![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুরোধঃ পুরো লিখাটা একটু কষ্ট করে হলেও পড়ে নেবেন প্লিজ।
আপনি কি আসলেই দেশকে ভালোবাসেন?
হ্যা বাসিতো। কেন বাসবো না। আরে ভাই ওই যে সেদিনও তো ১৬ ডিসেম্বর গেল। স্পষ্ঠ মনে আছে স্মৃতিসৌধে কত্ত গুলো টাকার ফুল দিয়ে এলাম। হ্যা এইবার মনে পড়েছে কত্ত বাহারী রংয়ের ফুল। দেশকে ভালবাসি বলেই তো সেদিন অত গুলো টাকার ফুল দিয়েছি সৌধে। ভাল না বাসলে কি দিতাম।
আসলে দেশকে ভালবেসে নয়। আশে পাশের সবাই দেয় তাই জাস্ট ফর্মালিটি রক্ষা করে চলার জন্যেই দেয়া। দেশকে ভালবাসা মানে শহীদদের প্রতি হাজার টাকা ফুলে ব্যায় করা নয়। হৃদয়ের গভীরতর থেকে শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় শান্তি পাবে তাদের আত্মা। আর একজন মুক্তিযোদ্ধার কথা বললে? তাদের কি আমরা প্রাপ্ত সম্মান দিই?
আমার এই কথাটা শুনে অনেকেই হয়ত এখন আমার উপর চটে যাবেন। হয়ত মনে মনে গালমন্দ করতেও শুরু করবেন। বলবেন আরে ভাই সরকার এত সম্মান দিচ্ছে তারপরও আরো সম্মান!!
করুন গালমন্দ করুন আমি সামান্যতম বাধা দিব না। কারন আপনাকে উদ্দেশ্য করেইতো আমার এই লেখাটি।
হাজারো জ্ঞ্যানীর মাঝে আমি একটি অনু মাত্র। তারপরও যাদের মনে এই লালিত প্রশ্ন রয়েছে তাদের উত্তরটা যতটুকু সম্ভব দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।
আজকাল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে হাসি মশকরা করার জন্যে উপকরন হিসেবে ব্যাবহার করা হয় আজকাল। সহজ কথাটা দিয়ে উদাহরণ টা দিই তাহলে বুঝতে সহজ হবে। কোন ক্রিকেটার ভাল না খেললে ''শালা মুক্তিযোদ্ধা কোঠা থেকে চাঞ্চ পাইছে। খোজ নিয়া দেখ অর বাপে মুক্তিযোদ্ধা আছিলো। শালা যোগ্যতা নাই আইছে ক্রিকেট খেলতে।" (শুধু বোঝানোর উদ্দেশ্যে কথাটা বলা হয়েছে)। এখন কথা হচ্ছে সত্যিই কি এমন যে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোন যোগ্যতা ছাড়াই চাকরী হয়? তাদের যোগ্যতা অপ্রয়োজন?
প্রশ্নের উত্তরটা আমাকে দিতে হবে না। আমি উত্তরের জন্যে প্রশ্নটা করিনি। আমি চেয়েছি শুধু উত্তরটা যেন আপনি অনুধাবন করতে পারেন। আমরা এই সম্মানীয় ব্যাক্তিদের কেন ওই চোখে দেখব বলুন? কই এটা তো কোনদিন বলেননি যে ওই ক্রিকেটার কোন ক্ষমাতাবান অথবা বড় কোন চাকুরিজীবির সন্তান! এ জন্যে তাদের বাবার ক্ষমতায় আজ সে ক্রিকেটার হয়েছে। এটা বলবেন না জানি। কারন ক্ষমতাবানরা আপনাদের চোখে সম্মানীয় ব্যাক্তি। যতটা মুক্তিযোদ্ধারা নয়। অথচ আপনি জানেনই না যে এই মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কারনেই ওরা আজ ক্ষমতাবান, আজ এত বড় চাকুরিজীবি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বা সন্তানের সন্তানদের জন্যে একটা কোঠা রাখা হয়। যে কোঠাতে শুধু তাদেরই আহবান জানানো হয়। কারন তাদের ক্ষমতার দাপট নেই। এই ক্ষেত্র যে সাধারন পাব্লিকের জন্য রাখা হয় না এমন নয়। তারপরও এটা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খুবই ছোট চোখে দেখা হয়। কারন তাদের আলাদা সুবিধা দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাবান আর বড় চাকুরিজীবি সন্তানদের কোঠা আছে শুনেছেন কখনো?? থাকবে কি করে এরা তো তাদের সন্তানদের নিজের পজিশনে নিয়ে আসতে কোঠার ধার ধারে না। তাদের ক্ষমতাই যথেষ্ট। অন্য দিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা তার সন্তানদের এই পজিশন তো দূরে থাক সামান্য চাকরির ব্যাবস্থাও করে দিতে পারে না। আপনার কি মনে হয় ওই ক্ষমতাবানদের সম্মানের থেকে কি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান খুবই জঘন্য?? জানি কোন উত্তর নেই আপনার কাছে। একাত্তুরে কি সবাই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিল? দেশকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল? না আসেনি। তাহলে কেন এই সম্মানীয় ব্যাক্তিরা সাধারন পাব্লিকের চেয়ে একটু আলাদা সুবিধা পেতে পারবে না। তাদের সুবিধাই কেন আমাদের চোখের কাঁটা? তাদের কি এর থেকে ভাল চোখে কোনদিনই দেখব না আমরা।
আসুন সম্মানীয় ব্যাক্তিদের সঠিক সম্মান দিতে শিখি। সম্মান দিতে না পারলেও কখনো হাসির পাত্র যেন না ভাবি।
সব শেষে আর একটি প্রত্যাশা, আমার লেখায় ভূল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ।
এত কষ্ট করে পুরো লিখাটা পড়ার জন্যে আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আপনার জন্যে শুভ কামনা।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
এন.আর মাহমুদ বলেছেন: তাওতো পড়েছেন,,,আবার সত্যিটাও বলেছেন। ভাল থাকুন,,,,,,ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাফ করবেন, পুরোটা পড়িনি, প্রথম ৪/৫ লাইন পড়েছি; এই ৪/৫ লাইনের কথা ভুলে গেলে, বাকীটুকু চেস্টা করবো।