![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ডিস কি?
উত্তরঃ সোজা কথায় শরীর হলুদ হয়ে যাওয়াকে জন্ডিস বলে। তবে সজ্ঞা বলতে গেলে বলতে হয় ‘বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে যদি চামড়া, চোখ এবং মিউকাস মেমব্রেন হলুদ হয়ে যায় তবে তাকেই জন্ডিস বলে।‘
কেন হয়?
উত্তরঃ রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস হয়।
বিলিরুবিন কি কারণে বাড়ে?
উত্তরঃ লিভারের বা পিত্তথলির অসুখে বা রক্তের লোহিত কণিকা ভেঙে গেলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।
নবজাতকের জন্ডিসঃ
মজার ব্যাপার হল নবজাতকের জন্ডিস বড়দের জন্ডিস থেকে একটু অন্য রকম। বড়দের যে কারণে জন্ডিস হয় তা নবজাতকেও হতে পারে, তবে সাধারণত নবজাতকে যে কারণে জন্ডিস হয় তার মধ্যে শুধু দু একটা নিয়েই লিখব যা জানা থাকলে মা বাবার অহেতুক দুঃশ্চিন্তা কমে আসবে।
তার আগে নবজাতকের কোন সময়ের জন্ডিস কেমন তার একটা ধারণা দেই।
১-২ দিন, স্বাভাবিক জন্ডিস নয়। ডাক্তার দেখান।
২-৭ দিন, স্বাভাবিক জন্ডিস, কোন দুঃশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। একে ফিজিওলজিকাল জন্ডিস বলে। নিজে থেকেই কমে যায়।
৭-১৪ দিন, ডাক্তার দেখান।
২-৩ সপ্তাহ এবং বাচ্চা মায়ের দুধ খাচ্ছে, ব্রেস্ট-মিল্ক জন্ডিস। বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই। তবে ৩ সপ্তাহের পরও যদি জন্ডিস বাড়তে থাকে ডাক্তার দেখান।
প্রথমে ভেবেছিলাম জন্ডিস নিয়ে একটা লেকচার-ই লিখে ফেলি। কিন্তু এখন ভাবছি এই ব্লগটাকে মেডিকেলের খটমটে ক্লাস না বানিয়ে এখানেই শেষ করি, কারণ আমি যে উদ্দেশ্যে এবং যে ইনফরমেশনটুকু দিতে চেয়েছিলাম তা দেয়া হয়ে গেছে! সবার জন্য শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: মাহমুদ ভাই, আপনার মত পাঠক যখন আছে নিঃশ্চই এর পর আরো বিস্তারিত লিখব।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: আরো লিখলে ভাল হতো। জানার জন্যইতো ব্লগ, আর সেটা যদি হয় মেডিক্যল রিলেটেড তাহলে সেটাতো আরো ভালো।