নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবজ্যোতি

ধ্রুবজ্যোতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এজমার কিছু কথা

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬

এজমা কি?

উত্তরঃ এটা শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের কারণে ঘটা এমন অবস্থা যেখানে ফুসফুসে বাতাস প্রবাহ ব্যহত হয় কিন্তু এটা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। চারটি অবস্থা যেমন ১। বুকে শব্দ হওয়া ২। শ্বাস কষ্ট ৩। বুকে চাপ অনুভব করা এবং কাশি এর সুনির্দিষ্ট লক্ষণ।

কেন হয়?

উত্তরঃ সঠিক কারণ অজানা তবে ধারণা করা হয় শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, শিশু গর্ভে থাকা কালীন মায়ের ধুম পান, বংশগত বা এলার্জি এই কারণগুলো দায়ী।

কি করে রোগ নির্ণয় করা যায়?

১। বুকে শব্দ হওয়া ২। শ্বাস কষ্ট ৩। বুকে চাপ অনুভব করা এবং কাশি এই চারটির মধ্যে একের অধিক লক্ষণ পাওয়া গেলে বিশেষ করে যদি এগুলো প্রায়শই এবং বার বার হতে থাকে, যদি রাতে কষ্টের প্রাদুর্ভাব বেশী হয় এবং ভোরের দিকেও, যদি পরিশ্রমে বা গৃহ পালিত পশু যেমন বিড়াল-কুকুর এদের সংস্পর্শে এলে, ঠান্ডা বাতাসে, আবেগ বা হাসি এসব কারণে কষ্ট শুরু হয় বা বেড়ে যায়; এ ছাড়াও যদি রোগীর এলার্জি থাকে, রোগীর নিকটাত্নীয়র যদি এজমা বা এলার্জী থাকে তবে এ লক্ষণ গুলো দেখে বোঝা যায় রোগী এজমা রোগে ভুগছে।

যে সব কারণে এজমা বেড়ে যায়ঃ

১। এলার্জেন (যে সব বস্তু এলার্জী ঘটায়): ফুলের রেণু, মোল্ড, ধুলা, তেলাপোকার বর্জ, মাইট (ঘরের ধুলা বালিতে থাকা অতি ক্ষুদ্র কীট),

২। উত্তেজক পদার্থঃ ধোঁয়া, পারফিউম, স্প্রে, কসমেটিক, রং, গাড়ী বা ফ্যাক্টরীর ধোয়া,

৩। শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহঃ ভাইরাস সংক্রমন, ঠান্ডা লাগা

৪। অতিরিক্ত পরিশ্রম

৫। কিছু ওষুধ (যেমন ব্যাথার ওষুধ, এসপিরিন, বিটা ব্লকার)

৬। ঋতু পরিবর্তন, কম তাপমাত্রা,

৭। মানসিক চাপ যেমনঃ আবেগ, ভয়, অপারেশন বা গর্ভাবস্থা ইত্যাদি।

চিকিৎসাঃ

১। যে কারণে এজমা বেড়ে যায় (উপরে উল্লেখ করা হয়েছে) সেগুলো পরিহার করে চলা।

এজমাকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। যেমন;

ধাপ এক

১। সপ্তাহে একবারের চেয়ে কম আক্রান্ত হওয়া

২। রাতে মাসে দুইবারের চেয়ে কম আক্রান্ত হওয়া

প্রয়োজন অনুযায়ী ভেনটোলিন ইনহেলার ব্যবহার করা।

ধাপ দুই

১। সপ্তাহে একের অধিক বার আক্রান্ত হওয়া

২। রাতে মাসে দুইবারের অধিক আক্রান্ত হওয়া

প্রয়োজন অনুযায়ী ভেনটোলিন ইনহেলার ব্যবহার করা।

+ কম মাত্রায় বেকোটাইড বা অন্য কোন স্টেরয়েড ইনহেলার

অথবা ট্যাবলেট মনটেলিউকাস্ট

অথবা সোডিয়াম ক্রোমোগ্লাইকেট

অথবা নেডোক্রোমিল সোডিয়যাম

ধাপ তিন

১। প্রতিদিন শ্বাসকষ্ট হওয়া

২। রাতে সপ্তাহে একের বেশীবার আক্রান্ত হওয়া

প্রয়োজন অনুযায়ী ভেনটোলিন ইনহেলার ব্যবহার করা।

+ উচ্চ মাত্রায় বেকোটাইড বা অন্য কোন স্টেরয়েড ইনহেলার

অথবা কম মাত্রায় বেকোটাইড বা অন্য কোন স্টেরয়েড ইনহেলার + সালমেটেরল

অথবা কম মাত্রায় বেকোটাইড বা অন্য কোন স্টেরয়েড ইনহেলার + মনটেলিউকাস্ট

অথবা কম মাত্রায় বেকোটাইড বা অন্য কোন স্টেরয়েড ইনহেলার + থিওফাইলিন এস আর

ধাপ চার

১। সবসময়ই শ্বাসকষ্ট

২। রাতেও প্রায়শই আক্রান্ত হওয়া

প্রয়োজন অনুযায়ী ভেনটোলিন ইনহেলার ব্যবহার করা।

+ উচ্চ মাত্রায় বেকোটাইড বা অন্য কোন স্টেরয়েড ইনহেলার + সালমেটেরল + মনটেলিউকাস্ট

অথবা উচ্চ মাত্রায় বেকোটাইড বা অন্য কোন স্টেরয়েড ইনহেলার + সালমেটেরল + থিওফাইলিন এস আর

অথবা উচ্চ মাত্রায় বেকোটাইড বা অন্য কোন স্টেরয়েড ইনহেলার + সালমেটেরল + মনটেলিউকাস্ট + থিওফাইলিন এস আর।

ধাপ পাঁচ

ধাপ চারের ওষুধ

+ প্রেডনিসোলন।

যদি এজমা নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে তিন মাস পর পর চিকিৎসার ধাপ কমিয়ে আনতে হবে। আর যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তবে পরবর্তী ধাপের চিকিৎসা দিতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.