঞায় ফেলা যাবে না কিছুতেই। একেক জনের কাছে একেক অনুভুতি, একে ধরনের ব্যাখ্যা। তারপরও কিছু সাধারন বা কমন ধারনা আছেই। সেটা নিয়ে অনেক কিছুই বলা যায়। হয়তো এক সময় তা নিয়ে আসবো কারন দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বলে কথা ।
চমৎকার লিখায় ভালোলাগা। (লিখাটা আগেই পড়ে মন্তব্য লিখতে লিখতেই কাজে বেড়িয়ে পড়েছিলাম, তাই কি ভেবেছিলাম তা্ ভুলে গেছি।...হাহাহাহা)
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনাকে জরিমানা করা হবে।
দেশে আসলে দেখা দিয়ে যাবেন।
২৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুধু দেখলেই হবে না, মুখস্তও করতে হবে। পড়া ধরি না অনেক দিন।
ম্যাডাম মুখস্ত করেছিলাম। এখন ভুলে গেছি।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নাহ! রাজীব নূর খান, লেখাপড়াটা তো অন্তত ঠিক ভাবে করতে হবে।
আপনারকে দেখছি এসাইনমেন্ট করতে দিতে হবে
২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৪১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: 'ব্যথার অথৈ গাঙ- চিরকাল আমি তার উজানের মাঝি’।
..................................................................................
উপগ্রহ যেমন তার নিজ কক্ষ পথেই চলে, বিচ্যুতি ঘটলে মহাকালের
গর্ভে হারায়ে যায়, তেমনি আমাদের যাপিত জীবন মাঝে মাঝে বিচ্যুতি ঘটায় ।
অধিকাংশ সহজ সরল ভাবে জীবনটা কাটায়ে দেয় ।
কিন্ত যে বা যিনি দু:খের সাগরে ভাসতে অভ্যস্ত তিনি তার বৃত্তের বাহিরেও আসতে পারবেনা ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৩৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: তুমি ফিরে এসো তোমার নিজস্ব ঘ্রাণ নিয়ে, সত্য নিয়ে, ভালবাসা নিয়ে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।
২৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৭
রানার ব্লগ বলেছেন: পাখি একবার যদি বাসা ভেংগে আবার ফেরত আসে তার গায়ে অন্য গন্ধ থাকবেই, মেনে নিতে হলে ওই গব্ধ সহই মেনে নিতে হবে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন:
পাখি! তা মশাই বেশ বলেছেন...
মেনে নেয়া'টা মেনে নিতে নেই। জীবনটা ডাবল সিদ্ধ চা পাতার মতো স্বাদহীন হয়ে যায়।
২৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০২
রানার ব্লগ বলেছেন: হুম এই জন্যই তো যেন স্বাদহীন চা পাতা না হয় জীবন এর জন্য নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়।
০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হয়তো...
৩০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪
রায়হান চৌঃ বলেছেন: ‘আমি চাইনা তুমি ফিরে আসো; সঙ্গে কিছু মিথ্যে নিয়ে, অন্য শরীরের গন্ধ নিয়ে…’
অসাধারণ বলেছেন….। এই একটা লাইন কম করে হলেও ৬০ থেকে ৭০ বার পড়ার পর ও আমাকে বিমুখ করতে পারে নি, এমন কি এই মুহুর্তে নিচের মূল বিষয় টা পড়ার মতো দুঃসাহস আর করে উঠতে পারছি না......
অন্য সময় না হয় আরও একবার চেষ্টা করব......
ভালো থাকবেন ভাই...... আপনারা না হলে যে বাংলা সাহিত্যের মৃত্যু হবে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ রায়হান চৌধুরী।
৩১| ১৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক দিন পরে এসে এমন একটি লেখার সুযোগ পাবো তাকে ভাগ্য বলবনাতো কি বলবো! আপনি কেমন আছেন?
আমি আমার প্রিয় একজন ব্লগারকে হারিয়েছি( আমাদের আবু হেনা ভাই) ওনার জন্য প্রার্থনা করবেন আল্লাহ যেনো ওনাকে ওপাড়ে শান্তিতে রাখেন।
১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জ্বী সুজন ভাই, অনেকদিন বাদে ব্লগে আসলেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি ভাইয়া। আপনি কেমন আছেন?
দোয়া করি আল্লাহ তায়া’লা আবু হেনা ভাইকে জান্নাত নসিব করুন। আমিন।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার লেখার বৈশিষ্ট্য হলো, প্রতিটা বাক্য উপমা কিংবা রূপকাশ্রয়ী, কখনো প্রবাদ বা প্রবচনের মতো শোনায়। তাই প্রতিটা বাক্যই থামতে বলে, ওটা বোঝার জন্য। অন্যদের খবর জানি না, আমার সময় লাগে এ লেখা শেষ করতে। কারণ, প্রতিটা লাইন না বুঝে সামনে গেলে লেখাটার মাধুর্যই অনাস্বাদিত থেকে যায়।
শিরোনামটা অসাধারণ। অনেক অভিমান, রাগ, ক্ষোভ, বেদনা ও বিষাদ মিশে আছে এই শিরোনামে, যেমন পুরোটা লেখায়ও সেই বিষাদ কিংবা ক্ষোভ বা অভিমানের স্থিতি আছে প্রচ্ছন্ন ছায়ার মতো।
আপনার স্টাইল এ ব্লগে ইউনিক।
শুভেচ্ছা রইল।