‘মানুষ বিয়ে করে কেন??’ এই নিয়ে বিখ্যাত চিন্তাবিদ মফিয এর গবেষনালব্ধ ফল প্রকাশ……

১৩ ই মে, ২০১২ রাত ১০:৫৯

এই জগতে দুই ধরনের মানুষ আছে।প্রথমত,একদল যারা বিয়ের ব্যাপারে উদাসীন। ২য়ত…আরেকদল বিয়ে পাগল।যারা কিনা মা আমি বিয়া করুম, বাবা কবে আমার বিয়া দিবা, বউ আরেকটা বিয়া করি না!!! এসব বলে বাড়ির পরিবেশ সবসময় গরম রাখে।

আসলে মানুষ কেন বিয়ে করে, তা নিয়ে কম গবেষনা হই নি। আমাদের “ মফিয ল্যাব” এ এই নিয়া চিন্তাবিদ মফিয গবেষনা করে নিচের কতগুলো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।





কৌ্তুহল বসতঃঃ মানুষ আজব চিজ, আজব সব জিনিস নিয়ে কৌ্তুহল করতে পছন্দ করে। এই বিয়ের ব্যাপারেও অনেকে মনে করে এটা কেমন দেখি না একটু ঘেঁটে। কিন্তু ঘাঁটতে গিয়ে কেচো খুড়তে যে সাপ বের হয়ে যায় সেটা যারা বিয়ে করেছেন তাদের জানার কথা।।



প্রেমিকার চাপেঃঃ যারা প্রেম করেছেন কিংবা প্রেম করেন তাদের এই কথাটা ভালো করে বোঝার কথা। মেয়ের বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ যখন মেয়ের ঘাড়ের উপর সামান্য আঘাত হানে, সেই চাপ 1000 KPa

চাপ হয়ে প্রেমিকের মাথার অবস্থান নিতে পছন্দ করে। প্রেমিকের তখন তার প্রাণপ্রিয় প্রেমিকারে বিয়ে করা ছাড়া আর কোন গতি থাকে না। তাই ভেঁড়া হয়ে গাভির গলার মালা পরাতে হয়।



বয়সের ভারেঃঃ বিয়ে করব করব করে করাই হয়ে উঠল না। অই শালা বিয়া কি, “এটা স্কুলের টার্ম পরীক্ষা যে দিলাম না দিলাম অত কিছু যাই আসে না, এটা যে বোর্ড পরীক্ষা“ গাধা,আসল মজা নিতে চাইলে সময়মত করতে হবে। আসলে Time এর কাজ Time এ না করলে এই রকমে হয়। এই ভিম ধরা বুড়াগুলার জন্য বিয়ে করা বাধ্যতামুলক হয়ে পরে তখন আগের কাজ পরে করতেই হয়। এরাও অবশ্য পস্তায় অন্য কারনে কেন আগে করলাম না। বোঝেন এ তো………থাক এটা বুইঝা লইয়েন……সব কথা তো আর কওন লাগে না।।



বাবা মায়ের চাপেঃঃ কিছু কিছু বালা মানে বেশি ভালা বাবা-মা ছেলেমেয়েদের বিয়ের ব্যাপারে অতিউৎসাহী।। তারা মনে করে বিয়ে করলে পোলা মাইয়্যা সংসারি হয়, খারাপ পথে যাওয়ার risk থাকে না। আবার কেউ কেউ বৃদ্ধ বয়েসে একাকিত্ত বোধ করে, নাতি নাতনী হলে নিঃসজ্ঞতা ঘুচবে এই আশায় যত তাড়াতাড়ি পারে বাচ্চা পোলাপানে সর্বনাশ করে(মানে বিয়ে দেয়)। সাধারনত এইরকম বিয়ে arranged হয়। পোলাপাইনের কিছুই করার থাকে না, একেবারে গোয়ালের গরুর বাছুরের মত।



যৌবনের বেগেঃঃ বিশেষত ১৭-২০ বছরের পোলাপানদের মধ্যে যৌবনের হাওয়া প্রবাহিত হয়, সেটা একেবারে স্রোতস্বিনী নদীর মতন, সামনে যা পায় তাই নিজের করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। আর এই হাওয়ার ধাক্কায় পোলাপানেরা একেবারে বিয়ের মঞ্চে গিয়ে পড়ে। অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেএে তারা পস্তায়, কেন যে এই ভুল করলাম, যার মাশুল সারাজীবন দিয়ে যেতে হয়, তবে মুখ খুলে কিসুই বলতে পারে না। তবে সবাই যে পস্তায় তা নয়, কার জীবনের উন্নতি exponential হারে বাড়তে থাকে। তাদের জীবনের মুলমন্ত্র “ সঙ্গিনী ছাড়া জীবন অর্থহীন, জিবনের আসল রস পেতে হলে তাকে দরকার”



প্রেমিকাকে চিরদিনের জন্য নিজের করে নেয়ার জন্যঃঃআধুনিক যুগে মানুষকে বিশ্বাস করা বড় দায়। এটা স্বাভাবিক যে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকে, যদি সে আমার না হয় তবে কি হবে?? কারন মেয়েরা রহস্যময়ী। একজন মনীষী বলেছেন,” মেয়েরা সবসময় best option খোঁেজ।“ আর এসব কথা চিন্তা করে অনেক ভবিষজ্ঞ প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য বিয়ে নামক কর্মকান্ড সাধন করে ফেলে। অনেক সময় দেখা যায় বাবা মা জেনে গেলে কোন এক পক্ষ মেনে না নেয়াতে এ বিয়ে টিকে না, যদি না ভালোবাসার বন্ধন সেইরকম দৃঁঢ় না হয়।



শখের বশেঃঃ শুনতে অবাক লাগছে তাই না?? বিয়ে, তাও আবার শখ করে। হ্যা বাবা, শখের বসে বিয়ে যারা করে, একটা দুইটা দিয়ে তাদের আবার পোষায় না, গান্ডায় গান্ডায় বিয়ে করতে থাকে। কেউ কেউ এই বিয়ে করে বিশ্ব রেকর্ড করার চিন্তা ভাবনা করে।



এইসব কারন বাদে আরও কোন কারন আপনাদের মনে হলে আপনারা জানাতে পারেন। মিঃ মফিয এই লিস্টে যোগ করে দেবেন।



এই গবেষনার পর আমাদের অবিবাহিত মফিয বিয়ে করবেন না বলে জানান।

২৯ টি +৫/-০