![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শত সহস্র ধিক্কার সেসব নস্ট ভ্রস্ট রাজনিতিবিদ ও তাদের অন্ধ সমর্থকদের যাদের ক্ষমতালিপ্সার কারনে আজ সোনার বাংলা গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং ক্রমান্বয়ে মৃত্যু উপত্যকা, বিস্তীর্ণ শ্মশান, রক্তস্নাত কসাইখানায় পরিনত হচ্ছে।
সবকিছুই যেন আজ নস্টদের অধিকারে চলে গেছে, ক্ষমতাসীনদের গোয়ার্তুমি, ক্ষমতালিষ্পা এবং চরমদায়িত্বহীনতা এবং বিরোধীদের দলের সাধারন জনগনের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় যাবার অনন্য অভিলাষ, আর কিছু ভন্ড, প্রতারক, সুবিধাবাদী চেতনা ব্যাবসায়ীদের কারনে দেশ ও জাতী আজ চরম হুমকি এবং অনিশ্চয়তার সম্মুখীন।
জাতী হিসেবে আমরা আবেগতাড়িত, বিবেগবর্জিত এবং প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ অন্ধ রাজনৈতিক বিশ্বাসে বিশ্বাসী, প্রচন্ড রকমের দ্বিধাবিভক্ত ও প্রতিহিংসাপরায়ন। আমাদের বিবেগের দ্বার এতটাই রুদ্ধ যেন কোন কিছুতেই এমনকি জাতির বৃহত্তর সার্থে, দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের খাতিরেও ঐক্যমতে পৌছতে পারিনা। আর আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোও যে যতই দেশপ্রেম ও চেতনার কথা বলুক না কেন নিজেদের সার্থে, নিজেদের ক্ষমতায় যাবার লক্ষ্যে দেশের সার্থ বিরোধী যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে কুন্ঠাবোধ করে না।আর এখন যেভাবে পঞ্চম শ্রেনী থেকে প্রশ্নপত্র ফাশ করে যে মেধাহীন শিক্ষিত জাতি তৈরী করা হচ্ছে তাতে কিছুদিন পরে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার মত বিবেকবান লোক খুজে পাওয়া যাবেনা। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় মুল্যবোধের তীব্র অবক্ষয়ের কারনেই আমরা জাতি হিসেবে নৈতিকভাবে হেরে যাচ্ছি।
বিগত এক মাস ধরে দেশে চরম অচল অবস্থা বিরাজ করছে, দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে, জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরম এই রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগই চোখে পড়ছেনা। যদিও বিরোধী দলের দাবি ক্ষমতাসীন দলের অবৈধ ক্ষমতা দখল, বিরোধীদের মতালম্বীদের দমন পীড়ন হত্যা, গনতন্ত্র চর্চার সকল দ্বার রুদ্ধ করায় তাদেরকে ‘পয়েন্ট অফ নো রিটার্নে’ ঠেলে দিয়েছে, আবার ক্ষমতাসীন দলও বিরোধি দলকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদেরকে অস্ত্রদিয়ে দমনের চেস্টা করছে। যদিও বাস্তবে সেটা সম্ভবপর নয়। যদি তর্কের খাতিরে মেনেও নেই দুটি দলের যেকোন একটি অথবা দুটোই সঠিক কাজটি করছে, ফলাফল কিন্তু একই, জাতি হিসেবে আমরা কল্ককিত হচ্ছি, ব্যার্থ রাষ্টে পরিনত হচ্ছি এবং ক্রমান্বয়ে গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছি।
প্রধান দুটো দলই দেশপ্রেমের আদর্শে বিশ্বাস করে, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। যদিও দেশকে মায়ের সাথে তুলনা করা হয়, বলা হয়ে থাকে জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের থেকেও শ্রেষ্ট, তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটাই প্রতীয়মান হয়, আমাদের প্রধান দুটো রাজনৈতিক দল দেশটাকে মায়ের মত ভাবলেও সেটা সর্বোচ্চ সৎ মা প্রর্যন্ত।
দুই সন্তানের একজনও যদি দেশটাকে আপন মা হিসেবে ভাবত তবে সকল ভেদাভেদ ভুলে, সবকিছু ছাড়দিয়ে হলেও মায়ের দুর্দিনে, মায়ের অস্তিত্ব এবং সন্মান রক্ষায় এগিয়ে আসত।।
©somewhere in net ltd.