![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক গ্রামের এক চাষীর মেয়েটি ছিল খুবই সুন্দরী। তাকে দেখে এক সিংহের বিয়ে করার সাধ হল। তাই একদিন চাষীকে গিয়ে সে তার ইচ্ছের কথা জানাল।
চাষী বেচারা পড়ল মহা ফাঁপড়ে। হিংস্র সিংহের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবার কথা সে ভাবতেও পারে না। কিন্তু সে কথা বললেই তো সিংহ তার ঘাড় মটকাবে।
সিংহকে কি জবাব দেয় এ কথা ভাবতে ভাবতে চাষীর মাথায় বুদ্ধি এসে গেল। সে সিংহকে বলল, তুমি হলে পশুদের রাজা। তোমার সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হলে সে হবে রাণী। এতো খুব সুখের কথা। তবে কিনা একটা কথা – মেয়েতো বড় হয়েছে। তার মতামতটাও শোনা দরকার। সিংহ খুশি হয়ে বলল, তা বেশ তো। বাড়ির ভিতর থেকে তার মতামত টা তুমি জেনে এসো ততক্ষণ আমি এখানে বসছি।
সিংহকে উঠানে বসিয়ে রেখে চাষী গেল বাড়ির ভেতরে। কিছু সময় পরে ফিরে এসে সিংহকে বলল, মেয়ে তো শুনে মহা খুশি হে। তবে তার একটা শর্ত আছে। সিংহ উৎসাহের সঙ্গে বলে উঠল, বেশ, বেশ শর্তটা কি শুনি?
চাষী বলল, মেয়ে বলেছে, তোমার নখ আর দাঁতগুলোকে তার বড় ভয়। যদি নখ গুলো উপড়ে ফেল আর দাঁতগুলোকে তুলে ফেলতে রাজি থাক, তাহলে তোমাকে বিয়ে করতে তার কোন আপত্তি নেই। চাষীর মেয়ের রূপ দেখে সিংহ এমনই মুগ্ধ হয়েছিল যে সঙ্গে সঙ্গে শর্তে রাজি হয়ে গেল। সে বলল এ আর এমন কী বড় কথা। আমি এখুনি দাঁত নখ ফেলে আসছি।
এই বলে সে বনে গিয়ে দাঁত দিয়ে টেনে টেনে এক এক করে প্রথমে চার থাবার সব নখ উপড়ালো। তারপর নানান কায়দায় বহু কষ্টে খসিয়ে ফেলল মুখের সব দাঁত। সে এক রক্তারক্তি কান্ড। কিন্তু বিয়ের আনন্দে কষ্টকে সিংহ কষ্ট বলে মনেই করল না।
নখ ও দাঁত সাফ করে সিংহ চাষীর কাছে এসে বলল, এবার তোমার মেয়েকে নিয়ে এসো। এই বেলা তাড়াতড়ি বিয়েটা সেরে নেয়া যাক।
বাঃ বাঃ বেশ করেছ, বলতে বলতে চাষী সিংহকে খাতির দেখিয়ে দাওয়ায় বসতে দিল। তারপর মেয়েকে আনতে বাড়ির ভেতর ঢুকল।
শরীরের যন্ত্রণায় এমনিতেই সিংহের নাজেহাল অবস্থা। দু’দন্ড বসেই তার মনে হতে লাগলো অনেক সময়।
চাষী ভেতরে গেছে কিন্তু বাড়ি থেকে আর বেরুনোর নাম করছে না। সিংহ কেবলই উসখুশ করতে থাকে। তবু মনকে সে এই বলে প্রবোধ দেয়, বিয়ের কনেতো তাই সাজিয়ে-গুজিয়ে আনতে সময় লাগছে। আশায় আশায় তাই সে ধৈর্য ধরে বসে থাকে।
কিছু সময় পরে হাতে একটা বড়সড় মুগুর নিয়ে চাষী এল বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর সেই সাথে মুগুরের দমাদম পিটুনি পড়তে লাগলো সিংহের পিঠে।
দাঁত নেই নখ নেই এখন সিংহ তো অসহায় ছাগলের মত। চাষীকে ঘায়েল করার সব অস্ত্রই সে খুইয়েছে। তাই মুগুরের বেধড়ক পিটুনি খেয়ে বেচারার কেবল ঘন ঘন গর্জন তোলা আর মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়া ছাড়া আর কিছু করার উপায় ছিল না। শেষে প্রাণটা নিয়ে কোন মতে টেনে দিল পিঠ টান।
নীতিকথাঃ কাজ করার আগে তার ভালমন্দ সব দিক বিচার করে দেখতে হয়।
২১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ব্লগে স্বাগত জানাই বিদ্রোহী ভাই! অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
আহমেদ রিজভী বলেছেন: ++++++++
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ধন্যবাদ রিজভী ভাই!
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
কালোপরী বলেছেন:
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫০
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন:
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: +++++
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ধন্যবাদ!
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০০
অশ্রুহীন মন বলেছেন: খুব ভাল হয়েছে
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১২
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ভাই অশ্রুহীন মন, পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখাটা ঈষপের গল্প থেকে সংগৃহী
৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৩
সাগর হাসি বলেছেন: ছোটবেলায় পড়েছিলাম আবার পড়লাম। ৪র্থ++++
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০০
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভাল থাকুন সবসময়!
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৬
মঈনউদ্দিন বলেছেন: কাজ করার আগে তার ভালমন্দ সব দিক বিচার করে দেখতে হয়
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০১
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ধন্যবাদ মঈনউদ্দিন ভাই!
৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪২
স্বপনবাজ বলেছেন: ++++++++
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০২
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপনবাজ! অনেক শুভকামনা!
৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন:
মজা পেলুম!
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৩
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন:
১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ৭ম++
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৫
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই, অনেক ধন্যবাদ! শুভকামনা!
১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৬
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: হুমম করিরা না ভাবার চেয়ে ভাবিয়া করা উত্তম+++++++
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ঠিক বলেছেন বাপ্পা ভাই!
১২| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৩
মেলবোর্ন বলেছেন: ভাবিয়া করিও কাজ করিযা ভাবিও না-- সেই স্কুলের পড়া সারা জীবনের শিক্ষা। ধন্যবাদ গল্পের জন্য।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: পড়ার জন্য্য অনেক ধন্যবাদ!
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৪১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ইদানীং ব্লগে এই ধরনের লেখা তো বিরল হয়ে গেছে! আপনাকে ধন্যবাদ।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম-উদ-দৌলা! অনেক ভাল থাকবেন।
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধইন্যা!!!
১৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: নীতি বাক্য টা ভালো লাগলো
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ভাল থাকবেন শাকিল ভাই!
১৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হে হে হে সুন্দর গল্প। এটা কি কোনো দেশের লোককথা?
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ধন্যবাদ! এটা ঈশপের গল্প থেকে সংগৃহীত।
১৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: সাগর হাসি বলেছেন: ছোটবেলায় পড়েছিলাম আবার পড়লাম।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: পড়ার জন্য্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!
১৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: ++++ যোগ দিলাম
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: অনেক ভাল থাকবেন ভাই! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২২
মনে নাই বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো।
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন:
২০| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৪
শান্তা273 বলেছেন: ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
পোস্টে ভালোলাগা।
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১২
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: বেচারা সিংহ!!! পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ!
২১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
সাদা রং- বলেছেন: এটা কি ঈশপের গল্প।
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৪
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: এটা ঈশপের গল্প সাদা রং- ভাই
২২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৫
ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কাজ করার আগে তার ভালমন্দ সব দিক বিচার করে দেখতে হয়।