নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কেই জানিনা, দুনিয়া তো আরো অনেক দূরের বিষয়। তবে কেনো জানি নিজের চেয়ে দূনিয়া সম্পর্কে জানার আগ্রহ বেশী।

নতুন পাপী০০৭

নিজের সম্পর্কে লিখতে গেলে প্রথমে নিজেকে জানতে হয়।কিন্তু আমি তো এখনো আমার আমি কেই চিনি না।

নতুন পাপী০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাইক্রোম্যানেজমেন্ট: কর্মীদের মনোবল ও সৃজনশীলতা ধ্বংসের সূক্ষ্ম অস্ত্র

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

মাইক্রোম্যানেজমেন্ট, অর্থাৎ একজন কর্মীর প্রতিটি ছোটো কাজ পর্যবেক্ষণ ও বারবার আপডেট চাওয়া, একজন দক্ষ ও আগ্রহী কর্মীর মানসিক শক্তি ধ্বংস করার এক কার্যকর পন্থা। এর জন্য কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন নেই।

যদি প্রতিদিন কর্মীকে তার কাজের একই আপডেট সম্পর্কে চাপ দেয়া হয় এবং তার নিজস্ব দায়িত্ববোধ ও স্বাধীনতার জায়গায় বারবার হস্তক্ষেপ করা হয়, তাহলে খুব দ্রুত তার মধ্যে থাকা কাজের প্রতি আগ্রহ ও সৃজনশীলতা হারিয়ে যেতে শুরু করে।

ধরা যাক, কোনো কাজের জন্য একজন কর্মী জানিয়েছে যে, নির্দিষ্ট একটি কোম্পানি থেকে ৭ দিনের মধ্যে আপডেট আসবে। এই ৭ দিন ধরে যদি তাকে প্রতিদিনই চাপ দেয়া হয় “আপডেট কী?”, তাহলে সে ধীরে ধীরে দায়িত্বশীলতার বদলে কেবল নির্দেশ ফলো করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। আগে যেখানে সে নিজে থেকে আপডেট নিতো, এখন সে কেবল অপেক্ষা করবে কখন আবার তার কাছে আপডেট চাওয়া হবে। এর ফলে, সে রোবটিক আচরণ করতে শুরু করে—প্রতিবার শুধু নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে এবং নিজের উদ্যোগ হারিয়ে ফেলে।

অনেকক্ষেত্রে কর্মীরা এই পরিস্থিতিতে চাকরি ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবতে পারে, কিন্তু সেই সুযোগও যদি তার সামনে না থাকে, অর্থাৎ তাকে যদি শুধু বেতন বাড়িয়ে চাকরিতে আটকে রাখা হয়, তাহলে টাকার লোভে সে চাকরি ছাড়তে পারবে না। অথচ তার কাজের মান, কর্মস্পৃহা ও সৃজনশীলতা ধ্বংস হতে থাকবে।

এই কৌশলের পেছনে কিছু মানুষ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে থাকতে পারে। কেউ কেউ মনে করে কর্মীদের ব্যস্ত রাখতে হবে যাতে তারা কাজ থেকে মনোযোগ সরাতে না পারে, আবার কেউ হয়তো কর্মীর প্রতি আস্থাহীনতার কারণে এমনটি করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কর্মী যদি উৎসাহী, দায়িত্ববান ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারে, তবে তার কাজের গুণগত মান ও তার প্রতিষ্ঠানে অবদানের মান হ্রাস পায়।

সর্বোপরি, একজন কর্মীর দক্ষতা ও আগ্রহ ধরে রাখতে তাকে স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ দেয়া, তার প্রতি আস্থা রাখা এবং কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করাই একজন সফল ম্যানেজারের দায়িত্ব।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মাইক্রো ম্যানেজমেন্টের কিছু উদাহরণ টানা দরকার ছিলো। অধিকাংশ মাইক্রোম্যানেজাররাই বুঝতে পারে না যে সে আসলে কি করছে।

অফিস বাদেও আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও মাইক্রোম্যানেজমেন্ট বেশ ঝামেলা বয়ে আনে। বিশেষ করে সন্তান লালন-পালনের সময় তাদের উপর বেশী খবরদারী ও সব কিছুতে মাইক্রোম্যানেজমেন্ট তাদের কনফিডেন্স ভেঙ্গে দেয় ও পরবর্তিতে তা বিশাল সমস্যার কারণ হয়ে দাড়ায়।
------
ব্লগে সাধারণত এই ধরণের লেখা মানুষ খুব একটা পড়ে না। তবে হতাশ হবেন না, লিখতে থাকুন। মূলত আপনাকে ইন্সপায়ার করবার জন্যই মন্তব্য করলাম। আর একটু গুছিয়ে, আর একটু বড় করে লিখুন। পরবর্তিতে এটা হয়ত কোন বই আকারে বের করতে পারবেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

নতুন পাপী০০৭ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমি লিখাটিকে ছোট করার জন্য তেমন উদাহরণ টানিনি। তবে পরের বার অবশ্যই লিখার সাথে রিলেটেড বেশকিছু উদাহরণ টানবো। মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আরও কিছু লিখার ইচ্ছা আছে।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০১

কালো যাদুকর বলেছেন: অনেক সময় ইছে করেই এমন করা হয় যাতে কর্মী নিজেই চলে যায়।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২

নতুন পাপী০০৭ বলেছেন: কিছু ক্ষেত্রে অকর্মা বসগন এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাদের প্রতিদ্বন্ধী মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। অনেকে আছে যা্রা বোঝেই না যে তারা মাইক্রো ম্যানেজমেন্টের নামে ভালো কর্মীর কাজের স্পৃহা নষ্ট করে দিচ্ছেন। এই ২য় ধরনের লোকের সংখ্যাই বেশী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.