![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দৃশ্যকল্প ১*:
মীম জামদানি শাড়ীর খুব ভক্ত। প্রায়ই সে মার্কেটে গিয়ে জামদানি শাড়ী কিনে।কিন্তু নতুন চাকরীতে ঢোকার পর মার্কেটে যাওয়ার সময় বের করাই তার জন্য কষ্ট হয়ে যায়। অনেক দিন ধরে তার শাড়ি কিনতে যাওয়া হয় না, এর মধ্যে একদিন সে ফেসবুকে এড দেখে একটা প্রতিষ্ঠিত ইকমার্স সাইটে জামদানি শাড়ির অর্ডার দেয়। যথাসময়ে শাড়ী হাতে পেয়ে খুব খুশি হয়। পরের দিন সহকর্মীদের সাথে যখন সে বিষয়টি শেয়ার করে তখন সে জানতে পারে বাংলাদেশে আরো বেশ কিছু ইকমার্স সাইট আছে যেখানে আরো ভালো ভালো শাড়ী ন্যায্য দামে পাওয়া যায়। তখন তার মনটা একটু খারাপই হয়ে যায়। আহা আগে যদি জানত তাহলে আরো একটু দেখে শুনে আরো বিভিন্ন সাইটে ঢু মেরে হয়ত আরো সুন্দর একটা শাড়ী কিনতে পারত। সে তার পরের শাড়ীটা কেনার জন্য অনলাইনে খোঁজা শুরু করে। কিন্তু একটা পর্যায়ে সে অবাক হয়ে আবিস্কার করে অনলাইনে এমন কোন সাইট নেই যেখানে বাংলাদেশের সবগুলো ইকমার্স সাইটের তথ্য পাওয়া যাবে। যদি থাকত তাহলে তার মত সাধারন ক্রেতাদের জন্য অনেক উপকার হত।
দৃশ্যকল্প ২*:
মিজান সাহেব আজ কয়েক বছর ধরে জামদানি শাড়ি নিয়ে কাজ করেন, মূলত দেশীয় এই পন্যের ঐতিহ্যকে সবার কাছে তুলে ধরা এবং এই শিল্পকে একটু হলেও সাপোর্ট দেওয়া তার মূল উদ্দেশ্য। বেশ কিছুদিনের পরিকল্পনার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ইকমার্স ব্যাবসায়ে যোগ দেওয়ার। প্রাথমিক সকল প্রস্তুতি শেষ করতেই তার বেশ অনেকখানি টাকা বেরিয়ে গেল। ব্যাবসায়ের প্রচারনা করতে গিয়ে একটা বিষয় তাকে বেশ ভাবিয়ে তুলল। এতোদিন তিনি তার শো-রুমের মাধ্যেমে জামদানি শাড়ি বিক্রি করে এসেছেন। শো-রুম চালাতে গিয়ে তিনি দেখেছেন যখন কেউ শাড়ী কেনার জন্য আসে তখন সে / তারা কোন একটা শো-রুমের উদ্দেশ্যে আসুক বা না আসুক আশে পাশের বেশ কিছু শো-রুমে ঢোকে, পছন্দমাফিক কেনাকাটা করে। কিন্তু অনলাইনে সবাই যে যার মত প্রচারনা চালায়। কিন্তু বাংলাদেশে কোন নির্দিষ্ট পন্য কোন কোন ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়, কি কি পণ্য পাওয়া যায় এসব তথ্য যদি এক জায়গায় পাওয়া যেত তাহলে অন্য অনেক সাইটের পাশাপাশি তার সাইটে হয়ত অনেক ক্রেতা ঘুরতে আসতেন।
প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা এই দুই দৃশ্যকল্প থেকে বুঝতে পারছেন একটা ই-কমার্স ডিরেক্টরি এই মূহুর্তে বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের জন্য কতো প্রয়োজণীয় একটা ধারনা।
বাংলাদেশে এখন শত শত ইকমার্স সাইট ব্যাবসায় পরিচালনা করছে। প্রায় প্রতিদিনই আসছে নতুন নতুন সাইট। একদিকে ক্রেতারা যেমন সব ইকমার্স সাইট সম্পর্কে জানে না বা জানতে পারছে না, অন্য দিকে ক্ষুদ্র বা মাঝারী ই-কমার্স ব্যাবসায়ীরাও প্রচারনার প্রতিযোগিতায় প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছেন বড় পুঁজির কাছে।
এই সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায় সেটা নিয়ে এন এস হাট ( nshut.com ) টীম কাজ করছে। আমরা আমাদের গবেষনায় দেখেছি অনেক ক্রেতাই জানেন না কোন পন্যটি কোন সাইটে পাওয়া যায়। সেই সাইটটি নির্ভরযোগ্য কি না। এসব তথ্য না জানার কারনে ব্যাবসায়িক প্রচারনা বা পরিচিতজনদের কাছ থেকে শুনেই সিদ্ধান্ত নেন কোন পণ্যটি কোন সাইট থেকে কিনবেন। ফলে যাদের প্রোমশনের জন্য বড় বাজেট থাকে বা যারা খুব বড় মাত্রায় প্রচারনা চালাতে পারেন তারা ভালো পরিমান পন্য বিক্রয় করতে পারেন আর ক্ষুদ্র বা মাঝারী ই-কমার্স ব্যাবসায়ীরা ভোগেন বিক্রয় মন্দায়।
এই চিত্রকে বদলে দিতে এন এস হাট ( nshut.com ) চালু করেছে বাংলাদেশের সর্ব প্রথম ওয়েব ভিত্তিক ইকমার্স ডিরেক্টরী তৈরীর। যেখানে পাওয়া যাবে বাংলাদেশের সকল ইকমার্স ওয়েবসাইটের পন্য-শ্রেনী ভিত্তিক তালিকা, সংশ্লিষ্ট সাইটগুলোর বিবরন, যোগাযোগের ঠিকানা, ওয়েবসাইটের ঠিকানা, ক্রেতাদের মতামত ... এবং থাকছে আরো অনেক অনেক চমক।
তো আর দেরী কেন? আজই ভিজিট করুন http://www.nshut.com এ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪
অপ্রস্তুত আযহার বলেছেন: এটা সত্যি যে বাংলাদেশে ক্রমশ প্রসার ঘটছে অনলাইন কেনাকাটার, তবে এই ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশীরা দুর্ভাগ্যের শিকার! বর্তমানে বিকাশ কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দেশীয় ওয়েবসাইট গুলো থেকে পন্য ক্রয় করা যাচ্ছে ঘরে বসে। কিন্তু এখনও বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন শপিং সাইট, যেমনঃ অ্যামাজন, ইবে, আলিবাবা ইত্যাদি থেকে আমরা ঘরে বসে কেনা কাটা করতে পারছি না। এর প্রধান কারনে অনলাইনে পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে নানা ধরণের বাঁধা! এটা সত্যি যে, আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে (যেমনঃ পে-প্যাল, আমাজন পেমেন্ট, পেইজা, স্ক্রিল, ওয়ার্ল্ডপে ইত্যাদি) সম্পর্কিত কিছু সমস্যা থাকায় বাংলাদেশ থেকে আমরা বিভিন্ন বিখ্যাত অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কেনাকাটা করতে পারছিনা। আমাজন, ই-বে কিংবা আলিবাবা বা জাডোপাডো’র মত বিভিন্ন সাইটের মারাত্নক সব ডিল মিস করছি।
তবে আশার কথা হচ্ছে এবার বাংলাদেশ থেকেও অনলাইনে শপিং করা যাবে অ্যামাজন, ইবে কিংবা আলিবাবা থেকে! আমাদের দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা কিন্তু অনলাইন শপিং এর ক্ষেত্রটিতে বসে নেই। আমাদের নিজস্ব প্রচলিত পেমেন্ট সিস্টেমকে ভিত্তি করে বাংলাদেশে আজ দারুন সব অনলাইন মার্কেটিং বা শপিং সাইট গড়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই এই সার্ভিসগুলো রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক হলেও, ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশব্যাপী। সরকারের পক্ষ থেকে পেমেন্ট গেটওয়ে সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পালিত হলে, বাংলাদেশ অনলাইন শপিং এর স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে এটা বলাই বাহুল্য।
তারই ধারাবাহিকতায় গ্লোবাল অনলাইন পেমেন্ট সলিউশন MasterCards.co নিয়ে এসেছে এক বিশাল সুযোগ! ঢাকায় স্থাপিত হয়েছে QCard এর ৭ম গ্লোবাল অফিস। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিন এশিয়ার সকল দেশ থেকে QCard ব্যবহার করে অনলাইনে শপিং করা যাবে অনায়াসে। অ্যামাজন, ইবেয়, আলিবাবা সহ বিশ্বের প্রায় এক মিলিয়ুন রিটেইল ওয়েবসাইট QCard সাপোর্ট করে। ফলে বাংলাদেশে বসে এখন অ্যামাজনের প্রডাক্ট কেনাটা কয়েক মুহূর্তের ব্যাপার মাত্র!
আমার বিস্তারিত পোষ্টটি পড়ুনঃ অনলাইনে শপিং