নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবজ্যোতি

ধ্রুবজ্যোতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লাড প্রেসার

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

ব্লাড প্রেসার বলতে সহজ করে বলা যায় সিস্টোলিক বা উপরের প্রেসার ১৪০ মিলিমিটার মার্কারী বা এর বেশী এবং/অথবা ডায়াস্টোলিক বা নীচের প্রেসার ৯০ মিলিমিটার মার্কারী বা এর বেশী।

তবে, প্রথমে এই রিডিং পেলেই ব্লাড প্রেসার বলে ফেলা যবেনা। ১ মাস পর পর অর্থাৎ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মাসে যদি রিডিং এরকম বেশী পাওয়া যায় তখনই কেবল বলা যাবে হ্যাঁ আপনার ব্লাড প্রেসার আছে। অর্থাৎ এক মাস বিরতিতে পর পর তিনটা রিডিং বেশী হলে কেবল তখনই বলা যাবে আপনার ব্লাড প্রেসার আছে।

যদিও ব্লাড প্রেসারকে বলা হয় নীরব ঘাতক তবুও দুঃখ জনক হলেও সত্যি অনেকেরই ব্লাড প্রেসার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই এবং অনেকে ব্লাড প্রেসার আছে জেনেও এর চিকিৎসা নেওয়ার গুরুত্ব বোঝেন না এবং এর চিকিৎসা নিতে চান না।

আসুন একটু জেনে নেই আমাদের দেশে এর প্রাদুর্ভাব কেমন। শুনে আশ্চর্য্য হবেন, আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ জনে একজন ব্লাড প্রেসারে ভুগছে!!!

এবার চলুন ব্লাড প্রেসারের মাত্রা অর্থাৎ ব্লাড প্রেসারটা বেশী না কম এটা আমরা কিভাবে বুঝব সে সম্পর্কে একটা ধারণা দিইঃ

মাত্রা উপরের প্রেসার (সিস্টোলিক) নীচের প্রেসার (ডায়াস্টোলিক)

স্বাভাবিক ১২০ মিলিমিটার মার্কারী বা এর কম ৮০ মিঃমিঃ মার্কারী বা এর কম

প্রেসার আসন্ন ১২০-১৩৯ মিঃমিঃ মার্কারী ৮০-৮৯ মিঃমিঃ মার্কারী

গ্রেড ১ প্রেসার ১৪০-১৫৯ মিঃমিঃ মার্কারী ৯০-৯৯ মিঃমিঃ মার্কারী

গ্রেড২ প্রেসার ১৬০ মিঃমিঃ মার্কারী বা এর বেশী ১০০ মিঃমিঃ মার্কারী বা এর বেশী

প্রেসার বেশী হলে অসুবিধা কী? এর উত্তরে প্রধাণ ৫ টা অসুবিধার কথাই উল্লেখ করি-

১। [মাইওকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বা হার্ট এটাক

২। [হার্ট ফেইলিউর

৩। [ব্রেইন স্ট্রোক এবং

৪। [কিডনী নষ্ট হয়ে যাওয়া (হাইপারটেনসিভ নেফ্রোপ্যাথী)

৫। [চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া (হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথী)

এখন প্রশ্ন আসতে পারে প্রেসারের চিকিৎসা করে প্রেসার কমালে আমার কী সুবিধা হবে?

উত্তর নীচে দেয়া হলঃ

• ব্রেইন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ কমে যাবে!

• হার্ট এটাক হওয়ার সম্ভাবনা ২০ থেকে ২৫ ভাগ কমে যাবে!

• হার্ট ফেইলিউরের সম্ভাবনা ৫০ ভাগ কমে যাবে!

আপনি হয়ত ভাবছেন কেন এই ব্লাড প্রেসার হয়?

প্রায় ৯০ ভাগ ব্লাড প্রেসারেরই কোন নির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায় না। এদের বলে এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন। এর সম্ভাব্য কারণ বংশগত এবং পরিবেশগত এই দু’এর মিশ্রন।

স্বল্প সংখ্যক প্রেসার নিম্নলিখিত কিছু কারণে হয়ঃ

• কিডনী রোগ হলে

• অতিরিক্ত ওজনের কারণে স্লিপ-এপনিয়া হলে

• কিছু কিছু ওষুধ সেবনের কারণে

• হরমোনজনিত কিছু রোগের কারণে

হয়ত ভাবছেন প্রেসার হলে আমার মাঝে কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে?

প্রেসারের জন্য নির্দিষ্ট কোন লক্ষণ নেই। অনেকেই আছেন হাই প্রেসার নিয়ে ঘুরছেন, অথচ তিনি জানেনও না যে তাঁর প্রেসার আছে! তবে অনেক ক্ষেত্রেই নীচের অসুবিধাগুলো হতে পারেঃ

১। [মাথা ব্যাথা (যা খুব বেশী প্রেসার হলেই শুধু হয়), ব্যাথাটা হয় সকালের দিকে এবং মাথার পেছনে ব্যাথাটা হয়। মাথা ঘুরতে পারে। বুক ধড়ফর করতে পারে। খুব সহজেই দূর্বলতা বোধ করতে পারেন।

২। [এ ছাড়া নাক দিয়ে রক্ত পড়া, প্রশ্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, বুকে ব্যথা এসবও হতে পারে।

ইনভেস্টিগেশনের ব্যাপারটা এখানে বলে বিরক্তি উৎপাদনের কারণ দেখি না। কারণ এই নোট পড়ে নিঃশ্চয় আপনি ইনভেস্টিগেশন করাতে যাবেন না। এই কাজটা আলটিমেটলি আপনি আপনার ডাক্তারকে দিয়েই করাবেন।

বরং কাজের কথায় আসি। প্রেসার হলে আমি কি উদ্দ্যেশে ওষুধ খাব?

প্রেসার কমানোর জন্য।

কতটুকু কমানোর জন্য?

উত্তরঃ সাধারণের জন্য টার্গেট হল ১৪০/৯০ মিঃমিঃ মার্কারীর কম রাখা

কিন্তু যদি ডায়াবেটিস বা কিডনী রোগ থাকে তবে টার্গেট হবে ১৩০/৮০ মিঃমিঃ মার্কারীর কম রাখা।

চিকিৎসাঃ

• লাইফ স্টাইল মডিফিকেশনঃ এ কাজ টা আপনার।

• ওষুধঃ প্রেস্ক্রিপশন লেখার কাজটা আপনার ডাক্তারের।

লাইফ স্টাইল মডিফিকেশনঃ

I. ওজন কমানো

II. লবন কম খাওয়া

III. প্রতিদিন আধঘন্টা হাঁটা

IV. ধুম পান বন্ধ করা

V. এলকোহল যারা নেন তাদের এলকোহল পরিত্যাগ করা

VI. বেশী করে সব্জী এবং ফল খাওয়া

VII. মাছ এবং মাছের তেল উপকারী

VIII. গরু, খাশীর মাংস খাওয় কমিয়ে দেওয়া

IX. চর্বি, ঘী, মাখন না খাওয়া

ওষুধ সম্বন্ধে এটুকু বলতে চাই, অনেক ওশুধই আছে যাতে দুটো ওশুধ একসাথে মেশানো। প্রথমে একটা ওশুধ দিয়ে শুরু করা হয়। প্রয়জনে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ওশুধও এড করা হয়। [কম্বিনেশন ওষুধের ক্ষেত্রে একটা ওশুধে দুই ওশুধ মেশানো থাকলে সেটাকে দুই ওশুধ ধরতে হবে] যদি তিনটা ওশুধেও প্রেসার কন্ট্রোল না হয়, এই অবস্থাটাকে বলে রেসিসটেন্ট হাইপারটেনশন। এই ধরনের প্রেসার কন্ট্রোল করা কঠিন এবং এর জন্য কার্ডিওলজিস্টের সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ পড়ার জন্য। :)



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের সকল মুসলমানের জন্য জরুরী....
Click This Link

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

ক্যাপটেন জ্যাক স্প্যারো বলেছেন: এক পোস্টে ব্লাড প্রেসার সম্পর্কে অনেক তথ্য দিতে চেষ্টা করেছেন।

তবে, আপনার পোস্টের নাম হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ) হওয়া উচিত।
লেখার প্রথম অংশটা ভালো না লাগলেও (definition & classification) X( , শেষ অংশটা খুব সহজ ভাবে বর্ননা করেছেন :)

প্রথম অংশে ব্লাড প্রেসারের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন সেটা পাল্টে ব্লাড প্রেসার এবং হাইপারটেনশন দুইটার সংজ্ঞা দিয়ে আরেকটু সহজ বর্ননায় এবং সম্ভব হলে দুই পোস্টে আরও বিস্তারিত আলোচনা করতে অনুরোধ করছি।

ধন্যবাদ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

ধ্রুবজ্যোতি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপনি। আমি হাইপারটেনশন নিয়েই আলোচনা করেছি। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করলে বুঝবেন আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ উচ্চ রক্তচাপ হয়েছে না বলে বলে ব্লাড প্রেসার হয়েছে! আর ঠিক এ কারণেই হাইপারটেনশন এর যায়গায় প্রচলিত 'ব্লাড প্রেসার' শবদটাই ব্যবহার করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.