নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইঞ্জিঃ নূর হোসাইন

ইঞ্জিঃ নূর হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সনাতন চিন্তাভাবনা, প্রাইভেট জব বনাম গভর্নমেন্ট জব!

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫১

পত্যেকটা সেক্টরেরই নিজস্ব আত্মমর্যদা আছে, তবুও আমি সবার প্রতি সন্মান রেখেই বলছি, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হওয়াটাকে অনেকেই যেভাবে জীবনের সর্বোচ্চ সাফল্য হিসেবে মনে করেন তাতে আমি যারপনাই বিষ্মিত।। এমনকি সেটা যখন ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য হয়। অবশ্যই সরকারী চাকরিজীবিরা সমাজের সর্বোচ্চ মেধাবী স্টুডেন্ডদের প্রতিনিধিত্ব করেনা, বরং ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তারাই সমাজের সর্বোচ্চ মেধাবীদের প্রতিনিধীত্ব করে থাকে। সেজন্যই এদেরকে এলিট প্রোফেশন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।।

বড় বড় শহরগুলোতে বিশেষ করে যেখানে শিল্পায়ন ঘটেছে সেগুলো ছাড়া ছোট শহরগুলোতে প্রাইভেট জবহোল্ডারদের এমনকি ইঞ্জিনিয়ারদের অবমুল্যায়ন ভয়াবহ। যেখানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে কোনমতে কোন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স অথবা ডিগ্রী পাশ করা সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী, যারা ইঞ্জিনিয়ার বলতেই বুঝেন সেকেলে কিছু সিভিল ডিল্পোমা হোল্ডারদের কে, যারা পৌরসভা, ওয়াপডা, রোডস এন্ড হাইওয়েতে জব করেন।

অনেকেই বলেন প্রাইভেট চাকরীর সার্বক্ষণিক অনিশ্চয়তা, ওটাকে আমি বলবো চ্যালেঞ্জ, আর সেটা আছে বলেই প্রাইভেট সেক্ট্রর দেশের মোট ৬-৬.৫% জিডিপি গ্রোথের ৫-৫% অবধান রাখছে।। আর সরকারী প্রতিষ্টান গুলো দেশের টাকা লুটপাট করে সবসময়ই ভর্তুকি নিয়ে চলছে।।
এখনো আমাদের হয়তো অনেকেই অ্যাপলের আইফোন হাতে পেলে গর্ববোধ করি, কিন্তু আমরা হয়তো জানিনা, এই ব্রান্ড ভ্যালুর পিছনে স্টিভ জবসের আত্মত্যাগের কথা, যিনি মাত্র চার ঘন্টা ঘুমাতেন, বাকিতা সময় তার ধ্যান, ঞ্জান খেয়াল ছিল এই অ্যাপল নিয়ে। আপনি বাসায় বসে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখবেন, অথচ সোনার ছেলেদেরকেই চিনতে ভুল করবেন সেটা তো হয়না, যদি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সত্যিই সোনার বাংলা গড়ে উঠে সেটা অবশ্যই এই প্রাইভেট সেক্টেরের অক্লান্ত পরিশ্রম করা ছেলেগুলোর হাত ধরেই, অবশ্যই ঘুমিয়ে জীবন কাটানো, দুর্নিতিবাজ সরকারী কর্মকর্তাদের হাত ধরে না।

বিয়ের বাজারে তো সরকারি চাকরিজীবিরা যেন সোনার ছেলে, প্রাইভেট জব মানেই যেন ইনসিকিউরিটি।। আবার ছেলের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থান তো ভাল থাকা লাগবেই, আবার তার বাবারও আর্থিক অবস্থান সেরকম থাকতে হবে। যেন ছেলে মারা গেলেও তার বউ যেন ছেলের বাবারটা দিয়ে চলে যেতে পারে।। সবাই প্রতিষ্টিত ছেলে খুজবে, কিন্তু ব্যাক্তিত্ব, আদর্শ, সৎচরিত্রবান ছেলে কেউ খুজেনা। কিন্তু আশা করবে ছেলে যেন তার মেয়েকে রাজকন্যার মত রাখে, আপনি চাইনিজ মোবাইল কিনে আইফোনের মত সার্ভিস আশা করবেন সেটা তো হয়না।।

অনেকে বলেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হতে পারলে সমাজের উচুনিচু সবাই তোমাকে গণতে বাধ্য হবে, আমি বলছি আপনাকে যদি কেউ গুনে, সেটা অবশ্যই আপনার মেধা, মননশীলতা, মনুষ্যত্ব, এবং মুল্যবোধের কারনে, আপনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি, আপনি সেবক, ক্ষমতার অপব্যাবহার না করে যদি সেবার মানুষিকতা থাকত তবে এই ধারনা কখনোই কারো মনে আসার কথা নয়।। আর অনেকে হয়তো চামচামির কথা বলবেন, সেটা গভর্মেন্ট সেক্টরে হয় সবচেয়ে বেশি, রাজনৈতিক লেজুরবিত্তি এবং চামচামিই যেখানে একমাত্র যোগ্যতার মাপকাঠি সেখানে এমন কথা বলা নিতান্তই অমুলক।।আবার অনেকেই বলেন, গভর্মেন্ট জব পেলে নারী বাড়ি গাড়ি কোন কিছুরই অভাব হয়না। বাড়ি গাড়ী সরকারী কর্মকর্তারা কিভাবে করে সেটাই সবাই অবগত।। আর নারী, আপনার জীবনে মনের মত একজন নারীই দরকার, আপনি দাম্পত্য জীবনে কতটা সুখি হবেন সেটা আপাদের পারষ্পিরিক বোঝাপরার উপরে নির্ভর করবে, সরকারী কিংবা বেসরকারি চাকরির উপরে নয়।

ধরুন আপনি অনেক বেশি অনেক বেশী দাম দিয়ে একটা ব্রান্ডেড টিভি কিনলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা ১ বছর ওয়ারেন্টির পরেই নস্ট হয়ে গেল, আবার একটা নন ব্যান্ডেড টিভি কিনলেন, কিন্তু সেটা আপনার ডিসায়ার্ড লেভেলের সার্ভিস দিল, এখন আপনিই ভাবেন আপনার জন্য কোনটা ফেভারাবল। আর সরকারী চাকরিজীবিদের সন্মান আর ক্ষমতার কথা বলছেন, ক্ষমতার ভারে মানুষের মাথা নুহ্য হয়ে পড়ার কথা, মাথা আকাশচুম্বি হবার কথা নয়।

আর সন্মানের কথা বলছেন, হয়তো সামনে থেকে সন্মান করবে, পিছন থেকে গালি দিচ্ছে।। অনেক মেয়ের বাবাই পুলিশ জামাই পেলে খুশি হয়, হয়তো ক্ষমতার অপব্যাবহার করবেন, অথবা পুর্ববর্তি ক্ষমতার অপব্যাবহারকারিকে সাইজ করবেন বলে, একজন ক্ষমতার অপব্যাবহারকারীকে সাইজ করতে গিয়ে আপনি নিজেই যদি ক্ষমতার অপব্যাবহার করেন।। আর পুলিশ !! ওনানা আমাদের কতটা আস্থার প্রতীক, সমাজে কতটা সন্মানিত, সেটা সবাই ভাল জানেন।

আর হ্যা, বাংলাদেশ তথা সমগ্র বিশ্বে প্রাইভেট সেক্টরগুলোই কর্পোরেট সোসাইটি তথা বিশ্বঅর্থনিতিকে নিয়ন্ত্রন করছে।। সরকারি চাকরি করে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে জীবন অপচয় করার এমন কদর একমাত্র বাংলাদেশের মত কিছু তৃতীয় শ্রেনীর দেশেই আছে।। কারন হলো ইকোনোমিক সিস্টেম, সোস্যাল ইকোনমি, ক্যাপিটাল ইকোনমি এবং মিক্স ইকোনোমি।

আমাদেরটাও মিক্স ইকোনমি,তবে সেটা সোস্যাল থেকে মিক্স হয়ে আসছে, তাই এখনো গভর্মেন্ট সেক্টর প্রাধান্য বিস্তার করছে।। কিন্তু উন্নত বিশ্বে যারা ক্যাপিটাল অথবা মিক্স কিন্তু ক্যাপিটাল ইকোনমি প্রধান তাদের দেশে কিছু গুরুত্বপুর্ন সেক্টর যেমন অস্র তৈরির কারখানা, যেগুলো প্রাইভেট হলে জননিরাপত্তা হুমকির সম্মুখিন হতে পারে পারে সেসব সেক্ট্রর ছাড়া সবই প্রাইভেট।।সরকারী চাকরি করে দুর্নিতি করে করে আপনি সব করতে পারবেন, টাকা, বাড়ি, গাড়ি, একাধিক নারী, সরকারই হয়ত এসবের প্রোটোকল দিবে, কিন্তু বিবেগের দহন থেকে কেই প্রোটোকল দিতে পারবে না।। জীবনের শেষ মুহুর্তে এসে হলেও অনুশোচনা করতে হবে যদিনা এত্তদিনে বিবেগেরই মৃত্যুটা না হয়ে থাকে

মন্তব্য -১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (-১) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.