![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে পৃথিবীতে নির্বাসিত।
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকার মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি ; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি ; আরো দূর অন্ধকার বিদর্ভ নগরে ;
আমি ক্লান্ত প্রান এক , চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবন্তীর কারুকার্য ; অতিদূর সমুদ্রের 'পর
হাল ভেঙ্গে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, "এতদিন কোথায় ছিলেন ?"
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পান্ডুলিপি করে আয়োজন
তকন গল্পের তরে জোনাকির রঙ্গে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে--সব নদী--ফুরায় এ-জীবনের সব লেন দেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।
২১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৪৭
নরক হতে বহিষ্কৃত বলেছেন: ধন্যবাদ। সময় পেলে আরো কয়েকটা দেব।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:১০
গানচিল বলেছেন: অসাধারন.........
"আট বছর পরে একদিন" কবিতাটা দিয়ে একটা পোস্ট দেন না!
কাল রাতে ফাল্গুনের আধারে
যখন ডুবে গিয়েছিল চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ
বধু শুয়েছিলো পাশে
প্রেম ছিল ভালবাসা ছিল
ঘুম কেন ভেঙ্গে গেল তার
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল
লাশকাটা ঘরে ঘুমায় এবার.......
মুখস্হ নাই। তাই লাইনগুলোতে হযবরল লাগিয়ে ফেলেছি বোধ হয়।
২১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:২৩
নরক হতে বহিষ্কৃত বলেছেন: কবিতাটার নাম সম্ভবত "আট বছর আগে একদিন"।
শোনা গেল লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ ।
বধু শুয়েছিল পাশে, শিশুটিও ছিল;
প্রেম ছিল, আশা ছিল - জোছনায় - তবু সে দেখিল
কোন ভূত? ঘুম কেন ভেঙ্গে গেল তার?
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল - লাশ কাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার ।
এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি !
রক্তফেনামাখা মুখে মড়কের ইদুরের মত ঘাড় গুজি
আঁধার ঘুজির বুকে ঘুমায় এবার ;
কোনদিন জাগিবে না আর ।
‘কোনদিন জাগিবে না আর
জানিবার গাঢ় বেদনার
অবিরাম অবিরাম ভার
সহিবে না আর -’
এই কথা বলেছিল তারে,
চাঁদ ডুবে গেলে - অদ্ভুত আঁধারে
যেন তার জানালার ধারে
উটের গ্রীবার মত কোন এক নিস্তব্ধতা এসে ।
তবুও তো পেঁচা জাগে;
গলিত স্থবির ব্যাঙ আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে
কয়েকটি প্রভাতের ইশারায় -অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে ।
টের পাই যূথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদ্দেশে
চারি দিকে মশারির ক্ষমাহীন বিরুদ্ধতা;
মশা তার অন্ধকার সঙ্ঘারামে জেগে থাকে জীবনের স্রোত ভালবেসে ।
রক্ত ক্লেদ বসা থেকে রৌদ্রে ফের উড়ে যায় মাছি ;
সোনালী রোদের ঢেইয়ে উড়ন্ত কীটের খেলা কত দেখিয়াছি ।
ঘনিষ্ট আকাশ যেন, কোন বিকীর্ণ জীবন
অধিকার করে আছ ইহাদের মন ।;
দুরন্ত শিশুর হাতে ফড়িংযের ঘন শিহরন
মরনের সাথে লড়িয়াছে ।
চাঁদ ডুবে গেলে প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বত্থের কাছে
এক গাছা দড়ি হাতে নিয়ে গিয়েছিলে তবু একা একা,
যে জীবন ফড়িংযের দোয়েলের - মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা ,
- এই জেনে ।
অশ্বথের শাখা
করেনি কি প্রতিবাদ? জোনাকীর ভিড় এসে
সোনালী ফুলের স্নিগ্ধ ঝাকে
করে নি কি মাখা মাখি ?
থুর থুরে অন্ধ পেঁচা এসে
বলে নি কি ‘ বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?
চমৎকার! —
ধরা যাক দুই একটা ইদুর এবার !’
জানায় নি কি পেঁচা এসে এ তুমুল গাঢ় সমাচার ?
জীবনের এই স্বাদ - সুপক্ক যবের ঘ্রাণ হেমন্তের বিকেলের -
তোমার অসহ্য বোধ হল;
মর্গে কি হৃদয় জুড়ালো
মর্গে - গুমোটে
থ্যাঁতা ইদুরের মত রক্তমাখা ঠোটে !
শোনো
তবুও এ মৃতের গল্প; - কোন
নারীর প্রণয়ে ব্যর্থ হয় নাই ;
বিবাহিত জীবনের সাধ
কোথাও রাখেনি কোন খাদ ।
সময়ের উদবর্তনে উঠে আসে বধু
মধু - আর মননের মধু
দিয়েছে জানিতে;
হাঢ়াভাতের গ্লানি কোন বেদনার শীতে
এ জীবন কোন দিন কেপে ওঠে নাই;
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শূয়ে আছে টেবিলের ‘পরে ।
জানি - তবু জানি
নারীর হৃদয় - প্রেম -শিশূ - গৃহ- নয় সবখানি;
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয় -
আরো এক বিপন্ন বিষ্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
ক্লান্ত ক্লান্ত করে ;
লাশ কাটা ঘরে
সেই ক্লান্তি নাই,
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শূয়ে আছে টেবিলের ‘পরে ।
তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি, আহা,
থুরথুরে অন্ধ পেঁচা অশ্বত্থের ডালে বসে এসে,
চোখ পাল্টায়ে কয়ঃ ‘ বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?
চমৎকার! —
ধরা যাক দুই একটা ইদুর এবার –!’
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব - বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
কষ্ট করে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:২৫
বৃষ্টিধারা বলেছেন: প্রিয় কবিতা পড়লাম আবার ....
২১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৩০
নরক হতে বহিষ্কৃত বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:২৬
নরক হতে বহিষ্কৃত বলেছেন: Click This Link
এই লিঙ্ক-এ কবিতাটা পেয়ে গেলাম। কষ্ট করে পুরোটা টাইপ করতে হল না । এজন্য ব্লগার বাগান বিলাস-কে ধন্যবাদ।
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৪৬
গানচিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান।
৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: ভাই বহুবার পড়া কিংবা আবৃত্তি করা কবিতা- তাই এই নিয়া আর কমেন্টাইলাম না।
কিন্তু একটা কৌতুহল- নরকের তন খেদাইল কেন?
কোন আকাম করছিলেন???
২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০
নরক হতে বহিষ্কৃত বলেছেন:
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯
অভ্রমালা বলেছেন: অনেক প্রিয় একটা কবিতা।
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫৬
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: জীবনান্দ দাস কবিতা একখান লেখছে চ্রম ।আমার প্রিয় একটা কবিতা
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:১৯
কদমা বলেছেন: ১ কথায় আনবদ্য !
আরো কয়েকটা দিন না ।