নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমারে তুমি অশেষ করেছ

আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনি লীলা তব ।

আমারে তুমি অশেষ করেছ

আমারে তুমি অশেষ করেছ এমনি লীলা তব । ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ জীবন নব নব ।

আমারে তুমি অশেষ করেছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নজরুল জয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী

২৩ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০



আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,

আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ জ্বালা, চির লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের

আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,

চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর !

আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল করে দেখা অনুখন,

আমি চপল মেয়ের ভালবাসা তার কাকন চুড়ির কন-কন।



.......



মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত।

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,

অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-

বিদ্রোহী রণক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত।



.......



আমি চির বিদ্রোহী বীর –

বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির!




পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামের এক স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন কাজী ফকির আহমদ। বিবাহের এক বছর পরই তার স্ত্রী জাহেদা খাতুনের গর্ভে একটি ফুটফুটে শিশুর জন্ম হয়। কিন্তু জন্মের কিছু দিন পরেই শিশুটি মারা যায়। এরপর পরের বছর জন্ম নেয় আরেকটি শিশু। জন্মের কিছু দিন পর সেই শিশুটিও মারা যায়। এভাবে তারা তাদের চারটি সন্তান হারান। বহু কষ্টের মাঝে অবশেষে মঙ্গলবার ২৫ শে মে ১৮৯৯ সালে আরও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। আর সেই শিশুটি ছিলেন আমাদের জাতীয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার আগে চারটি সন্তান মারা যাওয়ায় মা তার নাম রাখেন দুখু মিয়া। তাঁর ছোটবেলা কেটেছিল অনেক দুঃখে। আর তাই তার ডাকনাম হয়ে গিয়েছিল দুখু মিয়া। মাত্র নয় বছর বয়সেই তার বাবা মারা গেলেন। পরিবারের হাল ধরতে তিনি স্থানীয় মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ নিলেন। আবার তাদের এলাকায় এক মাজার ছিলো, হাজী পালোয়ানের মাজার। তিনি সেই মাজারে খাদেমের কাজও করতেন। এই দিয়ে যা আসতো তাই দিয়ে সংসার চালাতে লাগলেন।



গ্রামের মানুষ কাজী নজরুল ইসলামকে খ্যাপা বলেও ডাকত। তার ঐ নাম হয়েছিলো পাগলাটে স্বভাবের জন্য। অভাবের সংসার, তারপরও তার মাথায় চাপলো গান বাজনার ভূত। সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে ভিড়ে গেলেন লেটো গানের দলে। এখান থেকেই মূলত তাঁর সাহিত্য জীবনের শুরু। এই লেটো গানের দলে ভিড়তে তাঁর সবচেয়ে বড়ো উৎসাহ ছিলেন তাঁরই চাচা কাজী বজলে করিম। গান গাইতেন কবি শেখ চকোর ও কবি বাসুদেবের লেটো দলে। নিজেই লিখেছিলেন ‘চাষার সঙ’, ‘শকুনীবধ’, ‘রাজা যুধিষ্ঠিরের সঙ’, ‘দাতাকর্ণ’, ‘কবি কালিদাস’, ‘আকবর বাদশাহ’, ‘বিদ্যাভূতুম’, ‘রাজপুত্রের গান’, এমনি আরো অনেক নাটক। আর তিনি যখন লেটো দল ছেড়ে দিলেন, তখন তাঁর শিষ্যরা তাঁকে নিয়ে একটা গানই বেঁধে ফেলেছিল;



আমরা এই অধীন,

হয়েছি ওস্তাদহীন,

ভাবি তাই নিশিদিন,

বিষাদ মনে

নামেতে নজরুল ইসলাম

কি দিব গুণের প্রমাণ...




এতকিছুর পরেও তিনি তার পড়াশোনা ছাড়েননি। বছরখানেক লেটো দলের সঙ্গে গান গেয়ে বেড়িয়ে আবার ফিরে এলেন পড়াশোনার জগতে। তিনি নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। তারপর কিছুদিন হাই স্কুলে পড়তেন। সেখানে প্রধান শিক্ষক ছিলেন কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক। তাকে নজরুল খুব পছন্দ করেছিলেন। কুমুদরঞ্জনও নজরুলকে খুব পছন্দ করতেন। নজরুলের কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেছিলেন;



ছোট সুন্দর ছনমনে ছেলেটি, আমি ক্লাশ পরিদর্শন করিতে গেলে সে আগেই প্রণাম করিত। আমি হাসিয়া তাহাকে আদর করিতাম। সে বড় লাজুক ছিল।



কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর অর্থের অভাবে তাঁকে স্কুল ছাড়তে হলো। রোজগারে নেমে গেলেন। প্রথমে কিছুদিন কবি বাসুদেবের দলে গান গেয়ে বেড়ালেন। তারপর কিছুদিন রেলওয়ের এক খ্রিস্টান গার্ডের খানসামা হিসেবে কাজ করলেন। এরপর আসানসোলের এক চা রুটির দোকানে নিলেন রুটি বানানোর কাজ। কিন্তু তিনি ছিলেন জাত কবি। রুটি বানাতে বানাতে মুখে মুখেই ছড়া বেঁধে ফেলতেন। আটা বেলছেন, গা বেয়ে টপাটপ করে ঘাম ঝরছে; এরই মাঝে ছড়া বলতেন;



মাখতে মাখতে গমের আটা

ঘামে ভিজলো আমার গা’টা...




একদিন এক পুলিশ ইন্সপেক্টর কাজী রফিজ উল্লাহ্‌ ঘটনাটা দেখে ফেললেন। নজরুলকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করিয়ে দিলেন ময়মনসিংহের দরিরামপুর হাই স্কুলে। বর্তমানে এটাই জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেখানের নিয়ম কানুন ভালো লাগলো না তার। পালিয়ে গেলেন। ফিরে আসলেন রাণীগঞ্জে, সিয়ারসোল হাই স্কুলে। এটাই ছিলো তার জীবনের প্রথম স্কুল। কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের মাথরুন স্কুলে পড়ারও আগে তিনি এখানে পড়তেন। এবার এই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক তাঁকে অনেক অনুপ্রাণিত করলেন। তাদের মধ্যে বিপ্লবী নিবারণচন্দ্র ঘটকও ছিলেন। ছিলেন সতীশচন্দ্র কাঞ্জিলাল, হাফিজ নুরুন্নবী ও নগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।



তার প্রিটেস্ট পরীক্ষা এগিয়ে আসছে। সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এমন সময় শুরু হয়ে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। বৃটিশ ভারতের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য সেনাবাহিনীর ডাক এলো। পরীক্ষা টরীক্ষা ফেলে তিনি চলে গেলেন যুদ্ধ করতে। আর এই যুদ্ধে গিয়েই তাঁর মধ্যে এলো এক বিশাল পরিবর্তন। সেনাবাহিনী থেকে দেশে ফেরার পর শুরু হলো নজরুলের সাহিত্য জীবন। এই যে তিনি কলম ধরলেন, অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ আর তার কলম থামাতে পারেনি। এমনকি তার আনন্দময়ীর আগমনে কবিতাটির জন্য তাকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছিল। বিচারে তার এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডও হয়। তবু তাঁর কলম থামল না।



১৯২২ সালের ১২ই আগস্ট নজরুল ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করেন। এটি সপ্তাহে দুবার প্রকাশিত হতো। ১৯২০ এর দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন এক সময় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এর পরপর স্বরাজ গঠনে যে সশস্ত্র বিপ্লববাদের আবির্ভাব ঘটে তাতে ধূমকেতু পত্রিকার বিশেষ অবদান ছিল। এই পত্রিকাকে আশীর্বাদ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন,



কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু। আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।




১৯২৩ সালের ৭ই জানুয়ারি নজরুল বিচারাধীন বন্দী হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে এক জবানবন্দী প্রদান করেন। চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট সুইনহোর আদালতে এই জবানবন্দী দিয়েছিলেন। তার এই জবানবন্দী বাংলা সাহিত্যে রাজবন্দীর জবানবন্দী নামে বিশেষ সাহিত্যিক মর্যাদা লাভ করেছে। এই জবানবন্দীতে নজরুল বলেছেন;



আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজবিদ্রোহী। তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দি এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত।... আমি কবি,আমি অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত। কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন, আমার বাণী সত্যের প্রকাশিকা ভগবানের বাণী। সেবাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায়বিচারে সে বাণী ন্যায়দ্রোহী নয়, সত্যাদ্রোহী নয়। সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হবে না। আমার হাতের ধূমকেতু এবার ভগবানের হাতের অগ্নি-মশাল হয়ে অন্যায় অত্যাচার দগ্ধ করবে...।




পূজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল মূর্খরা সব শোন/ মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন



কাব্যগ্রন্থ সমূহঃ

অগ্নিবিণা(১৯২২),দোলন চাঁপা (১৯২৩),বিশের বাঁশি(১৯২৪),চিত্তনামা(১৯২৫), সাম্যবাদী(১৯২৫),সর্বহারা(১৯২৬),ঝিঙেফুল(১৯২৭),ফণিমনসা(১৯২৭), সিন্ধুহিল্লোল(১৯২৭),সঞ্চিতা(১৯২৮),জিঞ্জীর(১৯২৮),সন্ধ্যা(১৯২৯), চক্রবাত১(১৯২৯),প্রলয় শিখা(১৯৩০),চন্দ্রবিন্দু(১৯৩০),নতুন চাঁদ(১৯৪৫), মরু ভাষ্কর(১৯৫৭),সঞ্চয়ন(১৯৫৫),শেষ সওগাত(১৯৫৮),ঝড়(১৯৬০)

গল্প সমগ্রঃ

ব্যাথার দান, রিক্তের বেদনা

নাটকঃ

মৃত্যু ক্ষুধা

যে যে পত্রিকার সম্পাদক ছিলেনঃ

লাঙ্গল, ধূমকেতু, নবযুগ, মোসলেম ভারত



এমনকি বাঙালীর ঈদের আনন্দের সাথে জড়িয়ে আছে নজরুলের রচিত; রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ...



অত্যাচারী বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে, ধর্মের নামে নানা অনিয়ম, অনাচার আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি অবিরাম লিখে গেছেন। আনন্দময়ীর আগমনে কবিতার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো ১৯২৮ সালে। ১৯৩০ সালে তাঁর প্রলয় শিখা নামের একটি বই বাজেয়াপ্ত করলো সরকার। সঙ্গে ছয় ছয় মাসের জন্য জেলে থাকার আদেশও দেয়া হলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অবশ্য বৃটিশ সরকার এই আদেশ কার্যকর করেনি।



শিখ নেতাদের সাথে কবি



তার প্রথম ছেলে একেবারে বাচ্চা থাকতেই মারা গিয়েছিল। আর প্রলয় শিখা বাজেয়াপ্তের বছরে মারা গেল তাঁর আরেক ছেলে বুলবুল। তিনি একেবারেই ভেঙ্গে পড়লেন। বুলবুলকে নিয়ে তিনি বহু কবিতা আর গান লিখেছিলেন।



ঘুমিয়ে গেছে ক্লান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি।



নজরুলের পরের দুই ছেলে অবশ্য মারা যাননি। বরং দু’জনই বেশ নামও কুড়িয়েছিলেন; কাজী সব্যসাচী আবৃত্তিকার হিসেবে, কাজী অনিরুদ্ধ বাদক ও সুরকার হিসেবে। ১৯৩৯ সালে অসুস্থ হয়ে পড়লেন তাঁর স্ত্রী প্রমীলা নজরুল। আর ১৯৪২ সালে কবি নিজেই প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। তখনকার ভারতের ভালো ভালো হাসপাতালে তার চিকিৎসা করানো হলো; লুম্বিনী পার্ক আর রাঁচী মেন্টাল হসপিটালে। কিন্তু কোনো লাভ হলো না।



১৯৫৩ সালে সবাই মিলে তাঁকে আরো ভালো চিকিৎসার জন্য পাঠালো ইংল্যান্ডে। সেখানকার চিকিৎসকেরাও কিছু করতে পারল না। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হলো জার্মানিতে। সেখানেও কিছু হলো না। সবাই একবাক্যে বলে দিল, কবির অসুখ চিকিৎসারও অতীত।



১৯৬২ সালে মারা গেলেন তাঁর স্ত্রী। কবি তখন প্রায় বোধশক্তিহীন। লিখতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না, কথা বললে কিছু বুঝতে পারেন না।



পুত্র বধুদের সাথে কবি



১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী রাস্ট গঠন এর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমান ভারত সফরে কলকাতায় এসে ভারত সরকারের কাছে আবেদন রাখেন স্বাধীন বাংলাদেশে কবির জন্মদিন পালন করার।





কবিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মানুষের ঢল



২৫শে মে ৭৩ তম জন্মজয়ন্তী পালিত হয়



কবিকে পেনশন চেক প্রদান



কবিকে ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জাগত্তরিনী স্বর্ণ পদক প্রদান করে এবং ১৯৬০ সালে ভারত সরকার পদ্মভূষণ প্রদান করেন। ১৯৭৫ সালে কবিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের ডি-লিট উপাধি প্রদান করেন।



ঢাকায় কবিকে দেখতে এসেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান এবং বঙ্গবন্ধু পত্নী



১৯৭৬ সালে জানুয়ারী মাসে কবিকে বাংলাদেশে সরকার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন। ২১ ফেব্রুয়ারিতে ২১ শে পদকে ভূষিত করা হয়। ২৪শে মে তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমান কবি নজরুল কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি ক্রেস্ট উপহার দেন এবং নজরুল এর চল চল চল সঙ্গীত টিকে বাংলাদেশের রন সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করেন। ২৯শে আগস্ট সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কবি পিজি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।



অন্তিম শয়নে কবি... মোনাজাত করছেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমান



কবির গানের ভাষায় বলে যাওয়া ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবি কে সমাহিত করা হয়।



মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিয়ো ভাই,

যেন গোরের থেকে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই...






কবির স্মরনে প্রকাশিত ডাকটিকেট সমূহ



কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী প্রতি বছর বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। কবিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়। তার রচিত চল্‌ চল্‌ চল্‌, ঊর্ধগগনে বাজে মাদল বাংলাদেশের রণসংগীত হিসাবে গৃহীত হয়েছে। তার স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় ত্রিশালে ২০০৫ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় নামক সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কবির স্মৃতিতে নজরুল একাডেমী, বুলবুল ললিতকলা একাডেমী ও শিশু সংগঠন বাংলাদেশ নজরুল সেনা স্থাপিত হয়। এছাড়া সরকারীভাবে স্থাপিত হয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান নজরুল ইন্সটিটিউট। ঢাকা শহরের একটি প্রধান সড়কের নাম রাখা হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ



আমাদের জাতীয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। সারা জীবন দুঃখের সঙ্গে লড়াই করা, অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, ধর্মের নামে অনাচার আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধাচারণ করা পাগলাটে স্বভাবের এই কবি আমাদের জন্য রেখে গেছেন সাম্যের ঐকতান;



গাহি সাম্যের গান-

মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্‌ ।

নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,

সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।








লেখায় যাবতীয় তথ্য ও ছবি সংগ্রহে সহায়ক হিসেবে সাহায্য নেয়া হয়েছে; বাংলা উইকিপিডিয়া, গুগুল সার্চ ইঞ্জিন এবং কল্যাণী কাজী লিখিত নজরুল, দ্যা পোয়েট রিমেম্বারড হতে।





















মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: দূর্বার একটা জীবন কষ্টে কষ্টে কেটে গেলো

২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: বুকে ক্ষত হ’য়ে জাগে আজো সেই ব্যথা-লেখা কি?
দূর বাউলের গানে ব্যথা হানে বুঝি শুধু ধূ-ধূ মাঠে পথিকে?
এ যে মিছে অভিমান পরবাসী! দেখে ঘর-বাসীদের ক্ষতিকে!
তবে জান কি তোমার বিদায়- কথায়
কত বুক-ভাঙা গোপন ব্যথায়
আজ কতগুলি প্রাণ কাঁদিছে কোথায়-
পথিক! ওগো অভিমানী দূর পথিক!
কেহ ভালোবাসিল না ভেবে যেন আজো
মিছে ব্যথা পেয়ে যেয়ো না,
ওগো যাবে যাও, তুমি বুকে ব্যথা নিয়ে যেও না।

--- বিদায়-বেলায়/কাজী নজরুল ইসলাম

২| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

মিনুল বলেছেন: ভাল লাগল...আজ কবির অভাব নেই তবে সত্যের সন্ধানে কাজী নজরুলের মত কবির বড় অভাব...

২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০০

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: আমার বেদনা আজি রূপ ধরি' শত গীত-সুরে
নিখিল বিরহী-কন্ঠে--বিরহিণী--তব তরে ঝুরে!
এ-পারে ও-পারে মোরা, নাই নাই কূল!
তুমি দাও আঁখি-জল, আমি দেই ফুল!

--- তোমারে পড়িছে মনে/কাজী নজরুল ইসলাম

৩| ২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

সময়ের ডানায় বলেছেন: আমাদের জাতীয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। সারা জীবন দুঃখের সঙ্গে লড়াই করা, অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, ধর্মের নামে অনাচার আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধাচারণ করা পাগলাটে স্বভাবের এই কবি আমাদের জন্য রেখে গেছেন সাম্যের ঐকতান;

শ্রদ্ধা জানাই প্রিয় কবিকে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।

--- বিদ্রোহী/কাজী নজরুল ইসলাম

৪| ২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

সময়ের ডানায় বলেছেন: আপনার এ লেখাটি নির্বাচিত হয় নাই বলে দু:খিত হইলাম। ২৩ তারিখ রাত ১০.৪৫ এর পর কোন লেখাই নির্বাচিত পাতায় যায় নাই। মনে মডুরা এখন দায়িত্বে নাই দায়িত্বে আসলে আপনার পোস্ট নির্বাচিত হতেও পারে।

২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: কিন্তু দুপুর ১.০৪ এর পোস্টের পর পোস্ট নির্বাচিত করা হয়েছে রাত ১.১৫ এর পর দুই মিনিটিরে মধ্যে যাতে শেষ পোস্টটা ছিল রাত ১০.৪৫ এ দেয়া। আর আমার পোস্ট দিয়েছি সন্ধ্যা ৬.০০ টায়। অর্থাৎ রাত ১০.৪৫ এর বহু আগেই। যাই হোক পোস্ট নির্বাচিত পাতায় স্থান পায়নি বলে দুঃখ করছিনা। তাই নির্বাচনী পাতার নিয়ম নীতি জানেত চেয়েছি মাত্র। এতে করে ভবিষ্যতে আর কোন আক্ষেপ থাকবেনা। নির্বাচনী পাতা নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে কাজটা করা উচিত। গতকাল দেখলাম একজন পোস্ট দিয়েছেন লাখ টাকার ব্লগ দুই টাকার ছাগল খায় সেই থেকে মনে হল আসলে ব্যাপারটা কি জানা উচিত। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে কিনা নির্বাচনী পাতা নিয়ে তাই জানতে চাওয়া।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

জেরিফ বলেছেন: নজরুল জয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী

২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: প্রিয় কবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

৬| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

লিরিকস বলেছেন: প্রিয় কবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু। আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।

৭| ২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: মহাবিদ্রোহীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ।



নজরুল নিয়ে একটি কমপ্লিট পোস্ট । আজকের দিনের জন্য হলেও এই পোস্ট স্টিকি করতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই ।

২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: আপনার ভালোবাসায় সিক্ত হোলাম। প্রিয় কবির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী রইল।কবি যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন।

৮| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

আকাশ মামুন বলেছেন: এই ছিল জীবন। মরনও তাকে হার মানাতে পারেনি।

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: মহাবিদ্রোহীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।

৯| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১:২৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বিদ্রোহ আর সাম্যের কবি, প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

চমৎকার পোস্ট নিঃসন্দেহে।

২৮ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: প্রিয় কবির জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ।

ধন্যবাদ ।

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

আমার আমিত্ব বলেছেন: কবি কে নিয়ে সেরা পোস্ট এটি।

১২ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: আপনার অভিমতের জন্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.