![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনি লীলা তব । ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ জীবন নব নব ।
তুমি ইন্দ্রমণির হার
এনেছ সুবর্ণ দ্বীপ থেকে--
রাজমহিষীর কানে যে তার খবর
দিয়েছে কে।
দাও আমায়, রাজবাড়িতে দেব বেচে
ইন্দ্রমণির হার--
চিরদিনের মতো তুমি যাবে বেঁচে।
রাগঃ কীর্তন
তালঃ দাদরা
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
এ কী খেলা হে সুন্দরী,
কিসের এ কৌতুক।
দাও অপমান-দুখ--
মোরে নিয়ে কেন, কেন এ কৌতুক।
নহে নহে, এ নহে কৌতুক।
মোর অঙ্গের স্বর্ণ-অলংকার
সঁপি দিয়া শৃঙ্খল তোমার
নিতে পারি নিজ দেহে।
তব অপমানে মোর
অন্তরাত্মা আজি অপমানে মানে।
রাগঃ পরজ-রামকেলী
তালঃ দাদরা
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
জেনো প্রেম চিরঋণী আপনারি হরষে,
জেনো, প্রিয়ে।
সব পাপ ক্ষমা করি ঋণশোধ করে সে।
কলঙ্ক যাহা আছে,
দূর হয় তার কাছে,
কালিমার 'পরে তার অমৃত সে বরসে।
রাগঃ পিলু-বারোয়াঁ
তালঃ ঝাঁপতাল
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
হে বিদেশী এসো এসো। হে আমার প্রিয়,
অভাগীর করুণা করিয়ো,এসো এসো।
তোমা-সাথে এক স্রোতে ভাসিলাম আমি
হে হৃদয়স্বামী
জীবনে মরণে প্রভু।
রাগঃ তিলক কামোদ
তালঃ অর্ধঝাঁপ
রচনাকালঃ 1345
রচনাকালঃ 1939
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
হায় হায় রে হায় পরবাসী,
হায় গৃহছাড়া উদাসী।
অন্ধ অদৃষ্টের আহ্বানে
কোথা অজানা অকূলে চলেছিস ভাসি।
শুনিতে কি পাস দূর আকাশে
কোন্ বাতাসে সর্বনাশার বাঁশি।
ওরে, নির্মম ব্যাধ যে গাঁথে
মরণের ফাঁসি।
রঙিন মেঘের তলে
গোপন অশ্রুজলে
বিধাতার দারুণ বিদ্রূপবজ্রে
সঞ্চিত নীরব অট্টহাসি।
রাগঃ পিলু-ভীমপলশ্রী
তালঃ কাহারবা
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
প্রেমের জোয়ারে ভাসাবে দোঁহারে
বাঁধন খুলে দাও, দাও দাও।
ভুলিব ভাবনা পিছনে চাব না,
পাল তুলে দাও, দাও দাও।
প্রবল পবনে তরঙ্গ তুলিল--
হৃদয় দুলিল, দুলিল দুলিল,
পাগল হে নাবিক,
ভুলাও দিগ্বিদিক,
পাল তুলে দাও, দাও দাও।
রাগঃ বাহার
তালঃ দাদরা
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
এসেছি প্রিয়তম, ক্ষমো মোরে ক্ষমো।
গেল না গেল না কেন কঠিন পরান মম--
তব নিঠুর করুণ করে! ক্ষমো মোরে।
কেন এলি, কেন এলি, কেন এলি ফিরে।
যাও যাও যাও যাও, চলে যাও।
যাও যাও যাও যাও, চলে যাও।
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ দাদরা
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
তোমার প্রেমের বীর্যে
তোমার প্রবল প্রাণ সখীরে করিলে দান।
তব মরণের ডোরে
বাঁধিলে বাঁধিলে ওরে
অসীম পাপে
অনন্ত শাপে।
তোমার চরম অর্ঘ্য
কিনিল সখীর লাগি নারকী প্রেমের স্বর্গ।
রাগঃ মিশ্র কেদারা
তালঃ দাদরা
রচনাকালঃ 1345
রচনাকালঃ 1939
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
কহো কহো মোরে প্রিয়ে,
আমারে করেছ মুক্ত কী সম্পদ দিয়ে।
অয়ি বিদেশিনী,
তোমার কাছে আমি কত ঋণে ঋণী।
রাগঃ গৌড়মল্লার
তালঃ কাহারবা
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
বুক যে ফেটে যায়, হায় হায় রে।
তোর তরুণ জীবন দিলি নিষ্কারণে
মৃত্যুপিপাসিনীর পায় রে।
ওরে সখা,
মধুর দুর্লভ যৌবনধন ব্যর্থ করিলি
কেন অকালে
পুষ্পবিহীন গীতিহারা মরণমরুর পারে,
ওরে সখা।
রাগঃ কাফি-কানাড়া
তালঃ কাহারবা
রচনাকালঃ 1345
রচনাকালঃ 1939
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
কোন্ অপরূপ স্বর্গের আলো
দেখা দিল রে প্রলয়রাত্রি ভেদি
দুর্দিন দুর্যোগে,
মরণমহিমা ভীষণের বাজালো বাঁশি।
অকরুণ নির্মম ভুবনে
দেখিনু এ কী সহসা--
কোন্ আপনা-সমর্পণ, মুখে নির্ভয় হাসি।
রাগঃ মিশ্র শঙ্করা
তালঃ কাহারবা
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
নাম লহো দেবতার; দেরি তব নাই আর,
দেরি তব নাই আর।
ওরে পাষণ্ড, লহো চরম দণ্ড; তোর
অন্ত যে নাই আস্পর্ধার।
রাগঃ তিলক কামোদ
তালঃ কাহারবা
রচনাকালঃ 1345
রচনাকালঃ 1939
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
পুরি হতে পালিয়েছে যে পুরসুন্দরী
কোথা তারে ধরি, কোথা তারে ধরি।
রক্ষা রবে না, রক্ষা রবে না--
এমন ক্ষতি রাজার সবে না,
রক্ষা রবে না।
বন হতে কেন গেল অশোকমঞ্জরী
ফাল্গুনের অঙ্গন শূন্য করি।
ওরে কে তুই ভুলালি,
তারে কে তুই ভুলালি--
ফিরিয়ে দে তারে মোদের বনের দুলালী,
তারে কে তুই ভুলালি।
রাগঃ মিশ্র শঙ্করা
তালঃ দাদরা
রচনাকালঃ 1345
রচনাকালঃ 1939
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
হায় রে, হায় রে, নূপুর
তার করুণ চরণ ত্যজিলি, হারালি
কলগুঞ্জনসুর।
নীরব ক্রন্দনে বেদনাবন্ধনে
রাখিলি ধরিয়া বিরহ ভরিয়া
স্মরণ সুমধুর।
তার কোমল-চরণ-স্মরণ সুমধুর।
তোর ঝংকারহীন ধিক্কারে কাঁদে
প্রাণ মম নিষ্ঠুর।
রাগঃ কীর্তন
তালঃ দাদরা
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
এসেছি প্রিয়তম, ক্ষমো মোরে ক্ষমো।
গেল না গেল না কেন কঠিন পরান মম--
তব নিঠুর করুণ করে! ক্ষমো মোরে।
কেন এলি, কেন এলি, কেন এলি ফিরে।
যাও যাও যাও যাও, চলে যাও।
যাও যাও যাও যাও, চলে যাও।
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ দাদরা
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
এসো এসো এসো প্রিয়ে,
মরণলোক হতে নূতন প্রাণ নিয়ে।
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ দাদরা
রচনাকালঃ আশ্বিন, ১৩৪৩
রচনাকালঃ 1936
রচনাস্থানঃ শান্তিনিকেতন
১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭
আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: রবী ঠাকুর তার খসড়ায় এভাবেই কলমের আঁকি ঝুঁকি করতেন। তাতে করেই সৃষ্টি হত অসাধারন সব চিত্রকর্ম। তিনি অবশ্য তৈল চিত্রকর্ম করে গেছেন কিছু। এমন সৃষ্টিশীল মানব আর বাংলায় দ্বিতীয়টি জন্ম নেবে না।
২| ১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২
জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: অসাধারণ। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
২১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:০০
আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সময় করে দেখার জন্য জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
লিরিকস বলেছেন: ওয়াও!!!
ছবি গুলো কি কবি গুরুর নিজ হাতে আঁকা নাকি?